এক কথায় প্রকাশ/ বাক্য সংকোচন

এক কথায় প্রকাশ/ বাক্য সংকোচন
এক কথায় প্রকাশ/ বাক্য সংকোচন

অ, আ
অকালে পক্ক হয়েছে যা = অকালপক্ব।
অকালে যাকে জাগরণ করা হয়= অকালবোধন।
অকস্মাৎ ধৃত= কাকতালীয়।
অনুতে (পশ্চাতে) জন্মেছে যে = অনুজ।
অভিজ্ঞতার অভাব আছে যার = অনভিজ্ঞ।
অহংকার নেই যার = নিরহংকার।
অকর্মণ্য গবাদি পশু রাখার স্থান= পিঁজরাপোল।
অকালে উৎপন্ন কুমড়া= অকালকুষ্মাণ্ড।
অক্ষিপত্রের লোম= অক্ষিপক্ষ্ম
অক্ষিতে কাম যার (যে নারীর)= কামাক্ষী।
অক্ষির অগোচরে= পরোক্ষ।
অক্ষির অভিমুখে= প্রত্যক্ষ।
অক্ষির সমক্ষে বর্তমান= প্রত্যক্ষ।
অক্ষির সমীপে= সমক্ষ।
অগ্রে গমন করে যে= অগ্রগ।
অগ্রে জন্মে যে= অগ্রজ।
অগ্র, পশ্চাৎ ক্রম অনুযায়ী= আনুপূর্বিক।
অগ্র, পশ্চাৎ বিবেচনা না করে কাজ করে যে= অবিমৃষ্যকারী।
অগ্রহায়ণ মাসে সন্ধ্যাকালীন ব্রত (কুমারীদের)= সেঁজুতি।
অঘটন ঘটাতে অতিশয় পটু= অঘটনঘটন পটীয়সী।
অঙ্গের সঙ্গে বর্তমান= সাঙ্গ।
অজকে গ্রাস করে যা= অজগর।
অতর্কিত অবস্থায় হত্যাকারী= আততায়ী।
অতি উচ্চ ধ্বনি= মহানাদ।
অতি উচ্চস্বরে বিকট হাসি= অট্টহাসি।
অতিক্রমের যোগ্য= অতিক্রমণীয়।
অতিক্রম করা যায় না= অনতিক্রমণীয়/অনতিক্রম্য।
অতি নিপুণ কারিগর= ওস্তাগর।
অতি কর্ম নিপুণ ব্যক্তি= করিতকর্মা/কর্মদক্ষ।
অতি দীর্ঘ নয় যা= নাতিদীর্ঘ।
অতি নিকৃষ্ট নর= নরাধম।
অতি আসন্ন= প্রত্যাসন্ন।
অতি বৃদ্ধা নারী= বড়ায়ি।
অতি শীতও নয় উষ্ণও নয় এমন= নাতিশীতোষ্ণ।
অতিশয় ঘটা বা জাঁকজমক= বহবাড়ম্বর।
অতিশয় রমনীয়= সুরম্য।
অতিশয় রক্ষণশীল= দুর্মর
অধর-প্রান্তের হাসি= বক্রোষ্ঠিকা।
অনেকের মধ্যে একজন= অন্যতম।
অনায়াসে লাভ করা যায় যা= অনায়সলব্ধ।
অনুকরণ করার ইচ্ছা= অনুচিকীর্ষা।
অনুসন্ধান করার ইচ্ছা= অনুসন্ধিৎসা।
অন্বেষণ করার ইচ্ছা= অন্বেষা।
অন্তরে জল আছে এমন যে (নদী)= অন্তঃসলিলা
অন্তরে যা ঈক্ষণ (দেখার) যোগ্য= অন্তরিক্ষ
অন্ন-ব্যঞ্জন ছাড়া অন্য আহার্য= জলপান
অন্য কোনো উপায় নেই যার= অনন্যোপায়।
অন্য গতি নাই যার= অগত্যা।
অন্য দিকে মন যার= অন্যমনস্ক।
অন্য দিকে মন নেই যার= অনন্যমনা।
অন্য কোনো গতি নেই যার= অনন্যগতি।
অন্য কোনো কর্ম নেই যার= অনণ্যকর্ম।
অন্য কাল= কালান্তর।
অন্য গতি= গত্যন্তর।
অন্য গৃহ= গৃহান্তর।
অন্য গ্রহ= গ্রহান্তর।
অন্য গ্রাম= গ্রামান্তর।
অন্য দেশ= দেশান্তর।
অন্য যুগ= যুগান্তর।
অন্য রূপ= রূপান্তর।
অন্যের অপেক্ষা করতে হয় না যাকে= অনপেক্ষ।
অন্যের মনোরঞ্জনের জন্য অসত্য ভাষণ= উপচার।
অন্য ভাষায় রূপান্তর= অনুবাদ।
অন্য ভাষায় রূপান্তরিত= অনূদিত।
অন্য লিপিতে রূপান্তর= লিপান্তর।
অপকার করার ইচ্ছা= অপচিকীর্ষা।
অবজ্ঞায় নাক উঁচু করেন যিনি= উন্নাসিক।
অবিবাহিতা জ্যেষ্ঠা থাকার পরও যে কনিষ্ঠার বিয়ে হয়= অগ্রেদিধিষু।
অভ্রান্ত জ্ঞান= প্রমা।
অভ্র (মেঘ) লেহন/স্পর্শ করে যা= অভ্রংলিহ
অরিকে (শত্রুকে) দমন করে যে= অরিন্দম।
অলঙ্কারের ধ্বনি= শিঞ্জন।
অব্যক্ত মধুর যে ধ্বনি= কলতান।
অসি ধ্বনি= ঝঞ্জন।
অষ্টপ্রহর ব্যবহার্য যা= আটপৌরে
অশ্বের ডাক= হ্রেষা।
অশ্ব, রথ, হস্তী, পদাতিক সৈন্যের সমাহার= চতুরঙ্গ।
অশ্ব রাখার স্থান= আস্তাবল।
অশ্ব আরোহণ করে যে সৈনিক= অশ্বারোহী।
অশ্বের চালক= সাদী।

আমার তুল্য= সাদৃশ
আচারে নিষ্ঠা আছে যার = আচারনিষ্ঠ।
আদি থেকে অন্ত পর্যন্ত = আদ্যন্ত, আদ্যোপান্ত।
আপনাকে কেন্দ্র করে যার চিন্তা = আত্মকেন্দ্রিক
আকাশে বেড়ায় যে আকাশচারী= খেচর।
আপনাকে যে পণ্ডিত মনে করে= পণ্ডিতম্মন্য
আপনাকে যিনি কৃতার্থ মনে করেন= কৃতার্থম্মন্য।
আপনাকে অত্যন্ত হীন বলিয়া ভাবে= হীনম্মন্যতা
আপনাকে হত্যা করে যে= আত্মঘাতী।
আপনাকে ভুলে থাকে যে= আত্মভোলা
আপনার বর্ণ (রঙ) লুকায় যে= বর্ণচোরা
আল্লাহর অস্তিত্বে বিশ্বাস আছে যার= আস্তিক।
আল্লাহর অস্তিত্বে বিশ্বাস নেই যার= নাস্তিক।
আল্লাহর প্রদত্ত দ্বীন কায়েমে জীবন দেন যিনি= শহিদ।
আকাশ ও পৃথিবী= ক্রন্দসী
আকাশ ও পৃথিবীর অন্তরাল= রোদসী
আকাশে (খ-তে) ওড়ে যে বাজি= খ-ধূপ
আকাশে (খ-তে) চরে যে= খেচর /খচর
আকাশে বিচরণ করে = নভশ্চর।
আকাশের ন্যায় রঙ= আকাশী।
আজীবন সধবা যে নারী= চিরায়ুষ্মতী।
আনন্দজনক ধ্বনি= নন্দিঘোষ
আভিজাত্যপূর্ণ মনে হলেও আসলে অর্থহীন ও বিভ্রান্তিকর= হিংটিংছট
আয়ুর পক্ষে হিতকর= আয়ুষ্য
আশীর্বাদ ও অভয়দানসূচক হাতের মুদ্রা= বরাভয়।
আশ্বিন মাসের পূর্ণিমা তিথি= কোজাগর
আত্মর সম্বন্ধীয় বিষয়= আধ্যাত্মিক।
আয় অনুসারে ব্যয় করেন যিনি= মিতব্যয়।
আয় অনুসারে ব্যয় করেন না যিনি= অমিতব্যয়।

ই, ঈ
ইহার তুল্য বা সদৃশ= ঐদৃশ।
ইতিহাস বিষয়ে অভিজ্ঞ যিনি = ইতিহাসবেত্তা।
ইতিহাস রচনা করেন যিনি = ঐতিহাসিক।
ইন্দ্রিয়কে জয় করেন যিনি = জিতেন্দ্রিয়।
ঈষৎ আমিষ (আঁষ) গন্ধ যার = আঁষটে।
ইতস্তত গমনশীল বা সঞ্চরণশীল= বিসর্পী।
ইন্দ্রকে জয় করেন যিনি= ইন্দ্রজিৎ।
ইন্দ্রজাল বিদ্যায় পারদর্শী= ঐন্দ্রজালিক
ইন্দ্রের অশ্ব= উচ্চৈঃশ্রবা।
ইউরোপের অধিবাসী= ইউরোপীয়।
ইতর মুনির পুত্র= ঐতরেয়।
ইতঃস্তত ভ্রমণ= বিচরণ।
ইতঃস্তত গমনশীল= ভ্রাম্যমাণ।
ইতিপূর্বে দণ্ডিত ব্যক্তি= দাগি।
ইতিহাস জানেন যিনি= ইতিহাসবিদ, ইতিহাসবেত্তা, ঐতিহাসিক।
ইরানের ভাষা= ফারসি। ফ্রান্সের ভাষা= ফরাসি।
ইরাবতে জাত= ঐরাবত।
ইহলোক বিষয়ক বস্তু= ঐহিক।
ইসলামে অবিশ্বাসী= কাফের।
ইসলাম শাস্ত্র অনুযায়ী নির্দেশ= ফতোয়া।
ইহলোকে সামান্য নয় যাহা= অলোকসামান্য।
ইহলোকের পরবর্তী লোক= পরলোক।
ইক্ষু বিষয়ক= ঐক্ষর।

ঈষৎ উষ্ণ= কবোষ্ণ
ঈষৎ নীলাভবিশিষ্ট = আনীল
ঈষৎ পাংশু বর্ণ = কয়রা
ঈষৎ আমিষ গন্ধ যার = আঁষটে

উ, ঊ
উপকারীর অপকার করে যে = কৃতঘ্ন।
উপকারীর উপকার স্বীকার করে না যে = অকৃতজ্ঞ
উপকারীর উপকার স্বীকার করে যে = কৃতজ্ঞ।
উচচানে অবস্থিত ক্ষুদ্র কুটির= টঙ্গি
উদক পানের ইচ্ছা= উদন্যা
উপদেশ ছাড়া লব্ধ প্রথম জ্ঞান= উপজ্ঞা
উরস দিয়ে হাঁটে যে= উরগ

ঋষির তুল্য= ঋষিকল্প বা ঋষিতুল্য
ঋণ শোধের জন্য যে ঋণ করা হয়= ঋণার্ণ
ঋতুতে ঋতুতে যজ্ঞ করেন যিনি= ঋত্বিক

এ, ঐ
এক বস্তুতে অন্য বস্তুর কল্পনা= অধ্যাস।
একশত পঞ্চাশ বছর= সার্ধশতবর্ষ
এক থেকে শুরু করে ক্রমাগত = একাদিক্রমে।
একই মাতার উদরে জাত যে= সহোদর।

ঐতিহাসিককালেরও আগের= প্রাগৈতিহাসিক

ও, ঔ
------

ক, খ
কর্ম সম্পাদনে পরিশ্রমী = কর্মঠ।
কথার মধ্যে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রসঙ্গ বা প্রবচনাদি প্রয়োগ= বুনি
করার ইচ্ছা= চিকীর্ষা।
কাচের তৈরি বাড়ি= শিশমহল।
কাজে যার অভিজ্ঞতা আছে= করিতকর্মা
কি করতে হবে তা বুঝতে না পারা= কিংকর্তব্যবিমূঢ়
কুকুরের ডাক= বুক্কন
কোকিলের ডাক= কুহু
কোনো কিছু থেকেই যার ভয় নেই= অকুতোভয়
কোনো ভাবেই যা নিবারণ করা যায় না = অনিবার্য।
কপালে আঁকা তিলক - রসকলি
কালো হলুদের মিশানো রং= কপিশ
ক্রমশ নিচু= নাবাল
ক্রমশ নিচু রাস্তা= চড়াই
কামনা দূর হয়েছে যার= বীতকাম
কৃত্রিম জলাশয়= পুষ্করিণী
কুমুদশোভিত পুষ্করিণী= কৌমুদিনী
কথায় কথায় যে কাঁদে= ছিঁচকাঁদুনে
কথায় পটু= বাগীশ
কবির পরিচয় জ্ঞাপক উক্তি= ভণিতা
কুমারীর পুত্র= কানীন
কুবেরের ধন রক্ষক= যক্ষ
কচি তৃর্ণাবৃত ভূমি= শাদ্বল
কটিদেশের বস্ত্র,অলংকার প্রভৃতি= মেখলা
কনুই থেকে বদ্ধ মুষ্টি পর্যন্ত পরিমাণ= রত্নি
কোন বিষয়ে যে শ্রদ্ধা হারিয়েছে= বীতশ্রদ্ধ
কোন বিষয়ে সম্পূর্ণ না জেনে সকল বিষয়ে কিছু কিছু জানা= পল্লবগ্রাহিতা
ক্রীড়নশীল তরঙ্গ= চলোর্মি

ক্ষ
ক্ষমা করার ইচ্ছা= চিক্ষমিষা
ক্ষমার যোগ্য= ক্ষমার্হ।
ক্ষুদ্র অঙ্গ= উপাঙ্গ
ক্ষুদ্র কূপ= পাতকুয়া।
ক্ষুদ্র গাছ= গাছড়া।
ক্ষুদ্র গ্রাম= পল্লিগ্রাম
ক্ষুদ্র চিহ্ন= বিন্দু।
ক্ষুদ্র জাতীয় বক= বলাক।
ক্ষুদ্র ঢাক বা ঢাক জাতীয় বাদ্যযন্ত্র= নাকাড়া
ক্ষুদ্র নদী= সারণি
ক্ষুদ্র নাটক= নাটিকা।
ক্ষুদ্র নালা= নালি।
ক্ষুদ্র প্রলয়= খণ্ডপ্রলয়
ক্ষুদ্র প্রস্তরখণ্ড= নুড়ি
ক্ষুদ্র ফেঁড়া= ফুসকুড়ি
ক্ষুদ্র বা নিচু কাঠের আসন= পিড়ি
ক্ষুদ্র বাগান= বাগিচা
ক্ষুদ্র বিন্দু= ফুটকি
ক্ষুদ্র মৃৎপাত্র= ভাঁড়
ক্ষুদ্র রথ= রথার্ভক
ক্ষুদ্র রাজা= রাজড়া
ক্ষুদ্র লতা= লতিকারুকার
ক্ষুদ্র লেবু= পাতিলেবু
ক্ষুদ্র শিয়াল= খেকশিয়াল
ক্ষুদ্র হাঁস= পাতিহাঁস
ক্ষুদ্রকায় ঘোড়া= টাটু

গ, ঘ
গবাদিপশুর পাল= বাথান
গমন করতে পারে যে= জঙ্গম
গমন করতে পারে না যে= নগ
গ্রন্থাদির টিকা= দীপিকা
গুরুর পত্নী= গুর্বী
গরুর ডাক= রম্ভা
গাধার ডাক= রাসভ
গর্দভের বাসস্থান= খরশাল
গো দোহনকারিনী কন্যা= দুহিতা
গ্রন্থাদির অধ্যায়= স্কন্ধ
গভীর রাত্রি= নিশীথ
গম্ভীর ধ্বনি= মন্দ্র
গোলাপ ফুলের মতো কোমলাঙ্গ= গুলবদন
গোঁফ-দাড়িবিহীন পুরুষ= মাকুন্দ
গোপন করতে ইচ্ছুক= জুগুপ্সু
গোপন করার ইচ্ছা= জুগুপ্সা
গোপন করার যোগ্য= গোপনীয়
গমনের ইচ্ছা= জিগমিষা
গ্রহণ করার ইচ্ছা= জিঘৃক্ষা
গোপন অবস্থান= অজ্ঞাতবাস
গদ্য-পদ্যময় কাব্য= চম্পু
গমন করার ইচ্ছা= জিগমিষা
গম্ভীর ধ্বনি= মন্দ্র।
গরুর খুরে চিহ্নিত স্থান= গোষ্পদ
গুরু বাসগৃহ= গুরুকুল।

ঘরের অভাব= হা-ঘর

চ, ছ
চার অভ্রান্ত জ্ঞান= প্রমা।
চৈত্র মাসে উৎপন্ন ফসল= চৈতালি
চোখের কোণ= অপাঙ্গ
চক্ষুর সম্মুখে সংঘটিত =চাক্ষুষ
চোখ দ্বারা ঈঙ্গিত= চোখ মারা।
চোখে চোখে চাওয়া= চোখাচোখি।
চোখের স্থির চাহনি = নিষ্পলক।
চোখের কঠোর দৃষ্টি= অগ্নিচক্ষু।
যে চোখে মন কাড়ে = মায়াবী আঁখি।

জ, ঝ
জয় করার ইচ্ছা= জিগীষা
জয়ের জন্য যে উৎসব= জয়ন্তী
জলপানের জন্য দেয় অর্থ= জলপানি (বৃত্তি)
জলে ও স্থলে চরে যে= উভচর।
জানবার ইচ্ছা= জিজ্ঞাসা
জীবিত থেকেও যে মৃত = জীবন্মৃত
জ্বল জ্বল করছে যা= জাজ্বল্যমান।
জ্বলছে যে অর্চি(শিখা)= জ্বলদর্চি

ট, ঠ
ঠেঙিয়ে ডাকাতি করে যারা= ঠ্যাঙারে।

ত, থ
তাহার তুল্য= তাদৃশ
তল স্পর্শ করা যায় না যার = অতলস্পর্শী।
তুরিত গমন করতে পারে যে= তুরগ (ঘোড়া)
তৃণাচ্ছাদিত ভূমি= শাল।
ত্রাণ লাভ করার ইচ্ছা= তিতীর্ষা

দ, ধ
দমন করা কষ্টকর যাকে= দুর্দমনীয়
দমন করা যায় না যাকে= অদম্য
দান করার ইচ্ছা= দিৎসা
দিনের অপর ভাগ= অপরাহু
দিনের অপর ভাগ- অপরাহ দিনের পূর্ব ভাগ= পূর্বাহ
দিনের মধ্য ভাগ= মধ্যাহ্ন
দিনের সায়(অবসান) ভাগ= সায়াহ্ন
দিনে যে একবার আহার করে= একাহারী।
দুয়ের মধ্যে একটি= অন্যতর
দেবতা তুল্য= দেবোপম।
দেখবার ইচ্ছা= দিদৃক্ষা
দেখে চোখের আশা মেটে না যাকে= অতৃপ্তদৃশ্য
দ্বারে থাকে যে= দৌবারিক।

ধনুকের ধ্বনি= টঙ্কার
ধন্যবাদের যোগ্য= ধন্যবাদাহ
ধর্মপুরুষ বা সন্ন্যাসীর পর্যটন= পরিব্রাজন
ধর্মীয় কাজ করার জন্য তীর্থভ্রমণ= প্রব্রজ্যা
ধুর (তীক্ষ্ণ বুদ্ধি) ধারণ করে যে= ধুরন্ধর

নষ্ট হওয়া স্বভাব যার= নশ্বর।
নারীর কটিভূষণ= রশনা।
নারীর কোমরবেষ্টনিভূষণ= মেখলা
নারীর লীলাময়ী নৃত্য= লাস্য
নিতান্ত দগ্ধ হয় যে সময়ে (গ্রীষ্মকাল)= নিদাঘ
নিন্দা করার ইচ্ছা= জুগুপ্সা
নির্মাণ করার ইচ্ছা= নির্মিসা
নীল বর্ণ পদ্ম= ইন্দির।
নুনের অভাব= আলুনি
নূপুরের ধ্বনি= নিকৃণ
ন্যায় শাস্ত্র জানেন যিনি= নৈয়ায়িক
নদী মেখলা যে দেশের= নদীমেখলা।
নষ্ট হওয়াই স্বভাব যার= নশ্বর।
নৌকা দ্বারা জীবিকা নির্বাহ করে যে= নাবিক।

প, ফ
পঁচিশ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে পালিত উৎসব= রজতজয়ন্তী
পঙক্তিতে বসার অনুপযুক্ত= অপাঙতেয়
পঞ্চাশ বছর পূর্ণ হওয়ার উৎসব= সুবর্ণজয়ন্তী
পত্নী বর্তমান থাকা সত্ত্বেও পুনর্বিবাহ= অধিবেদন
পত্নীর সাথে বর্তমান= সপত্নীক
পদ্মের ডাঁটা বা নাল= মৃণাল।
পদ্মের ঝাড় বা মৃণালসমূহ= মৃণালিনী
পদ্মের ন্যায় অক্ষি বা চোখ= পুণ্ডরীকাক্ষ
পরকে (কোকিলের শাবককে) পালন করে যে= পরভৃৎ
পরের (কাকের) দ্বারা প্রতিপালিত যে= পরভৃত
পা দিয়ে যে চলে না= পন্নগ
পা থেকে মাথা পর্যন্ত = আপাদমস্তক।
পা ধোয়ার জল= পাদ্য
পান করার ইচ্ছা= পিপাসা
পিতৃগৃহবাসিনী= চিরন্টী
পুণ্যকর্ম সম্পাদনের জন্য শুভ দিন= পুণ্যাহ।
পুরুষের উদ্দাম নৃত্য= তাণ্ডব
পুরুষের কটিবন্ধ= সরাসন
পুরুষের কর্ণভূষণ= বীরবৌলি
পুনঃ পুনঃ দুলছে যা= দোদুল্যমান
পুনঃ পুনঃ জ্বলছে যা= জাজ্বল্যমান
পুনঃ পুনঃ রোদন করেছে যে= রোরুদ্যমান
পুনঃ পুনঃ দীপ্তি পাচ্ছে যে= দেদীপ্যমান
পূর্ব ও পরের অবস্থা= পৌর্বাপর্যয়
পেঁচা বা উলুকের ডাক= হ্যাকার
পৌষ মাসে উৎপন্ন ফসল= পৌষালি
প্রতিকার করার ইচ্ছা= প্রতিচিকীর্ষা
প্রতিবিধান করার ইচ্ছা= প্রতিবিধিৎসা
প্রবেশ করার ইচ্ছা= বিবক্ষা
প্রশংসার যোগ্য= প্রশংসার্হ
প্রাণ ওষ্ঠাগত হবার মতো অবস্থা= লবেজান
প্রায় প্রভাত হয়েছে এমন= প্রভাতকল্পা
প্রিয় কাজ করার ইচ্ছা= প্রিয়চিকীর্ষা।

ফল পাকলে যে গাছ মরে যায়= ওষধি।
ফুল হতে জাত= ফুলেল
ফেলে দেবার যোগ্য= ফেনায়ক

ব, ভ
বিদেশে থাকে যে= প্রবাসী।
বিশ্বজনের হিতকর= বিশ্বজনীন।
বড় ভাই থাকতে ছোটো ভাইয়ের বিয়ে= পরিবেদন।
বন্দুক বা তির ছোড়ার অনুশীলনের জন্য স্থাপিত এ লক্ষ্য= চাঁদমারি
বহু গৃহ থেকে ভিক্ষা সংগ্রহ করা= মাধুকরী/মধুকরী
বাঘের চর্ম= কৃত্তি
বাতাসে (ক-তে)চরে যে= কপোত
বাদ্যযন্ত্রের ধ্বনি= ঝংকার
বাস করার ইচ্ছা= বিবৎসা
বিজয় লাভের ইচ্ছা= বিজিগীষা
বিশেষ খ্যাতি আছে যার= বিখ্যাত
বিহায়সে (আকাশ) বিচরণ করে যে= বিহগ/বিহঙ্গ
বীরের গর্জন= হুঙ্কার
বেঁচে থাকার ইচ্ছা= জিজীবিষা।

ভাবলেশহীন চোখ = উদাস নয়ন।
ভোজন করার ইচ্ছা= বুভুক্ষা
ভুজের সাহায্যে (এঁকে বেঁকে) চলে যে= ভুজগ/ভুজঙ্গ(স)
ভুলহীন ঋষি বাক্য= আপ্তবাক্য
ভ্রমরের শব্দ= গুঞ্জন।

ময়ূরের ডাক= কেকা
মাছিও প্রবেশ করে না যেখানে= নির্মক্ষিক
মাটিতে গড়াগড়ি দিচ্ছে এমন= উপবৃত্ত
মাণের যোগ্য= ঘেয়।
মান্যব্যক্তি বিদায়কালে কিছুদূর এগিয়ে দেওয়া= অনুব্রজন
মান্যব্যক্তিকে অভ্যর্থনার জন্য কিছুদূর এগিয়ে যাওয়া= প্রত্যুৎগমন
মায়া (ছল) জানে না যে= অমায়িক
মাসের শেষ দিন= সংক্রান্তি।
মোরগের ডাক= শকুনিবাদ
মিলনের ইচ্ছায় নায়ক বা নায়িকার সঙ্কেত স্থানে গমন= অভিসার
মুক্তি পেতে ইচ্ছা= মুমুক্ষা
মৃত্তিকার দ্বারা নির্মিত= মৃন্ময়
মৃতের মতো অবস্থা যার= মুমূর্ষ।

মায়া থেকে মুক্ত= অতিমায়
মায়া জানেন যিনি= মায়িক
মায়া বা ছল আশ্রয়ী নয় যিনি= অমায়িক
মেঘের ডাক= মন্ত্র
মেঘের ধ্বনি= জীমূতমন্ত্র
মেঘের গম্ভীরশব্দ= জলদমন্দ্র
মেঘের মতো শ্যাম= ঘনশ্যাম
মুক্তি পেতে ইচ্ছুক= মুমুক্ষু
মরতে বসেছে যে= মুমূক্ষু
মরণের জন্য অনশন= প্রায়োপবেশন
মরার ইচ্ছা= মুমূর্ষা
মরে না যে= অমর
মৃত্যু পর্যন্ত= আমৃত্যু
মৃত্যু কামনা করে অনশন= প্রায়।
মরার মতো= মৃৎবৎ
মনে মনে করা অংক= মানসাঙ্ক
মন্থন করা হয়েছে= মথিত
মাটি দিয়ে তৈরী= মেটে/মৃন্ময়
মাসের শেষ দিন= সংক্রান্তি
মাল দেবার প্রতিশ্রুতিতে দেয়া অগ্রিম অর্থ= দাদন
মাথার টাক= খলতি
মাটিতে গড়াগড়ি দিচ্ছে এমন= উপাবৃত
মহাকাব্যের অধ্যায়= সর্গ
মাটির মত রঙ যার= খাকি
মনুর বংশধর= মানব
মাথা হেঁট করে আছে এমন= অধোবদন
মনোগত ইচ্ছা= ঈপ্সিত
ময়ূরের পুচ্ছ বিস্তার= পেখম
মূর্খের মতো পরের বুদ্ধিতে পরিচালিত ব্যক্তি= গাড়ল

ত, থ
তুরিত গমন করতে পারে যে= তুরগ
তৃণাচ্ছাদিত ভূমি= শাল।
ত্রাণ লাভ করার ইচ্ছা= তিতীর্ষা

য,
যা আহুত হয় নি= অনাহুত
যা উচ্চারণ করা কঠিন= দুরুচ্চার্য।
যা উচ্চারণ করা যায় না= অনুচ্চার্য।
যা উপলব্ধি করা যাচ্ছে= উপলভ্যমান
যা ক্রমশ ক্ষয়প্রাপ্ত হচ্ছে= ক্ষীয়মাণ।
যা ক্রমশ দূরে সরে যাচ্ছে= অপসৃয়মাণ
যা ক্রমশ বিস্তীর্ণ হচ্ছে= ক্রমবিস্তার্যমান
যা ক্রয় করার যোগ্য= ক্রেয়
যা চিবিয়ে খাবার যোগ্য= চর্ব
যা চুষে খাবার যোগ্য= চোষ্য।
যা চেটে খাবার যোগ্য= লেহ্য।
যা জল দেয়= জলদ
যা ধারণ বা পোষণ করে= ধর্ম।
যা নিজের দ্বারা অর্জিত স্বোপার্জিত
যা পান করার যোগ্য= পেয়।
যা পুনঃ পুনঃ দীপ্তি পাচ্ছে= দেদীপ্যমান
যা পুনঃ পুনঃ দুলছে= দোদুল্যমান
যা পূর্বে কখনো হয় নি= অভূতপূর্ব
যা পূর্বে চিন্তা করা যায় নি= অচিন্তিতপূর্ব
যা প্রকাশ করা হয় নি= অব্যক্ত
যা প্রতিরোধ করা যায় না= অপ্রতিরোধ্য।
যা প্রমাণ করা যায় না= অপ্রমেয়
যা বচন /বাক্যে প্রকাশযোগ্য নয়= অনির্বচনীয়
যা বলা হচ্ছে= বক্ষ্যমাণ
যা বহন করা হচ্ছে= নীয়মান
যা বিক্রয় করার যোগ্য= বিক্রেয়
যা মাটি ভেদ করে ওঠে= উদ্ভিদ।
যা মুছে ফেলা যায় না= দুর্মোচ্য
যা শল্য-ব্যথা দূরীকৃত করে= বিশল্যকরণী
যা সহজে জানা যায় না= দুয়ে ।
যা অধ্যয়ন করা হয়েছে= অধীত।
যা আঘাত পায়নি= অনাহত।
যা উদিত হচ্ছে= উদীয়মান।
যা কখনো নষ্ট হয় না= অবিনশ্বর।
যা চিন্তা করা যায় না= অচিন্তনীয়, অচিন্ত্য।
যা জলে ও স্থলে চরে= উভচর।
যা জলে চরে= জলচর।
যা থলে চরে= থলচর।
যা দমন করা কষ্টকর= দুর্দমনীয়।
যা দমন করা যায় না= অদম্য।
যা নিবারণ করা কষ্টকর= দুর্নিবার।
যা বার বার দুলছে= দোদুল্যমান।
যা বিনা যত্নে লাভ করা গিয়েছে= অযত্বলন্ধ।
যা মর্ম স্পর্শ করে= মর্মস্পর্শী।
যা সম্পন্ন করতে বহু ব্যয় হয়= ব্যয়বহুল।
যা সাধারণের মধ্যে দেখা যায় না এমন= অনন্যসাধারণ।
যার আকার কুৎসিত= কদাকার।
যা অতিক্রম করা যায় না= অনতিক্রম্য
যা অনুভব করা হচ্ছে= অনুভূয়মান
যা অপনয়ন (দূর) করা কষ্টকর= দূরপনেয়
যা অপনয়ন (দূর) করা যায় না= অনপনেয়
যা অস্ত যাচ্ছে= অস্তায়মান
যা আগুনে পোড়ে না= অগ্নিসহ।
যা আঘাত পায় নি= অনাহত
যা অতি দীর্ঘ নয় = নাতিদীর্ঘ।
যা কষ্টে জয় করা যায় = দুর্জয়।
যা কষ্টে লাভ করা যায় = দুর্লভ।
যা কোথাও উঁচু কোথাও নিচু = বন্ধুর।
যা ক্রমশ বর্ধিত হচ্ছে = বর্ধিষ্ণু।
যা খুব শীতল বা উষ্ণ নয় = নাতিশীতাষ্ণ।
যা দীপ্তি পাচ্ছে = দেদীপ্যমান।
যা পূর্বে ছিল এখন নেই = ভূতপূর্ব।
যা পূর্বে দেখা যায় নি = অদৃষ্টপূর্ব
যা পূর্বে শোনা যায় নি = অশ্রুতপূর্ব
যা বলা হয় নি = অনুক্ত
যা বলার যোগ্য নয় = অকথ্য

যার অন্য উপায় নেই = অনন্যোপায়।
যার উপস্থিত বুদ্ধি আছে = প্রত্যুৎপন্নমতি
যার বংশ পরিচয় এবং স্বভাব কেউই জানে না = অজ্ঞাতকুলশীল
যার সর্বস্ব হারিয়ে গেছে = সর্বহারা, হৃতসর্বস্ব।
যার কোনো উপায় নেই= নিরুপায়।
যার কোনো কিছু থেকেই ভয় নেই= অকুতোভয়।
যার প্রকৃত বর্ণ ধরা যায় না= বর্ণচোরা।
যার বিশেষ খ্যাতি আছে= বিখ্যাত।
যার অর্থ নেই= অর্থহীন
যার ঈহা (চেষ্টা) নেই= নিরীহ
যার কোনো তিথি নেই= অতিথি
যার চারদিকে স্থল= হ্রদ
যার দাড়ি গোঁফ উঠে নি= অজাতশত্রু
যার দুই দিক বা চার দিকে জল= দ্বীপ
যার দুটি মাত্র দাঁত= দ্বিরদ
যার দুবার জন্ম হয়= দ্বিজ
যার দুহাত সমান চলে= সব্যসাচী
যার পুত্র নেই= অপুত্রক
যার পূর্বজন্মের কথা স্মরণ আছে= জাতিস্মর
যার বরাহের (শূকর) মতো খুর= বরাখুরে
যার বেশবাস সংবৃত নয়= অসংবৃত
যার শুভ ক্ষণে জন্ম= ক্ষণজন্মা
যিনি অতিশয় হিসাবি= পাটোয়ারি
যিনি বক্তৃতা দানে পটু = বাগ্মী।
যুদ্ধ থেকে যে বীর পালায় না= সংশপ্তক
যুদ্ধে স্থির থাকেন যিনি= যুধিষ্ঠির

যে (পুরুষ) দ্বার পরিগ্রহ করে নি= অকৃতদার
যে (পুরুষ) দ্বার পরিগ্রহ করেছে= কৃতদার
যে (পুরুষ) প্রথম স্ত্রী জীবিত থাকতে দ্বিতীয় দার পরিগ্রহ করেছে= অধিবেত্তা
যে অগ্র-পশ্চাৎ চিন্তা না-করে কাজ করে= অবিমৃশ্যকারী
যে অন্য দিকে মন দেয় না= অনন্যমনা
যে অপরের লেখা চুরি করে নিজনামে চালায়= কুম্ভীলক
যে আকৃষ্ট হচ্ছে= কৃষ্যমাণ
যে আপনাকে কৃতার্থ মনে করে= কৃতার্থম্মন্য
যে আপনাকে পণ্ডিত মনে করে =পণ্ডিতম্মন্য
যে আপনাকে হত্যা করে= আত্মঘাতী
যে আলোতে কুমুদ ফোটে= কৌমুদী
যে গমন করে না= নগ
যে গাঁজায় নেশা করে= গেঁজেল
যে গাভি প্রসবও করে না,দুধও দেয় না= গোবশা।
যে গৃহের বাইরে রাত্রিযাপন করতে ভালোবাসে= বারমুখো ।
যে জমিতে দুবার ফসল হয়= দো-ফসলি
যে জমিতে ফসল জন্মায় না= ঊষর
যে তির নিক্ষেপে পটু= তিরন্দাজ
যে দিন তিন তিথির মিলন ঘটে= ত্র্যহস্পর্শ
যে নারী (বা গাভী) দুগ্ধবতী= পয়স্বিনী
যে নারী অঘটন ঘটাতে পারদর্শী= অঘটনঘটনপটিয়সী
যে নারী অতি উজ্জ্বল ও ফর্সা= মহাশ্বেতা
যে নারী অপরের দ্বারা প্রতিপালিতা= পরভৃতা বা পরভৃতিকা
যে নারী আনন্দ দান করে= বিনোদিনী
যে নারী একবার সন্তান প্রসব করেছে= কাকবন্ধ্যা
যে নারী কহলপ্রিয়= খাপ্তানী
যে নারী চিত্রে অর্পিতা বা নিবদ্ধা= চিত্রার্পিতা
যে নারী দেহ সৌষ্ঠব সম্পন্না= অঙ্গনা
যে নারী পূর্বে অন্যের স্ত্রী ছিল= অন্যপূর্বা
যে নারী প্রিয় বাক্য বলে= প্রিয়ংবদা
যে নারী বার (সমূহ) গামিনী= বারাঙ্গনা।
যে নারী বীর= বীরাঙ্গনা
যে নারী শিশুসন্তানসহ বিধবা= বালপুত্রিকা
যে নারী সাগরে বিচরণ করে= সাগরিকা
যে নারী সুন্দরী= রামা
যে নারী সূর্যকে দেখে না (অন্তঃপুরে থাকে)= অসূর্যম্পশ্যা
যে নারী স্বয়ং পতি বরণ করে= স্বয়ংবরা
যে নারীর (মেয়ের বিয়ে হয় নি= কুমারী
যে নারীর অসূয়া (হিংসা) নেই= অনসূয়া
যে নারীর দুটি মাত্র পুত্র= দ্বিপুত্রিকা।
যে নারীর নখ শূৰ্পের (কুলা)মত= শূর্পণখা
যে নারীর পঞ্চ স্বামী= পঞ্চভর্তকা
যে নারীর বিয়ে হয় না= অনূঢ়া(আইবুড়ো অর্থে)
যে নারীর বিয়ে হয়েছে= ঊঢ়া
যে নারীর সতীন/শত্রু নেই= নিঃসপ্ত
যে নারীর সন্তান হয় না= বন্ধ্যা
যে নারীর সম্প্রতি বিয়ে হয়েছে= নবোঢ়া।
যে নারীর সহবাসে মৃত্যু হয়= বিষকন্যকা
যে নারীর স্বামী (ভর্তা) বিদেশে থাকে= প্রোষিতভর্তৃকা
যে নারীর স্বামী ও পুত্র জীবিত= বীরা বা পুরন্ধ্রী
যে নারীর স্বামী ও পুত্র মৃত= অবীরা
যে নারীর স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করেছে= অধিবিন্না
যে নারীর হাসি কুটিলতাবর্জিত= শুচিস্মিতা
যে ক্রমাগত রোদন করছে = রোরুদ্যমান।
যে নারী বীর সন্তান প্রসব করে = বীরপ্রসূ
যে নারীর সন্তান বাঁচে না = মৃতবৎসা।
যে বন হিংস্র জন্তুতে পরিপূর্ণ = শ্বাপদসংকুল
যে বিষয়ে কোনো বিতর্ক (বা বিসংবাদ) নেই = অবিসংবাদিত।
যে রব শুনে এসেছে = রবাহুত
যে রোগ নির্ণয় করতে হাতড়িয়ে ক্লান্ত = হাতুড়ে
যে গাছ অন্য গাছকে আশ্রয় করে বাঁচে= পরগাছা।
যে গাছ কোনো কাজে লাগে না= আগাছা।
যে গাছে ফল ধরে, কিন্তু ফুল ধরে না= বনস্পতি।
যে নারী জীবনে একমাত্র সন্তান প্রসব করেছে= কাককন্ধ্যা।
যে নারী নিজে বর বরণ করে নেয়= স্বয়ংবরা।
যে নারীর কোনো সন্তান হয় না= বন্ধ্যা।
যে পুরুষ বিয়ে করেছে= কৃতদার।
যে পুরুষের চেহারা দেখতে সুন্দর= সুদর্শন।
যে বাতু থেকে উৎখাত হয়েছে= উদ্বাস্তু।
যে ভবিষ্যৎ না ভেবেই কাজ করে= অবিমৃষ্যকারী।
যে ভবিষ্যতের চিন্তা করে না বা দেখে না= অপরিণামদর্শী।
যে মেয়ের বিয়ে হয়নি= অনুঢ়া।
যে শুনেই মনে রাখতে পারে= শ্রুতিধর।
যে সকল অত্যাচারই সয়ে যায়= সর্বংসহা।
(যে পুরুষ) পত্নী সহ বর্তমান= সপত্নীক
(যে পুরুষ) স্ত্রীর বশীভূত= স্ত্রৈণ
যে নারীর হাসি সুন্দর= সুস্মিতা
যে পরের গুণেও দোষ ধরে= অসূয়ক
যে পুত্রের মাতা কুমারী= কানীন
যে পুরুষের স্ত্রী বিদেশে থাকে= প্রোষিতপত্নীক বা প্রোষিতভার্য
যে বিদ্যা লাভ করেছে= কৃতবিদ্য
যে বৃক্ষের ফল হয় কিন্তু ফুল হয় না= বনস্পতি
যে মেঘে প্রচুর বৃষ্টি হয়= সংবর্ত
যে মেয়ের বয়স দশ বৎসর= কন্যকা।
যে রূপ ইচ্ছা= যদৃচ্ছা
যে সন্তান পিতার মৃত্যুর পর জন্মে= মরণোত্তরজাতক
যে সব গাছ থেকে ঔষধ প্রস্তুত হয়= ঔষধি।
যে সমাজের (বর্ণের) অন্তদেশে জন্মে= অন্ত্যজ
যে সর্বত্র গমন করে= সর্বগ
যে সুপথ থেকে কুপথে যায়= উন্মার্গগামী
যেখানে মৃতজন্তু ফেলা হয়= ভাগাড় /উপশল্য

রক্ত বর্ণ পদ্ম= কোকনদ
রমণ বা রতিক্রিয়ার ইচ্ছা= রিরংসা
রঙ্গমঞ্চে দর্শনীয় চিত্রপট= দৃশ্যপট
রস আস্বাদন করা হয় যার দ্বারা= রসনা
রাজহাঁস কর্কশ ডাক= ক্রেঙ্কার
রাহ বা রাস্তায় ডাকাতি= রাহাজানি
রাত্রিকালীন যুদ্ধ= সৌপ্তিক
রাত্রির তিনভাগ একত্রে= ত্রিযামা
রাত্রির প্রথম ভাগ= পূর্বরাত্র
রাত্রির মধ্যভাগ= মহানিশা
রাত্রির শেষভাগ= পররাত্র
রেশমের দ্বারা তৈরি= রেশমি
রোগ নির্ণয় করতে হাতড়ে বেড়ায় যে= হাতুড়ে
রোজের উপার্জন= রুজি
রোদে শুকোনো আম= আমশি
রেশম দিয়ে নির্মিত= রেশমি

লয় প্রাপ্ত হয়েছে যা= লীন
লবণ কম দেওয়া হয়েছে এমন= আলুনি
লাভ করার ইচ্ছা = লিপ্সা।
লাফিয়ে চলে যে= প্লবগ
লোক গণনা= আদমশুমারি

শত পাপড়িবিশিষ্ট= শতদল
শত্রুকে জয় করেন যিনি= পরঞ্জয়/ শত্রুজিৎ/ অরিন্দম
শাসন করা যায় যাকে= শিষ্য
শোক দূর হয়েছে যার= বীতশোক
শোনামাত্র যার মনে থাকে= শ্রুতিধর
শোনা হচ্ছে যা= ক্রয়মাণ
শুকনো পাতার শব্দ= মর্মর।
শুভক্ষণে জন্ম যার= ক্ষণজন্মা।
শৃঙ্খলা মানে না যে= উচ্ছৃঙ্খল
শ্রমহেতু সর্বাঙ্গ থেকে ঘাম নিঃসরণ= গলদঘর্ম
শ্রদ্ধা হারিয়েছে এমন= বীতশ্রদ্ধ


ষাট বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত উৎসব= হীরকজয়ন্তী
ষোল বছর বয়স্কা= ষোড়শী

সভার সদস্য= সভ্য
সমতার অভাব= সাম্য
সকলের মধ্যে প্রবীণ বা জ্যেষ্ঠ= সার্বজনীন
সকলের জন্য প্রযোজ্য = সর্বজনীন।
সকলের জন্য হিতকর বা মঙ্গলজনক= সর্বজনীন
সদ্য দোহনকৃত উষ্ণ দুধ= ধারোষ্ণ
সব কিছু সহ্য করেন যিনি= সর্বংসহা
সমুদ্র থেকে হিমালয় পর্যন্ত= আসমুদ্রহিমাচল
সমুদ্রের ঢেউ= ঊর্মি।
সমুদ্রের ঢেউয়ের শব্দ= কল্লোল
সরোবরে জন্যে যা= সরোজ
সম্মুখে অগ্রসর হয়ে অভ্যর্থনা= প্রত্যুদগমন
সর্বত্র গমন করেন যিনি= সর্বগ
সাপের খোলস= নিমোক বা কধুক
সাক্ষাৎ দ্রষ্টা= সাক্ষী
সিংহের নাদ(ডাক)= হুঙ্কার
সুদে টাকা খাটানো= তেজারতি
সুপথ থেকে কুপথে যাওয়া= উন্মার্গগামী
সূর্যের ভ্রমণপথের আপাত অংশ বা পরিমাণ= অয়নাংশ
সূর্যোদয় থেকে পরবর্তী সূর্যোদয় পর্যন্ত ২৪ঘণ্টা সময়= সাবন
সূর্যোদয়ের অব্যবহিত পূর্ববর্তী এক ঘন্টা বিশ মিনিট কাল= ব্রাহ্মমুহূর্ত
সৃষ্টি করতে ইচ্ছুক এমন= সিসৃক্ষু
সৃষ্টি করার ইচ্ছা= সিসৃক্ষা
সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বে বিশ্বাস আছে যার= আস্তিক
সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বে বিশ্বাস নাই যার= নাস্তিক
সেবা করার ইচ্ছা= শুশ্রূষা
সৈনিকদলের বিশ্রাম শিবির/ তাঁবু/ ছাউনি= স্কন্ধাবার
স্তন্য পান করে যে= স্তন্যপায়ী।
স্ত্রী সঙ্গে বর্তমান= সস্ত্রীক
স্পৃহা হারিয়েছেন যিনি= বীতস্পৃহা
স্বপ্নে (ঘুমে) শিশুর স্বগত হাসি-কান্না= দেয়ালা
স্বমত অন্যের উপর চাপিয়ে দেয় যে= স্বৈরাচারী
স্বাদ গ্রহণ করা হয়েছে এমন= স্বাদিত
স্বামীর চিতায় স্ত্রীকে পুড়ে মারা= সহমরণ
স্বর্গ ও মর্ত্য= ক্রন্দসী
স্বার্থের জন্য অন্যায় অর্থ প্রদান (ঘুষ)= উপদা
স্মরণ করার যোগ্য= স্মরণার্হ

হঠাৎ থেমে যাওয়া= থমকান
হনন করার ইচ্ছা = জিঘাংসা
হাতের কবজি= মণিবন্ধ
হাতের কবজি থেকে আঙুলের ডগা পর্যন্ত= পাণি
হাতের কনুই থেকে কবজি পর্যন্ত অংশ= প্রকোষ্ঠ
হাতের প্রথম আঙুল= অঙ্গুষ্ঠ
হাতের দ্বিতীয় আঙুল= তর্জনী।
হাতের তৃতীয় আঙুল= মধ্যমা।
হাতের চতুর্থ আঙুল= অনামিকা।
হাতের পঞ্চম আঙুল= কনিষ্ঠা।
হাতের তেলো বা তালু= করতল।
হরিণের চর্ম(চামড়া)= অজিন
হরিণের চর্মের আসন= অজিনাসন
হরেক রকম বলে যে= হরবোলা
হস্তী, অশ্ব, রথ, পদাতিকের সমাহার= চতুরঙ্গ
হাতির ডাক/গর্জন= বৃংহণ বা বৃংহিত
হাতি রাখার স্থান= পিলখানা/ হাতিশালা
হাতি বাঁধার দড়ি= বারি
হাতির পা বেঁধে রাখার শেকল= আন্দু
হাতির পিঠে আরোহী বসার স্থান= হাওদা
হাতির শাবক(বাচ্চা)= করভ
হস্তী তাড়নের নিমিত্তে ব্যবহৃত লৌহদণ্ড = অঙ্কুশ
হিত ইচ্ছা করে যে= হিতৈষী
হেমন্তকালে উৎপন্ন ফসল= হৈমন্তিক
হত্যা করে যে= হন্তারক
হৃদয় বিদীর্ণ করে যা= হৃদয়বিদারক
হৃদয় স্পর্শ করে যে= হৃদয়স্পর্শী

১ ২ ৩ ৪ ৫ ৬ ৭ ৮ ৯ ০
২৫ বছর পূর্তিতে হয়= রজতজয়ন্তী
৪০ বছর পূর্তিতে হয়= রুবিজয়ন্তী
৫০ বছর পূর্তিতে হয়= সুবর্ণজয়ন্তী
৬০ বছর পূর্তিতে হয়= হীরকজয়ন্তী
৬৫ বছর পূর্তিতে হয়= নীলাজয়ন্তী
৭৫ বছর পূর্তিতে হয়= প্লাটিনাম জয়ন্তী
১০০ বছর পূর্তিতে হয়= শতবার্ষিক
১৫০ বছর পূর্তিতে হয়= সার্ধশতবার্ষিক

তথ্যসূত্র :
১. বাংলা ভাষার ব্যাকরণ: নবম-দশম শ্রেণি, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড, বাংলাদেশ, ২০২০।
২. বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি: সপ্তম শ্রেণি, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড, বাংলাদেশ, ২০২৫।
৩. আধুনিক বাংলা অভিধান: বাংলা একাডেমি, এপ্রিল, ২০১৮।
৪. ব্যবহারিক বাংলা অভিধান: বাংলা একাডেমি, ১৮তম , ২০১৫।
৫. বানান আন্দোলন: বানান অ্যাপ।

Next Post Previous Post