সাহিত্যে খেলা- প্রমথ চৌধুরী
|
| সাহিত্যে খেলা |
সাহিত্যে খেলা
প্রমথ চৌধুরী
জগৎ-বিখ্যাত ফরাসি ভাস্কর রোদ্যাঁ, যিনি নিতান্ত জড় প্রস্তরের দেহ থেকে অসংখ্য জীবিতপ্রায় দেবদানব কেটে বার করেছেন তিনিও শুনতে পাই, যখন তখন হাতে কাদা নিয়ে, আঙুলের টিপে মাটির পুতুল ত’য়ের করে থাকেন। এই পুতুল গড়া হচ্ছে তাঁর খেলা। শুধু রোদ্যাঁ কেন, পৃথিবীর শিল্পী মাত্রেই এই শিল্পের খেলা খেলে থাকেন। যিনি গড়তে জানেন, তিনি শিবও গড়তে পারেন, বাঁদরও গড়তে পারেন। আমাদের সঙ্গে বড় বড় শিল্পীদের তফাত এইটুকু যে, তাঁদের হাতে এক করতে আর হয় না। সম্ভবত এই কারণে কলারাজ্যের মহাপুরুষদের যা-খুশি তাই করবার যে অধিকার আছে, ইতর শিল্পীদের সে অধিকার নেই। স্বর্গ হতে দেবতারা মধ্যে মধ্যে ভূতলে অবতীর্ণ হওয়াতে কেউ আপত্তি করেন না, কিন্তু মর্তবাসীদের পক্ষে রসাতলে গমন করাটা বিশেষ নিন্দনীয়। অথচ একথা অস্বীকার করবার জো নেই যে, যখন এ জগতে দশটা দিক আছে তখন সেই সব দিকেই গতায়াত করবার প্রবৃত্তিটি মানুষের পক্ষে স্বাভাবিক। মন উঁচুতেও উঠতে চায়, নিচুতেও নামতে চায়। বরং সত্য কথা বলতে গেলে সাধারণ লোকের মন স্বভাবতই যেখানে আছে তারই চারপাশে ঘুরে বেড়াতে চায়, উড়তেও চায় না ডুবতেও চায় না। কিন্তু সাধারণ লোকে সাধারণ লোককে কী ধর্ম, কী নীতি, কী কাব্য, সকল রাজ্যেই অহরহ ডানায় ভর দিয়ে থাকতেই পরামর্শ দেয়। একটু উঁচুতে না চড়লে আমরা দর্শক এবং শ্রোতৃমণ্ডলীর নয়ন মন আকর্ষণ করতে পারি নে। বেদীতে না বসলে আমাদের উপদেশ কেউ মানে না। রঙ্গমঞ্চে না চড়লে আমাদের অভিনয় কেউ দেখে না, আর কাষ্ঠমঞ্চে না দাঁড়ালে আমাদের বক্তৃতা কেউ শোনে না। সুতরাং জনসাধারণের চোখের সম্মুখে থাকবার লোভে আমরাও অগত্যা চব্বিশ ঘণ্টা টঙে চড়ে থাকতে চাই, কিন্তু পারি নে। অনেকের পক্ষে নিজেদের আয়ত্তের বহির্ভূত উচ্চস্থানে ওঠবার চেষ্টাটাই মহাপতনের কারণ হয়। এসব কথা বলবার অর্থ এই যে, কষ্টকর হলেও আমাদের পক্ষে অবশ্য মহাজনদের পথ অনুসরণ করাই কর্তব্য। কিন্তু ডাইনে-বাঁয়ে ছোটখাট গলিঘুঁজিতে খেলাচ্ছলে প্রবেশ করবার যে অধিকার তাদের আছে, সে অধিকারে আমরা কেন বঞ্চিত হব। গান করতে গেলেই যে সুর তারায় চড়িয়ে রাখতে হবে, কবিতা লিখতে হলেই যে মনের শুধু গভীর ও প্রখর ভাব প্রকাশ করতে হবে, এমন কোনো নিয়ম থাকা উচিত নয়। শিল্পরাজ্যে খেলা করবার প্রবৃত্তির ন্যায় অধিকারও বড়-ছোট সকলের সমান আছে। এমনকি, একথা বললেও অত্যুক্তি হয় না যে, এ পৃথিবীতে একমাত্র খেলার ময়দানে ব্রাহ্মণশূদ্রের প্রভেদ নেই। রাখাল ছেলের সঙ্গে দরিদ্রের ছেলেরও খেলায় যোগ দেবার অধিকার আছে। আমরা যদি একবার সাহস করে কেবলমাত্র খেলা করবার জন্য সাহিত্যজগতে প্রবেশ করি, তাহলে নির্বিবাদে সে জগতের রাজ-রাজড়ার দলে মিশে যাব। কোনোরূপ উচ্চ আশা নিয়ে সে ক্ষেত্রে উপস্থিত হলেই নিম্নশ্রেণিতে পড়ে যেতে হবে।
লেখকেরাও অবশ্য দশের কাছে হাততালির প্রত্যাশা রাখেন, বাহবা না পেলে মনঃক্ষুন্ন হন। কেননা তারাই হচ্ছেন যথার্থ সামাজিক জীব, বাদবাকি সকলে কেবলমাত্র পারিবারিক। বিশ্বমানবের মনের সঙ্গে নিত্য নূতন সম্বন্ধ পাতানোই হচ্ছে কবিমনের নিত্যনৈমিত্তিক কর্ম। এমনকি, কবির আপন মনের গোপন কথাটিও গীতিকবিতাতে রঙ্গভূমির স্বগতোক্তি স্বরূপেই উচ্চারিত হয়, যাতে করে সেই মর্মকথা হাজার লোকের কানের ভিতর দিয়ে মরমে প্রবেশ করতে পারে। কিন্তু উচ্চমঞ্চে আরোহণ করে উচ্চৈঃস্বরে উচ্চবাক্য না করলে যে জনসাধারণের নয়ন-মন আকর্ষণ করা যায় না, এমন কোনো কথা নেই। সাহিত্যজগতে যাঁদের খেলা করবার প্রবৃত্তি আছে, সাহস আছে, ক্ষমতা আছে, মানুষের নয়ন-মন আকর্ষণ করবার সুযোগ বিশেষ করে তাদের কপালেই ঘটে। মানুষ যে খেলা দেখতে ভালোবাসে তার পরিচয় তো আমরা জড় সমাজেও নিত্য পাই। টাউনহলে বক্তৃতা শুনতেই বা ক’জন যায় আর গড়ের মাঠে ফুটবল খেলা দেখতেই বা ক'জন যায়। অথচ এ কথাও সত্য যে, টাউনহলের বক্তৃতার উদ্দেশ্য অতি মহৎ, আর গড়ের মাঠের খেলোয়াড়দের ছুটোছুটি, দৌড়াদৌড়ি আগাগোড়া অর্থশূন্য এবং উদ্দেশ্যবিহীন। আসল কথা এই যে, মানুষের দেহমনের সকল প্রকার ক্রিয়ার মধ্যে ক্রীড়া শ্রেষ্ঠ, কেননা তা উদ্দেশ্যহীন। মানুষে যখন খেলা করে, তখন সে এক আনন্দ ব্যতীত অপর কোনো ফলের আকাঙ্ক্ষা রাখে না। যে খেলার ভিতর আনন্দ নেই কিন্তু উপরি পাওনার আশা আছে, তার নাম খেলা নয়, জুয়াখেলা। এবং যেহেতু খেলার আনন্দ নিরর্থক অর্থাৎ অর্থগত নয়, সে কারণে তা কারও নিজস্ব হতে পারে না। এ আনন্দে সকলেরই অধিকার সমান।
সুতরাং সাহিত্যে খেলা করবার অধিকার যে আমাদের আছে, শুধু তাই নয়, স্বার্থ এবং পরার্থ এ দুয়ের যুগপৎ সাধনের জন্য মনোজগতে খেলা করাই হচ্ছে আমাদের পক্ষে সর্বপ্রধান কর্তব্য। যে লেখক সাহিত্য ক্ষেত্রে ফলের চাষ করতে ব্রতী হন, যিনি কোনোরূপ কার্য-উদ্ধারের অভিপ্রায়ে লেখনী ধারণ করেন, তিনি গীতের মর্মও বোঝেন না, গীতার ধর্মও বোঝেন না। কেননা খেলা হচ্ছে জীবজগতে একমাত্র নিষ্কাম কর্ম, অতএব মোক্ষলাভের একমাত্র উপায়। স্বয়ং ভগবান বলেছেন, যদিচ তার কোনোই অভাব নেই তবুও তিনি এই বিশ্ব সৃজন করেছেন, অর্থাৎ সৃষ্টি তাঁর লীলামাত্র। কবির সৃষ্টিও এই বিশ্ব সৃষ্টির অনুরূপ, সে সৃজনের মূলে কোনো অভাব দূর করবার অভিপ্রায় নেই-সে সৃষ্টির মূল অন্তরাত্মার স্ফূর্তি আর তার ফল আনন্দ। এক কথায় সাহিত্য সৃষ্টি জীবাত্মার লীলামাত্র এবং সে লীলা বিশ্বলীলার অন্তর্ভূত; কেননা জীবাত্মা পরমাত্মার অঙ্গ এবং অংশ। সাহিত্যের উদ্দেশ্য সকলকে আনন্দ দেওয়া, কারও মনোরঞ্জন করা নয়। এ দুয়ের ভিতর যে আকাশপাতাল প্রভেদ আছে, সেইটি ভুলে গেলেই লেখকেরা নিজে খেলা না করে পরের জন্যে খেলনা তৈরি করতে বসেন।
সমাজের মনোরঞ্জন করতে গেলে সাহিত্য যে স্বধর্মচ্যুত হয়ে পড়ে, তার প্রমাণ বাংলাদেশে আজ দুর্লভ নয়। কাব্যের ঝুমঝুমি, বিজ্ঞানের চুষিকাঠি, দর্শনের বেলুন, রাজনীতির রাঙালাঠি, ইতিহাসের ন্যাকড়ার পুতুল, নীতির টিনের ভেঁপু এবং ধর্মের জয়ঢাক-এইসব জিনিসে সাহিত্যের বাজার ছেয়ে গেছে। সাহিত্যরাজ্যে খেলনা পেয়ে পাঠকের মনতুষ্টি হতে পারে, কিন্তু তা গড়ে লেখকের মনতুষ্টি হতে পারে না। কারণ পাঠক সমাজ যে খেলনা আজ আদর করে, কাল সেটিকে ভেঙে ফেলে। সে প্রাচ্যই হোক আর পাশ্চাত্যই হোক, কাশীরই হোক আর জার্মানিরই হোক দুদিন ধরে তা কারও মনোরঞ্জন করতে পারে না। আমি জানি যে, পাঠক সমাজকে আনন্দ দিতে গেলে তারা প্রায়শই বেদনা বোধ করে থাকেন। কিন্তু এতে ভয় পাবার কিছুই নেই; কেননা কাব্যজগতে যার নাম আনন্দ, তারই নাম বেদনা।
অপর পক্ষে এ যুগে পাঠক হচ্ছে জনসাধারণ, সুতরাং তাদের মনোরঞ্জন করতে হলে আমাদের অতি সন্তা খেলনা গড়তে হবে, নইলে তা বাজারে কাটবে না। এবং সম্ভা করার অর্থ খেলো করা। বৈশ্য লেখকের পক্ষেই শূদ্র পাঠকের মনোরঞ্জন করা সংগত। অতএব সাহিত্যে আর যাই কর-না কেন, পাঠক সমাজের মনোরঞ্জন করবার চেষ্টা কোরো না।
তবে কি সাহিত্যের উদ্দেশ্য লোককে শিক্ষা দেওয়া? অবশ্য নয়। কেননা কবির মতিগতি শিক্ষকের মতিগতির সম্পূর্ণ বিপরীত। স্কুল না বন্ধ হলে যে খেলার সময় আসে না, এ তো সকলেরই জানা কথা। কিন্তু সাহিত্য রচনা যে আত্মার লীলা, এ কথা শিক্ষকেরা স্বীকার করতে প্রস্তুত নন। সুতরাং শিক্ষা ও সাহিত্যের ধর্মকর্ম যে এক নয়, এ সত্যটি একটু স্পষ্ট করে দেখিয়ে দেওয়া আবশ্যক। প্রথমত শিক্ষা হচ্ছে সেই বস্তু যা লোকে নিতান্ত অনিচ্ছা সত্ত্বেও গলাধঃকরণ করতে বাধ্য হয়, অপর পক্ষে কাব্যরস লোকে শুধু স্বেচ্ছায় নয়, সানন্দে পান করে; কেননা শাস্ত্রমতে সে রস অমৃত। দ্বিতীয়ত শিক্ষার উদ্দেশ্য হচ্ছে মানুষের মনকে বিশ্বের খবর জানানো, সাহিত্যের উদ্দেশ্য মানুষের মনকে জাগানো; কাব্য যে সংবাদপত্র নয়, একথা সকলেই জানেন। তৃতীয়ত অপরের মনের অভাব পূর্ণ করবার উদ্দেশ্যেই শিক্ষকের হস্তে শিক্ষা জন্মলাভ করেছে, কিন্তু কবির নিজের মনের পরিপূর্ণতা হতেই সাহিত্যের উৎপত্তি। সাহিত্যের উদ্দেশ্য যে আনন্দদান করা, শিক্ষা দান করা নয়, একটি উদাহরণের সাহায্যে তার অকাট্য প্রমাণ দেওয়া যেতে পারে।
বাল্মীকি আদিতে মুনি-ঋষিদের জন্য রামায়ণ রচনা করেছিলেন, জনগণের জন্য নয়। এ কথা বলা বাহুল্য যে, বড় বড় মুনি-ঋষিদের কিঞ্চিৎ শিক্ষা দেওয়া তার উদ্দেশ্য ছিল না। কিন্তু রামায়ণ শ্রবণ করে মহর্ষিরাও যে কতদূর আনন্দে আত্মহারা হয়েছিলেন তার প্রমাণ তাঁরা কুশীলবকে তাঁদের যথাসর্বস্ব, এমনকি কৌপীন পর্যন্ত পেলা দিয়েছিলেন। রামায়ণ কাব্য হিসেবে যে অমর এবং জনসাধারণ আজও যে তার শ্রবণে-পঠনে আনন্দ উপভোগ করে তার একমাত্র কারণ, আনন্দের ধর্মই এই যে তা সংক্রামক। অপর পক্ষে লাখে একজনও যে যোগবশিষ্ঠ রামায়ণের ছায়া মাড়ান না তার কারণ, সে বস্তু লোককে শিক্ষা দেবার উদ্দেশ্যে রচিত হয়েছিল, আনন্দ দেবার জন্য নয়। আসল কথা এই যে, সাহিত্য কস্মিনকালেও স্কুলমাস্টারির ভার নেয়নি। এতে দুঃখ করবার কোনো কারণ নেই। দুঃখের বিষয় এই যে, স্কুলমাস্টারেরা একালে সাহিত্যের ভার নিয়েছেন।
কাব্যরস নামক অমৃতে যে আমাদের অরুচি জন্মেছে, তার জন্য দায়ী এ যুগের স্কুল এবং তার মাস্টার। কাব্য পড়বার ও বোঝবার জিনিস, কিন্তু স্কুলমাস্টারের কাজ হচ্ছে বই পড়ানো ও বোঝানো। লেখক এবং পাঠকদের মধ্যে এখন স্কুলমাস্টার দণ্ডায়মান। এই মধ্যস্থদের কৃপায় আমাদের সঙ্গে কবির মনের মিলন দূরে থাক, চার চক্ষুর মিলনও ঘটে না। স্কুলঘরে আমরা কাব্যের রূপ দেখতে পাই নে, শুধু তার গুণ শুনি। টীকা-ভাষ্যের প্রসাদে আমরা কাব্য সম্বন্ধে সকল নিগূঢ় তত্ত্ব জানি, কিন্তু সে কী বস্তু তা চিনিনে। আমাদের শিক্ষকদের প্রসাদে আমাদের এ জ্ঞান লাভ হয়েছে যে, পাথুরে কয়লা হীরার সবর্ণ না হলেও সগোত্র; অপর পক্ষে হীরক ও কাচ যমজ হলেও সহোদর নয়। এর একের জন্ম পৃথিবীর গর্ভে অপরটি মানুষের হাতে; এবং এ উভয়ের ভিতর এক দা-কুমড়ার সম্বন্ধ ব্যতীত অপর কোনো সম্বন্ধ নেই। অথচ এত জ্ঞান সত্ত্বেও আমরা সাহিত্যে কাচকে হীরা এবং হীরাকে কাচ বলে নিত্য ভুল করি, এবং হীরা ও কয়লাকে একশ্রেণিভুক্ত করতে তিলমাত্র দ্বিধা করিনে, কেননা ওরূপ করা যে সঙ্গত তার বৈজ্ঞানিক প্রমাণ আমাদের মুখস্থ আছে। সাহিত্য শিক্ষার ভার নেয় না, কেননা মনোজগতে শিক্ষকের কাজ হচ্ছে কবির কাজের ঠিক উলটো। কারণ কবির কাজ হচ্ছে কাব্য সৃষ্টি করা, আর শিক্ষকের কাজ হচ্ছে প্রথমে তা বধ করা, তারপরে তার শবচ্ছেদ করা, এবং ঐ উপায়ে তার তত্ত্ব আবিষ্কার করা ও প্রচার করা। এই সব কারণে নির্ভয়ে বলা যেতে পারে যে, কারও মনোরঞ্জন করাও সাহিত্যের কাজ নয়। কাউকে শিক্ষা দেওয়াও নয়। সাহিত্য ছেলের হাতের খেলনাও নয়, গুরুর হাতের বেতও নয়।
বিচারের সাহায্যে এই মাত্রই প্রমাণ করা যায়। তবে বস্তু যে কী, তার জ্ঞান অনুভূতিসাপেক্ষ তর্কসাপেক্ষ নয়। সাহিত্যে মানবাত্মা খেলা করে এবং সেই খেলার আনন্দ উপভোগ করে। এ কথার অর্থ যদি স্পষ্ট না হয় তাহলে কোনো সুদীর্ঘ ব্যাখ্যার দ্বারা তা স্পষ্টতর করা আমার অসাধ্য।
এই সব কথা শুনে আমার জনৈক শিক্ষাভক্ত বন্ধু এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন যে, সাহিত্য খেলাচ্ছলে শিক্ষা দেয়।
| ‘সাহিত্যে খেলা’ প্রবন্ধের উৎস নির্দেশ : |
|---|
| প্রমথ চৌধুরীর ‘সাহিত্যে খেলা’ প্রবন্ধটি সর্বপ্রথম প্রকাশিত হয় ‘সবুজপত্র’ পত্রিকার শ্রাবণ ১৩২২ বঙ্গাব্দ (১৯১৫ খ্রিষ্টাব্দ) সংখ্যায়। পরে তা তাঁর ‘প্রবন্ধসংগ্রহ’ (১৯৫২) বইয়ে সংকলিত হয়। |
| ‘সাহিত্যে খেলা’ প্রবন্ধের শব্দার্থ ও টীকা : |
|---|
|
➠ ভাস্কর- প্রস্তরাদি থেকে যে মূর্তি ইত্যাদি নির্মাণ করে, sculptor. ➠ রোদ্যাঁ- ফ্যাঁসোয়া অগুস্ত রোদ্যাঁ (১৮৪০-১৯১৭) বিশ্ববিখ্যাত ফরাসি ভাস্কর। তাঁর শ্রেষ্ঠ কীর্তির মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- ‘নরকের দুয়ার’ ও ‘বাঘার্স অব ক্যালে’। অন্যান্য অবিনশ্বর কীর্তি- ‘চিন্তাবিদ’, ‘আদম’, ‘ইভ’। তিনি ভিক্টর হুগো, বালজাক, বার্নার্ড শ প্রমুখ বিখ্যাত সাহিত্যিকের প্রতিকৃতি নির্মাণ করেন।
নরকের দুয়ার
‘বাঘার্স অব ক্যালে’
‘চিন্তাবিদ’ ➠ ত’য়ের- তৈরি। ➠ শিব- মহাদেব, মঙ্গলকারী দেবতা। ➠ তফাত, তফাৎ- পার্থক্য, প্রভেদ, ব্যবধান। ➠ ইতর- নীচ, অধম। এখানে নগণ্য অর্থে ব্যবহৃত। ➠ কলারাজ্য- শিল্পকলার পরিমণ্ডল। ➠ অবতীর্ণ- অবতার হিসেবে মানুষের মূর্তিতে নেমেছে এমন বা নেমে আসা। ➠ মর্তবাসী- মাটির পৃথিবীর অধিবাসী। ➠ রসাতল- পুরাণে বর্ণিত ষষ্ঠ পাতাল, অধঃপাত, ধ্বংস। ➠ রসাতলে গমন- অধঃপাতে যাওয়া। ➠ জো- উপায়। ➠ দশ দিক- পূর্ব, পশ্চিম, উত্তর, দক্ষিন, ঈশান, বায়ু, অগ্নি, নৈর্ঋত, ঊর্ধ্ব, ও অধঃ। ➠ গতায়াত- যাতায়াত। ➠ প্রবৃত্তি- অভিরুচি, ইচ্ছা, ঝোঁক, আসক্তি। ➠ ডানায় ভর দিয়ে থাকা- শূন্যলোকে ভাসা। ➠ অহরহ- সর্বদা, সতত, নিয়ত। ➠ শ্রোতৃমণ্ডলী- শ্রোতাসাধারণ। ➠ নয়ন- চোখ। ➠ বেদি- বসার জন্য বা বক্তৃতা দেওয়ার জন্য নির্মিত উচ্চ ভূমি বা মঞ্চ। ➠ রঙ্গমঞ্চে- নাটকের মঞ্চে। ➠ কাষ্ঠমঞ্চ- কাঠের তৈরি মাচা; কাঠের তৈরি মঞ্চ। ➠ অগত্যা- অন্য উপায় না থাকায়, নিরুপায় বা বাধ্য হয়ে, অনিচ্ছা সত্ত্বেও। ➠ টঙ/টং- উঁচু মাচা। ➠ মহাজন- অত্যন্ত ধার্মিক ব্যক্তি, সাধু ব্যক্তি, মহৎ ব্যক্তি। ➠ গলিঘুঁজি- রাস্তা। ➠ সুর তারায় চড়িয়ে রাখতে হবে- সুর উচ্চ সপ্তকে ধরে রাখতে হবে। ➠ অত্যুক্তি- বেশি কথা। ➠ নির্বিবাদ- বিবাদশূন্য,নির্বিরোধ; শান্তিপূর্ণ। ➠ রাজ-রাজড়ার- বড়ো রাজা- ছোটা রাজা। ➠ বাহবা- প্রশংসাসূচক উক্তি। ➠ মনঃক্ষুন্ন- পছন্দসই, মনোমতো। ➠ বাদবাকি- অবশিষ্ট। ➠ বিশ্বমানব- সংকীর্ণ জাতীয়তাবাদের ঊর্ধ্বস্থিত মানবজাতি। ➠ নিত্যনৈমিত্তিক- দৈনন্দিন। ➠ গীতিকবিতা- আত্মভাবপ্রধান কবিতা বিশেষ (Lyric)। ➠ রঙ্গভূমি- আমোদ-প্রমোদের জায়গা। অভিনয় প্রদর্শনের স্থান। ➠ স্বগতোক্তি- আপন মনে নিজে নিজে কথা বলা, অন্যের উদ্দেশ্যে বলা হয়নি এমন উক্তি। ➠ মর্মকথা- মনের কথা। ➠ মরমে- মনে। ➠ আরোহণ- ঊর্ধ্বে গমন। ➠ প্রবৃত্তি- ইচ্ছা। ➠ টাউনহল- নাগরিকদের মিলনায়তন বা সভাগৃহ। ➠ গড়ের মাঠ- বৃহৎ শহর বা নগরমধ্যস্থ দুর্গ বা অট্টালিকাসমূহের মধ্যবর্তী মাঠ বা সমতল জমি, esplanade. ➠ আগাগোড়া- সমস্ত; প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত। ➠ ক্রিয়া- কাজ। ➠ ক্রীড়া- খেলা। ➠ উপরি পাওনার- অপ্রত্যাশিত আয়; নিয়ম বহির্ভূত আয়। ➠ জুয়াখেলা- যে খেলায় বাজি রাখা হয়। ➠ নিরর্থক- অর্থহীন; উদ্দেশ্যহীন। ➠ স্বার্থ- নিজের উদ্দেশ্য সিদ্ধি। ➠ পরার্থ- অন্যের হিত, পরোপকার। ➠ যুগপৎ- একত্র। ➠ গীতা- শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা যা সাতশত শ্লোকের ধর্মগ্রন্থ। একে সপ্তশতীও বলা হয়। এটি সংস্কৃত মহাকাব্য মহাভারত-এর অংশ। গীতার বিষয়বস্তু কৃষ্ণ ও পাণ্ডব রাজকুমার অর্জুনের কথোপকথন। যেহেতু বেদব্যাস মহাভারত রচনা করেছিলেন বলে মনে করা হয়, সেহেতু মহাভারতের অংশরূপে গীতাও তার দ্বারাই রচিত বলে ধারণা করা হয়।
শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা
মহাভারত
কৃষ্ণ
অর্জুন ➠ অভিপ্রায়ে- ইচ্ছায়; উদ্দেশ্যে। ➠ নিষ্কাম কর্ম- ফললাভের কামনা করা হয়নি এমন কাজ। ➠ মোক্ষলাভ- ভববন্ধন থেকে মুক্তি লাভ, আত্মার মুক্তি অর্জন। ➠ স্বয়ং- নিজে; আপনি। ➠ যদিচ- যদিও। ➠ সৃজন- সৃষ্টি। ➠ লীলামাত্র- খেলামাত্র। ➠ অন্তরাত্মা- জীবাত্মা; অন্তঃকরণ; প্রাণীর দেহে অবস্থানকারী আত্মা। ➠ স্ফূর্তি- আনন্দ; হর্ষ; উৎসাহ। ➠ জীবাত্মা- প্রাণীর দেহে অবস্থানকারী আত্মা। ➠ পরমাত্মা- পরম ব্রহ্ম, ঈশ্বর, সৃষ্টিকর্তা। ➠ মনোরঞ্জন- তোষামোদ; মনের সন্তোষ সাধন। ➠ আকাশপাতাল- প্রচুর; বিশাল ➠ প্রভেদ- পার্থক্য; ব্যবধান। ➠ আকাশ-পাতাল প্রভেদ- বিস্তর পার্থক্য। ➠ স্বধর্মচ্যুত- নিজস্ব বৈশিষ্ট্য থেকে বিচ্যুত। ➠ দুর্লভ- দুষ্প্রাপ্য; পাওয়া কঠিন এমন। ➠ চুষিকাঠি- কাঠেল তৈরি শিশুদের চুষবার খেলনা বিশেষ। ➠ রাঙালাঠি- লাল লাঠি। ➠ জয়ঢাক- জয়সূচক ঢাকের শব্দ। ➠ মনতুষ্টি- মনের আনন্দ; মনের খুশি। ➠ প্রাচ্য- পূর্ব বা পূর্বদিক; সাধারণত পূর্ব বা এশিয়ার দেশসমূহ। ➠ পাশ্চাত্য- ইউরোপ এবং আমেরিকা মহাদেশের দেশসমূহ। ➠ কাশী- হিন্দু-বৌদ্ধ ধর্মীয় আধ্যাত্মিকতার জন্য বিখ্যাত। এটি হিন্দুদেবতা শিবের অন্যতম পবিত্র তীর্থস্থান এবং ২,০০০-এর বেশি মন্দির রয়েছে, যার মধ্যে বিখ্যাত হলো বারাণসীর কাশী বিশ্বনাথ মন্দির। এটি প্রাচীনতম শহর যা গঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত। ➠ জার্মানি- ইউরোপের সপ্তম বৃহত্তম দেশ। শক্তিশালী অর্থনীতি, উদ্ভাবন, প্রকৌশল, এবং শিল্প ও সংস্কৃতির জন্য বিখ্যাত। এটি বিএমডব্লিউ, মার্সিডিজ-বেঞ্জ, এবং ভক্সওয়াগনের মতো বিখ্যাত গাড়ির ব্র্যান্ডগুলির জন্য দেশটি পরিচিত। ➠ প্রায়শই- সাধারণত; সচরাচর। ➠ খেলো করা- গুরুত্বহীন বা অসার করা। ➠ বৈশ্য- প্রাচীন আর্যসমাজের চতুর্বর্ণের তৃতীয় স্কর-যারা কৃষিকাজ বা ব্যবসা-বাণিজ্য করত। ➠ শূদ্র- প্রাচীন আর্যসমাজের চতুর্বর্ণের নিম্নতম শ্রেণি বা বর্ণ। ➠ মতিগতি- ইচ্ছা ও প্রবণতা; ভাবগতিক; মনের ভাব। ➠ গলাধঃকরণ- ভক্ষণ, পান। ➠ বাল্মীকি- ‘রামায়ণ’ প্রণেতা বিখ্যাত ঋষি ও কবি। প্রাচীন ভারতীয় সাহিত্যের আদি কবি হিসেবে সম্মানিত। যৌবনে তার নাম ছিল রত্নাকর এবং পেশা ছিল দস্যুতা। জনশ্রুতি অনুসারে তিনি ব্রহ্মার উপদেশে দস্যুবৃত্তি ছেড়ে তপস্যামগ্ন হন এবং নারদের উপদেশে ‘রামায়ণ’ রচনা করেন। ➠ মুনি- সাধারণত নীরবতা ও তপস্যার মাধ্যমে জীবনযাপনকারী সাধু বা সন্ন্যাসী। ➠ ঋষি- তপস্যায় সিদ্ধিলাভকারী এবং বৈদিক মন্ত্র বা আধ্যাত্মিক সত্যকে প্রকাশ করতে সক্ষম। যিনি তপস্যা করে পরম জ্ঞান লাভ করেন এবং তা প্রকাশ করার ক্ষমতা রাখেন, তিনিই ঋষি। সব ঋষিই মুনি হতে পারেন, কিন্তু সব মুনি ঋষি নন। ➠ বাহুল্য- বাড়াবাড়ি; অতিরিক্ত; অনাবশ্যক ব্যাপার। ➠ রামায়ণ- বাল্মীকি কর্তৃক দশরথ পুত্র রামচন্দ্রের জীবন-কাহিনী অবলম্বনে রচিত মহাকাব্য। ➠ কিঞ্চিৎ- সামান্য; অল্প। ➠ মহর্ষি- ঋষি শ্রেষ্ঠ; মহান ঋষি। ➠ কুশীলব- নট, অভিনেতা। ➠ যথাসর্বস্ব- সমস্ত কিছু। ➠ কৌপীন- ল্যাঙট। ➠ পেলা- পাঁচালী কীর্তন ইত্যাদির আসরে গায়ক-গায়িকাকে দেওয়া শ্রোতাদের পারিতোষিক। ➠ সংক্রামক- প্রসারিত। ➠ যোগবশিষ্ঠ রামায়ণ- রামচন্দ্রের প্রতি বশিষ্ঠ মুনির উপদেশ সংবলিত সংস্কৃত রামায়ণ। এতে যোগ ও আত্মজ্ঞান সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় উপাখ্যানসহ উপদেশ আকারে আলোচিত হয়েছে। ➠ মাড়ান- পদদলিতকরা; পায়ে পিষ্ট করা। ➠ কস্মিনকালেও- কোনো সময়েই, কখনও। ➠ দণ্ডায়মান- দণ্ডের মতো খাড়া; দাঁড়িয়ে আছে এরূপ; খাড়া। ➠ মধ্যস্থ- মধ্যবর্তিনী; কবি ও শিক্ষকের মাঝামাঝি অবস্থাযুক্ত। ➠ কৃপায়- করুণায়; দয়ায়; অনুগ্রহে। ➠ টীকাভাষ্য- ব্যাখ্যা ও মন্তব্য। ➠ প্রসাদে- গুণে; কারণে। ➠ নিগূঢ়- দুর্জেয়, গভীর ও প্রচ্ছন্ন। ➠ তত্ত্ব- কোনো বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান বা বিদ্যা, মতবাদ। ➠ সবর্ণ- সম রং বিশিষ্ট। একই রঙের। ➠ সগোত্র- একই গোত্রভুক্ত। ➠ দা-কুমড়ার সম্বন্ধ- নিদারুণ শত্রুতার সম্পর্ক; বৈরী সম্পর্ক; মারাত্মক শত্রুতা। ➠ বধ- হত্যা। ➠ শবচ্ছেদ- শবদেহ কেটে পরীক্ষা করা, মড়া কাটা। ➠ অনুভূতিসাপেক্ষ- অনুভূতির সাহায্যে উপলব্ধি করতে হয় এমন। ➠ তর্কসাপেক্ষ- তর্কের মাধ্যমে বিচার বিবেচনা করতে হয় এমন। ➠ মানবাত্মা- মানবের প্রাণ; মানবের হৃদয়। ➠ অসাধ্য- করতে পারা যায় না এমন; চেষ্টার অতীত। ➠ জনৈক- [জনোইকো] কোনো এক ব্যক্তি। ➠ উপনীত- উপস্থিত; আগত। উপরি পাওয়া- বাড়তি আয় উপার্জন। বাজারে কাটা- বিক্রি হওয়া। |
| ‘সাহিত্যে খেলা’ প্রবন্ধের পাঠ-পরিচিতি : |
|---|
|
প্রমথ চৌধুরীর ‘সাহিত্যে খেলা’ প্রবন্ধে সাহিত্যচর্চার আদর্শ ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে লেখকের মতামত ও দৃষ্টিভঙ্গি সুস্পষ্ট পরিচয় ফুটে উঠেছে। লেখাটি ঈষৎ সংক্ষেপিত আকারে এখানে মুদ্রিত হয়েছে। প্রমথ চৌধুরীর মতে, সাহিত্যের উদ্দেশ্য হচ্ছে সকলকে আনন্দ দান করা, কারও মনো গুন করা নয়। সমাজের মনোরঞ্জন করতে গেলে সাহিত্য হয়ে পড়বে স্বধর্মচ্যুত। অন্যদিকে সাহিত্যের উদ্দেশ্য শিক্ষা দান করাও নয়। কারণ পাঠ্যবিষয় মানুষ পড়ে অনিচ্ছায় এবং বাধ্য হয়ে। পক্ষান্তরে সাহিত্যের রসাস্বাদন করে মানুষ স্বেচ্ছায় ও আনন্দে। তাছাড়া শিক্ষার উদ্দেশ্য জ্ঞানের বিষয় জানানো; পক্ষান্তরে সাহিত্যের উদ্দেশ্য মানুষের মনে সাড়া জাগানো। লেখকের মতে, সাহিত্যের সঙ্গে তুলনা চলে খেলাধুলার। খেলাধুলায় যেমন নিছক আনন্দই প্রধান, সাহিত্যেও তাই। খেলাধুলায় যেমন আনন্দ ছাড়া অন্য কোনো উদ্দেশ্য নেই, সাহিত্যের উদ্দেশ্যও তেমনি- একমাত্র আনন্দ দান করা। |
| ‘সাহিত্যে খেলা’ প্রবন্ধের লেখক পরিচিতি : |
|---|
|
বাংলা সাহিত্যে চলিত গদ্যরীতির প্রবর্তক প্রমথ চৌধুরী ছিলেন পরিশীলিত বাগবৈদ্যময় রম্যরচনায় সিদ্ধহস্ত। তাঁর বহু রচনা প্রকাশিত হয়েছে ‘বীরবল’ ছদ্মনামে। বাংলা সাহিত্যে চলিত ভাষারীতির প্রথম মুখপত্র ‘সবুজপত্র’ (প্রথম প্রকাশ: ১৯১৪) পত্রিকাটি ছিল তাঁরই সম্পাদিত। রবীন্দ্রনাথসহ সমকালীন বিখ্যাত মননশীল লেখকদের অনেকেই ছিলেন এই পত্রিকার লেখক। তাঁর গদ্যশৈলীর নিদর্শন রয়েছে চার ইয়ারী কথা, বীরবলের হালখাতা, রায়তের কথা, তেল-নুন-লকড়ি ইত্যাদি গ্রন্থে। তাঁর গল্পগ্রন্থগুলো ও ‘সনেট পঞ্চাশৎ’ কাব্যগ্রন্থ যথাক্রমে গল্পকার ও সনেটকার হিসেবেও বাংলা সাহিত্যে তাঁকে বিশিষ্ট আসন দিয়েছে। প্রমথ চৌধুরীর পৈত্রিক নিবাস পাবনা জেলার হরিপুর গ্রামে। তিনি ১৯৬৮ খ্রিষ্টাব্দে যশোরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর মৃত্যু ১৯৪৬ খ্রিষ্টাব্দে। |
| ‘সাহিত্যে খেলা’ প্রবন্ধের বহুনির্বাচনি প্রশ্ন : |
|---|
প্রশ্ন থেকে
অভিনন্দন!
|
| ‘সাহিত্যে খেলা’ প্রবন্ধের জ্ঞানমূলক প্রশ্ন : |
|---|
| ১. বাংলা সাহিত্যে চলিত গদ্যরীতির প্রবর্তক কে? উত্তর: বাংলা সাহিত্যে চলিত গদ্যরীতির প্রবর্তক প্রমথ চৌধুরী। ২. বাংলা সাহিত্যে চলিত ভাষারীতির প্রথম মুখপত্র হিসেবে পরিচিত পত্রিকাটির নাম কী? উত্তর: বাংলা সাহিত্যে চলিত ভাষারীতির প্রথম মুখপত্র হিসেবে পরিচিত পত্রিকাটির নাম ‘সবুজপত্র’। ৩. ‘সবুজপত্র’ কবে প্রকাশিত হয়? উত্তর: ‘সবুজপত্র’ ১৯১৪ সালে প্রকাশিত হয়। ৪. প্রমথ চৌধুরীর ছদ্মনাম কী? উত্তর: প্রমথ চৌধুরীর ছদ্মনাম ‘বীরবল’। ৫. প্রমথ চৌধুরী সম্পাদিত পত্রিকার নাম কী? উত্তর: প্রমথ চৌধুরী সম্পাদিত পত্রিকার নাম ‘সবুজপত্র’। ৬. প্রাচীন ভারতীয় সাহিত্যের আদিকবি কে? উত্তর: প্রাচীন ভারতীয় সাহিত্যের আদিকবি হলেন বাল্মীকি। ৭. বাল্মীকির আসল নাম কী ছিল? উত্তর: বাল্মীকির আসল নাম ছিল রত্নাকর। ৮. যৌবনে রত্নাকরের পেশা কী ছিল? উত্তর: যৌবনে রত্নাকরের পেশা ছিল দস্যুতা। ৯. ‘কুশীলব’ শব্দের অর্থ কী? উত্তর: ‘কুশীলব’ শব্দের অর্থ অভিনেতা। ১০. পাঁচালী কীর্তন ইত্যাদির আসরে গায়ক-গায়িকাকে দেওয়া শ্রোতাদের পারিতোষিককে কী বলে? উত্তর: পাঁচালী কীর্তন ইত্যাদির আসরে গায়ক-গায়িকাকে দেওয়া শ্রোতাদের পারিতোষিককে পেলা বলে। ১১. ‘যোগবশিষ্ঠ রামায়ণ’-এর রচয়িতা কে? উত্তর: ‘যোগবশিষ্ঠ রামায়ণ’-এর রচয়িতা বশিষ্ঠ মুনি। ১২. যোগবশিষ্ঠ রামায়ণে বশিষ্ঠ মুনি কার প্রতি উপদেশ দিয়েছেন? উত্তর: যোগবশিষ্ঠ রামায়ণে বশিষ্ঠ মুনি রামচন্দ্রের প্রতি উপদেশ দিয়েছেন। ১৩. টীকাভাষ্য কী? উত্তর: টীকাভাষ্য হলো মন্তব্যসহ ব্যাখ্যা ও মন্তব্য। ১৪. ‘সাহিত্যে খেলা’ প্রবন্ধটি সর্বপ্রথম কোন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়? উত্তর: ‘সাহিত্যে খেলা’ প্রবন্ধটি সর্বপ্রথম ‘সবুজপত্র’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। ১৫. কত বঙ্গাব্দে ‘সাহিত্যে খেলা’ প্রবন্ধটি ‘সবুজপত্র’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়? উত্তর: ১৩২২ বঙ্গাব্দে ‘সাহিত্যে খেলা’ প্রবন্ধটি ‘সবুজপত্র’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। ১৬. ‘সাহিত্যে খেলা’ প্রবন্ধটি কোন বইয়ে সংকলিত হয়? উত্তর: ‘সাহিত্যে খেলা’ প্রবন্ধটি ‘প্রবন্ধসংগ্রহ’ বইয়ে সংকলিত হয়। ১৭. ‘প্রবন্ধসংগ্রহ’ বইটি কত সালে প্রকাশিত হয়? উত্তর: ‘প্রবন্ধসংগ্রহ’ বইটি ১৯৫২ সালে প্রকাশিত হয়। ১৮. সাহিত্যচর্চার আদর্শ ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে লেখকের মতামত ও দৃষ্টিভঙ্গির সুস্পষ্ট পরিচয় ফুটে উঠেছে কোথায়? উত্তর: ‘সাহিত্যে খেলা’ প্রবন্ধে সাহিত্যচর্চার আদর্শ ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে লেখকের মতামত ও দৃষ্টিভঙ্গির সুস্পষ্ট পরিচয় ফুটে উঠেছে। ১৯. সাহিত্যের সঙ্গে কীসের তুলনা চলে? উত্তর: সাহিত্যের সঙ্গে খেলাধুলার তুলনা চলে। ২০. ‘সনেট পঞ্চাশৎ’ কার লেখা কাব্যগ্রন্থ? উত্তর: ‘সনেট পঞ্চাশৎ’ প্রমথ চৌধুরীর লেখা কাব্যগ্রন্থ। ২১. প্রমথ চৌধুরী কত খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন? উত্তর: প্রমথ চৌধুরী ১৮৬৮ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন। ২২. প্রমথ চৌধুরী কত খ্রিষ্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন? উত্তর: প্রমথ চৌধুরী ১৯৪৬ খ্রিষ্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন। ২৩. সাহিত্যরাজ্যে পাঠকের মনঃতুষ্টি হয় কী পেয়ে? উত্তর: সাহিত্যরাজ্যে পাঠকের মনঃতুষ্টি হয় খেলনা পেয়ে। ২৪. শূদ্র পাঠকের মনোরঞ্জন করা সংগত কোন লেখকের পক্ষে। উত্তর: শূদ্র পাঠকের মনোরঞ্জন করা সংগত বৈশ্য লেখকের পক্ষে। ২৫. সাহিত্য স্বধর্মচ্যুত হয়ে পড়ে কখন? উত্তর: সমাজের মনোরঞ্জন করতে গেলে সাহিত্য স্বধর্মচ্যুত হয়ে পড়ে। ২৬. ‘সাহিত্যে খেলা’ প্রবন্ধে উল্লিখিত বিখ্যাত ভাস্করের নাম কী? উত্তর: ‘সাহিত্যে খেলা’ প্রবন্ধে উল্লিখিত বিখ্যাত ভাস্করের নাম রোদ্যা। ২৭. কার মতিগতি শিক্ষকের মতিগতির সম্পূর্ণ বিপরীত? উত্তর: কবির মতিগতি শিক্ষকের মতিগতির সম্পূর্ণ বিপরীত। ২৮. ভাস্কর রোদ্যাঁ কোন দেশের নাগরিক? উত্তর: ভাস্কর রোদ্যা ফরাসি নাগরিক। ২৯. শাস্ত্রমতে কাব্যরস কেমন? উত্তর: শাস্ত্রমতে কাব্যরস অমৃত। ৩০. পৃথিবীর শিল্পী মাত্রেই কীসের খেলা খেলে থাকেন? উত্তর: পৃথিবীর শিল্পী মাত্রেই শিল্পের খেলা খেলে থাকেন। |
| ‘সাহিত্যে খেলা’ প্রবন্ধের অনুধাবনমূলক প্রশ্ন : |
|---|
| সৃজনশীল প্রশ্ন- ১ |
|---|
|
জনপ্রিয় কথাশিল্পী অপু রায়হানের আজ অনেক কথাই মনে পড়ছে। তিনি যখন স্কুলে পড়ার সময় স্কুল ম্যাগাজিনের জন্য একটি গল্প জমা দিয়েছিলেন তখন অনেকের লেখা ছাপা হলেও তারটি ছাপা হয়নি। অথচ আজ তার লেখা না হলে নামী-দামী কাগজগুলোর সাহিত্য সম্পাদকদের মনই ভরে না। তার এ সাফল্য একদিনে আসেনি। এ জন্য তাকে অনেক সাধনা করতে হয়েছে। অনেক কষ্টের পথ পাড়ি দিয়ে সামনে এগুতে হয়েছে।
ক. মানুষের দেহমনের সকল প্রকার ক্রিয়ার মধ্যে শ্রেষ্ঠ কোনটি? |
|
ক. মানুষের দেহমনের সকল প্রকার ক্রিয়ার মধ্যে শ্রেষ্ঠ হচ্ছে ক্রীড়া।
গ. লেখক প্রমথ চৌধুরী তাঁর ‘সাহিত্যে খেলা’ প্রবন্ধে দুশ্রেণির
সাহিত্যিকের কথা বলেছেন।
ঘ. এমন একদিন ছিল যখন অপু রায়হানের লেখা তার স্কুল ম্যাগাজিনেই ছাপা হতো
না। |
| সৃজনশীল প্রশ্ন- ২ |
|---|
|
নিচের উদ্দীপকটি পড়ো এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
ক. রোঁদ্যা কে? |
|
ক. রোদ্যা জগদ্বিখ্যাত একজন ফরাসি ভাস্কর। গ. রোঁদ্যা যেমন যখন তখন হাতে কাদা নিয়ে পুতুল তৈরি করে ফেলতেন মুনিরুজ্জামানও তার বন্ধু-বান্ধব বা সহকর্মীদের সাথে কথা বলার সময় যখন তখন ছন্দ ব্যবহার করে এক ধরনের কাব্যময়তা সৃষ্টি করতেন। রোদ্যাঁ ছিলেন একজন জগদ্বিখ্যাত ভাস্কর আর মুনিরুজ্জামান হচ্ছেন একজন কবি। দুজন শিল্পের দুটি আলাদা শাখায় বিচরণ করলেও স্বভাবগতভাবে তাদের মধ্যে যথেষ্ট মিল রয়েছে। মনের আনন্দে অনেকটা খেলার ছলেই তারা তাদের শিল্পকর্মগুলো সৃষ্টি করেন। ঘ. কবি মুনিরুজ্জামান ও ফরাসি ভাস্কর রোদ্যার মতো যারা সত্যিকারের শিল্পী তারা মনের আনন্দে অনেকটা খেলার ছলেই তাদের শিল্পকর্মগুলো নির্মাণ করেন। এ জন্যে তাদের বিশেষ কোনো সময় বা সুযোগের জন্য অপেক্ষা করতে হয় না। তাদের শিল্প সৃষ্টির পেছনে বিখ্যাত হওয়ার কোনো আকাঙ্ক্ষা থাকে না; বরং কাজ করতে করতেই এক সময় তারা বিখ্যাত হয়ে ওঠেন। শিল্প সৃষ্টি তাদের একটি সহজাত স্বভাবগত বিষয়। আর এ সহজাত স্বভাবগত বিষয়টিই তাদের শিল্পবোধ হিসেবে কাজ করে। আর এই শিল্পবোধই এক সময় তাদের মহৎ শিল্পের স্রষ্টা করে তোলে। তারা সার্থক শিল্পী হিসেবে জগতে অমর হয়ে থাকেন। রোঁদ্যার মতো অনেকেই এভাবে অমর হয়ে আছেন। উদ্দীপকের কবি মুনিরুজ্জামান অমর হয়ে থাকবেন। প্রাবন্ধিক প্রমথ চৌধুরী তাঁর ‘সাহিত্যে খেলা’ প্রবন্ধে যথার্থভাবেই শিল্পীদের শিল্প নির্মাণের সহজাত ও স্বভাবগত বিষয়টি স্পষ্ট করে তুলে ধরেছেন। |
| সৃজনশীল প্রশ্ন- ৩ |
|---|
|
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
ক. পৃথিবীতে একমাত্র কোথায় ব্রাহ্মণ-শূদ্রের পার্থক্য নেই? |
|
ক) পৃথবীতে একমাত্র খেলার মাঠে ব্রাহ্মণ-শূদ্রের পার্থক্য নেই। গ) প্রমথ চৌধুরী তাঁর 'সাহিত্যে খেলা' প্রবন্ধে সাহিত্যের উদ্দেশ্য ও প্রকৃতি সম্পর্কে নিজস্ব কিছু মতামত তুলে ধরেছেন। তাঁর মতে, সাহিত্য একটি বিশুদ্ধ শিল্পকর্ম। যে শিল্পকর্মের মূলে থাকে নিরর্থক আনন্দ। এর পেছনে ফল লাভের মতো কোনো সংকীর্ণ উদ্দেশ্য থাকে না। মানুষ তার মনের আনন্দে অন্তরাত্মার স্ফূর্তি থেকে এটা সৃষ্টি করেন এবং পাঠক স্বেচ্ছায় ও সানন্দে এটি পাঠ করেন। এর পেছনে আনন্দ ব্যতীত অন্য কোনো ফল লাভের আশা থাকে না। যদি থাকে তবে তা সাহিত্য হয় না; তা হয় অপসাহিত্য। উদ্দীপকের ছেলেগুলো কোনো ধরনের নিয়ম-কানুন অনুসরণ না করে ক্রিকেট খেলে যে আনন্দ পাচ্ছে, জয়-পরাজয় বা ছক্কা-চারের প্রতিযোগিতা হলে তারা কিন্তু এতোটা আনন্দ পেতো না। এ কারণেই প্রমথ চৌধুরী তার প্রবন্ধে সাহিত্যকে খেলার মাঠের সাথে তুলনা করেছেন। এ প্রসঙ্গে স্পষ্টতই তিনি বলেছেন, যেখানে ফল লাভের আশা থাকে সেখানে কখনো নির্মল আনন্দ থাকে না। তাই লেখনি ধারণ করে যারা কোনো ধরনের ফল চাষে ব্রতী হন, তারা কখনো প্রকৃত সাহিত্যের স্রষ্টা হতে পারেন না। তারা হন খেলনা নির্মাতা।
ঘ) আধুনিক বাংলা সাহিত্যে চলিত গদ্যরীতির প্রবর্তক প্রমথ চৌধুরী।
‘সাহিত্যে খেলা’ তাঁর একটি বহুল আলোচিত প্রবন্ধ। এ প্রবন্ধে সাহিত্য
চর্চার আদর্শ ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে তিনি তাঁর মূল্যবান অভিমত ব্যক্ত
করেছেন। |
| সৃজনশীল প্রশ্ন- ৪ |
|---|
|
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
ক. সাহিত্যরাজ্যে খেলনা পেয়ে পাঠকের কী হতে পারে? |
|
ক. সাহিত্যরাজ্যে খেলনা পেয়ে পাঠকের মনস্তুষ্টি হতে পারে। গ) লেখক প্রমথ চৌধুরী তাঁর 'সাহিত্যে খেলা' প্রবন্ধে দুশ্রেণির সাহিত্যিকের কথা বলেছেন। ঘ. লেখালেখির ব্যাপারে নঈম মোস্তফার দৃষ্টিভঙ্গি হচ্ছে একজন প্রকৃত সাহিত্যিকের মতো। |
| সৃজনশীল প্রশ্ন- ৫ |
|---|
|
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও: ক. কোনোরূপ কার্য উদ্ধারের অভিপ্রায়ে যারা লেখনি ধারণ করেন তারা কিসের মর্ম বোঝেন না? |
|
ক. কোনোরূপ কার্য উদ্ধারের অভিপ্রায়ে যারা লেখনি ধারণ করেন তারা গীতের মর্ম বোঝেন না। গ. সাহিত্য হচ্ছে মানবাত্মার খেলা। মানুষ তার মনের আনন্দে খেলার ছলেই এ সাহিত্য সৃষ্টি করে থাকেন। ঘ. সাহিত্য হচ্ছে অপার রসের আধার। সাহিত্য মানুষের মনকে জাগিয়ে তোলে তাকে আনন্দে ভরে দেয়। |
| সৃজনশীল প্রশ্ন- ৬ |
|---|
|
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
ক. সাহিত্যের একমাত্র উদ্দেশ্য কী? |
|
ক. সাহিত্যের একমাত্র উদ্দেশ্য হচ্ছে সকলকে আনন্দ দেয়া।
গ. প্রমথ চৌধুরী তাঁর ‘সাহিত্যে খেলা’ প্রবন্ধে সাহিত্য চর্চার আদর্শ ও
উদ্দেশ্য সম্পর্কে যে মন্তব্য করেছেন, সে অনুযায়ী উদ্দীপকের জাহিদ
হাসানের সাহিত্য চর্চার আদর্শ ও উদ্দেশ্যের যথেষ্ট বৈসাদৃশ্য লক্ষ করা
যায়।
ঘ. উদ্দীপকের জাহিদ হাসান একজন ঔপন্যাসিক। অর্থ প্রাপ্তির আশায় এক
শ্রেণির পাঠকের মনোরঞ্জন এর জন্য তিনি সাহিত্য রচনা করেন। যার কারণে তাঁর
উপন্যাস সব শ্রেণির পাঠকদের আকর্ষণ করতে না পারলেও এক শ্রেণির পাঠকের
কাছে প্রচুর বিক্রি হয় এবং তিনি তার প্রত্যাশা অনুযায়ী অর্থ লাভ করেন।
এসব উদ্দেশ্যমূলক লেখায় শিল্পমানের ঘাটতি থাকলেও এ নিয়ে জাহিদ হাসানের
কোনো মাথাব্যাথা নেই। এক শ্রেণির পাঠকদের মনতুষ্টির জন্যই তিনি লেখেন।
প্রমথ চৌধুরী তাঁর ‘সাহিত্যে খেলা’ প্রবন্ধে এ ধরনের সাহিত্য চর্চার
উদ্দেশ্য সম্পর্কে যথেষ্ট নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন। |
| সৃজনশীল প্রশ্ন- ৮ |
|---|
|
নিচের উদ্দীপকটি পড়ো এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
ক. ‘রামায়ণ’ কে রচনা করেছেন? |
| ----------- |
| ‘সাহিত্যে খেলা’ প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্ন- ৯ |
|---|
|
নিচের উদ্দীপকটি পড়ো এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
ক. রোদ্যার একটি শ্রেষ্ঠ ভাস্কর্যের নাম লেখো। |
| ----------- |
| ‘সাহিত্যে খেলা’ প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্ন- ১০ |
|---|
|
নিচের উদ্দীপকটি পড়ো এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
(ক) সাহিত্যের একমাত্র উদ্দেশ্য কী? |
| ----------- |
| ‘সাহিত্যে খেলা’ প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্ন- ১১ |
|---|
|
নিচের উদ্দীপকটি পড়ো এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
(ক) কারো মনোরঞ্জন করতে গেলে সাহিত্য কোনটি হারায়? |
| ----------- |
| তথ্যসূত্র : |
|---|
|
১. সাহিত্য পাঠ: একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক
বোর্ড, ঢাকা, ২০২৫। ২. আধুনিক বাংলা অভিধান: বাংলা একাডেমি, এপ্রিল, ২০১৮। ৩. ব্যবহারিক বাংলা অভিধান: বাংলা একাডেমি, ১৮তম, ২০১৫। |

