সোনার তরী- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
|
| সোনার তরী |
সোনার তরী
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
গগনে
গরজে
মেঘ, ঘন
বরষা।
কূলে একা বসে আছি,
নাহি ভরসা।
রাশি রাশি
ভারা ভারা
ধান কাটা হল সারা,
ভরা নদী
ক্ষুরধারা
খরপরশা-
কাটিতে কাটিতে ধান এল বরষা॥
একখানি ছোটো খেত, আমি একেলা-
চারিদিকে বাঁকা জল করিছে খেলা।
পরপারে দেখি আঁকা
তরুছায়ামসী-মাখা
গ্রামখানি মেঘে ঢাকা
প্রভাতবেলা-
এপারেতে ছোটো খেত,
আমি একেলা॥
গান গেয়ে তরী বেয়ে কে আসে পারে,
দেখে যেন মনে হয় চিনি উহারে।
ভরা পালে চলে যায়,
কোনো দিকে নাহি চায়,
ঢেউগুলি নিরুপায়
ভাঙে দু ধারে-
দেখে যেন মনে হয় চিনি উহারে॥
ওগো, তুমি কোথা যাও কোন বিদেশে,
বারেক
ভিড়াও
তরী কূলেতে এসে।
যেয়ো যেথা যেতে চাও,
যারে খুশি তারে দাও,
শুধু তুমি নিয়ে যাও
ক্ষণিক
হেসে
আমার সোনার ধান
কূলেতে এসে॥
যত চাও তত লও
তরণী-‘পরে।
আর আছে? -আর নাই, দিয়েছি ভরে
এতকাল নদীকূলে
যাহা লয়ে
ছিনু ভুলে
সকলই দিলাম তুলে
থরে বিথরে-
এখন আমারে লহো
করুণা করে॥
ঠাঁই নাই,
ঠাঁই নাই- ছোটো সে তরী
আমারি সোনার ধারে গিয়েছে ভরি।
শ্রাবণগগন ঘিরে
ঘন মেঘে ঘুরে ফিরে,
শূন্য নদীর তীরে
রহিনু পড়ি-
যাহা ছিল নিয়ে গেল সোনার তরী॥
(শিলাইদহ। বোট। ফাল্গুন ১২৯৮)
![]() |
| কৃষক |
| ‘সোনার তরী’ কবিতার পাঠ বিশ্লেষণ : |
|---|
|
গগনে গরজে মেঘ, ঘন বরষা।
কবি বলেছেন, ঘোর বর্ষায় আকাশে মেঘ গর্জন করছে এবং কৃষক ভরসাহীনভাবে কূলে
একা বসে আছে। যেকোনো সময় বৃষ্টি শুরু হতে পারে তার কোনো ভরসা নেই। তিনি
আরো বলেন রাশি রাশি, ধান কোট স্তূপ আকারে রাখা হয়েছে এবং নদীর পানিটা
বর্ষার মতো ধারালো এদিকে ধান কাটতে কাটতেই বৃষ্টি চলে আসলো।
একখানি ছোটো খেত, আমি একেলা- এখানে বলা হয়েছে, কৃষক তার ছোটো খেতে একলা বসে আছে। এখানে বাঁকা জল বলতে কালস্রোত অর্থাৎ বিপদকে বোঝানো হয়েছে। অর্থাৎ কৃষক বলছে তার চারিদিক বিপদে ঘেরা। কবি আরো বলেছেন, তার বিপরীত পাড়ে যে গ্রাম আছে সেখানেও গাছপালা মসীমাখা অর্থাৎ কালচে ছায়ায় ঢাকা। অর্থাৎ কবি এখানে বুঝিয়েছেন তার যে ছোট পৃথিবী আছে যেখানে সে একলা বাস করে সেখানে তো বিপদ আছেই একইসাথে তার চারপাশের পরিবেশটাও বিপদে ঘেরা।
গান গেয়ে তরী বেয়ে কে আসে পারে, এখানে কৃষক বলছে কে যেনো গান গেয়ে তরী বেয়ে আসছে এবং তাকে দেখে চেনা চেনা মনে হচ্ছে। (এখানে মাঝিকে বোঝানো হয়েছে) আবার বলা হয়েছে ঢেউ এর স্রোত এত বেশি যে নদীর দুই বার ভেঙে যাচ্ছে। সবশেষে কৃষক বলেছেন এত বিপদের মধ্যেও কেউ একজন গান গেয়ে তরী বেয়ে আসছে থাকে তার চেনা চেনা মনে হচ্ছে।
ওগো, তুমি কোথা যাও কোন বিদেশে, এখানে কৃষক মাঝিকে বলেছেন বা অনুরোধ করেছেন যে মাঝির যেখানে খুশি সে যেতে পারে, কৃষকের ধানগুলো সে যাকে ইচ্ছা হয় দিতে পারে। কিন্তু একবারের জন্য হলেও মাঝি যেন নিজের ইচ্ছায় সামান্য হেসে তার তরীটা কূলে ভিড়ায় এবং কৃষকের সোনার ধানগুলো নিয়ে যায়।
যত চাও তত লও তরণী-‘পরে। কৃষক মাঝিকে বলছে যে, আমার ধান তোমার যত খুশি তত নিতে পারো। আমার যতটুকু ছিল তার সবটুকু দিয়ে দিলাম। এতকাল নদীর তীরে ধান উৎপাদন করলাম তার সবই তোমাকে সুশৃঙ্খলভাবে দিয়ে দিলাম। এখন আমায় একটু করুণা করে তোমার সাথে নিয়ে নাও।
ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই- ছোটো সে তরী ফসলরূপী কর্মফল পূর্ণ করে দেওয়ার পর কৃষকরূপী কবিও মাঝির নৌকা তথা মহাকালের পঙক্তিতে ঠাঁই অর্থাৎ আশ্রয় চান। কিন্তু কৃষকরূপী কবি অবাক হয়ে লক্ষ করেন, তাঁর ফসল তথা কর্মফলেই মাঝির নৌকা ভরে গিয়েছে। অর্থাৎ মহাকালের পঙক্তিতে কর্মফল স্থান পেলেও ব্যক্তিকবির সেখানে জায়গা হয় না। কৃষক আকাশের নিচে ফাঁকা বা শূন্য নদীর তীরে একা পড়ে রইলো। তার যা কিছু ছিল সবই সোনার তরী নিয়ে গেল। |
| ‘সোনার তরী’ কবিতার উৎস নির্দেশ : |
|---|
| ‘সোনার তরী’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘সোনার তরী’ কাব্যগ্রন্থের নাম-কবিতা। ‘সোনার তরী’ মাত্রাবৃত্ত ছন্দে রচিত। এর অধিকাংশ পঙক্তি ৮+৫ মাত্রার পূর্ণপর্বে বিন্যস্ত। |
| ‘সোনার তরী’ কবিতার শব্দার্থ ও টীকা : |
|---|
|
➠ গগনে- আকাশে। ➠ গরজে- গরজে>গর্জে অর্থ গর্জন করছে। ➠ ঘন- ঘোর। ➠ বরষা- বরষা>বর্ষা অর্থ আষাঢ় ও শ্রাবন এই দুই মাস বর্ষাকাল/ঋতু। ➠ কূলে- তীরে। ➠ রাশি রাশি- অনেক, স্তুপীকৃত। ➠ ভারা- ধান রাখার পাত্র। ➠ ভারা ভারা- ধান স্তূপ আকারে রাখা। এরকম পাত্রের সমষ্টি বোঝাতে এখানে ব্যবহৃত হয়েছে। ➠ ক্ষুর- চুল কামানোর তীক্ষ্ণ ধারালো অস্ত্রবিশেষ। ➠ ক্ষুরধারা- ক্ষুরের মতো ধারালো যে প্রবাহ বা স্রোত। ➠ খর- ধারালো; প্রবল। ➠ খরপরশা- ধারালো বর্শা। এখানে ধারালো বর্শার মতো। ➠ চারিদিকে বাঁকা জল করিছে খেলা- ধানক্ষেতটি ছোট দ্বীপের আঙ্গিকে চিত্রিত। তার পাশে ঘূর্ণায়মান স্রোতের উদ্দামতা। নদীর ‘বাঁকা’ জলস্রোতে বেষ্টিত ছোটো ক্ষেতটুকুর আশু বিলীয়মান হওয়ার ইঙ্গিত রয়েছে এ অংশে। ‘বাঁকা জল’ এখানে অনন্ত কালস্রোতের প্রতীক। ➠ তরুছায়া- গাছের ছায়া। ➠ মসী-মাখা- কালো রঙে মাখানো; কালচে ভাব। ➠ তরুছায়ামসী-মাখা- ওপারের মেঘে ঢাকা গ্রামটি যেন গাছের ছায়ার কালো রঙে মাখানো। ➠ আমি- সাধারণ অর্থে কৃষক। প্রতীকী অর্থে শিল্পস্রষ্টা কবি। ➠ আমি একেলা- কৃষক কিংবা শিল্পস্রষ্টা কবির নিঃসঙ্গ অবস্থা। ➠ গান গেয়ে তরী বেয়ে কে আসে পারে- ক্ষুরের মতো ধারালো জলস্রোতে গান গাইতে গাইতে যে মাঝি পারের দিকে এগিয়ে আসছে, রবীন্দ্র-ভাবনায় সে নির্মোহ মহাকালের প্রতীক। ➠ দেখে যেন মনে হয় চিনি উহারে- এই আগন্তুক মাঝি কৃষক বা শিল্পস্রষ্টা কবির হয়ত চেনা। কেননা, চেনা মনে হলেও কৃষক বা শিল্পস্রষ্টা কবির সংশয় থেকেই যায়। ➠ কোনো দিকে নাহি চায়- মহাকালের প্রতীক এই মাঝি নিরাসক্ত বলেই তার সুনির্দিষ্ট দৃষ্টিপাত নেই। ➠ ওগো, তুমি কোথা যাও কোন বিদেশে?- নির্বিকার মাঝির দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য কৃষক বা কবির চেষ্টা। ‘বিদেশ’ এখানে চিরায়ত শিল্পলোকের প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। ➠ বারেক- একবার মাত্র। ➠ ভিড়াও- থামাও; তীরে লাগাও। ➠ বারেক ভিড়াও- একবার থামাও। ➠ ক্ষণিক- অল্প সময়, একটু ক্ষণ। ➠ তরী- নৌকা। ➠ বারেক ভিড়াও তরী কূলেতে এসে- চিরায়ত শিল্পলোকে ঠাঁই পাওয়ার জন্যই কৃষকরূপী কবির ব্যাকুল অনুনয় এখানে প্রকাশিত। ➠ আমার সোনার ধান- কৃষকের শ্রেষ্ঠ ফসল। ব্যঞ্জনার্থে শিল্পস্রষ্টা কবির সৃষ্টিসম্ভার। ➠ তরণী- নৌকা। ➠ ‘পরে- উপরে। ➠ আর আছে আর নাই, দিয়েছি ভরে- ছোটো জমিতে উৎপন্ন ফসলের সবটাই অর্থাৎ কবির সমগ্র সৃষ্টি তুলে দেওয়া হয়েছে মহাকালের স্রোতে ভেসে আসা সোনার তরী-রূপী চিরায়ত শিল্পলোকে। ➠ লয়ে- নিয়ে। ➠ ছিনু- ছিলাম। ➠ থরে বিথরে- স্তরে স্তরে, সুবিন্যস্ত করে। ➠ লহো- লও, নাও। ➠ করুণা- দয়া। ➠ এখন আমারে লহো করুণা করে- ফসল বা সৃষ্টিসম্ভার তুলে দেওয়া হয়েছে নৌকায়। এখন ফসল বা সৃষ্টির স্রষ্টা স্থান পেতে চায় ওই মহাকালের নৌকায়। ➠ ঠাঁই- স্থান, জায়গা। ➠ রহিনু- রইলাম। ➠ ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই ছোট সে তরী- সোনার তরীতে মহৎ সৃষ্টিরই স্থান সংকুলান হয় কেবল। ব্যক্তিসত্তা ও তার শারীরিক অস্তিত্বকে নিশ্চিতভাবে হতে হয় মহাকালের নিষ্ঠুর কালগ্রাসের শিকার। ➠ শূন্য নদীর তীরে রহিনু পড়ি- নিঃসঙ্গ অপূর্ণতার বেদনা নিয়ে আসন্ন ও অনিবার্য মৃত্যুর প্রতীক্ষার ইঙ্গিত। এ প্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন: “মহাকাল আমার সর্বস্ব লইয়া যায় বটে, কিন্তু আমাকে ফেলিয়া যায় বিস্মৃতি ও অবহেলার মধ্যে।... সোনার তরীর নেয়ে আমার সোনার ধান লইয়া যায় খেয়াপারে, কিন্তু আমাকে লয় না।” |
| ‘সোনার তরী’ কবিতার পাঠ-পরিচিতি : |
|---|
|
শতাধিক বছর ধরে এ কবিতা বিপুল আলোচনা ও নানামুখী ব্যাখ্যায় নতুন নতুন
তাৎপর্যে অভিষিক্ত। একই সঙ্গে, কবিতাটি গূঢ় রহস্য ও শ্রেষ্ঠত্বেরও স্মারক।
মহৎ সাহিত্যের একটি বিশেষ গুণ হলো কালে কালে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি ও বিবেচনার
আলোকে তার শ্রেষ্ঠত্ব নিরূপিত হতে থাকে। বাংলা কবিতার ইতিহাসে ‘সোনার তরী’
তেমনি আশ্চর্যসুন্দর এক চিরায়ত আবেদনবাহী কবিতা। কবিতাটিতে দেখা যায়, চারপাশের প্রবল স্রোতের মধ্যে জেগে থাকা দ্বীপের মতো ছোটো একটি ধানক্ষেতে উৎপন্ন সোনার ধানের সম্ভার নিয়ে অপেক্ষারত নিঃসঙ্গ এক কৃষক। আকাশের ঘন মেঘ আর ভারী বর্ষণে পাশের খরস্রোতা নদী হয়ে উঠেছে হিংস্র। চারদিকের ‘বাঁকা জল’ কৃষকের মনে সৃষ্টি করেছে ঘনঘোর আশঙ্কা। এরকম এক পরিস্থিতিতে ওই খরস্রোতা নদীতে একটি ভরাপাল সোনার নৌকা নিয়ে বেয়ে আসা এক মাঝিকে দেখা যায়। উৎকণ্ঠিত কৃষক নৌকা কূলে ভিড়িয়ে তার উৎপাদিত সোনার ধান নিয়ে যাওয়ার জন্য মাঝিকে সকাতরে মিনতি জানালে ওই সোনার ধানের সম্ভার নৌকায় তুলে নিয়ে মাঝি চলে যায়। ছোট নৌকা বলে স্থান সংকুলান হয় না কৃষকের। শূন্য নদীর তীরে আশাহত কৃষকের বেদনা গুমড়ে মরে। এ কবিতায় নিবিড়ভাবে মিশে আছে কবির জীবনদর্শন। মহাকালের স্রোতে জীবন-যৌবন ভেসে যায়, কিন্তু বেঁচে থাকে মানুষেরই সৃষ্ট সোনার ফসল। তার ব্যক্তিসত্তা ও শারীরিক অস্তিত্বকে নিশ্চিতভাবে হতে হয় মহাকালের নিষ্ঠুর কালগ্রাসের শিকার। ‘সোনার তরী’ মাত্রাবৃত্ত ছন্দে রচিত। এর অধিকাংশ পঙক্তি ৮+৫ মাত্রার পূর্ণপর্বে বিন্যস্ত। |
| ‘সোনার তরী’ কবিতার কবি পরিচিতি : |
|---|
| অসামান্য প্রতিভার অধিকারী বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আধুনিক বাংলা কবিতার প্রাণপুরুষ। তিনি ১৮৬১ খ্রিষ্টাব্দের ৭ই মে ভারতের কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর সাহিত্যসাধনার একটি বৃহৎকাল বাংলা সাহিত্যের ‘রবীন্দ্রযুগ’ নামে পরিচিত। মানবধর্মের জয় ও সৌন্দর্য-তৃষ্ণা রোমান্টিক এই কবির কবিতার মূল সুর। কবিতা ছাড়াও ছোটগল্প, উপন্যাস, নাটক, প্রবন্ধ, ভ্রমণকাহিনি ও সংগীত রচনায় রবীন্দ্রনাথ কালজয়ী প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন। তিনি ছিলেন অনন্য চিত্রশিল্পী, অনুসন্ধিৎসু বিশ্বপরিব্রাজক, দক্ষ সম্পাদক এবং অসামান্য শিক্ষা-সংগঠক ও চিন্তক। নিজে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাগ্রহণে নিরুৎসাহী হলেও 'বিশ্বভারতী' নামের বিশ্ববিদ্যালয়-এর তিনি স্বাপ্নিক ও প্রতিষ্ঠাতা। মাত্র পনেরো বছর বয়সে তাঁর প্রথম কাব্য ‘বনফুল’ প্রকাশিত হয়। ‘গীতাঞ্জলি’ এবং অন্যান্য কাব্যের কবিতার সমন্বয়ে স্ব-অনূদিত ‘Song Offerings’ গ্রন্থের জন্য ১৯১৩ খ্রিষ্টাব্দে প্রথম এশীয় হিসেবে তিনি নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন। বাংলা ছোটগল্পের তিনি পথিকৃৎ ও শ্রেষ্ঠ শিল্পী। ‘মানসী’, ‘সোনার তরী’, ‘চিত্রা’, ‘ক্ষণিকা’, ‘বলাকা’, ‘পুনশ্চ’, ‘জন্মদিনে’, ‘শেষ লেখা’ তাঁর অন্যতম শ্রেষ্ঠ কাব্যগ্রন্থ। কাব্যনাট্য ‘বিসর্জন’ ও ‘চিত্রাঙ্গদা’ এবং কাহিনি-কবিতার সংকলন ‘কথা’ ও ‘কাহিনি’ তাঁর ভিন্ন স্বাদের রচনা। ১৯৪১ সালের ৭ই আগস্ট তাঁর জীবনাবসান ঘটে। |
| ‘সোনার তরী’ কবিতার বহুনির্বাচনি প্রশ্ন : |
|---|
প্রশ্ন থেকে
অভিনন্দন!
|
| ‘সোনার তরী’ কবিতার জ্ঞানমূলক প্রশ্ন : |
|---|
|
প্রশ্ন- ১: ‘ক্ষুরধারা’ শব্দের অর্থ কী? উত্তর: ‘ক্ষুরধারা’ শব্দের অর্থ-ক্ষুরের মতো ধারাল যে প্রবাহ বা স্রোত। প্রশ্ন- ২: '‘সোনার তরী’ কবিতার পূর্ণ ও অপূর্ণ পর্ব কত? উত্তর: ‘সোনার তরী’ কবিতার পূর্ণ ৮ ও অপূর্ণ পর্ব ৫। প্রশ্ন- ৩: ‘সোনার তরী’ কাব্যগ্রন্থের নাম কবিতা কী? উত্তর: ‘সোনার তরী’ কাব্যগ্রন্থের নাম কবিতা ‘সোনার তরী’। প্রশ্ন- ৪: ‘শূন্য’ শব্দটি মাত্রাবৃত্ত ছন্দে কত মাত্রা? উত্তর: ‘শূন্য’ শব্দটি মাত্রাবৃত্ত ছন্দে ৩ মাত্রা। প্রশ্ন- ৫: রবীন্দ্রনাথের প্রথম কাব্য ‘বনফুল’ কত বছর বয়সে প্রকাশিত হয়? উত্তর: রবীন্দ্রনাথের প্রথম কাব্য ‘বনফুল’ পনের বছর বয়সে প্রকাশিত হয়। প্রশ্ন- ৬: ‘সোনার তরী’ কবিতাটি কী জাতীয় কবিতা? উত্তর: ‘সোনার তরী’ কবিতাটি রূপক কবিতা। প্রশ্ন- ৭: ‘সোনার তরী’ কবিতাটি কোন কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত? উত্তর: ‘সোনার তরী’ কবিতাটি ‘সোনার তরী’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত। প্রশ্ন- ৮: ‘সোনার তরী’ কবিতায় 'নৌকা' এবং 'মাঝি' কীসের প্রতীক? উত্তর: ‘সোনার তরী’ কবিতায় 'নৌকা' এবং 'মাঝি' মহাকালের প্রতীক। প্রশ্ন ৯। আপাতদৃষ্টিতে ‘সোনার তরী’ কবিতাটি কোন ছন্দে রচিত বলে মনে হয়? উত্তর: আপাতদৃষ্টিতে ‘সোনার তরী’ কবিতাটি অক্ষরবৃত্ত ছন্দে রচিত বলে মনে হয়। প্রশ্ন- ১০: ‘সোনার তরী’র নদীটির পরপারে কী দেখা যায়? উত্তর: ‘সোনার তরী’র নদীটির পরপারে দেখা যায় তরুচ্ছায়া মসীমাখা গ্রামখানি। প্রশ্ন- ১১: ‘সোনার তরী’ কবিতায় কয়টি চরিত্র পাওয়া যায়? উত্তর: ‘সোনার তরী’ কবিতায় দুটি চরিত্র পাওয়া যায়। প্রশ্ন- ১২: ‘সোনার তরী’ কবিতায় 'সোনার ধান' বলতে কী বোঝানো হয়েছে? উত্তর: ‘সোনার তরী’ কবিতায় 'সোনার ধান' বলতে জীবনের সৃষ্টিকর্মকে বোঝানো হয়েছে। প্রশ্ন- ১৩: ‘সোনার তরী’ কবিতায় 'বাঁকা জল' কীসের প্রতীক? উত্তর: ‘সোনার তরী’ কবিতায় 'বাঁকা জল' কালস্রোতের প্রতীক। প্রশ্ন- ১৪: ‘সোনার তরী’ কবিতায় গ্রামের অবস্থা কেমন ছিল? উত্তর: ‘সোনার তরী’ কবিতায় গ্রামের অবস্থা মেঘে ঢাকা ছিল। প্রশ্ন- ১৫: ‘সোনার তরী’ কবিতায় গান গেয়ে কে আসে? উত্তর: ‘সোনার তরী’ কবিতায় গান গেয়ে মাঝি আসে। প্রশ্ন- ১৬: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কত সালে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন? উত্তর: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৩ সালে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। প্রশ্ন ১৭। ‘সোনার তরী’ কবিতায় ঢেউগুলো কী করে? উত্তর: ‘সোনার তরী’ কবিতায় ঢেউগুলো ভাঙে দু'ধারে। প্রশ্ন ১৮। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কত সালে মৃত্যুবরণ করেন? উত্তর: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯৪১ সালে মৃত্যুবরণ করেন। প্রশ্ন ১৯। ‘সোনার তরী’ কবিতাটি কবির কোন কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে? উত্তর: ‘সোনার তরী’ নামক কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে। প্রশ্ন ২০। কখন ‘সোনার তরী’ কবিতটি প্রকাশত হয়? উত্তর: ‘সোনার তরী’ কবিতাটি ১৮৯৪ সালে সালে প্রকাশিত হয়। প্রশ্ন ২১। ‘সোনার তরী’ বলতে কি বুঝানো হয়েছে? উত্তর: 'সোনার ধান' বলতে বস্তু জাগতিক মহৎ সৃষ্টিকর্মকে বোঝানো হয়েছে। প্রশ্ন ২২। ‘সোনার তরী’ কবিতাটি কোন ছন্দে রচিত? উত্তর: ‘সোনার তরী’ কবিতাটি মাত্রাবৃত্ত ছন্দে রচিত। প্রশ্ন ২৩। ‘খরপরশা’ শব্দের অর্থ কী? উত্তর: ‘খরপরশা’ শব্দের অর্থ-শানিত বা ধারাল বর্শা। প্রশ্ন ২৪। ‘সোনার তরী’ কবিতায় কোন ঋতুর কথা আছে? উত্তর: 'সোনার তরী' কবিতায় বর্ষা ঋতুর কথা আছে। প্রশ্ন ২৫। 'ভরসা' শব্দের অর্থ কী? উত্তর: 'ভরসা' শব্দের অর্থ- আশা। |
| ‘সোনার তরী’ কবিতার অনুধাবনমূলক প্রশ্ন : |
|---|
|
১. সোনার তরীতে কৃষকের ঠাঁই হলো না কেন? ২. ‘বাঁকা জল’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে? ৩. কবিতায় ‘একখানি ছোটো খেত’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে? ব্যাখ্যা করো। ৪. মাঝি চলে যাওয়ার সময় কোনো দিকে তাকায়নি কেন? ব্যাখ্যা করো। ৫. “যাহা লয়ে ছিনু ভুলে” বলতে কী বোঝানো হয়েছে? ব্যাখ্যা করো। ৬. ‘একখানি ছোটো খেত, আমি একেলা’ ব্যাখ্যা করো। ৭. কবিতাটিতে ‘পরপার’ বলতে মূলত কী বোঝানো হয়েছে? ব্যাখ্যা করো। ৮. তরীটিকে কেন ‘সোনার তরী’ বলা হয়েছে? ৯. দেখে যেন মনে হয় চিনি উহারে- বুঝিয়ে লেখো। |
| ‘সোনার তরী’ কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন- ১ |
|---|
|
নিচের উদ্দীপকটি পড়ো এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও: |
|
ক. ‘সোনার তরী’ কবিতায় বর্ষা ঋতুর কথা বলা হয়েছে। খ. মহাকাল মানুষকে নয়, বরং তার সৃষ্টিশীলতাকে ধারণ করে। আলোচ্য চরণটির মাধ্যমে এ সত্যটিকেই তুলে ধরা হয়েছে। ➠ ‘সোনার তরী’ কবিতায় কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর উল্লিখিত চরণে রূপকের আড়ালে একটি গভীর জীবন দর্শনকে প্রকাশ করেছেন। কবিতায় দেখা যায়, সোনার তরীর মাঝি কৃষকের সব ফসল তরীতে তুলে নেয় কিন্তু তরীতে স্থান সংকুলান না হওয়ায় ধানক্ষেতে একাকী দাঁড়িয়ে থাকে কৃষক। এখানে সোনার তরী মহাকালের প্রতীক। এ তরীতে শুধু মানুষের সৃষ্টিকর্মের ঠাঁই হয়, কোনো ব্যক্তিসত্তা নয়। তাই ব্যক্তি মানুষ তথা কবিতায় বর্ণিত কৃষককে ধানক্ষেতে একাকী অপেক্ষমান রেখে তার সোনার ধান অর্থাৎ সৃষ্টিকর্মকে সোনার তরী বয়ে নিয়ে যায়। গ. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘সোনার তরী’ কবিতায় অন্তর্লীন হয়ে রয়েছে একটি গভীর জীবন দর্শন। ➠ এটি উদ্দীপকে যথাযথভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। 'সোনার তরী' কবিতাটিতে রূপকের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে মানব জীবনের এক শ্বাশত দর্শন। কবিতার রূপকল্পে রয়েছে বর্ষার স্রোত পরিবেষ্টিত ধানক্ষেতে রাশি রাশি সোনার ধান নিয়ে অপেক্ষা করছে একজন কৃষক। অপেক্ষার একপর্যায়ে ভরা পালে তরী বেয়ে চলে যেতে থাকা এক মাঝিকে ধানগুলো নিয়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করে সে। কিন্তু মাঝি কেবল কৃষকের ধানগুলো তরীতে ভরে নেয়। সোনার তরীতে স্থানের অভাবে কৃষকের আর ওঠা হয় না। ➠ কবিতায় সোনার তরী হচ্ছে প্রবহমান সময়ের প্রতীক। মানুষ একদিন এই পৃথিবী থেকে চলে যাবে। কিন্তু এখানে টিকে থাকবে কেবল তার সোনার ধান তথা কর্মফল। 'সোনার তরী' কবিতার এ ভাবটি উদ্দীপকে প্রতিফলিত হয়েছে। উদ্দীপকে বর্ণিত কাজী নজরুল ইসলাম ব্যাক্তিমানুষ হিসাবে বেঁচে নেই কিন্তু টিকে আছে তাঁর সৃষ্টিকর্ম। বাংলা সাহিত্যে বিদ্রোহ, সাম্য ও মানবতাবোধের কথা লিখে তিনি আজও প্রেরণা যোগাচ্ছেন সাধারণ মানুষকে। তাঁর অবিনাশী গান, ধ্রুপদী কবিতা এখনও বাংলাভাষী পাঠকের চিরপ্রেরণার উৎস। যেকোন আন্দোলন-সংগ্রামে তাঁর সৃষ্টিকর্ম আমাদের চেতনার প্রদীপ্ত শিখা। তাই বলা যায়, কবিতাটির অন্তর্নিহিত জীবন দর্শন উদ্দীপকে যথার্থভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। ঘ. উদ্দীপক ও ‘সোনার তরী’ কবিতা উভয়টিতে ফুটে উঠেছে যে, মহৎ কীর্তিই মানুষকে পৃথিবীতে অমরত্ব প্রদান করে। ➠ পৃথিবীতে মানুষ বেঁচে থাকে তাঁর কর্মের মাধ্যমে। কেননা, মহাকালের চিরন্তন স্রোতে মানুষ তার অনিবার্যতাকে এড়াতে পারে না। অতৃপ্তির বেদনা নিয়ে তাকে অপেক্ষা করতে হয় কালস্রোতে বিলীন হওয়ার জন্য। মহাকালরূপী সোনার তরী শুধু মানুষের সৃষ্টিকেই ধারণ করে, ব্যক্তি-মানুষকে নয়। ➠ কবিতায় কৃষক তাঁর জমি থেকে সোনার ধান কেটে অপেক্ষায় আছে কখন তরী এসে সোনার ফসলসহ তাকে নিয়ে যাবে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে তরীতে সমস্ত ফসল তোলা হলে সেখানে কৃষকের জন্য আর এতটুকু জায়গাও অবশিষ্ট থাকে না। অর্থাৎ মহাকালের স্রোতে ব্যক্তি-মানুষ বা কবিতার কৃষক হারিয়ে যায় ঠিকই কিন্তু বেঁচে থাকে তার সোনার ধান বা কর্মফসল। কবিতায় বর্ণিত এ কর্মফসল উদ্দীপকের কাজী নজরুল ইসলামের সৃষ্টিকর্মের সমতুল্য। কালের স্রোতে ব্যক্তি নজরুল হারিয়ে গেলেও তাঁর কীর্তির মধ্য দিয়ে তিনি অমরত্ব পেয়েছেন। ➠ উদ্দীপকে বর্ণিত হয়েছে কাজী নজরুল ইসলাম তাঁর সাহিত্যে বিদ্রোহ, সাম্য ও মানবতাবোধের কথা বলেছেন। তাঁর সৃষ্টিকর্ম সমাজ পরিবর্তন ও জাতীয় মুক্তির লক্ষ্যে শ্রেণিসংগ্রাম ও স্বাধিকার আন্দোলনে প্রেরণা যুগিয়েছে। তাঁর কবিতা ও গান বর্তমানেও বাঙালির প্রতিদিনকার চেতনার অফুরন্ত উৎস। তিনি তাঁর মহৎ সৃষ্টিকর্মের জন্যই এখনও বেঁচে আছেন বাঙালির হৃদয়ে। ‘সোনার তরী’ কবিতায়ও প্রকাশিত হয়েছে একই জীবন দর্শন। তাই উদ্দীপক এবং ‘সোনার তরী’ কবিতার আলোকে বলা যায়, মহৎ কর্মই মানুষকে পৃথিবীতে অমরত্ব দান করে। |
| ‘সোনার তরী’ কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন- ২ |
|---|
|
নিচের উদ্দীপকটি পড়ো এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
ক. শূন্য নদীর তীরে কে পড়ে রইল? |
|
ক. শূন্য নদীর তীরে কৃষক পড়ে রইল।
গ. উদ্দীপকে ‘সোনার তরী’ কবিতার মৃত্যুভাবনার দিকটি ফুটে উঠেছে।
ঘ. উদ্দীপকে মৃত্যুকে ইতিবাচকভাবে উপস্থাপন করা হলেও ‘সোনার তরী’ কবিতায়
তা মানুষের চিরন্তন অসহায়ত্বের প্রতীক। |
| ‘সোনার তরী’ কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন- ৩ |
|---|
|
নিচের উদ্দীপকটি পড়ো এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
ক. মহাকালের চিরন্তন স্রোতে কী টিকে থাকে? |
|
ক. মহাকালের চিরন্তন স্রোতে সৃষ্ট সোনার ফসল টিকে থাকে।
গ. মৃত্যু অনিবার্য তার দিকটি তুলে ধরার সূত্রে ‘সোনার তরী’ কবিতা ও
উদ্দীপকের মধ্যে সাদৃশ্য বিদ্যমান।
ঘ. মানুষের কর্মই পৃথিবীতে টিকে থাকে, ব্যক্তি মানুষ নয়— ‘সোনার তরী'
কবিতা ও উদ্দীপকে এই অভিন্ন সত্যই প্রতিফলিত হয়েছে। |
| ‘সোনার তরী’ কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন- ৪ |
|---|
|
নিচের উদ্দীপকটি পড়ো এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
ক. মহাকালের স্রোতে কী টিকে থাকে? |
|
ক. মহাকালের স্রোতে মানুষের সৃষ্ট সোনার ফসল টিকে থাকে।
গ. উদ্দীপকে ‘সোনার তরী’ কবিতায় প্রকাশিত মৃত্যুর কাছে ব্যক্তি মানুষের
অসহায়ত্বের দিকটি ফুটে উঠেছে।
ঘ. উদ্দীপকটি ‘সোনার তরী' কবিতার মূলভাবকে আংশিক তুলে ধরতে পেরেছে বলে
আমি মনে করি। |
| ‘সোনার তরী’ কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন- ৫ |
|---|
|
নিচের উদ্দীপকটি পড়ো এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
ক. বাংলা কত তারিখে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জন্ম গ্রহণ করেন? |
|
ক. ২৫শে বৈশাখ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জন্মগ্রহণ করেন।
গ. ‘সোনার তরী’ কবিতায় উল্লিখিত ব্যক্তিমানুষের মৃত্যুর বিপরীতে কর্মের
অমরতার প্রসঙ্গটি উদ্দীপকের মাদার তেরেসার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ।
ঘ. মাদার তেরেসার জীবন পরিণতি তথা মৃত্যু এবং তাঁর সুকৃতিময় কর্মের টিকে
থাকার দিকটি ‘সোনার তরী’ কবিতার ভাবসত্যকেই প্রমাণ করে। |
| ‘সোনার তরী’ কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন- ৬ |
|---|
|
নিচের উদ্দীপকটি পড়ো এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
ক. নিরুপায় ঢেউগুলি কোথায় ভাঙে? |
|
ক. নিরুপায় ঢেউগুলি তরীর দু’ধারে ভাঙে।
গ. উদ্দীপক i-এ ‘সোনার তরী’ কবিতায় প্রকাশিত মৃত্যুর কাছে মানুষের
অসহায়ত্বের দিকটি উন্মোচিত হয়েছে।
ঘ. ‘সোনার তরী’ কবিতায় মৃত্যুর কাছে মানুষের অসহায়ত্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটলেও
উদ্দীপক ii-এ মৃত্যুভয়হীন মানসিকতা প্রকাশ পেয়েছে। |
| ‘সোনার তরী’ কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন- ৭ |
|---|
|
নিচের উদ্দীপকটি পড়ো এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
ক. কাকে দেখে কবির পরিচিত মনে হয়েছে? |
|
নিচের উদ্দীপকটি পড়ো এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
গ. উদ্দীপকে ‘সোনার তরী' কবিতায় প্রকাশিত মৃত্যুচেতনার দিকটি প্রতিফলিত
হয়েছে।
ঘ. উদ্দীপকের কবিতাংশে প্রকাশিত কবির আক্ষেপ মৃত্যুচেতনা প্রকাশের ভেতর
দিয়ে ‘সোনার তরী’ কবিতার শিল্পস্রষ্টার অসহায়ত্বের দিকটি উন্মোচিত করে।
|
| ‘সোনার তরী’ কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন- ৮ |
|---|
|
নিচের উদ্দীপকটি পড়ো এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
ক. ‘সোনার তরী’ কবিতায় কৃষকের ছোটো খেতের চারদিকে কী খেলা করছে? |
|
নিচের উদ্দীপকটি পড়ো এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
গ. উদ্দীপকে ‘সোনার তরী’ কবিতায় প্রকাশিত সৃষ্টিকর্মের মূল্যায়নের
বিপরীতে শিল্পস্রষ্টা ব্যক্তির বিস্মৃত হওয়ার বিষয়টি ফুটে উঠেছে।
ঘ. উদ্দীপকের কবিতাংশে ‘সোনার তরী’ কবিতার অন্তর্ভাবনা আংশিক প্রতিফলিত
হয়েছে। |
| ‘সোনার তরী’ কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন- ৯ |
|---|
|
নিচের উদ্দীপকটি পড়ো এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
ক. ‘খরপরশা’ শব্দের অর্থ কী? |
|
ক. ‘খরপরশা’ শব্দের অর্থ হলো ধারালো বর্শা।
গ. ‘সোনার তরী' কবিতায় উল্লেখ্য কৃষকের সারা জীবনের অর্জিত সম্পদ সোনার
ধান, যার অনুরূপ হলো উদ্দীপকের লোককবি হরিপ্রসন্নের ‘গীতিকবিতা’।
ঘ. ‘সোনার তরী’ কবিতায় মানুষের মহৎ সৃষ্টিকর্মের মহাকালের কালস্রোতে টিকে
যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। |
| ‘সোনার তরী’ কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন- ১০ |
|---|
|
নিচের উদ্দীপকটি পড়ো এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
ক. ‘শূন্য নদীর তীরে’- মাত্রাবৃত্ত ছন্দে কত মাত্রা? |
|
ক. ‘শূন্য নদীর তীরে’— মাত্রাবৃত্ত ছন্দে ৮ মাত্রা।
গ. উদ্দীপকে ‘সোনার তরী’ কবিতার কর্মফলের অমরতার দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে।
ঘ. মহৎ কীর্তিই যে মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে, উদ্দীপক ও ‘সোনার তরী’ কবিতায় এ
বিষয়টিই বিশেষভাবে ফুটে উঠেছে। |
| ‘সোনার তরী’ কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন- ১১ |
|---|
|
নিচের উদ্দীপকটি পড়ো এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
ক. কাকে দেখে কবির পরিচিত মনে হয়েছে? |
|
ক. মাঝিকে দেখে কবির পরিচিত মনে হয়েছে।
গ. উদ্দীপকের আমিন সাহেবের কর্মকা-ের ভেতর দিয়ে ‘সোনার তরী’ কবিতার
কৃষকের কর্মের দিকটি ফুটে উঠেছে।
ঘ. উদ্দীপকটি ‘সোনার তরী' কবিতায় অন্তর্ভাবনাকে তুলে ধরতে পারেনি বলেই
আমি মনে করি। |
| ‘সোনার তরী’ কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন- ১২ [দিনাজপুর বোর্ড-২০২৪] |
|---|
|
নিচের উদ্দীপকটি পড়ো এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
ক. ‘সোনার তরী’ কবিতাটি কোন ছন্দে রচিত? |
| ----------- |
| ‘সোনার তরী’ কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন- ১২ [রাজশাহী বোর্ড-২০২৩] |
|---|
|
নিচের উদ্দীপকটি পড়ো এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
ক. চারিদিকে বাঁকা জল কী করছে? |
| ----------- |
| ‘সোনার তরী’ কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন- ১৩ [যশোর বোর্ড-২০২৩] |
|---|
|
নিচের উদ্দীপকটি পড়ো এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
ক. ‘সোনার তরী’ কবিতাটি কোন ছন্দে রচিত? |
| ----------- |
| ‘সোনার তরী’ কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন- ১৪ [চট্টগ্রাম বোর্ড-২০২৩] |
|---|
|
নিচের উদ্দীপকটি পড়ো এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
ক. ‘সোনার তরী’ কবিতায় কোন মাসের উল্লেখ রয়েছে? |
| ----------- |
| ‘সোনার তরী’ কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন- ১৫ |
|---|
|
নিচের উদ্দীপকটি পড়ো এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
ক. ‘গীতাঞ্জলি’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কোন জাতীয় রচনা? |
| ----------- |
| ‘সোনার তরী’ কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন- ১৬ |
|---|
|
নিচের উদ্দীপকটি পড়ো এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
ক. ‘সোনার তরী’ কবিতায় কোন ঋতুর কথা বলা হয়েছে? |
| ----------- |
| ‘সোনার তরী’ কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন- ১৭ |
|---|
|
নিচের উদ্দীপকটি পড়ো এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
ক. ‘সোনার তরী’ কবিতায় কয়খানি ছোট খেতের কথা বলা হয়েছে? |
| --------------- |
| ‘সোনার তরী’ কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন- ১৮ |
|---|
|
নিচের উদ্দীপকটি পড়ো এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
ক. ‘তরুছায়ামসী-মাখা/গ্রামখানি মেঘে ঢাকা’ কখন? |
| ‘সোনার তরী’ কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন- ১৯ |
|---|
|
নিচের উদ্দীপকটি পড়ো এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
ক. ‘সোনার তরী’ কবিতায় উল্লিখিত ‘থরে বিথরে’ শব্দের অর্থ কী? |
| তথ্যসূত্র : |
|---|
|
১. সাহিত্য পাঠ: একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক
বোর্ড, ঢাকা, ২০২৫। ২. আধুনিক বাংলা অভিধান: বাংলা একাডেমি, এপ্রিল, ২০১৮। ৩. ব্যবহারিক বাংলা অভিধান: বাংলা একাডেমি, ১৮তম, ২০১৫। |





