রচনামূলক প্রশ্ন (দৃশ্যপটনির্ভর) : ৮ম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার বাংলা নমুনা প্রশ্ন-২০২৪
সাতটি থেকে পাঁচটি প্রশ্নের উত্তর দাও :
৮*৫ = ৪০
[প্রতিটি প্রশ্নে দুটো অংশ থাকব: ক ও খ। ক-এর মান ৪ এবং খ-এর মান ৪। ]
[প্রতিটি প্রশ্নে দুটো অংশ থাকব: ক ও খ। ক-এর মান ৪ এবং খ-এর মান ৪। ]
০১। নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে প্রদত্ত প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও। |
---|
সকাল থেকেই টাপুর টুপুর বৃষ্টি হচ্ছে। ঝমঝম বৃষ্টির শব্দে স্বপ্নিলের মনে কবি কবি ভাব জেগে ওঠে। এদিকে মাঝে মাঝে শোঁ শোঁ করে বাতাস বইছে। আবার মেঘের গর্জনের ঠাস ঠাস শব্দে স্বপ্নিলের বোনের ভয় ভয় লাগছে। স্বপ্নিলের মায়ের আবার বৃষ্টিভেজা দিনে ঘুম ঘুম পাচ্ছে। এমন সময় স্বপ্নিলের বাবা ভাবছেন গরম গরম চা আর পাকোড়া হলে মন্দ হতো না। তিনি স্বপ্নিলের মাকে চা আর পাকোড়া দিতে বলে স্বপ্নিলকে গিয়ে বললেন, “কবি কবি ভাব ছেড়ে একটু অঙ্ক টঙ্ক কর। না হলে যে ফেল করবি।” |
(ক) উদ্দীপকের দুইবার ব্যবহৃত হওয়া শব্দগুলোকে কী বলে? এগুলো কত প্রকার ও কী কী সংজ্ঞাসহ লেখো। ৪ |
(খ) উদ্দীপক থেকে দুইবার ব্যবহৃত হওয়া শব্দগুলো প্রকারভেদ অনুযায়ী আলাদা করো। ৪ |
০৩। নিচের কবিতাংশটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও। |
---|
আকাশ সিলেট থেকে ঢাকায় তার ভাইয়ের বাসায় বেড়াতে আসে। ট্রেন থেকে কমলাপুর নেমেই সে সারি সারি ভবন আর পিচঢালা রাস্তায় গাড়ির লম্বা সারি দেখতে পায়। মাথার উপর সূর্য চারপাশের পরিবেশকে উত্তপ্ত করে তুলেছে। অনেকক্ষণ খুঁজেও সে বড় কোনো গাছ খুঁজে পায়নি, যার নিচে সে একটু বিশ্রাম নিতে পারবে। যানবাহনের ধোঁয়া, সূর্যের তাপে সে অস্থিরতা অনুভব করে। |
(ক) অনুচ্ছেদে ‘একদিন ভোরবেলা’ গল্পের কোন দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে? ব্যাখ্যা করো। ৪ |
(খ) অনুচ্ছেদে বর্ণিত অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে? ‘একদিন ভোরবেলা’ গল্পের আলোকে বিশ্লেষণ করো। ৪ |
০৪। নিচের কবিতাংশটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও। |
---|
‘হয় ধান নয় প্রাণ’ এ শব্দে সারা দেশ দিশাহারা একবার মরে ভুলে গেছে আজ মৃত্যুর ভয় তারা। |
(ক) কবিতাংশের ‘হয় ধান নয় প্রাণ’ যেন ‘জোঁক’ গল্পের “রক্ত চুইষ্যা খাইছে। অজম করতে দিমু না, যা থাকে কপালে” কথার ভাবকেই নির্দেশ করে। বিশ্লেষণ করো। ৪ |
(খ) কবিতাংশে ‘জোঁক’ গল্পের সমগ্র ভাব প্রতিফলিত হয়েছে কি? তোমার উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও। ৪ |
০৫। নিচের অংশটুকু পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও। |
---|
শুধাও আমাকে “এতদূর তুমি কোন প্রেরণায় এলে! তবে তুমি বুঝি বাঙালি জাতির বীজমন্ত্রটি শোন নাই, সবার উপর মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই।” একসাথে আছি একসাথে বাঁচি, আজও একসাথে থাকবই সব বিভেদের রেখা মুছে দিয়ে সাম্যের ছবি আঁকবই। |
(ক) কবিতাংশে ‘সাম্যবাদী’ কবিতার কোন দিকটি তুলে ধরা হয়েছে? ব্যাখ্যা করো। ৪ |
(খ) ‘সাম্যবাদী’ কবিতায় প্রতিফলিত ভাব এবং প্রদত্ত কবিতাংশের মূলভাব এক ও অভিন্ন। মন্তব্যটি ব্যাখ্যা করো। ৪ |
০৬। নিচের অংশটুকু পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও। |
---|
আবার আসিব ফিরে ধানসিঁড়ির তীরে এই বাংলায় হয়তো মানুষ নয় হয়তো বা শঙ্খচিল শালিকের বেশে; হয়তো ভোরের কাক হয়ে এই কার্তিকের নবান্নের দেশে কুয়াশার বুকে ভেসে একদিন আসিব এ কাঁঠাল-ছায়ায়; হয়তো বা হাঁস হবো কিশোরীর ঘুঙুর রহিবে লাল পায়, সারাদিন কেটে যাবে কলমির গন্ধভরা জলে ভেসে ভেসে; আবার আসিব আমি বাংলার নদী মাঠ খেত ভালোবেসে জলাঙ্গীর ঢেউয়ে ভেজা বাংলার এ সবুজ করুণ ডাঙায়; |
(ক) কবিতাংশটি ‘তোমরা যেখানে সাধ’ কবিতার সঙ্গে কোন দিক থেকে সাদৃশ্যপূর্ণ? ৪ |
(খ) কবিতাংশ এবং ‘তোমরা যেখানে সাধ’ কবিতার মূল সুর যেন একই বিশ্লেষণ করো। ৪ |
০৭। নিচের সারণিটির আলোকে প্রদত্ত প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও। | ||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
সারণি : বাংলাদেশের শিক্ষা খাতে বিভিন্ন অর্থবছরে রাজস্ব বাজেটের বরাদ্দ।
|
||||||||||||||||||||
(ক) ওপরের সারণিটি বিশ্লেষণ করলে কোন ধরনের বিশ্লেষণ করা হবে? বিশ্লেষণমূলক লেখার পদ্ধতি বা কৌশল সম্পর্কে লেখো। ৪ | ||||||||||||||||||||
(খ) প্রদত্ত সারণির উপাত্ত বিশ্লেষণ করে বিশ্লেষণমূলক লেখা তৈরি করো। ৪ |
০৮। নিচের অংশটুকু পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও। |
---|
আজগুবি নয়, আজগুবি নয়, সত্যিকারের কথা ছায়ার সাথে কুস্তি করে গাত্রে হলো ব্যথা! ছায়া ধরার ব্যবসা করি তাও জানো না বুঝি? রোদের ছায়া, চাঁদের ছায়া, হরেক রকম পুঁজি। শিশির ভেজা সদ্য ছায়া, সকাল বেলায় তাজা, গ্রীষ্মকালে শুকনো ছায়া ভীষণ রোদে ভাজা। চিলগুলো যায় দুপুর বেলায় আকাশ পথে ঘুরে ফাঁদ ফেলে তার ছায়ার উপর খাঁচায় রাখি পুরে। কাগের ছায়া বগের ছায়া দেখছি কত ঘেঁটে হাল্কা মেঘের পানসে ছায়া তাও দেখেছি চেটে। কেউ জানে না এসব কথা কেউ বোঝে না কিছু, কেউ ঘোরে না আমার মতো ছায়ার পিছু পিছু। |
(ক) কবিতাংশটির সঙ্গে ‘পণ্ডশ্রম’ কবিতার সাদৃশ্যের দিকটি ব্যাখ্যা করো। ৪ |
(খ) কবিতাংশের শেষ লাইন দুটির মূলভাব ‘পণ্ডশ্রম’ কবিতার মূলভাবের সঙ্গে একসূত্রে গাঁথা। ব্যাখ্যা করো। ৪ |
০৯। নিচের অংশটুকু পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও। |
---|
শুধাও আমাকে “এতদূর তুমি কোন প্রেরণায় এলে! তবে তুমি বুঝি বাঙালি জাতির বীজমন্ত্রটি শোন নাই, সবার উপর মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই।” একসাথে আছি একসাথে বাঁচি, আজও একসাথে থাকবই সব বিভেদের রেখা মুছে দিয়ে সাম্যের ছবি আঁকবই। |
(ক) কবিতাংশে ‘সাম্যবাদী’ কবিতার কোন দিকটি তুলে ধরা হয়েছে? ব্যাখ্যা করো। ৪ |
(খ) ‘সাম্যবাদী’ কবিতায় প্রতিফলিত ভাব এবং প্রদত্ত কবিতাংশের মূলভাব এক ও অভিন্ন। মন্তব্যটি ব্যাখ্যা করো। ৪ |
১০। সংবাদটি পড়ে নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও। |
---|
বিবিসি বাংলা খবর: রমজান মাসে রাজধানীর বাসাবোর ধর্মরাজিক বৌদ্ধ বিহারে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের কাছ থেকে প্রতিদিন ইফতার নেন কয়েকশ দরিদ্র মুসলিম নর-নারী। ভিক্ষুদের ধর্মীয় গুরু শুদ্ধানন্দ মহাথেরো ১৬ বছর ধরে এই ইফতার বিতরণ কার্যক্রম চালিয়ে আসছেন। যেদিন তিনি দেখেছেন অনেক দরিদ্র মানুষ সারাদিন রোজা রেখে সন্ধ্যায় শুধু পানি বা শুকনা মুড়ি দিয়ে ইফতার করে, তখন থেকেই তিনি মন্দিরের ফান্ড থেকে এই ইফতার বিতরণ শুরু করেন। |
(ক) বিবিসি বাংলার খবরটিতে ‘সাম্যবাদী’ কবিতার যে ভাবের প্রতিফলন ঘটেছে তা ব্যাখ্যা করো। ৪ |
(খ) উক্ত ভাবের বিপরীত ভাব তোমার চারপাশের মানুষের মধ্যে কীভাবে পরিলক্ষিত হয় তা বর্ণনা করো। ৪ |
১১। অনুচ্ছেদটি পড়ে নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখো। |
---|
মাহমুদা নামের এক অসহায় বিধবা বহু বছর ধরে সরকারি খাসজমিতে বসবাস করে আসছে। সেখানে তার মতো বসবাসরত শতাধিক পরিবারের জীবিকার্জনের একমাত্র পথ মাছ ধরা। ভূমিহীন সূত্রে মাহমুদারা খাসজমি বন্দোবস্ত নিতে চায় সরকারের কাছ থেকে। কিন্তু বাদ সাধে স্থানীয় প্রভাবশালী মৎস্য ঘের মালিকেরা। তারা ঐ জমি তাদের নামে বন্দোবস্ত নিয়ে নতুন মৎস্য ঘের বানাতে চায়। মাহমুদারা এর বিরুদ্ধে সোচ্চার প্রতিরোধ গড়ে তোলে ‘হয় জমি নয় জীবন’ এই প্রত্যয় বুকে নিয়ে। |
(ক) ‘জোঁক’ গল্পের ওসমান, নবু খাঁ, করিম গাজীর সাথে অনুচ্ছেদের মাহমুদাদের কোন দিক থেকে মিল লক্ষ করা যায়? ব্যাখ্যা করো। ৪ |
(খ) তোমার মতে, ওয়াজেদ চৌধুরী বা মৎস্য ঘের মালিকদের মতো জোঁকের হাত থেকে বাঁচতে করণীয় আর কী হতে পারে? ৪ |
১২। নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও। |
---|
বক্তার মনোভাব প্রকাশের সময় শব্দগুলো যখন সুবিন্যস্তভাবে সাজানো হয় তখন
তাকে বাক্য বলে। যেমন: ১. করিম বল খেলে। ২. শিমুল একটা শার্ট কিনেছে। ৩. রহিম অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। ৪. তুমি কি স্কুলে যাবে? ৫. পাখিরা কিচিরমিচির শব্দ করছে।এরকম আরও অনেক বাক্য আছে। প্রত্যেক বাক্যের দুটি করে অংশ থাকে। এভাবে অষ্টম শ্রেণির ক্লাসে বাংলা শিক্ষক ইলিয়াস হোসেন আলোচনা করছিলেন। |
(ক) উদ্দীপকের ইলিয়াস স্যারের বলা প্রত্যেক বাক্যের দুটি অংশ কী কী? তিনটি বাক্যে চিহ্নিত করে দেখাও। ৪ |
(খ) উদ্দীপকের বাক্যগুলোর সাথে প্রসারক যোগ করে লেখো। ৪ |
১৩। সংবাদটি পড়ে নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও। |
---|
বিবরণ লিখি : বই উৎসব বই উৎসব গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি উদ্যোগ। এই উৎসবটি প্রতিবছর পয়লা জানুয়ারি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করার মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয়। এই পাঠ্যপুস্তক বিতরণী উৎসবই বই উৎসব নামে পরিচিত। পাঠ্যপুস্তকের সংকট কমাতে এবং শিক্ষার্থীদের হাতে বছরের শুরুতে পাঠ্যপুস্তক পৌঁছে দিতে ২০০৯ সালে বাংলাদেশ সরকার বিনামূল্যে পাঠ্যবই বিতরণের সিদ্ধান্ত নেয়। ২০১০ সালের ১ জানুয়ারি ‘বই উৎসব’ উদ্বোধন করা হয়। সেই বছর প্রায় ২৯৬ কোটি ৭ লাখ টাকার বই বিতরণ করা হয়। স্কুল থেকে ঝরে পড়া এবং টাকার অভাবে বই কিনতে না পারা শিক্ষার্থীদের মধ্যে নতুন আশার আলো দেখায় এই বই উৎসব। সরকারের এই মহৎ উদ্যোগ গত চৌদ্দ বছর সফলতার সাথে বাস্তবায়িত হচ্ছে। বাংলাদেশ সরকারের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক গৃহীত এই ‘বই উৎসব’ শহর থেকে প্রত্যন্ত গ্রাম পর্যন্ত একই দিনে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিচ্ছে। নতুন বছরের প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই এবং তাদের আনন্দ-উচ্ছলতায় চারদিক মুখর এ যে এক অপরূপ দৃশ্য। ১৯৯০ সালে বিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া শিশুর শতকরা হার ছিল ৬১ ভাগ, বর্তমানে তা উন্নীত হয়েছে শতকরা ৯৭.৭ ভাগে। বিনামূল্যে পাঠ্যবই বিতরণ ‘সবার জন্য শিক্ষা’ আরও সহজ ও গতিশীল করে দিয়েছে। এ বছর ১ জানুয়ারি ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে ৩ কোটি ৮১ লাখ ২৭ হাজার ৬৩০ জন শিক্ষার্থীর জন্য বই বিতরণ করা হয়েছে মোট ৩০ কোটি ৭০ লাখ ৮৩ হাজার ৫১৭টি। বছরের প্রথম দিনে সারা দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নতুন বইয়ের এই উৎসব সানন্দে অনুষ্ঠিত হয় । |
(ক) ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে কতজন শিক্ষার্থীর মধ্যে কতগুলো বই বিতরণ করা হয়েছে? ৪ |
(খ) তোমার বিদ্যালয়ের বই উৎসবের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও। ৪ |
১৪। নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও। | ||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
মানুষ হিসেবে শ্রেষ্ঠত্ব লাভের জন্য জ্ঞানের সহায়তা অপরিহার্য। জ্ঞানের
আলোকেই মানুষের জীবন বিকশিত হয়। শিক্ষিত মানুষই আলোকিত মানুষ জাতিগঠনে
শিক্ষার গুরুত্ত্ব অপরিসীম। দেশের উন্নতি, অগ্রগতি ও জাতির সার্বিক কল্যাণে
আলোকিত মানুষই মুখ ভূমিকা পালন করতে পারে। শিক্ষা মানুষের মানবিক, দৈহিক,
নৈতিক প্রশিক্খনের ধারাবাহিক পদ্ধতি বলে বিবেচিত। ফলে তারা নানা গুণের
সমন্বয়ে আলোকিত মানুষ হয়ে উঠতে পারে। ব্যক্তিজীবনের শিক্ষার আলো জাতীয় জীবনে প্রতিফলিত হয়। প্রত্যেকেই যদি শিক্ষার মাধ্যমে জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চা করে জ্ঞানের আলোয় আলোকিত হয়, তাহলেই জাতিকে আলোকিত বলা যায়। আলোকিত মানুষ ছাড়া জাতির অস্তীত্ব রক্ষা করা কঠিন। যে জাতির শিক্ষিতের হার যত বেশি সে জাতি তত উন্নত। কাজেই জাতির কল্যাণে আলোকিত মানুষ চাই। আমাদের চাওয়া সফল হোক। একথা বলেই আমার বক্তব্য শেষ করছি। সবাইকে ধন্যবাদ। |
||||||||||||
(ক) অনুচ্ছেদে ব্যবহৃত অশুদ্ধ বানান শুদ্ধ করে দেখাও। ৪
|
||||||||||||
(খ) নিচে প্রদত্ত অনুচ্ছেদের শব্দগুলো অভিধানের ক্রমানুসারে সাজিয়ে লেখো।
৪ অগ্রগতি, আলোকিত, উন্নত, কল্যাণ, জাতি, জ্ঞান, প্রতিফলিত, বক্তব্য, মানুষ, সফল। |
১৫। নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও। |
---|
অষ্টম শ্রেণির বাংলা শিক্ষক আশফাক সাহেব ক্লাসে শিক্ষার্থীদের শব্দের গঠন সম্পর্কে পাঠদান করছিলেন। তিনি বললেন, শব্দ গঠনের বিভিন্ন প্রক্রিয়া আছে। এর মধ্যে এমন একটি প্রক্রিয়া আছে যেখানে দুই বা ততোধিক শব্দ একপদে রূপান্তরিত হয় এবং প্রত্যেকটি অংশের আলাদা অর্থ থাকে। এছাড়াও আরও দুই প্রক্রিয়ায় শব্দ গঠিত হয়। |
(ক) উদ্দীপকে আশফাক সাহেব কোন প্রক্রিয়ায় শব্দ গঠনের কথা বলেছেন? উক্ত প্রক্রিয়ায় পাঁচটি শব্দের গঠন নির্দেশ করো। ৪ |
(খ) উদ্দীপকের শব্দ গঠনের আরও দুটি প্রক্রিয়া কী কী? প্রত্যেক প্রক্রিয়ার তিনটি করে শব্দ গঠন নির্দেশ করো। ৪ |
১৬। নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও। |
---|
রাহেলা বেগম খেয়াল করলেন তার মেয়ে শাপলা জোরে জোরে পড়া মুখস্থ করছে। কিন্তু উচ্চারণ ভুল পড়ছে। সে আত্মীয়কে অত্মিয়, গ্রীষ্মকে গ্রিশ্মো, এক-কে এক পড়ছে। রাহেলা বেগম মেয়ের কাছে গেলেন, তাকে উচ্চারণের বিষয়ে বিস্তারিত বললেন এবং ভুল উচ্চারণগুলো ঠিক করে দিলেন। |
(ক) নিচে কিছু শব্দ দেওয়া হলো। সেগুলোর প্রমিত উচ্চারণ লেখা ৪ অসংখ্য, আত্মীয়, উদ্বিগ্ন, ঠেলাঠেলি, ততক্ষণ, প্রলেপ, বিশ্রাম, মনস্থির। |
(খ) নিচে কিছু শব্দের প্রমিত উচ্চারণ লেখা আছে। সেগুলো লেখ্য রূপ বা শব্দ
লেখো। ৪ ওত্তাচারি, মন্তোব্বো, তত্খনাত্, দুক্খি, বিশ্শাশি, শোত্তি, শোনাদানা, অন্ধোকার। |
১৭। নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও। |
---|
নির্ধারিত কোনো বিষয়ের উপর বিভিন্ন ধরনের লেখা প্রস্তুত করা যায়। এর মধ্যে একটি ধরন হলো বিবরণমূলক লেখা। যেকোনো বিষয়ের উপরেই বিবরণমূলক লেখা প্রস্তুত করা যায়। বিবরণমূলক লেখা সাধারণত কয়েকটি অনুচ্ছেদে তুলে ধরা হয়। এছাড়াও আরও নানা বৈশিষ্ট্য আছে বিবরণমূলক লেখার। কোনো একটি লেখাকে বিবরণমূলক লেখা হতে হলে এসব বৈশিষ্ট্য লেখার মধ্যে অক্ষুণ্ণ রাখতে হয়। |
(ক) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে “বিবরণমূলক লেখা হতে হলে এসব বৈশিষ্ট্য লেখার মধ্যে অক্ষুণ্ণ রাখতে হয়” এখানে কোন বৈশিষ্ট্যগুলোর কথা বলা হয়েছে তা লেখো। ৪ |
(খ) অনুচ্ছেদে বলা আছে, বিবরণমূলক লেখায় কয়েকটি অনুচ্ছেদ থাকে। এই বৈশিষ্ট্যসহ অন্যান্য যে বৈশিষ্ট্য আছে সেগুলো বহাল রেখে একটি বিবরণমূলক লেখা প্রস্তুত করো। ৪ |
১৮। নিচের সারণিটির আলোকে প্রদত্ত প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও। | ||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
একটি বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির দিবা শাখা ও প্রভাতী শাখায় শিক্ষার্থী ভর্তির সংখ্যা দেওয়া হলো:
|
||||||||||||||||||||||||
(ক) তোমাকে যদি বিশ্লেষণমূলক কিছু রচনা করতে বলা হয় তাহলে কোন কোন বিষয় খেয়াল রাখতে হবে? ৪ | ||||||||||||||||||||||||
(খ) উদ্দীপক থেকে যদি বিশ্লেষণমূলক লেখা প্রস্তুত করা যায় তাহলে একটি বিশ্লেষণমূলক অনুচ্ছেদ রচনা করো। ৪ |
১৯। নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও। |
---|
যেকোনো লেখার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ আবশ্যক। তথ্যমূলক লেখার জন্য প্রস্তুতি আরও বেশি আবশ্যক। কারণ তথ্যমূলক লেখা লিখতে হলে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে নির্ভুল তথ্য প্রয়োজন। সেজন্য তাকে প্রথমে সংগ্রাহকের ভূমিকা গ্রহণ করতে হয়। প্রথমে তিনি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেন। প্রয়োজনীয় নাম, স্থান, বস্তু বা ব্যক্তি বা প্রাণীর বৈশিষ্ট্যগুলোর তথ্য জানতে হবে। তথ্যমূলক জীবনীর ক্ষেত্রে বা প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে বিভিন্ন নাম, ঠিকানা, জন্ম তারিখ ও সাল, ব্যক্তির শিক্ষাগত যোগ্যতা, পেশাগত জীবন, টেলিফোন বা মোবাইল ফোনের নম্বর সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে। ধারাবাহিকভাবে তথ্যগুলো আগে সাজিয়ে পরে রচনায় প্রয়োগ করতে হবে। যেমন, যেকোনো লেখার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ আবশ্যক। ............... রচনায় প্রয়োগ করতে হবে। |
(ক) অনুচ্ছেদের আলোকে তথ্যমূলক লেখার নিয়ম বা পদ্ধতিগুলো লেখো। ৪ |
(খ) তথ্যমূলক লেখার বৈশিষ্ট্যগুলো বিবেচনায় নিয়ে একটি তথ্যমূলক লেখা লেখো। ৪ |
২০। নিচের অংশটুকু পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও। |
---|
বাংলা ভাষায় এমন অনেক শব্দ আছে যেগুলোর উচ্চারণ একই বা কাছাকাছি হলেও অর্থ আলাদা হয়। এরকম শব্দের ব্যবহার আছে বলেই বাংলা ভাষা এত সুমধুর এবং প্রাঞ্জল। বাংলা ভাষার সাহিত্য পাঠ করতে গেলে এরকম শব্দের অনেক উদাহরণ পাওয়া যাবে। |
(ক) উদ্দীপকে কোন ধরনের শব্দের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে? সেই শব্দ সম্পর্কে আলোচনা করো। ৪ |
(খ) উদ্দীপকে নির্দেশ করা শব্দের যেকোনো চারটি শব্দ উল্লেখ করে বাক্যে প্রয়োগ দেখাও। ৪ |
২১। অনুচ্ছেদটি পড়ে নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখো। |
---|
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে এদেশের মুক্তিকামী জনতা প্রবল প্রতিরোধ গড়ে তোলে। সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে তারা শত্রুপক্ষের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়। এ সময় তারা সব শ্রেণিভেদ ভুলে, ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে হানাদারদের বিরুদ্ধে লড়াই করে। |
(ক) অনুচ্ছেদে বর্ণিত দিকটির সঙ্গে ‘সময়ের প্রয়োজনে’ গল্পের কোন দিকটির সাদৃশ্য রয়েছে? বর্ণনা করো। ৪ |
(খ) যদি কখনো বহিঃশত্রুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধের ডাক আসে তখন সেই প্রতিরোধে তুমি কীভাবে সাড়া দেবে? অনুচ্ছেদ ও ‘সময়ের প্রয়োজনে’ গল্পের আলোকে আলোচনা করো। ৪ |
২২। নিচের লেখাটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও। |
---|
ক্লাসের কার্যক্রমে শিক্ষক ছাত্রদের ‘স্বদেশপ্রেম’ বিষয়ে একটি ছোট বক্তব্য
প্রদান করতে বলেন। একজন ছাত্র নিম্নোক্ত বক্তব্যটি প্রদান করল: আজকের বক্তৃতা প্রতিযোগিতার সম্মানিত বিচারক এবং আমার সামনে উপস্থিত সবাইকে আন্তরিক সালাম জানাচ্ছি আসসালামু আলাইকুম। আমার বক্তৃতার বিষয় ‘স্বদেশপ্রেম’। স্বদেশপ্রেম মানুষের জš§গত ও সহজাত প্রবৃত্তি। স্বদেশের প্রতি মানুষের আকর্ষণ খুবই স্বাভাবিক। আর দেশের মানুষকে ভালোবাসাই স্বদেশপ্রেমের প্রথম সোপান। সত্যিকার স্বদেশপ্রেম সেটাকেই বলা যায়, যেখানে নিজের স্বার্থ বা সম্প্রদায়ের স্বার্থ তুচ্ছ হয় এবং স্বদেশের স্বার্থই সবকিছুর ঊর্ধ্বে থাকে। মানুষ যেমন ক্ষুদ্র স্বার্থকে বিলিয়ে দিয়ে রাষ্ট্রের স্বার্থ রক্ষা করে, তেমনই রাষ্ট্র তার প্রতিটি নাগরিককেই প্রাধান্য দেয়। আমার এই স্বদেশ আমার কাছে ভীষণ প্রিয়। আমি জীবনে-মরণে এখানেই থাকতে চাই। তবে আমার বন্ধু সজীবের ভীষণ ইচ্ছা দেশের বাইরে উন্নত কোনো দেশে গিয়ে উচ্চশিক্ষা লাভ করে সেখানেই থেকে যাওয়া। তাই আমার ভীষণ মন খারাপ লাগে। আমি আর সজীব সব সময় একসাথে থাকি। কিন্তু ও বিদেশ গেলে আমি আমার প্রিয় সঙ্গী হারাব। যাই হোক, আমাদের সবার মধ্যেই দেশপ্রেম থাকা উচিত। দেশকে ভালোবাসা উচিত। আমরা সবাই স্বদেশকে ভালোবাসব, স্বদেশের উন্নয়নে সচেষ্ট হব এই আশাবাদ ব্যক্ত করে আমার বক্তব্য শেষ করছি। আসসালামু আলাইকুম। |
(ক) উপরিউক্ত বক্তব্যটিতে কোনো অপ্রাসঙ্গিকতা খুঁজে পাও কি? যুক্তিসহ প্রমাণ করো। ৪ |
(খ) বক্তব্যটিতে যদি কোনো অপ্রাসঙ্গিকতা থেকে থাকে তবে প্রাসঙ্গিক ও অপ্রাসিঙ্গক বিষয়গুলো পৃথকভাবে উপস্থাপন করো। ৪ |
২৩। নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও: | ||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
i. কিছুদিন পূর্বেই এমএ পাস করিয়াছি। সামনে যত দূর পর্যন্ত দৃষ্টি চলে ছুটি
ধূ ধূ করিতেছে; পরীক্ষা নাই, উমেদারি নাই, চাকরি নাই; নিজের বিষয় দেখিবার
চিন্তাও নাই, শিক্ষাও নাই, ইচ্ছাও নাই থাকিবার মধ্যে ভিতরে আছেন মা এবং
বাহিরে আছেন মামা। সূত্র: অপরিচিতা: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ii. নীরব ভাষায় বৃক্ষ আমাদের সার্থকতার গান গেয়ে শোনায়। অনুভূতির কান দিয়ে সে গান শুনতে হবে। তাহলে বুঝতে পারা যাবে জীবনের মানে বৃদ্ধি, ধর্মের মানেও তাই। সূত্র: জীবন ও বৃক্ষ: মোতাহের হোসেন চৌধুরী |
||||||||||||
(ক) অনুচ্ছেদ i. এ কোন ভাষারীতি ব্যবহৃত হয়েছে? ৪ নিচে সেই ভাষারীতির পাঁচটি সর্বনাম ও পাঁচটি ক্রিয়া শব্দ দেওয়া হলো। সেগুলোর বর্তমান ভাষা রূপ পরিবর্তন করো। |
সর্বনাম | ক্রিয়া |
তাহার | আসিয়াছিল |
তাহাদের | হারাইয়াছিল |
তাহাদিগকে | দেখিতেছিল |
যাহা | ছুটিল |
তাহা | দিতেছে |
নিচে প্রদত্ত বাক্যসমূহ অনুচ্ছেদ ii-এর ভাষারীতিতে পরিবর্তন কর। সাধুরীতির বাক্য
১. দিন গনিতে গনিতে অবশেষে যাইবার দিন আসিয়া গেল। |
২. লোভও হইতেছিল, ভয়ও হইতেছিল। |
৩. পরে যাহা হইল, তাহা সুবিধাজনক নয়। |
৪. তাহারা বহু কষ্টে আবার পাকা রাস্তায় উঠিয়া আসিল। |
৫. বাড়ি আসিয়া তাহার দিদি ঝুড়ি ঝুড়ি মিথ্যা কথা বলিয়া নিজের ও তাহার পিঠ বাঁচাইল। |
২৪। নিচের অংশটুকু পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও। |
---|
বাংলা ভাষায় হাজার হাজার শব্দ আছে। এমন অনেক শব্দ আছে যেগুলোর অর্থ জানার জন্য অন্য বইয়ের সাহায্য নিতে হয়। ভাষাবিদরা অর্থ খোঁজার এই বিড়ম্বনাকে অনেক সহজ করে দিয়েছেন। তাঁরা এমন এক গবেষণাফল আমাদের দিয়েছেন যা অর্থ খুঁজতে সাহায্য করে। সেই বইয়ে শব্দগুলো থাকে বর্ণানুক্রমে সাজানো। |
(ক) উদ্দীপকে কীসের কথা বলা হয়েছে? ইঙ্গিতবহ বিষয়টির বর্ণানুক্রম উল্লেখ করো। ৪ |
(খ) নিচের ছকের শব্দগুলো বর্ণানুক্রমে সাজাও : ৪ নকশা নির্ভয় নিঃশঙ্ক নিঃসংকোচ নিষ্পেষণ নিদ্রা রাক্ষস ব্যয় স্বাধীনতা স্বার্থ সার্থক ভ্রাতা শ্মশান রশ্মি |
২৫। নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও। |
---|
আমি বাংলায় গান গাই, আমি বাংলার গান গাই, আমি আমার আমিকে চিরদিন এই বাংলায় খুঁজে পাই। আমি বাংলায় দেখি স্বপ্ন, আমি বাংলায় বাঁধি সুর আমি এই বাংলার মায়াভরা পথে হেঁটেছি এতটা দূর। বাংলা আমার জীবনানন্দ বাংলা প্রাণের সুর আমি একবার দেখি, বারবার দেখি দেখি বাংলার মুখ। |
(ক) কবিতাংশটি ‘তোমরা যেখানে সাধ’ কবিতার সাথে কোন দিক থেকে সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা করো। ৪ |
(খ) কবিতার বৈশিষ্ট্যের আলোকে উক্ত কবিতাংশটির বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করো। ৪ |
২৬। চিঠিটি পড়ে নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখো। |
---|
সময়টা: ০৫ই আগস্ট, ২০২৪। স্বৈরশাসকের পতনের এক দফা দাবিতে উত্তাল ঢাকা। গেন্ডারিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র শাহরিয়ার খান আনাস আন্দোলনে যোগ দিতে একটি চিঠি লিখে বাসা থেকে বের হয়। কিন্তু চানখারপুল এলাকায় পুলিশের গুলিতে ঝাঁঝরা হয় তার বুক। চিঠিতে আনাস লিখেছিল- “মা, আমি মিছিলে যাচ্ছি। আমি নিজেকে আর আটকিয়ে রাখতে পারলাম না। সরি আব্বুজান। তোমার কথা অমান্য করে বের হলাম। স্বার্থপরের মতো ঘরে বসে থাকতে পারলাম না। আমাদের ভাইরা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য কাফনের কাপড় মাথায় বেঁধে রাজপথে নেমে সংগ্রাম করে যাচ্ছে, অকাতরে নিজেদের জীবন বিসর্জন দিচ্ছে। একটি প্রতিবন্ধী কিশোর, ৭ বছরের বাচ্চা, ল্যাংড়া মানুষও যদি সংগ্রামে নামতে পারে, তাহলে আমি কেন বসে থাকবো ঘরে। একদিন তো মরতে হবেই। তাই মৃত্যুর ভয় করে স্বার্থপরের মতো ঘরে বসে না থেকে সংগ্রামে নেমে গুলি খেয়ে বীরের মতো মৃত্যুও অধিক শ্রেষ্ঠ। যে অন্যের জন্য নিজের জীবনকে বিলিয়ে দেয় সেই প্রকৃত মানুষ। আমি যদি বেঁচে না ফিরি তবে কষ্ট না পেয়ে গর্বিত হয়ো। জীবনের প্রতিটি ভুলের জন্য ক্ষমা চাই। আনাস |
(ক) আনাসের চিঠি পড়ে তোমার অনুভূতি কী? বর্ণনা করো। ৪ |
(খ) আনাসের চিঠি এবং ‘সময়ের প্রয়োজনে’ গল্পের মুক্তিযোদ্ধার খাতা একই চেতনার প্রতিফলন মন্তব্যটি ব্যাখ্যা করো। ৪ |
২৭। নিচের অংশটুকু পড় এবং প্রদত্ত প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও। |
---|
অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী মিনা একদিন বসে বসে একটি গল্প পড়ছিল। সে গল্প পড়ার সময় এমন অনেক বিষয় খুঁজে পেল যা আসলে বাস্তবতার সাথে মিল নেই। মৃত মানুষের জীবিত হওয়া, পাখাযুক্ত মানব, কথা বলা কলম ইত্যাদি নানা বিষয় পড়ে সে মুগ্ধ হলো। তার ইচ্ছে হলো এরকম কিছু রচনা করবে। |
(ক) উপরের লেখায় কোন ধরনের রচনাকে নির্দেশ করেন? এ ধরনের রচনার বৈশিষ্ট্যগুলো কী কী? ৪ |
(খ) মিনার ওই ধরনের গল্প রচনা করার ইচ্ছের প্রকাশ দেখা যায়। ওই ধরনের গল্প রচনা করতে হলে মিনাকে কোনো পদ্ধতি মেনে চলতে হবে কি? যদি মানতে হয় তাহলে সেই পদ্ধতিগুলো লেখো। ৪ |