এক কথায় প্রকাশ/ বাক্য সংকোচন
![]() |
এক কথায় প্রকাশ/ বাক্য সংকোচন |
অ, আ |
---|
অকালে পক্ক হয়েছে যা = অকালপক্ব। অকালে যাকে জাগরণ করা হয়= অকালবোধন। অকস্মাৎ ধৃত= কাকতালীয়। অনুতে (পশ্চাতে) জন্মেছে যে = অনুজ। অভিজ্ঞতার অভাব আছে যার = অনভিজ্ঞ। অহংকার নেই যার = নিরহংকার। অকর্মণ্য গবাদি পশু রাখার স্থান= পিঁজরাপোল। অকালে উৎপন্ন কুমড়া= অকালকুষ্মাণ্ড। অক্ষিপত্রের লোম= অক্ষিপক্ষ্ম। অক্ষিতে কাম যার (যে নারীর)= কামাক্ষী। অক্ষির অগোচরে= পরোক্ষ। অক্ষির অভিমুখে= প্রত্যক্ষ। অক্ষির সমক্ষে বর্তমান= প্রত্যক্ষ। অক্ষির সমীপে= সমক্ষ। অগ্রে গমন করে যে= অগ্রগ। অগ্রে জন্মে যে= অগ্রজ। অগ্র, পশ্চাৎ ক্রম অনুযায়ী= আনুপূর্বিক। অগ্র, পশ্চাৎ বিবেচনা না করে কাজ করে যে= অবিমৃষ্যকারী। অগ্রহায়ণ মাসে সন্ধ্যাকালীন ব্রত (কুমারীদের)= সেঁজুতি। অঘটন ঘটাতে অতিশয় পটু= অঘটনঘটন পটীয়সী। অঙ্গের সঙ্গে বর্তমান= সাঙ্গ। অজকে গ্রাস করে যা= অজগর। অতর্কিত অবস্থায় হত্যাকারী= আততায়ী। অতি উচ্চ ধ্বনি= মহানাদ। অতি উচ্চস্বরে বিকট হাসি= অট্টহাসি। অতিক্রমের যোগ্য= অতিক্রমণীয়। অতিক্রম করা যায় না= অনতিক্রমণীয়/অনতিক্রম্য। অতি নিপুণ কারিগর= ওস্তাগর। অতি কর্ম নিপুণ ব্যক্তি= করিতকর্মা/কর্মদক্ষ। অতি দীর্ঘ নয় যা= নাতিদীর্ঘ। অতি নিকৃষ্ট নর= নরাধম। অতি আসন্ন= প্রত্যাসন্ন। অতি বৃদ্ধা নারী= বড়ায়ি। অতি শীতও নয় উষ্ণও নয় এমন= নাতিশীতোষ্ণ। অতিশয় ঘটা বা জাঁকজমক= বহবাড়ম্বর। অতিশয় রমনীয়= সুরম্য। অতিশয় রক্ষণশীল= দুর্মর অধর-প্রান্তের হাসি= বক্রোষ্ঠিকা। অনেকের মধ্যে একজন= অন্যতম। অনায়াসে লাভ করা যায় যা= অনায়সলব্ধ। অনুকরণ করার ইচ্ছা= অনুচিকীর্ষা। অনুসন্ধান করার ইচ্ছা= অনুসন্ধিৎসা। অন্বেষণ করার ইচ্ছা= অন্বেষা। অন্তরে জল আছে এমন যে (নদী)= অন্তঃসলিলা অন্তরে যা ঈক্ষণ (দেখার) যোগ্য= অন্তরিক্ষ অন্ন-ব্যঞ্জন ছাড়া অন্য আহার্য= জলপান অন্য কোনো উপায় নেই যার= অনন্যোপায়। অন্য গতি নাই যার= অগত্যা। অন্য দিকে মন যার= অন্যমনস্ক। অন্য দিকে মন নেই যার= অনন্যমনা। অন্য কোনো গতি নেই যার= অনন্যগতি। অন্য কোনো কর্ম নেই যার= অনণ্যকর্ম। অন্য কাল= কালান্তর। অন্য গতি= গত্যন্তর। অন্য গৃহ= গৃহান্তর। অন্য গ্রহ= গ্রহান্তর। অন্য গ্রাম= গ্রামান্তর। অন্য দেশ= দেশান্তর। অন্য যুগ= যুগান্তর। অন্য রূপ= রূপান্তর। অন্যের অপেক্ষা করতে হয় না যাকে= অনপেক্ষ। অন্যের মনোরঞ্জনের জন্য অসত্য ভাষণ= উপচার। অন্য ভাষায় রূপান্তর= অনুবাদ। অন্য ভাষায় রূপান্তরিত= অনূদিত। অন্য লিপিতে রূপান্তর= লিপান্তর। অপকার করার ইচ্ছা= অপচিকীর্ষা। অবজ্ঞায় নাক উঁচু করেন যিনি= উন্নাসিক। অবিবাহিতা জ্যেষ্ঠা থাকার পরও যে কনিষ্ঠার বিয়ে হয়= অগ্রেদিধিষু। অভ্রান্ত জ্ঞান= প্রমা। অভ্র (মেঘ) লেহন/স্পর্শ করে যা= অভ্রংলিহ অরিকে (শত্রুকে) দমন করে যে= অরিন্দম। অলঙ্কারের ধ্বনি= শিঞ্জন। অব্যক্ত মধুর যে ধ্বনি= কলতান। অসি ধ্বনি= ঝঞ্জন। অষ্টপ্রহর ব্যবহার্য যা= আটপৌরে অশ্বের ডাক= হ্রেষা। অশ্ব, রথ, হস্তী, পদাতিক সৈন্যের সমাহার= চতুরঙ্গ। অশ্ব রাখার স্থান= আস্তাবল। অশ্ব আরোহণ করে যে সৈনিক= অশ্বারোহী। অশ্বের চালক= সাদী। আমার তুল্য= সাদৃশ আচারে নিষ্ঠা আছে যার = আচারনিষ্ঠ। আদি থেকে অন্ত পর্যন্ত = আদ্যন্ত, আদ্যোপান্ত। আপনাকে কেন্দ্র করে যার চিন্তা = আত্মকেন্দ্রিক আকাশে বেড়ায় যে আকাশচারী= খেচর। আপনাকে যে পণ্ডিত মনে করে= পণ্ডিতম্মন্য আপনাকে যিনি কৃতার্থ মনে করেন= কৃতার্থম্মন্য। আপনাকে অত্যন্ত হীন বলিয়া ভাবে= হীনম্মন্যতা আপনাকে হত্যা করে যে= আত্মঘাতী। আপনাকে ভুলে থাকে যে= আত্মভোলা আপনার বর্ণ (রঙ) লুকায় যে= বর্ণচোরা আল্লাহর অস্তিত্বে বিশ্বাস আছে যার= আস্তিক। আল্লাহর অস্তিত্বে বিশ্বাস নেই যার= নাস্তিক। আল্লাহর প্রদত্ত দ্বীন কায়েমে জীবন দেন যিনি= শহিদ। আকাশ ও পৃথিবী= ক্রন্দসী আকাশ ও পৃথিবীর অন্তরাল= রোদসী আকাশে (খ-তে) ওড়ে যে বাজি= খ-ধূপ আকাশে (খ-তে) চরে যে= খেচর /খচর আকাশে বিচরণ করে = নভশ্চর। আকাশের ন্যায় রঙ= আকাশী। আজীবন সধবা যে নারী= চিরায়ুষ্মতী। আনন্দজনক ধ্বনি= নন্দিঘোষ আভিজাত্যপূর্ণ মনে হলেও আসলে অর্থহীন ও বিভ্রান্তিকর= হিংটিংছট আয়ুর পক্ষে হিতকর= আয়ুষ্য আশীর্বাদ ও অভয়দানসূচক হাতের মুদ্রা= বরাভয়। আশ্বিন মাসের পূর্ণিমা তিথি= কোজাগর আত্মর সম্বন্ধীয় বিষয়= আধ্যাত্মিক। আয় অনুসারে ব্যয় করেন যিনি= মিতব্যয়। আয় অনুসারে ব্যয় করেন না যিনি= অমিতব্যয়। |
ই, ঈ |
---|
ইহার তুল্য বা সদৃশ= ঐদৃশ। ইতিহাস বিষয়ে অভিজ্ঞ যিনি = ইতিহাসবেত্তা। ইতিহাস রচনা করেন যিনি = ঐতিহাসিক। ইন্দ্রিয়কে জয় করেন যিনি = জিতেন্দ্রিয়। ঈষৎ আমিষ (আঁষ) গন্ধ যার = আঁষটে। ইতস্তত গমনশীল বা সঞ্চরণশীল= বিসর্পী। ইন্দ্রকে জয় করেন যিনি= ইন্দ্রজিৎ। ইন্দ্রজাল বিদ্যায় পারদর্শী= ঐন্দ্রজালিক ইন্দ্রের অশ্ব= উচ্চৈঃশ্রবা। ইউরোপের অধিবাসী= ইউরোপীয়। ইতর মুনির পুত্র= ঐতরেয়। ইতঃস্তত ভ্রমণ= বিচরণ। ইতঃস্তত গমনশীল= ভ্রাম্যমাণ। ইতিপূর্বে দণ্ডিত ব্যক্তি= দাগি। ইতিহাস জানেন যিনি= ইতিহাসবিদ, ইতিহাসবেত্তা, ঐতিহাসিক। ইরানের ভাষা= ফারসি। ফ্রান্সের ভাষা= ফরাসি। ইরাবতে জাত= ঐরাবত। ইহলোক বিষয়ক বস্তু= ঐহিক। ইসলামে অবিশ্বাসী= কাফের। ইসলাম শাস্ত্র অনুযায়ী নির্দেশ= ফতোয়া। ইহলোকে সামান্য নয় যাহা= অলোকসামান্য। ইহলোকের পরবর্তী লোক= পরলোক। ইক্ষু বিষয়ক= ঐক্ষর। ঈষৎ উষ্ণ= কবোষ্ণ ঈষৎ নীলাভবিশিষ্ট = আনীল ঈষৎ পাংশু বর্ণ = কয়রা ঈষৎ আমিষ গন্ধ যার = আঁষটে |
উ, ঊ |
---|
উপকারীর অপকার করে যে = কৃতঘ্ন। উপকারীর উপকার স্বীকার করে না যে = অকৃতজ্ঞ উপকারীর উপকার স্বীকার করে যে = কৃতজ্ঞ। উচচানে অবস্থিত ক্ষুদ্র কুটির= টঙ্গি উদক পানের ইচ্ছা= উদন্যা উপদেশ ছাড়া লব্ধ প্রথম জ্ঞান= উপজ্ঞা উরস দিয়ে হাঁটে যে= উরগ |
ঋ |
---|
ঋষির তুল্য= ঋষিকল্প বা ঋষিতুল্য ঋণ শোধের জন্য যে ঋণ করা হয়= ঋণার্ণ ঋতুতে ঋতুতে যজ্ঞ করেন যিনি= ঋত্বিক |
এ, ঐ |
---|
এক বস্তুতে অন্য বস্তুর কল্পনা= অধ্যাস। একশত পঞ্চাশ বছর= সার্ধশতবর্ষ এক থেকে শুরু করে ক্রমাগত = একাদিক্রমে। একই মাতার উদরে জাত যে= সহোদর। ঐতিহাসিককালেরও আগের= প্রাগৈতিহাসিক |
ও, ঔ |
---|
------ |
ক, খ |
---|
কর্ম সম্পাদনে পরিশ্রমী = কর্মঠ। কথার মধ্যে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রসঙ্গ বা প্রবচনাদি প্রয়োগ= বুনি করার ইচ্ছা= চিকীর্ষা। কাচের তৈরি বাড়ি= শিশমহল। কাজে যার অভিজ্ঞতা আছে= করিতকর্মা কি করতে হবে তা বুঝতে না পারা= কিংকর্তব্যবিমূঢ় কুকুরের ডাক= বুক্কন কোকিলের ডাক= কুহু কোনো কিছু থেকেই যার ভয় নেই= অকুতোভয় কোনো ভাবেই যা নিবারণ করা যায় না = অনিবার্য। কপালে আঁকা তিলক - রসকলি কালো হলুদের মিশানো রং= কপিশ ক্রমশ নিচু= নাবাল ক্রমশ নিচু রাস্তা= চড়াই কামনা দূর হয়েছে যার= বীতকাম কৃত্রিম জলাশয়= পুষ্করিণী কুমুদশোভিত পুষ্করিণী= কৌমুদিনী কথায় কথায় যে কাঁদে= ছিঁচকাঁদুনে কথায় পটু= বাগীশ কবির পরিচয় জ্ঞাপক উক্তি= ভণিতা কুমারীর পুত্র= কানীন কুবেরের ধন রক্ষক= যক্ষ কচি তৃর্ণাবৃত ভূমি= শাদ্বল কটিদেশের বস্ত্র,অলংকার প্রভৃতি= মেখলা কনুই থেকে বদ্ধ মুষ্টি পর্যন্ত পরিমাণ= রত্নি কোন বিষয়ে যে শ্রদ্ধা হারিয়েছে= বীতশ্রদ্ধ কোন বিষয়ে সম্পূর্ণ না জেনে সকল বিষয়ে কিছু কিছু জানা= পল্লবগ্রাহিতা ক্রীড়নশীল তরঙ্গ= চলোর্মি |
ক্ষ |
---|
ক্ষমা করার ইচ্ছা= চিক্ষমিষা ক্ষমার যোগ্য= ক্ষমার্হ। ক্ষুদ্র অঙ্গ= উপাঙ্গ ক্ষুদ্র কূপ= পাতকুয়া। ক্ষুদ্র গাছ= গাছড়া। ক্ষুদ্র গ্রাম= পল্লিগ্রাম ক্ষুদ্র চিহ্ন= বিন্দু। ক্ষুদ্র জাতীয় বক= বলাক। ক্ষুদ্র ঢাক বা ঢাক জাতীয় বাদ্যযন্ত্র= নাকাড়া ক্ষুদ্র নদী= সারণি ক্ষুদ্র নাটক= নাটিকা। ক্ষুদ্র নালা= নালি। ক্ষুদ্র প্রলয়= খণ্ডপ্রলয় ক্ষুদ্র প্রস্তরখণ্ড= নুড়ি ক্ষুদ্র ফেঁড়া= ফুসকুড়ি ক্ষুদ্র বা নিচু কাঠের আসন= পিড়ি ক্ষুদ্র বাগান= বাগিচা ক্ষুদ্র বিন্দু= ফুটকি ক্ষুদ্র মৃৎপাত্র= ভাঁড় ক্ষুদ্র রথ= রথার্ভক ক্ষুদ্র রাজা= রাজড়া ক্ষুদ্র লতা= লতিকারুকার ক্ষুদ্র লেবু= পাতিলেবু ক্ষুদ্র শিয়াল= খেকশিয়াল ক্ষুদ্র হাঁস= পাতিহাঁস ক্ষুদ্রকায় ঘোড়া= টাটু |
গ, ঘ |
---|
গবাদিপশুর পাল= বাথান গমন করতে পারে যে= জঙ্গম গমন করতে পারে না যে= নগ গ্রন্থাদির টিকা= দীপিকা গুরুর পত্নী= গুর্বী গরুর ডাক= রম্ভা গাধার ডাক= রাসভ গর্দভের বাসস্থান= খরশাল গো দোহনকারিনী কন্যা= দুহিতা গ্রন্থাদির অধ্যায়= স্কন্ধ গভীর রাত্রি= নিশীথ গম্ভীর ধ্বনি= মন্দ্র গোলাপ ফুলের মতো কোমলাঙ্গ= গুলবদন গোঁফ-দাড়িবিহীন পুরুষ= মাকুন্দ গোপন করতে ইচ্ছুক= জুগুপ্সু গোপন করার ইচ্ছা= জুগুপ্সা গোপন করার যোগ্য= গোপনীয় গমনের ইচ্ছা= জিগমিষা গ্রহণ করার ইচ্ছা= জিঘৃক্ষা গোপন অবস্থান= অজ্ঞাতবাস গদ্য-পদ্যময় কাব্য= চম্পু গমন করার ইচ্ছা= জিগমিষা গম্ভীর ধ্বনি= মন্দ্র। গরুর খুরে চিহ্নিত স্থান= গোষ্পদ গুরু বাসগৃহ= গুরুকুল। ঘরের অভাব= হা-ঘর |
চ, ছ |
---|
চার অভ্রান্ত জ্ঞান= প্রমা। চৈত্র মাসে উৎপন্ন ফসল= চৈতালি চোখের কোণ= অপাঙ্গ চক্ষুর সম্মুখে সংঘটিত =চাক্ষুষ চোখ দ্বারা ঈঙ্গিত= চোখ মারা। চোখে চোখে চাওয়া= চোখাচোখি। চোখের স্থির চাহনি = নিষ্পলক। চোখের কঠোর দৃষ্টি= অগ্নিচক্ষু। যে চোখে মন কাড়ে = মায়াবী আঁখি। |
জ, ঝ |
---|
জয় করার ইচ্ছা= জিগীষা জয়ের জন্য যে উৎসব= জয়ন্তী জলপানের জন্য দেয় অর্থ= জলপানি (বৃত্তি) জলে ও স্থলে চরে যে= উভচর। জানবার ইচ্ছা= জিজ্ঞাসা জীবিত থেকেও যে মৃত = জীবন্মৃত জ্বল জ্বল করছে যা= জাজ্বল্যমান। জ্বলছে যে অর্চি(শিখা)= জ্বলদর্চি |
ট, ঠ |
---|
ঠেঙিয়ে ডাকাতি করে যারা= ঠ্যাঙারে। |
ত, থ |
---|
তাহার তুল্য= তাদৃশ তল স্পর্শ করা যায় না যার = অতলস্পর্শী। তুরিত গমন করতে পারে যে= তুরগ (ঘোড়া) তৃণাচ্ছাদিত ভূমি= শাল। ত্রাণ লাভ করার ইচ্ছা= তিতীর্ষা |
দ, ধ |
---|
দমন করা কষ্টকর যাকে= দুর্দমনীয় দমন করা যায় না যাকে= অদম্য দান করার ইচ্ছা= দিৎসা দিনের অপর ভাগ= অপরাহু দিনের অপর ভাগ- অপরাহ দিনের পূর্ব ভাগ= পূর্বাহ দিনের মধ্য ভাগ= মধ্যাহ্ন দিনের সায়(অবসান) ভাগ= সায়াহ্ন দিনে যে একবার আহার করে= একাহারী। দুয়ের মধ্যে একটি= অন্যতর দেবতা তুল্য= দেবোপম। দেখবার ইচ্ছা= দিদৃক্ষা দেখে চোখের আশা মেটে না যাকে= অতৃপ্তদৃশ্য দ্বারে থাকে যে= দৌবারিক। ধনুকের ধ্বনি= টঙ্কার ধন্যবাদের যোগ্য= ধন্যবাদাহ ধর্মপুরুষ বা সন্ন্যাসীর পর্যটন= পরিব্রাজন ধর্মীয় কাজ করার জন্য তীর্থভ্রমণ= প্রব্রজ্যা ধুর (তীক্ষ্ণ বুদ্ধি) ধারণ করে যে= ধুরন্ধর |
ন |
---|
নষ্ট হওয়া স্বভাব যার= নশ্বর। নারীর কটিভূষণ= রশনা। নারীর কোমরবেষ্টনিভূষণ= মেখলা নারীর লীলাময়ী নৃত্য= লাস্য নিতান্ত দগ্ধ হয় যে সময়ে (গ্রীষ্মকাল)= নিদাঘ নিন্দা করার ইচ্ছা= জুগুপ্সা নির্মাণ করার ইচ্ছা= নির্মিসা নীল বর্ণ পদ্ম= ইন্দির। নুনের অভাব= আলুনি নূপুরের ধ্বনি= নিকৃণ ন্যায় শাস্ত্র জানেন যিনি= নৈয়ায়িক নদী মেখলা যে দেশের= নদীমেখলা। নষ্ট হওয়াই স্বভাব যার= নশ্বর। নৌকা দ্বারা জীবিকা নির্বাহ করে যে= নাবিক। |
প, ফ |
---|
পঁচিশ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে পালিত উৎসব=
রজতজয়ন্তী
পঙক্তিতে বসার অনুপযুক্ত= অপাঙতেয় পঞ্চাশ বছর পূর্ণ হওয়ার উৎসব= সুবর্ণজয়ন্তী পত্নী বর্তমান থাকা সত্ত্বেও পুনর্বিবাহ= অধিবেদন পত্নীর সাথে বর্তমান= সপত্নীক পদ্মের ডাঁটা বা নাল= মৃণাল। পদ্মের ঝাড় বা মৃণালসমূহ= মৃণালিনী পদ্মের ন্যায় অক্ষি বা চোখ= পুণ্ডরীকাক্ষ পরকে (কোকিলের শাবককে) পালন করে যে= পরভৃৎ পরের (কাকের) দ্বারা প্রতিপালিত যে= পরভৃত পা দিয়ে যে চলে না= পন্নগ পা থেকে মাথা পর্যন্ত = আপাদমস্তক। পা ধোয়ার জল= পাদ্য পান করার ইচ্ছা= পিপাসা পিতৃগৃহবাসিনী= চিরন্টী পুণ্যকর্ম সম্পাদনের জন্য শুভ দিন= পুণ্যাহ। পুরুষের উদ্দাম নৃত্য= তাণ্ডব পুরুষের কটিবন্ধ= সরাসন পুরুষের কর্ণভূষণ= বীরবৌলি পুনঃ পুনঃ দুলছে যা= দোদুল্যমান পুনঃ পুনঃ জ্বলছে যা= জাজ্বল্যমান পুনঃ পুনঃ রোদন করেছে যে= রোরুদ্যমান পুনঃ পুনঃ দীপ্তি পাচ্ছে যে= দেদীপ্যমান পূর্ব ও পরের অবস্থা= পৌর্বাপর্যয় পেঁচা বা উলুকের ডাক= হ্যাকার পৌষ মাসে উৎপন্ন ফসল= পৌষালি প্রতিকার করার ইচ্ছা= প্রতিচিকীর্ষা প্রতিবিধান করার ইচ্ছা= প্রতিবিধিৎসা প্রবেশ করার ইচ্ছা= বিবক্ষা প্রশংসার যোগ্য= প্রশংসার্হ প্রাণ ওষ্ঠাগত হবার মতো অবস্থা= লবেজান প্রায় প্রভাত হয়েছে এমন= প্রভাতকল্পা প্রিয় কাজ করার ইচ্ছা= প্রিয়চিকীর্ষা। ফল পাকলে যে গাছ মরে যায়= ওষধি। ফুল হতে জাত= ফুলেল ফেলে দেবার যোগ্য= ফেনায়ক |
ব, ভ |
---|
বিদেশে থাকে যে= প্রবাসী। বিশ্বজনের হিতকর= বিশ্বজনীন। বড় ভাই থাকতে ছোটো ভাইয়ের বিয়ে= পরিবেদন। বন্দুক বা তির ছোড়ার অনুশীলনের জন্য স্থাপিত এ লক্ষ্য= চাঁদমারি বহু গৃহ থেকে ভিক্ষা সংগ্রহ করা= মাধুকরী/মধুকরী বাঘের চর্ম= কৃত্তি বাতাসে (ক-তে)চরে যে= কপোত বাদ্যযন্ত্রের ধ্বনি= ঝংকার বাস করার ইচ্ছা= বিবৎসা বিজয় লাভের ইচ্ছা= বিজিগীষা বিশেষ খ্যাতি আছে যার= বিখ্যাত বিহায়সে (আকাশ) বিচরণ করে যে= বিহগ/বিহঙ্গ বীরের গর্জন= হুঙ্কার বেঁচে থাকার ইচ্ছা= জিজীবিষা। ভাবলেশহীন চোখ = উদাস নয়ন। ভোজন করার ইচ্ছা= বুভুক্ষা ভুজের সাহায্যে (এঁকে বেঁকে) চলে যে= ভুজগ/ভুজঙ্গ(স) ভুলহীন ঋষি বাক্য= আপ্তবাক্য ভ্রমরের শব্দ= গুঞ্জন। |
ম |
---|
ময়ূরের ডাক= কেকা মাছিও প্রবেশ করে না যেখানে= নির্মক্ষিক মাটিতে গড়াগড়ি দিচ্ছে এমন= উপবৃত্ত মাণের যোগ্য= ঘেয়। মান্যব্যক্তি বিদায়কালে কিছুদূর এগিয়ে দেওয়া= অনুব্রজন মান্যব্যক্তিকে অভ্যর্থনার জন্য কিছুদূর এগিয়ে যাওয়া= প্রত্যুৎগমন মায়া (ছল) জানে না যে= অমায়িক মাসের শেষ দিন= সংক্রান্তি। মোরগের ডাক= শকুনিবাদ মিলনের ইচ্ছায় নায়ক বা নায়িকার সঙ্কেত স্থানে গমন= অভিসার মুক্তি পেতে ইচ্ছা= মুমুক্ষা মৃত্তিকার দ্বারা নির্মিত= মৃন্ময় মৃতের মতো অবস্থা যার= মুমূর্ষ। মায়া থেকে মুক্ত= অতিমায় মায়া জানেন যিনি= মায়িক মায়া বা ছল আশ্রয়ী নয় যিনি= অমায়িক মেঘের ডাক= মন্ত্র মেঘের ধ্বনি= জীমূতমন্ত্র মেঘের গম্ভীরশব্দ= জলদমন্দ্র মেঘের মতো শ্যাম= ঘনশ্যাম মুক্তি পেতে ইচ্ছুক= মুমুক্ষু মরতে বসেছে যে= মুমূক্ষু মরণের জন্য অনশন= প্রায়োপবেশন মরার ইচ্ছা= মুমূর্ষা মরে না যে= অমর মৃত্যু পর্যন্ত= আমৃত্যু মৃত্যু কামনা করে অনশন= প্রায়। মরার মতো= মৃৎবৎ মনে মনে করা অংক= মানসাঙ্ক মন্থন করা হয়েছে= মথিত মাটি দিয়ে তৈরী= মেটে/মৃন্ময় মাসের শেষ দিন= সংক্রান্তি মাল দেবার প্রতিশ্রুতিতে দেয়া অগ্রিম অর্থ= দাদন মাথার টাক= খলতি মাটিতে গড়াগড়ি দিচ্ছে এমন= উপাবৃত মহাকাব্যের অধ্যায়= সর্গ মাটির মত রঙ যার= খাকি মনুর বংশধর= মানব মাথা হেঁট করে আছে এমন= অধোবদন মনোগত ইচ্ছা= ঈপ্সিত ময়ূরের পুচ্ছ বিস্তার= পেখম মূর্খের মতো পরের বুদ্ধিতে পরিচালিত ব্যক্তি= গাড়ল |
ত, থ |
---|
তুরিত গমন করতে পারে যে= তুরগ তৃণাচ্ছাদিত ভূমি= শাল। ত্রাণ লাভ করার ইচ্ছা= তিতীর্ষা |
য, |
---|
যা আহুত হয় নি= অনাহুত যা উচ্চারণ করা কঠিন= দুরুচ্চার্য। যা উচ্চারণ করা যায় না= অনুচ্চার্য। যা উপলব্ধি করা যাচ্ছে= উপলভ্যমান যা ক্রমশ ক্ষয়প্রাপ্ত হচ্ছে= ক্ষীয়মাণ। যা ক্রমশ দূরে সরে যাচ্ছে= অপসৃয়মাণ যা ক্রমশ বিস্তীর্ণ হচ্ছে= ক্রমবিস্তার্যমান যা ক্রয় করার যোগ্য= ক্রেয় যা চিবিয়ে খাবার যোগ্য= চর্ব যা চুষে খাবার যোগ্য= চোষ্য। যা চেটে খাবার যোগ্য= লেহ্য। যা জল দেয়= জলদ যা ধারণ বা পোষণ করে= ধর্ম। যা নিজের দ্বারা অর্জিত স্বোপার্জিত যা পান করার যোগ্য= পেয়। যা পুনঃ পুনঃ দীপ্তি পাচ্ছে= দেদীপ্যমান যা পুনঃ পুনঃ দুলছে= দোদুল্যমান যা পূর্বে কখনো হয় নি= অভূতপূর্ব যা পূর্বে চিন্তা করা যায় নি= অচিন্তিতপূর্ব যা প্রকাশ করা হয় নি= অব্যক্ত যা প্রতিরোধ করা যায় না= অপ্রতিরোধ্য। যা প্রমাণ করা যায় না= অপ্রমেয় যা বচন /বাক্যে প্রকাশযোগ্য নয়= অনির্বচনীয় যা বলা হচ্ছে= বক্ষ্যমাণ যা বহন করা হচ্ছে= নীয়মান যা বিক্রয় করার যোগ্য= বিক্রেয় যা মাটি ভেদ করে ওঠে= উদ্ভিদ। যা মুছে ফেলা যায় না= দুর্মোচ্য যা শল্য-ব্যথা দূরীকৃত করে= বিশল্যকরণী যা সহজে জানা যায় না= দুয়ে । যা অধ্যয়ন করা হয়েছে= অধীত। যা আঘাত পায়নি= অনাহত। যা উদিত হচ্ছে= উদীয়মান। যা কখনো নষ্ট হয় না= অবিনশ্বর। যা চিন্তা করা যায় না= অচিন্তনীয়, অচিন্ত্য। যা জলে ও স্থলে চরে= উভচর। যা জলে চরে= জলচর। যা থলে চরে= থলচর। যা দমন করা কষ্টকর= দুর্দমনীয়। যা দমন করা যায় না= অদম্য। যা নিবারণ করা কষ্টকর= দুর্নিবার। যা বার বার দুলছে= দোদুল্যমান। যা বিনা যত্নে লাভ করা গিয়েছে= অযত্বলন্ধ। যা মর্ম স্পর্শ করে= মর্মস্পর্শী। যা সম্পন্ন করতে বহু ব্যয় হয়= ব্যয়বহুল। যা সাধারণের মধ্যে দেখা যায় না এমন= অনন্যসাধারণ। যার আকার কুৎসিত= কদাকার। যা অতিক্রম করা যায় না= অনতিক্রম্য যা অনুভব করা হচ্ছে= অনুভূয়মান যা অপনয়ন (দূর) করা কষ্টকর= দূরপনেয় যা অপনয়ন (দূর) করা যায় না= অনপনেয় যা অস্ত যাচ্ছে= অস্তায়মান যা আগুনে পোড়ে না= অগ্নিসহ। যা আঘাত পায় নি= অনাহত যা অতি দীর্ঘ নয় = নাতিদীর্ঘ। যা কষ্টে জয় করা যায় = দুর্জয়। যা কষ্টে লাভ করা যায় = দুর্লভ। যা কোথাও উঁচু কোথাও নিচু = বন্ধুর। যা ক্রমশ বর্ধিত হচ্ছে = বর্ধিষ্ণু। যা খুব শীতল বা উষ্ণ নয় = নাতিশীতাষ্ণ। যা দীপ্তি পাচ্ছে = দেদীপ্যমান। যা পূর্বে ছিল এখন নেই = ভূতপূর্ব। যা পূর্বে দেখা যায় নি = অদৃষ্টপূর্ব যা পূর্বে শোনা যায় নি = অশ্রুতপূর্ব যা বলা হয় নি = অনুক্ত যা বলার যোগ্য নয় = অকথ্য যার অন্য উপায় নেই = অনন্যোপায়। যার উপস্থিত বুদ্ধি আছে = প্রত্যুৎপন্নমতি যার বংশ পরিচয় এবং স্বভাব কেউই জানে না = অজ্ঞাতকুলশীল যার সর্বস্ব হারিয়ে গেছে = সর্বহারা, হৃতসর্বস্ব। যার কোনো উপায় নেই= নিরুপায়। যার কোনো কিছু থেকেই ভয় নেই= অকুতোভয়। যার প্রকৃত বর্ণ ধরা যায় না= বর্ণচোরা। যার বিশেষ খ্যাতি আছে= বিখ্যাত। যার অর্থ নেই= অর্থহীন যার ঈহা (চেষ্টা) নেই= নিরীহ যার কোনো তিথি নেই= অতিথি যার চারদিকে স্থল= হ্রদ যার দাড়ি গোঁফ উঠে নি= অজাতশত্রু যার দুই দিক বা চার দিকে জল= দ্বীপ যার দুটি মাত্র দাঁত= দ্বিরদ যার দুবার জন্ম হয়= দ্বিজ যার দুহাত সমান চলে= সব্যসাচী যার পুত্র নেই= অপুত্রক যার পূর্বজন্মের কথা স্মরণ আছে= জাতিস্মর যার বরাহের (শূকর) মতো খুর= বরাখুরে যার বেশবাস সংবৃত নয়= অসংবৃত যার শুভ ক্ষণে জন্ম= ক্ষণজন্মা যিনি অতিশয় হিসাবি= পাটোয়ারি যিনি বক্তৃতা দানে পটু = বাগ্মী। যুদ্ধ থেকে যে বীর পালায় না= সংশপ্তক যুদ্ধে স্থির থাকেন যিনি= যুধিষ্ঠির যে (পুরুষ) দ্বার পরিগ্রহ করে নি= অকৃতদার যে (পুরুষ) দ্বার পরিগ্রহ করেছে= কৃতদার যে (পুরুষ) প্রথম স্ত্রী জীবিত থাকতে দ্বিতীয় দার পরিগ্রহ করেছে= অধিবেত্তা যে অগ্র-পশ্চাৎ চিন্তা না-করে কাজ করে= অবিমৃশ্যকারী যে অন্য দিকে মন দেয় না= অনন্যমনা যে অপরের লেখা চুরি করে নিজনামে চালায়= কুম্ভীলক যে আকৃষ্ট হচ্ছে= কৃষ্যমাণ যে আপনাকে কৃতার্থ মনে করে= কৃতার্থম্মন্য যে আপনাকে পণ্ডিত মনে করে =পণ্ডিতম্মন্য যে আপনাকে হত্যা করে= আত্মঘাতী যে আলোতে কুমুদ ফোটে= কৌমুদী যে গমন করে না= নগ যে গাঁজায় নেশা করে= গেঁজেল যে গাভি প্রসবও করে না,দুধও দেয় না= গোবশা। যে গৃহের বাইরে রাত্রিযাপন করতে ভালোবাসে= বারমুখো । যে জমিতে দুবার ফসল হয়= দো-ফসলি যে জমিতে ফসল জন্মায় না= ঊষর যে তির নিক্ষেপে পটু= তিরন্দাজ যে দিন তিন তিথির মিলন ঘটে= ত্র্যহস্পর্শ যে নারী (বা গাভী) দুগ্ধবতী= পয়স্বিনী যে নারী অঘটন ঘটাতে পারদর্শী= অঘটনঘটনপটিয়সী যে নারী অতি উজ্জ্বল ও ফর্সা= মহাশ্বেতা যে নারী অপরের দ্বারা প্রতিপালিতা= পরভৃতা বা পরভৃতিকা যে নারী আনন্দ দান করে= বিনোদিনী যে নারী একবার সন্তান প্রসব করেছে= কাকবন্ধ্যা যে নারী কহলপ্রিয়= খাপ্তানী যে নারী চিত্রে অর্পিতা বা নিবদ্ধা= চিত্রার্পিতা যে নারী দেহ সৌষ্ঠব সম্পন্না= অঙ্গনা যে নারী পূর্বে অন্যের স্ত্রী ছিল= অন্যপূর্বা যে নারী প্রিয় বাক্য বলে= প্রিয়ংবদা যে নারী বার (সমূহ) গামিনী= বারাঙ্গনা। যে নারী বীর= বীরাঙ্গনা যে নারী শিশুসন্তানসহ বিধবা= বালপুত্রিকা যে নারী সাগরে বিচরণ করে= সাগরিকা যে নারী সুন্দরী= রামা যে নারী সূর্যকে দেখে না (অন্তঃপুরে থাকে)= অসূর্যম্পশ্যা যে নারী স্বয়ং পতি বরণ করে= স্বয়ংবরা যে নারীর (মেয়ের বিয়ে হয় নি= কুমারী যে নারীর অসূয়া (হিংসা) নেই= অনসূয়া যে নারীর দুটি মাত্র পুত্র= দ্বিপুত্রিকা। যে নারীর নখ শূৰ্পের (কুলা)মত= শূর্পণখা যে নারীর পঞ্চ স্বামী= পঞ্চভর্তকা যে নারীর বিয়ে হয় না= অনূঢ়া(আইবুড়ো অর্থে) যে নারীর বিয়ে হয়েছে= ঊঢ়া যে নারীর সতীন/শত্রু নেই= নিঃসপ্ত যে নারীর সন্তান হয় না= বন্ধ্যা যে নারীর সম্প্রতি বিয়ে হয়েছে= নবোঢ়া। যে নারীর সহবাসে মৃত্যু হয়= বিষকন্যকা যে নারীর স্বামী (ভর্তা) বিদেশে থাকে= প্রোষিতভর্তৃকা যে নারীর স্বামী ও পুত্র জীবিত= বীরা বা পুরন্ধ্রী যে নারীর স্বামী ও পুত্র মৃত= অবীরা যে নারীর স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করেছে= অধিবিন্না যে নারীর হাসি কুটিলতাবর্জিত= শুচিস্মিতা যে ক্রমাগত রোদন করছে = রোরুদ্যমান। যে নারী বীর সন্তান প্রসব করে = বীরপ্রসূ যে নারীর সন্তান বাঁচে না = মৃতবৎসা। যে বন হিংস্র জন্তুতে পরিপূর্ণ = শ্বাপদসংকুল যে বিষয়ে কোনো বিতর্ক (বা বিসংবাদ) নেই = অবিসংবাদিত। যে রব শুনে এসেছে = রবাহুত যে রোগ নির্ণয় করতে হাতড়িয়ে ক্লান্ত = হাতুড়ে যে গাছ অন্য গাছকে আশ্রয় করে বাঁচে= পরগাছা। যে গাছ কোনো কাজে লাগে না= আগাছা। যে গাছে ফল ধরে, কিন্তু ফুল ধরে না= বনস্পতি। যে নারী জীবনে একমাত্র সন্তান প্রসব করেছে= কাককন্ধ্যা। যে নারী নিজে বর বরণ করে নেয়= স্বয়ংবরা। যে নারীর কোনো সন্তান হয় না= বন্ধ্যা। যে পুরুষ বিয়ে করেছে= কৃতদার। যে পুরুষের চেহারা দেখতে সুন্দর= সুদর্শন। যে বাতু থেকে উৎখাত হয়েছে= উদ্বাস্তু। যে ভবিষ্যৎ না ভেবেই কাজ করে= অবিমৃষ্যকারী। যে ভবিষ্যতের চিন্তা করে না বা দেখে না= অপরিণামদর্শী। যে মেয়ের বিয়ে হয়নি= অনুঢ়া। যে শুনেই মনে রাখতে পারে= শ্রুতিধর। যে সকল অত্যাচারই সয়ে যায়= সর্বংসহা। (যে পুরুষ) পত্নী সহ বর্তমান= সপত্নীক (যে পুরুষ) স্ত্রীর বশীভূত= স্ত্রৈণ যে নারীর হাসি সুন্দর= সুস্মিতা যে পরের গুণেও দোষ ধরে= অসূয়ক যে পুত্রের মাতা কুমারী= কানীন যে পুরুষের স্ত্রী বিদেশে থাকে= প্রোষিতপত্নীক বা প্রোষিতভার্য যে বিদ্যা লাভ করেছে= কৃতবিদ্য যে বৃক্ষের ফল হয় কিন্তু ফুল হয় না= বনস্পতি যে মেঘে প্রচুর বৃষ্টি হয়= সংবর্ত যে মেয়ের বয়স দশ বৎসর= কন্যকা। যে রূপ ইচ্ছা= যদৃচ্ছা যে সন্তান পিতার মৃত্যুর পর জন্মে= মরণোত্তরজাতক যে সব গাছ থেকে ঔষধ প্রস্তুত হয়= ঔষধি। যে সমাজের (বর্ণের) অন্তদেশে জন্মে= অন্ত্যজ যে সর্বত্র গমন করে= সর্বগ যে সুপথ থেকে কুপথে যায়= উন্মার্গগামী যেখানে মৃতজন্তু ফেলা হয়= ভাগাড় /উপশল্য |
র |
---|
রক্ত বর্ণ পদ্ম= কোকনদ রমণ বা রতিক্রিয়ার ইচ্ছা= রিরংসা রঙ্গমঞ্চে দর্শনীয় চিত্রপট= দৃশ্যপট রস আস্বাদন করা হয় যার দ্বারা= রসনা রাজহাঁস কর্কশ ডাক= ক্রেঙ্কার রাহ বা রাস্তায় ডাকাতি= রাহাজানি রাত্রিকালীন যুদ্ধ= সৌপ্তিক রাত্রির তিনভাগ একত্রে= ত্রিযামা রাত্রির প্রথম ভাগ= পূর্বরাত্র রাত্রির মধ্যভাগ= মহানিশা রাত্রির শেষভাগ= পররাত্র রেশমের দ্বারা তৈরি= রেশমি রোগ নির্ণয় করতে হাতড়ে বেড়ায় যে= হাতুড়ে রোজের উপার্জন= রুজি রোদে শুকোনো আম= আমশি রেশম দিয়ে নির্মিত= রেশমি |
ল |
---|
লয় প্রাপ্ত হয়েছে যা= লীন লবণ কম দেওয়া হয়েছে এমন= আলুনি লাভ করার ইচ্ছা = লিপ্সা। লাফিয়ে চলে যে= প্লবগ লোক গণনা= আদমশুমারি |
শ |
---|
শত পাপড়িবিশিষ্ট=
শতদল শত্রুকে জয় করেন যিনি= পরঞ্জয়/ শত্রুজিৎ/ অরিন্দম শাসন করা যায় যাকে= শিষ্য শোক দূর হয়েছে যার= বীতশোক শোনামাত্র যার মনে থাকে= শ্রুতিধর শোনা হচ্ছে যা= ক্রয়মাণ শুকনো পাতার শব্দ= মর্মর। শুভক্ষণে জন্ম যার= ক্ষণজন্মা। শৃঙ্খলা মানে না যে= উচ্ছৃঙ্খল শ্রমহেতু সর্বাঙ্গ থেকে ঘাম নিঃসরণ= গলদঘর্ম শ্রদ্ধা হারিয়েছে এমন= বীতশ্রদ্ধ |
ষ |
---|
ষাট বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত উৎসব= হীরকজয়ন্তী ষোল বছর বয়স্কা= ষোড়শী |
স |
---|
সভার সদস্য= সভ্য সমতার অভাব= সাম্য সকলের মধ্যে প্রবীণ বা জ্যেষ্ঠ= সার্বজনীন সকলের জন্য প্রযোজ্য = সর্বজনীন। সকলের জন্য হিতকর বা মঙ্গলজনক= সর্বজনীন সদ্য দোহনকৃত উষ্ণ দুধ= ধারোষ্ণ সব কিছু সহ্য করেন যিনি= সর্বংসহা সমুদ্র থেকে হিমালয় পর্যন্ত= আসমুদ্রহিমাচল সমুদ্রের ঢেউ= ঊর্মি। সমুদ্রের ঢেউয়ের শব্দ= কল্লোল সরোবরে জন্যে যা= সরোজ সম্মুখে অগ্রসর হয়ে অভ্যর্থনা= প্রত্যুদগমন সর্বত্র গমন করেন যিনি= সর্বগ সাপের খোলস= নিমোক বা কধুক সাক্ষাৎ দ্রষ্টা= সাক্ষী সিংহের নাদ(ডাক)= হুঙ্কার সুদে টাকা খাটানো= তেজারতি সুপথ থেকে কুপথে যাওয়া= উন্মার্গগামী সূর্যের ভ্রমণপথের আপাত অংশ বা পরিমাণ= অয়নাংশ সূর্যোদয় থেকে পরবর্তী সূর্যোদয় পর্যন্ত ২৪ঘণ্টা সময়= সাবন সূর্যোদয়ের অব্যবহিত পূর্ববর্তী এক ঘন্টা বিশ মিনিট কাল= ব্রাহ্মমুহূর্ত সৃষ্টি করতে ইচ্ছুক এমন= সিসৃক্ষু সৃষ্টি করার ইচ্ছা= সিসৃক্ষা সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বে বিশ্বাস আছে যার= আস্তিক সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বে বিশ্বাস নাই যার= নাস্তিক সেবা করার ইচ্ছা= শুশ্রূষা সৈনিকদলের বিশ্রাম শিবির/ তাঁবু/ ছাউনি= স্কন্ধাবার স্তন্য পান করে যে= স্তন্যপায়ী। স্ত্রী সঙ্গে বর্তমান= সস্ত্রীক স্পৃহা হারিয়েছেন যিনি= বীতস্পৃহা স্বপ্নে (ঘুমে) শিশুর স্বগত হাসি-কান্না= দেয়ালা স্বমত অন্যের উপর চাপিয়ে দেয় যে= স্বৈরাচারী স্বাদ গ্রহণ করা হয়েছে এমন= স্বাদিত স্বামীর চিতায় স্ত্রীকে পুড়ে মারা= সহমরণ স্বর্গ ও মর্ত্য= ক্রন্দসী স্বার্থের জন্য অন্যায় অর্থ প্রদান (ঘুষ)= উপদা স্মরণ করার যোগ্য= স্মরণার্হ |
হ |
---|
হঠাৎ থেমে যাওয়া= থমকান হনন করার ইচ্ছা = জিঘাংসা হাতের কবজি= মণিবন্ধ হাতের কবজি থেকে আঙুলের ডগা পর্যন্ত= পাণি হাতের কনুই থেকে কবজি পর্যন্ত অংশ= প্রকোষ্ঠ হাতের প্রথম আঙুল= অঙ্গুষ্ঠ হাতের দ্বিতীয় আঙুল= তর্জনী। হাতের তৃতীয় আঙুল= মধ্যমা। হাতের চতুর্থ আঙুল= অনামিকা। হাতের পঞ্চম আঙুল= কনিষ্ঠা। হাতের তেলো বা তালু= করতল। হরিণের চর্ম(চামড়া)= অজিন হরিণের চর্মের আসন= অজিনাসন হরেক রকম বলে যে= হরবোলা হস্তী, অশ্ব, রথ, পদাতিকের সমাহার= চতুরঙ্গ হাতির ডাক/গর্জন= বৃংহণ বা বৃংহিত হাতি রাখার স্থান= পিলখানা/ হাতিশালা হাতি বাঁধার দড়ি= বারি হাতির পা বেঁধে রাখার শেকল= আন্দু হাতির পিঠে আরোহী বসার স্থান= হাওদা হাতির শাবক(বাচ্চা)= করভ হস্তী তাড়নের নিমিত্তে ব্যবহৃত লৌহদণ্ড = অঙ্কুশ হিত ইচ্ছা করে যে= হিতৈষী হেমন্তকালে উৎপন্ন ফসল= হৈমন্তিক হত্যা করে যে= হন্তারক হৃদয় বিদীর্ণ করে যা= হৃদয়বিদারক হৃদয় স্পর্শ করে যে= হৃদয়স্পর্শী |
১ ২ ৩ ৪ ৫ ৬ ৭ ৮ ৯ ০ |
---|
২৫ বছর পূর্তিতে হয়= রজতজয়ন্তী ৪০ বছর পূর্তিতে হয়= রুবিজয়ন্তী ৫০ বছর পূর্তিতে হয়= সুবর্ণজয়ন্তী ৬০ বছর পূর্তিতে হয়= হীরকজয়ন্তী ৬৫ বছর পূর্তিতে হয়= নীলাজয়ন্তী ৭৫ বছর পূর্তিতে হয়= প্লাটিনাম জয়ন্তী ১০০ বছর পূর্তিতে হয়= শতবার্ষিক ১৫০ বছর পূর্তিতে হয়= সার্ধশতবার্ষিক |
তথ্যসূত্র : |
---|
১. বাংলা ভাষার ব্যাকরণ: নবম-দশম শ্রেণি, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক
বোর্ড, বাংলাদেশ, ২০২০। ২. বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি: সপ্তম শ্রেণি, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড, বাংলাদেশ, ২০২৫। ৩. আধুনিক বাংলা অভিধান: বাংলা একাডেমি, এপ্রিল, ২০১৮। ৪. ব্যবহারিক বাংলা অভিধান: বাংলা একাডেমি, ১৮তম , ২০১৫। ৫. বানান আন্দোলন: বানান অ্যাপ। |