সোনার তরী : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
সোনার তরী
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
গগনে গরজে মেঘ, ঘন বরষা।
কূলে একা বসে আছি, নাহি ভরসা।
রাশি রাশি ভারা ভারা
ধান কাটা হল সারা,
ভরা নদী ক্ষুরধারা
খরপরশা-
কাটিতে কাটিতে ধান এল বরষা॥
শব্দের অর্থ:
গগন- আকাশ। গরজে/গর্জে- গর্জন করে। ঘন-ঘোর। বরষা/বর্ষা- আষাঢ় ও শ্রাবন এই দুই মাস
বর্ষাকাল/ঋতু। কূলে- তীরে। রাশি রাশি- অনেক,
স্তুপীকৃত। ভারা ভারা- ধান স্তূপ আকারে রাখা। ক্ষুর- চুল কামানোর তীক্ষ্ণ ধারালো অস্ত্রবিশেষ। ক্ষুরধারা- ক্ষুরের মতো ধারালো যে প্রবাহ বা স্রোত। খর- ধারালো,
প্রবল। খরপরশা- ধারালো বর্শার।
ব্যাখ্যা:
কবি বলেছেন, ঘোর বর্ষায় আকাশে মেঘ গর্জন করছে এবং কৃষক ভরসাহীনভাবে কূলে
একা বসে আছেন। যেকোনো সময় বৃষ্টি শুরু হতে পারে তার কোনে। ভরসা নেই। তিনি
আরো বলেন রাশি রাশি, বান কোট স্তূপ আকারে রাখা হয়েছে এবং নদীর পানিটা
বর্ষার মতো ধারালো এদিকে ধান কাটতে কাটতেই বৃষ্টি চলে আসলো।
একখানি ছোটো খেত, আমি একেলা-
চারি দিকে বাঁকা জল করিছে খেলা।
পরপারে দেখি আঁকা
তরুছায়ামসীমাখা
গ্রামখানি মেঘে ঢাকা
প্রভাতবেলা-
এপারেতে ছোটো খেত, আমি একেলা॥
একখানি ছোটো খেত, আমি একেলা-
চারি দিকে বাঁকা জল করিছে খেলা।
পরপারে দেখি আঁকা
তরুছায়ামসীমাখা
গ্রামখানি মেঘে ঢাকা
প্রভাতবেলা-
এপারেতে ছোটো খেত, আমি একেলা॥
শব্দের অর্থ:
তরুছায়া- গাছ ছায়া। মসী-মাখা- কালো রঙে মাখানো, কালচে ভাব। তরুছায়ামসী-মাখা- ওপারের মেঘে ঢাকা গ্রামটি যেন গাছের ছায়ার কালো রঙে মাখানো।
ব্যাখ্যা: এখানে বলা হয়েছে, কৃষক তার ছোটো খেতে একলা বসে আছে। এখানে বাঁকা জল বলতে
কালস্রোত অর্থাৎ বিপদকে বোঝানো হয়েছে। অর্থাৎ কৃষক বলছে তার চারিদিক বিপদে
ঘেরা। কবি আরো বলেছেন, তার বিপরীত পাড়ে যে গ্রাম আছে সেখানেও গাছপালা মসীমাখা
অর্থাৎ কালচে ছায়ায় ঢাকা। অর্থাৎ কবি এখানে বুঝিয়েছেন তার যে ছোট পৃথিবী আছে
যেখানে সে একলা বাস করে সেখানে তো বিপদ আছেই একইসাথে তার চারপাশের পরিবেশটাও
বিপদে ঘেরা।
গান গেয়ে তরী বেয়ে কে আসে পারে,
দেখে যেন মনে হয় চিনি উহারে।
ভরা পালে চলে যায়,
কোনো দিকে নাহি চায়,
ঢেউগুলি নিরুপায়
ভাঙে দু ধারে-
দেখে যেন মনে হয় চিনি উহারে॥
শব্দের অর্থ:
ব্যাখ্যা: এখানে কৃষক বলছে কে যেনো গান গেয়ে তরী বেয়ে আসছে এবং তাকে দেখে চেনা চেনা
মনে হচ্ছে। (এখানে মাঝিকে বোঝানো হয়েছে) আবার বলা হয়েছে ঢেউ এর স্রোত এত বেশি
যে নদীর দুই বার ভেঙে যাচ্ছে। সবশেষে কৃষক বলেছেন এত বিপদের মধ্যেও কেউ একজন
গান গেয়ে তরী বেয়ে আসছে থাকে তার চেনা চেনা মনে হচ্ছে।
ওগো, তুমি কোথা যাও কোন বিদেশে,
বারেক ভিড়াও তরী কূলেতে এসে।
যেয়ো যেথা যেতে চাও,
যারে খুশি তারে দাও,
শুধু তুমি নিয়ে যাও
ক্ষণিক হেসে
আমার সোনার ধান কূলেতে এসে॥
শব্দের অর্থ:
বারেক- একবার মাত্র। ভিড়াও- থামাও, তীরে লাগাও। বারেক ভিড়াও- একবার থামাও। ক্ষণিক- অল্প সময়, একটু ক্ষণ। তরী- নৌকা।
বারেক- একবার মাত্র। ভিড়াও- থামাও, তীরে লাগাও। বারেক ভিড়াও- একবার থামাও। ক্ষণিক- অল্প সময়, একটু ক্ষণ। তরী- নৌকা।
ব্যাখ্যা: এখানে কৃষক মাঝিকে বলেছেন, বা অনুরোধ করেছেন যে মাঝির যেখানে খুশি সে যেতে
পারে, কৃষকের ধানগুলো সে যাকে ইচ্ছা হয় দিতে পারে। কিন্তু একবারের জন্য
হলেও মাঝি যেন নিজের ইচ্ছায় সামান্য হেসে তার তরীটা কূলে ভিড়ায় এবং কৃষকের
সোনার ধানগুলো নিয়ে যায়।
যত চাও তত লও তরণী-‘পরে।
আর আছে? -আর নাই, দিয়েছি ভরে
এতকাল নদীকূলে
যাহা লয়ে ছিনু ভুলে
সকলই দিলাম তুলে
থরে বিথরে-
এখন আমারে লহো করুণা করে॥
শব্দের অর্থ:
তরণী- নৌকা। ‘পরে- উপরে।
লয়ে-নিয়ে। ছিনু- ছিলাম। থরে বিথরে- স্তরে স্তরে, সুবিন্যস্ত করে। লহো- লও, নাও। করুণা- দয়া।
ব্যাখ্যা: কৃষক মাঝিকে বলছে যে, আমার বান তোমার যত খুশি তত নিতে পারো। আমার যতটুকু
ছিল তার সবই দিয়ে দিলাম। এতকাল নদীর তীরে মা উৎপাদন করলাম তার সবই তোমার
সুশৃঙ্খলভাবে দিয়ে দিলাম। এখন আমায় একটু করুণা করে তোমার সাথে নিয়ে
সাও।
ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই- ছোটো সে তরী
আমারি সোনার ধারে গিয়েছে ভরি।
শ্রাবণগগন ঘিরে
ঘন মেঘে ঘুরে ফিরে,
শূন্য নদীর তীরে
রহিনু পড়ি-
যাহা ছিল নিয়ে গেল সোনার তরী॥ (শিলাইদহ। বোট। ফাল্গুন ১২৯৮)
শব্দের অর্থ:
ঠাঁই- স্থান, জায়গা। রহিনু- রইলাম।
ব্যাখ্যা: কৃষক এখানে বলেছেন, সেই ছোট তরীটা তার সোনার ধানে ভরে গেছে। এদিকে কৃষক মন মেয়ে সেরা আকাশের নিচে ফাঁকা বা শূন্য নদীর তীরে একা পড়ে রইলো। তার যা কিছু ছিল সবই সোনার তরী নিয়ে গেল।
ব্যাখ্যা: কৃষক এখানে বলেছেন, সেই ছোট তরীটা তার সোনার ধানে ভরে গেছে। এদিকে কৃষক মন মেয়ে সেরা আকাশের নিচে ফাঁকা বা শূন্য নদীর তীরে একা পড়ে রইলো। তার যা কিছু ছিল সবই সোনার তরী নিয়ে গেল।
উৎস নির্দেশ : |
---|
“সোনার তরী” রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘সোনার তরী’ কাব্যগ্রন্থের নাম-কবিতা। |
শব্দার্থ ও টীকা : |
---|
➠ গরজে- গর্জন করে। ➠ ভারা ভারা- ‘ভারা’ অর্থ ধান রাখার পাত্র। এরকম পাত্রের সমষ্টি বোঝাতে এখানে ব্যবহৃত হয়েছে। ➠ ক্ষুরধারা- ক্ষুরের মতো ধারালো যে প্রবাহ বা স্রোত। ➠ খরপরশা- ধারালো বর্ণা। এখানে ধারালো বর্শার মতো। ➠ আমি- সাধারণ অর্থে কৃষক। প্রতীকী অর্থে শিল্পস্রষ্টা কবি। ➠ আমি একেলা- কৃষক কিংবা শিল্পস্রষ্টা কবির নিঃসঙ্গ অবস্থা। ➠ চারিদিকে বাঁকা জল করিছে খেলা- ধানক্ষেতটি ছোট দ্বীপের আঙ্গিকে চিত্রিত। তার পাশে ঘূর্ণায়মান স্রোতের উদ্দামতা। নদীর ‘বাঁকা’ জলস্রোতে বেষ্টিত ছোটো ক্ষেতটুকুর আশু বিলীয়মান হওয়ার ইঙ্গিত রয়েছে এ অংশে। ‘বাঁকা জল’ এখানে অনন্ত কালস্রোতের প্রতীক। ➠ তরুছায়ামসী-মাখা-ওপারের মেঘে ঢাকা গ্রামটি যেন গাছের ছায়ার কালো রঙে মাখানো। ➠ গান গেয়ে তরী বেয়ে কে আসে পারে- ক্ষুরের মতো ধারালো জলস্রোতে গান গাইতে গাইতে যে মাঝি পারের দিকে এগিয়ে আসছে, রবীন্দ্র-ভাবনায় সে নির্মোহ মহাকালের প্রতীক। ➠ কোনো দিকে নাহি চায়- মহাকালের প্রতীক এই মাঝি নিরাসক্ত বলেই তার সুনির্দিষ্ট দৃষ্টিপাত নেই। ➠ দেখে যেন মনে হয় চিনি উহারে- এই আগন্তুক মাঝি কৃষক বা শিল্পস্রষ্টা কবির হয়ত চেনা। কেননা, চেনা মনে হলেও কৃষক বা শিল্পস্রষ্টা কবির সংশয় থেকেই যায়। ➠ ওগো, তুমি কোথা যাও কোন বিদেশে?- নির্বিকার মাঝির দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য কৃষক বা কবির চেষ্টা। ‘বিদেশ’ এখানে চিরায়ত শিল্পলোকের প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। ➠ বারেক ভিড়াও তরী কূলেতে এসে- চিরায়ত শিল্পলোকে ঠাঁই পাওয়ার জন্যই কৃষকরূপী কবির ব্যাকুল অনুনয় এখানে প্রকাশিত। ➠ আমার সোনার ধান- কৃষকের শ্রেষ্ঠ ফসল। ব্যঞ্জনার্থে শিল্পস্রষ্টা কবির সৃষ্টিসম্ভার। ➠ আর আছে আর নাই, দিয়েছি ভরে- ছোটো জমিতে উৎপন্ন ফসলের সবটাই অর্থাৎ কবির সমগ্র সৃষ্টি তুলে দেওয়া হয়েছে মহাকালের স্রোতে ভেসে আসা সোনার তরী-রূপী চিরায়ত শিল্পলোকে। ➠ থরে বিথরে- স্তরে স্তরে, সুবিন্যস্ত করে। ➠ এখন আমারে লহো করুণা করে- ফসল বা সৃষ্টিসম্ভার তুলে দেওয়া হয়েছে নৌকায়। এখন ফসল বা সৃষ্টির স্রষ্টা স্থান পেতে চায় ওই মহাকালের নৌকায়। ➠ ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই ছোট সে তরী- সোনার তরীতে মহৎ সৃষ্টিরই স্থান সংকুলান হয় কেবল। ব্যক্তিসত্তা ও তার শারীরিক অস্তিত্বকে নিশ্চিতভাবে হতে হয় মহাকালের নিষ্ঠুর কালগ্রাসের শিকার। ➠ শূন্য নদীর তীরে রহিনু পড়ি- নিঃসঙ্গ অপূর্ণতার বেদনা নিয়ে আসন্ন ও অনিবার্য মৃত্যুর প্রতীক্ষার ইঙ্গিত। এ প্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন: “মহাকাল আমার সর্বস্ব লইয়া যায় বটে, কিন্তু আমাকে ফেলিয়া যায় বিস্মৃতি ও অবহেলার মধ্যে।... সোনার তরীর নেয়ে আমার সোনার ধান লইয়া যায় খেয়াপারে, কিন্তু আমাকে লয় না।” |
পাঠ-পরিচিতি : |
---|
শতাধিক বছর ধরে এ কবিতা বিপুল আলোচনা ও নানামুখী ব্যাখ্যায় নতুন নতুন
তাৎপর্যে অভিষিক্ত। একই সঙ্গে, কবিতাটি গূঢ় রহস্য ও শ্রেষ্ঠত্বেরও স্মারক।
মহৎ সাহিত্যের একটি বিশেষ গুণ হলো কালে কালে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি ও বিবেচনার
আলোকে তার শ্রেষ্ঠত্ব নিরূপিত হতে থাকে। বাংলা কবিতার ইতিহাসে “সোনার তরী”
তেমনি আশ্চর্যসুন্দর এক চিরায়ত আবেদনবাহী কবিতা। কবিতাটিতে দেখা যায়, চারপাশের প্রবল স্রোতের মধ্যে জেগে থাকা দ্বীপের মতো ছোটো একটি ধানক্ষেতে উৎপন্ন সোনার ধানের সম্ভার নিয়ে অপেক্ষারত নিঃসঙ্গ এক কৃষক। আকাশের ঘন মেঘ আর ভারী বর্ষণে পাশের খরস্রোতা নদী হয়ে উঠেছে হিংস্র। চারদিকের 'বাঁকা জল' কৃষকের মনে সৃষ্টি করেছে ঘনঘোর আশঙ্কা। এরকম এক পরিস্থিতিতে ওই খরস্রোতা নদীতে একটি ভরাপাল সোনার নৌকা নিয়ে বেয়ে আসা এক মাঝিকে দেখা যায়। উৎকণ্ঠিত কৃষক নৌকা কূলে ভিড়িয়ে তার উৎপাদিত সোনার ধান নিয়ে যাওয়ার জন্য মাঝিকে সকাতরে মিনতি জানালে ওই সোনার ধানের সম্ভার নৌকায় তুলে নিয়ে মাঝি চলে যায়। ছোট নৌকা বলে স্থান সংকুলান হয় না কৃষকের। শূন্য নদীর তীরে আশাহত কৃষকের বেদনা গুমড়ে মরে। এ কবিতায় নিবিড়ভাবে মিশে আছে কবির জীবনদর্শন। মহাকালের স্রোতে জীবন-যৌবন ভেসে যায়, কিন্তু বেঁচে থাকে মানুষেরই সৃষ্ট সোনার ফসল। তার ব্যক্তিসত্তা ও শারীরিক অস্তিত্বকে নিশ্চিতভাবে হতে হয় মহাকালের নিষ্ঠুর কালগ্রাসের শিকার। “সোনার তরী” মাত্রাবৃত্ত ছন্দে রচিত। এর অধিকাংশ পঙ্ক্তি ৮+৫ মাত্রার পূর্ণপর্বে বিন্যস্ত। |
কবি পরিচিতি : |
---|
অসামান্য প্রতিভার অধিকারী বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আধুনিক বাংলা কবিতার প্রাণপুরুষ। তিনি ১৮৬১ খ্রিষ্টাব্দের ৭ই মে ভারতের কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর সাহিত্যসাধনার একটি বৃহৎকাল বাংলা সাহিত্যের ‘রবীন্দ্রযুগ’ নামে পরিচিত। মানবধর্মের জয় ও সৌন্দর্য-তৃষ্ণা রোমান্টিক এই কবির কবিতার মূল সুর। কবিতা ছাড়াও ছোটগল্প, উপন্যাস, নাটক, প্রবন্ধ, ভ্রমণকাহিনি ও সংগীত রচনায় রবীন্দ্রনাথ কালজয়ী প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন। তিনি ছিলেন অনন্য চিত্রশিল্পী, অনুসন্ধিৎসু বিশ্বপরিব্রাজক, দক্ষ সম্পাদক এবং অসামান্য শিক্ষা-সংগঠক ও চিন্তক। নিজে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাগ্রহণে নিরুৎসাহী হলেও 'বিশ্বভারতী' নামের বিশ্ববিদ্যালয়-এর তিনি স্বাপ্নিক ও প্রতিষ্ঠাতা। মাত্র পনেরো বছর বয়সে তাঁর প্রথম কাব্য ‘বনফুল’ প্রকাশিত হয়। ‘গীতাঞ্জলি’ এবং অন্যান্য কাব্যের কবিতার সমন্বয়ে স্ব-অনূদিত ‘Song Offerings’ গ্রন্থের জন্য ১৯১৩ খ্রিষ্টাব্দে প্রথম এশীয় হিসেবে তিনি নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন। বাংলা ছোটগল্পের তিনি পথিকৃৎ ও শ্রেষ্ঠ শিল্পী। ‘মানসী’, ‘সোনার তরী’, ‘চিত্রা’, ‘ক্ষণিকা’, ‘বলাকা’, ‘পুনশ্চ’, ‘জন্মদিনে’, ‘শেষ লেখা’ তাঁর অন্যতম শ্রেষ্ঠ কাব্যগ্রন্থ। কাব্যনাট্য ‘বিসর্জন’ ও ‘চিত্রাঙ্গদা’ এবং কাহিনি-কবিতার সংকলন ‘কথা’ ও ‘কাহিনি’ তাঁর ভিন্ন স্বাদের রচনা। ১৯৪১ সালের ৭ই আগস্ট তাঁর জীবনাবসান ঘটে। |
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন : |
---|
১. ‘ওগো তুমি কোথা যাও কোন বিদেশে’- এখানে ‘তুমি’ কে? ক. কৃষক খ. তরী গ. মাঝি ঘ. কবি ২. কবি ‘ছোটো খেত’ বলতে কী বোঝাতে চেয়েছেন? ক. আয়তনে ছোট ক্ষেত খ. নদীর ছোটো চর গ. মানুষের জীবনপরিধি ঘ. অজানার দেশ নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩ ও ৪ সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দাও। জয়নুল আবেদিন বিখ্যাত চিত্রশিল্পী। তিনি শিল্পাচার্য নামে পরিচিত। তাঁর বিখ্যাত চিত্রকর্মের মধ্যে রয়েছে দুর্ভিক্ষের চিত্রমালা, সংগ্রাম, সাঁওতাল রমণী, ঝড় এবং আরও অনেক ছবি। পৃথিবীর মানুষ এই শিল্পীর পেন্সিলের আঁচড়ে প্রতিফলিত দুর্ভিক্ষতাড়িত মানুষও সেই সময়কে আজও অনুভব করে। বর্তমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ প্রতিষ্ঠায় তিনি ছিলেন পুরোধা ব্যক্তিত্ব। ৩. জয়নুল আবেদিনের সঙ্গে “সোনার তরী” কবিতার কিসের সাদৃশ্য রয়েছে? ক. মাঝি খ. ভরা নদী গ. তরী ঘ. কৃষক ৪. উক্ত সাদৃশ্যের প্রেক্ষিতে বলা যায়- ক. জীবন অতি সংক্ষিপ্ত খ. সৃষ্টি অবিনশ্বর গ. সম্পদ ক্ষণস্থায়ী ঘ. সময় অনন্ত প্রবাহী ৫. ‘সোনার তরী’ কবিতাটি কোন ছন্দে রচিত? ক. স্বরবৃত্ত খ. মাত্রাবৃত্ত গ. অক্ষরবৃত্ত ঘ. গদ্যছন্দ ৬. ‘তরুছায়ামসী-মাখা’ কেন বলা হয়েছে? ক. ছায়াসুনিবিড় পরিবেশকে উপস্থাপন করার জন্য খ. মেঘলা আবহাওয়াকে নির্দেশ করার জন্য গ. বৃক্ষ ছায়ার কালচে রং মাখাকে বোঝানোর জন্যে ঘ. পল্লবায়িত বৃক্ষকে তুলে ধরার জন্য নিচের উদ্দীপকটি পড়ুন এবং ৭ ও ৮ নং প্রশ্নের উত্তর দিন: মাদার তেরেসা আজীবন মানবতার জয়গান গেয়েছেন। মানবসেবার জন্য গড়ে তুলেছেন অসংখ্য প্রতিষ্ঠান। তিনি তাঁর কর্ম ও সৃষ্টির মাধ্যমে পৃথিবীতে অমর হয়ে রয়েছেন। ৭. উদ্দীপকের মূলভাব কোন পংক্তির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ? ক. চারিদিকে বাঁকা জল করিছে খেলা খ. একখানি ছোটো খেত আমি একেলা গ. আমারি সোনার ধানে গিয়েছে ভরি ঘ. দেখে যেন মনে হয় চিনি উহারে ৮. উদ্দীপক ও 'সোনার তরী' কবিতায় যে ভাব প্রকাশিত হয়েছে- i. মানুষের জীবনবোধ যন্ত্রণাময় ii. ব্যক্তিসত্তা নয় ঢিকে থাকে মানুষের কীর্তি iii. কালপ্রবাহকে মানুষ এড়াতে পারে নিচের কোনটি সঠিক? ক. i খ. ii গ. iii ঘ. i ও ii ৯. ‘থরে বিথরে’ শব্দগুচ্ছ কোন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে? ক. রাশি রাশি খ. বোঝা বোঝা গ. স্তরে স্তরে ঘ. সারি সারি ১০. ‘সোনার তরী’ কবিতায় কৃষক মাঝিকে কী অনুরোধ করেছিল? ক. কৃষকের সঙ্গে গল্প করতে খ. কৃষকের ভয় দূর করে দিতে গ. সোনার ধান নৌকায় তুলে দিতে ঘ. সোনার পাট নৌকায় তুলে দিতে নিচের উদ্দীপকটি পড়ো এবং ১১ ও ১২ নং প্রশ্নের উত্তর দিন: মেঘের পরে মেঘ জমেছে আঁধার করে আসে আমায় কেন বসিয়ে রাখ একা দ্বারের পাশে? ১১. উদ্দীপকের সঙ্গে কোন চরণের মিল রয়েছে? ক. গ্রামখানি মেঘে ঢাকা প্রভাত বেলা খ. যত চাও তত লও তরণী-'পরে গ. শূন্য নদীর তীরে রহিনু পড়ি ঘ. যাহা ছিল নিয়ে গেল সোনার তরী ১২. উদ্দীপক ও 'সোনার তরী' কবিতায় প্রকাশিত হয়েছে- i. বর্ষার প্রকৃতি ii. নিঃস্ব কৃষক iii. সৃষ্টিশীল কর্ম নিচের কোনটি সঠিক? ক. i খ. ii গ. iii ঘ. ii ও iii |
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন : |
---|
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন : |
---|
সৃজনশীল প্রশ্ন- ১ |
---|
কাজী নজরুল ইসলাম বাংলা সাহিত্যে চির তারুণ্যের প্রতীক। চিরায়ত বাঙালির
সংস্কৃতি তাঁর কাব্যকর্মে স্ফূর্তি লাভ করেছে। বিদ্রোহ, সাম্য ও
মানবতাবোধের কথা লিখে তিনি বাঙালি চিত্তে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন কাল থেকে
কালান্তরে। তাঁর মহাপ্রয়াণ ঘটে ১৯৭৬ সালে। অথচ তাঁর সৃষ্টিকর্ম এখনো বাঙালি
জাতির চেতনার ফল্গুধারা। তাঁর কবিতা ও গান এখনও বাংলার মানুষের চেতনার
অফুরান উৎস। তিনি তাঁর সৃষ্টিশীল কর্মে আমাদের মাঝে অমর হয়ে আছেন। ক. ‘সোনার তরী’ কবিতায় কোন ঋতুর কথা বলা হয়েছে? খ. ‘যাহা ছিল নিয়ে গেল সোনার তরী’ কথাটির মাধ্যমে কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন? গ. ‘সোনার তরী’ কবিতার জীবনদর্শন উদ্দীপকে কীভাবে প্রতিফলিত হয়েছে? -আলোচনা করুন। ঘ. “মহৎ কর্মই পৃথিবীতে মানুষকে অমরত্ব দান করে।” উদ্দীপক ও ‘সোনার তরী’ কবিতার আলোকে মন্তব্যটি মূল্যায়ন করুন। |
ক. ‘সোনার তরী’ কবিতায় বর্ষা ঋতুর কথা বলা হয়েছে। খ. মহাকাল মানুষকে নয়, বরং তার সৃষ্টিশীলতাকে ধারণ করে। আলোচ্য চরণটির মাধ্যমে এ সত্যটিকেই তুলে ধরা হয়েছে। ➠ ‘সোনার তরী’ কবিতায় কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর উল্লিখিত চরণে রূপকের আড়ালে একটি গভীর জীবন দর্শনকে প্রকাশ করেছেন। কবিতায় দেখা যায়, সোনার তরীর মাঝি কৃষকের সব ফসল তরীতে তুলে নেয় কিন্তু তরীতে স্থান সংকুলান না হওয়ায় ধানক্ষেতে একাকী দাঁড়িয়ে থাকে কৃষক। এখানে সোনার তরী মহাকালের প্রতীক। এ তরীতে শুধু মানুষের সৃষ্টিকর্মের ঠাঁই হয়, কোনো ব্যক্তিসত্তা নয়। তাই ব্যক্তি মানুষ তথা কবিতায় বর্ণিত কৃষককে ধানক্ষেতে একাকী অপেক্ষমান রেখে তার সোনার ধান অর্থাৎ সৃষ্টিকর্মকে সোনার তরী বয়ে নিয়ে যায়। গ. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘সোনার তরী’ কবিতায় অন্তর্লীন হয়ে রয়েছে একটি গভীর জীবন দর্শন। ➠ এটি উদ্দীপকে যথাযথভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। 'সোনার তরী' কবিতাটিতে রূপকের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে মানব জীবনের এক শ্বাশত দর্শন। কবিতার রূপকল্পে রয়েছে বর্ষার স্রোত পরিবেষ্টিত ধানক্ষেতে রাশি রাশি সোনার ধান নিয়ে অপেক্ষা করছে একজন কৃষক। অপেক্ষার একপর্যায়ে ভরা পালে তরী বেয়ে চলে যেতে থাকা এক মাঝিকে ধানগুলো নিয়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করে সে। কিন্তু মাঝি কেবল কৃষকের ধানগুলো তরীতে ভরে নেয়। সোনার তরীতে স্থানের অভাবে কৃষকের আর ওঠা হয় না। ➠ কবিতায় সোনার তরী হচ্ছে প্রবহমান সময়ের প্রতীক। মানুষ একদিন এই পৃথিবী থেকে চলে যাবে। কিন্তু এখানে টিকে থাকবে কেবল তার সোনার ধান তথা কর্মফল। 'সোনার তরী' কবিতার এ ভাবটি উদ্দীপকে প্রতিফলিত হয়েছে। উদ্দীপকে বর্ণিত কাজী নজরুল ইসলাম ব্যাক্তিমানুষ হিসাবে বেঁচে নেই কিন্তু টিকে আছে তাঁর সৃষ্টিকর্ম। বাংলা সাহিত্যে বিদ্রোহ, সাম্য ও মানবতাবোধের কথা লিখে তিনি আজও প্রেরণা যোগাচ্ছেন সাধারণ মানুষকে। তাঁর অবিনাশী গান, ধ্রুপদী কবিতা এখনও বাংলাভাষী পাঠকের চিরপ্রেরণার উৎস। যেকোন আন্দোলন-সংগ্রামে তাঁর সৃষ্টিকর্ম আমাদের চেতনার প্রদীপ্ত শিখা। তাই বলা যায়, কবিতাটির অন্তর্নিহিত জীবন দর্শন উদ্দীপকে যথার্থভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। ঘ. উদ্দীপক ও ‘সোনার তরী’ কবিতা উভয়টিতে ফুটে উঠেছে যে, মহৎ কীর্তিই মানুষকে পৃথিবীতে অমরত্ব প্রদান করে। ➠ পৃথিবীতে মানুষ বেঁচে থাকে তাঁর কর্মের মাধ্যমে। কেননা, মহাকালের চিরন্তন স্রোতে মানুষ তার অনিবার্যতাকে এড়াতে পারে না। অতৃপ্তির বেদনা নিয়ে তাকে অপেক্ষা করতে হয় কালস্রোতে বিলীন হওয়ার জন্য। মহাকালরূপী সোনার তরী শুধু মানুষের সৃষ্টিকেই ধারণ করে, ব্যক্তি-মানুষকে নয়। ➠ কবিতায় কৃষক তাঁর জমি থেকে সোনার ধান কেটে অপেক্ষায় আছে কখন তরী এসে সোনার ফসলসহ তাকে নিয়ে যাবে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে তরীতে সমস্ত ফসল তোলা হলে সেখানে কৃষকের জন্য আর এতটুকু জায়গাও অবশিষ্ট থাকে না। অর্থাৎ মহাকালের স্রোতে ব্যক্তি-মানুষ বা কবিতার কৃষক হারিয়ে যায় ঠিকই কিন্তু বেঁচে থাকে তার সোনার ধান বা কর্মফসল। কবিতায় বর্ণিত এ কর্মফসল উদ্দীপকের কাজী নজরুল ইসলামের সৃষ্টিকর্মের সমতুল্য। কালের স্রোতে ব্যক্তি নজরুল হারিয়ে গেলেও তাঁর কীর্তির মধ্য দিয়ে তিনি অমরত্ব পেয়েছেন। ➠ উদ্দীপকে বর্ণিত হয়েছে কাজী নজরুল ইসলাম তাঁর সাহিত্যে বিদ্রোহ, সাম্য ও মানবতাবোধের কথা বলেছেন। তাঁর সৃষ্টিকর্ম সমাজ পরিবর্তন ও জাতীয় মুক্তির লক্ষ্যে শ্রেণিসংগ্রাম ও স্বাধিকার আন্দোলনে প্রেরণা যুগিয়েছে। তাঁর কবিতা ও গান বর্তমানেও বাঙালির প্রতিদিনকার চেতনার অফুরন্ত উৎস। তিনি তাঁর মহৎ সৃষ্টিকর্মের জন্যই এখনও বেঁচে আছেন বাঙালির হৃদয়ে। ‘সোনার তরী’ কবিতায়ও প্রকাশিত হয়েছে একই জীবন দর্শন। তাই উদ্দীপক এবং ‘সোনার তরী’ কবিতার আলোকে বলা যায়, মহৎ কর্মই মানুষকে পৃথিবীতে অমরত্ব দান করে। |
সৃজনশীল প্রশ্ন- ২ |
---|
নীল নবঘনে আষাঢ় গগনে তিল ঠাঁই আর নাহি রে। ওগো, আজ তোরা যাস নে ঘরের বাহিরে। বাদলের ধারা ঝরে ঝরঝর আউশের খেত জলে ভরভর, কালি-মাখা মেঘে ওপারে আঁধার ঘনিয়েছে দেখ চাহি রে। ক. ‘গীতাঞ্জলি’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কোন জাতীয় রচনা? খ. ‘দেখে যেন মনে হয় চিনি উহারে।’-উক্তিটির তাৎপর্য লিখুন। গ. ‘সোনার তরী’ কবিতার কোন দিকটির সঙ্গে উদ্দীপকের সাদৃশ্য রযেছে? -ব্যাখ্যা করুন। ঘ. “উদ্দীপক ও ‘সোনার তরী’ কবিতায় বর্ষার অনিন্দ্য সুন্দর রূপটি উদ্ভাসিত হয়েছে।”-বিচার করুন। |
----------- |
সৃজনশীল প্রশ্ন- ৩ |
---|
মাদার তেরেসা অকৃত্রিম মাতৃস্নেহের আধার ছিলেন। আলবেনিয়ান বংশোদ্ভূত হয়েও
তিনি তাঁর কাজের জন্য সারা পৃথিবীতে স্মরণীয় হয়ে আছেন। ১৯৫০ সালে তিনি
কলকাতায় মিশনারিজ অব চ্যারিটি নামে একটি সেবা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন।
পরবর্তীকালে এই চ্যারিটি হোম সমগ্র পৃথিবীর দরিদ্র, অসুস্থ, অনাথ ও
মৃত্যুপথযাত্রী মানুষের জন্য কাজ করে। এই কাজের জন্য ১৯৭৯ সালে তাঁকে নোবেল
শান্তি পুরস্কার প্রদান করা হয়। সেই পুরস্কারের সমস্ত অর্থ তিনি সেবার কাজে
ব্যয় করেন। ১৯৯৭ সালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। কিন্তু পৃথিবীর মানুষ আজও তাঁর
নাম শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে। ক. বাংলা কত তারিখে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জন্ম গ্রহণ করেন? খ. ‘বাঁকা জল’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে? গ. “সোনার তরী” কবিতার কোন বিষয়টি মাদার তেরেসার জীবনের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ? ব্যাখ্যা করো। ঘ. ‘মাদার তেরেসার জীবন পরিণতিই “সোনার তরী” কবিতার মূল উপজীব্য’- মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর। |
----------- |
সৃজনশীল প্রশ্ন- ৪ [দিনাজপুর বোর্ড-২০২৪] |
---|
এই পৃথিবী যেমন আছে তেমনই ঠিক রবে, সুন্দর এ পৃথিবী ছেড়ে একদিন চলে যেতে হবে। তোমার টাকা কড়ি সুন্দর বাড়ি সবই পড়ে রবে, তোমার কর্মসাধন সৃজন পূজন তোমায় স্মরণ নেবে তুমি আর থাকবে না এই জনাকীর্ণ ভবে। ক. ‘সোনার তরী’ কবিতাটি কোন ছন্দে রচিত? খ. “চারদিকে বাঁকা জল করিছে খেলা।”- ব্যাখ্যা করো। গ. উদ্দীপকে 'সোনার তরী' কবিতার কোন ভাবের প্রকাশ ঘটেছে? আলোচনা করো। ঘ. “ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই- ছোট সে তরী”- ‘সোনার তরী’ কবিতার উক্ত চরণ ও উদ্দীপকের ভাবসত্য অভিন্ন।- বিশ্লেষণ করো। |
----------- |
সৃজনশীল প্রশ্ন- ৫ [রাজশাহী বোর্ড-২০২৩] |
---|
আমায় নহে গো ভালোবাস, শুধু ভালোবাস মোর গান। বনের পাখিরে কে চিনে রাখে গান হলে অবসান। চাঁদেরে কে চায়, জোছনা সবাই যাচে গীত শেষে বীণা পড়ে থাকে ধূলি মাঝে। ক. চারিদিকে বাঁকা জল কী করছে? খ. “যাহা ছিল নিয়ে গেল সোনার তরী”- ব্যাখ্যা করো। গ. ‘সোনার তরী’ কবিতার কৃষকের সঙ্গে উদ্দীপকের বনের পাখির তুলনামূলক আলোচনা করো। ঘ. “সোনার তরী’ কবিতার মূল বক্তব্য উদ্দীপকের শেষ চরণের মধ্যে নিহিত।”- তোমার মতামত দাও। |
----------- |
সৃজনশীল প্রশ্ন- ৬ [যশোর বোর্ড-২০২৩] |
---|
“আমায় নহে গো, ভালোবাস শুধু ভালোবাস মোর গান বনের পাখিরে কে চিনে রাখে গান হলে অবসান চাঁদেরে কে চায়, জোছনা সবাই যাচে গীত শেষে বীণা পড়ে থাকে ধূলি-মাঝে।” ক. ‘সোনার তরী’ কবিতাটি কোন ছন্দে রচিত? খ. “আমারি সোনার ধানে গিয়েছে ভরি”- বলতে কী বোঝানো হয়েছে? গ. উদ্দীপকের গান ‘সোনার তরী’ কবিতার কোন বিষয়টিকে ইঙ্গিত করে? ব্যাখ্যা করো। ঘ. উদ্দীপকটিতে ‘সোনার তরী’ কবিতার মূলভাব ফুটে উঠেছে – মন্তব্যটির যথার্থতা বিচার করো। |
----------- |
সৃজনশীল প্রশ্ন- ৭ [চট্টগ্রাম বোর্ড-২০২৩] |
---|
মহেশচন্দ্র ভট্টাচার্য ছিলেন বাঙালি হোমিওপ্যাথিক ঔষধ ব্যবসায়ী, সমাজসেবক ও
দানশীল ব্যক্তিত্ব। নিজের ঐকান্তিক চেষ্টায় বিপুল ধনসম্পদের অধিকারী হন।
কিন্তু নিজে কৃচ্ছসাধন করে জনহিতকর কাজে লিপ্ত হন। তিনি শিক্ষা বিস্তারের
জন্য টোল, পাঠশালা, গ্রন্থাগার, হোস্টেল, নারীশিক্ষার জন্য বিদ্যানিকেতন,
ছাত্রীনিবাস এবং দরিদ্রের জন্য আশ্রম, ধর্মশালা প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি আজও
সকলের কাছে স্মরণীয় হয়ে আছেন। ক. ‘সোনার তরী’ কবিতায় কোন মাসের উল্লেখ রয়েছে? খ. “চারিদিকে বাঁকা জল করিছে খেলা”- ব্যাখ্যা করো। গ. উদ্দীপকের মহেশচন্দ্র ভট্টাচার্যের ব্যক্তিজীবনের। আলোচনা কর। মধ্য দিয়ে ‘সোনার তরী’ কবিতার কোন দিকটি ফুটে উঠেছে? ঘ. “মানুষ বাঁচে কর্মের মধ্যে।”- উদ্দীপক ও ‘সোনার তরী’ কবিতার আলোকে উক্তিটির যথার্থতা নিরূপণ করো। |
----------- |
সৃজনশীল প্রশ্ন- ৮ |
---|
------------- |
----------- |
সৃজনশীল প্রশ্ন- ৯ |
---|
------------- |
----------- |
সৃজনশীল প্রশ্ন- ১০ |
---|
------------- |
----------- |
সৃজনশীল প্রশ্ন- ১১ |
---|
------------- |
----------- |
তথ্যসূত্র : |
---|
১. সাহিত্য পাঠ: একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক
বোর্ড, বাংলাদেশ, ২০২৫। ২. আধুনিক বাংলা অভিধান: বাংলা একাডেমি, এপ্রিল, ২০১৮। ৩. ব্যবহারিক বাংলা অভিধান: বাংলা একাডেমি, ১৮তম, ২০১৫। |