লালসালু- সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ অনুশীলন
|
| লালসালু |
লালসালু
সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ
| ‘লালসালু’ উপন্যাসের উৎস নির্দেশ : |
|---|
|
‘লালসালু’ প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দে। ঢাকা-র কমরেড পাবলিশার্স
এটি প্রকাশ করে। প্রকাশক মুহাম্মদ আতাউল্লাহ। ১৯৬০ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকার
কথাবিতান প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান থেকে এর দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়। এরপর
১৯৬০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যেই উপন্যাসটির ষষ্ঠ সংস্করণ প্রকাশিত হয়। ১৯৮১
খ্রিষ্টাব্দের মধ্যেই উপন্যাসটির দশম সংস্করণ প্রকাশিত হয়। নওরোজ
কিতাবিস্তান ‘লালসালু’ উপন্যাসের দশম মুদ্রণ প্রকাশ করে। ১৯৬০ খ্রিষ্টাব্দে ‘লালসালু’ উপন্যাসের উর্দু অনুবাদ করাচি থেকে প্রকাশিত হয় ‘Lal Shalu’ নামে। অনুবাদক ছিলেন কলিমুল্লাহ। ১৯৬১ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত হয় ‘লালসালু’র ফরাসি অনুবাদ। ‘L'arbre sans racins’ নামে প্রকাশিত হয় গ্রন্থটি অনুবাদ করেন সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্-র সহধর্মিণী অ্যান-ম্যারি-থিবো। প্যারিস থেকে এ অনুবাদটি প্রকাশ করে ‘Edition's du Seuil’ প্রকাশনী। ১৯৬৩ খ্রিষ্টাব্দে এ অনুবাদটির পরিমার্জিত ও পরিবর্ধিত সংস্করণ প্রকাশিত হয়। ১৯৬৭ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত হয় ‘লালসালু’ উপন্যাসের ইংরেজি অনুবাদ। ‘Tree without Roots’ নামে লন্ডনের ‘Chatto and windus Ltd.’ এটি প্রকাশ করেন। ঔপন্যাসিক সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ নিজেই এই ইংরেজি অনুবাদ করেন। পরবর্তীকালে ‘লালসালু’ উপন্যাসটি জার্মান ও চেক ভাষাসহ বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে। |
| ‘লালসালু’ উপন্যাসের শব্দার্থ ও টীকা : |
|---|
| ‘লালসালু’ উপন্যাসের পাঠ-পরিচিতি ও মূলভাব : |
|---|
|
দেশটাই যেন কেমন। ফসল একদম ফলে না অথচ অনেক মানুষের সেখানে বসবাস। ঘরে খাবার নেই। ঘরে অভাব থাকলে যা হয়সারাক্ষণ এলাকার মানুষ ভাগাভাগি নিয়ে মারামারি করে, কখনও খুনখারাবিও। তাই তারা ছোটে। এলাকা ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে যায়। আশাই তাদের দেশ থেকে বাহিরে নিয়ে আসে। খিদে সহ্য করতে না পেরে তারা ঘর ছাড়া। এদের একজনই মজিদ- ‘লালসালু’ উপন্যাসের কেন্দ্রিয় চরিত্র। শ্রাবণ মাসের শেষ দিক। মহব্বতনগর গ্রামের দুই যুবক তাহের ও কাদের কোচ জুতি নিয়ে ধানক্ষেতে নৌকা নিয়ে মাছ শিকার করছিল। তারাই প্রথমে মজিদকে দেখে। দেখে মজিদ মতিগঞ্জের সড়কের ওপরে আকাশের পানে হাত তুলে মোনাজাতের ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে আছে। মজিদের এমন নাটকীয়তার কারণ এই যে, সে জানে গ্রামের মানুষ স্বাভাবিক কোনো ঘটনা পছন্দ করবে না। তার আগমন যতটা নাটকীয় বানানো যায়, সেটা সে করার চেষ্টা করেছে। এর অংশ হিসেবে সে খুঁজে বের করে গ্রাম থেকে একটু বাইরে একটা বড় বাঁশ-বাগান। বাঁশ-ঝাড়ের ওধারে পরিত্যক্ত পুকুরের পাশে ভাঙা একটি প্রাচীন কবর। ইটগুলো বিবর্ণ হয়ে গেছে। ভেতরে সুড়ঙ্গের মতো। শেয়ালের বাসা হবে হয়তো। সেই কবরটিকে সে মোদাচ্ছের পীরের মাজার বলে দাবি করে। মহব্বতনগর গ্রামে ঢুকে সে সোজা চলে যায় গ্রামের মোড়ল খালেক ব্যাপারীর বাড়ি। সবাইকে চিৎকার করে সে ‘জাহেল’, ‘বেএলেম’ ‘আনপাড়াহ্’ বলে বিস্তর গালমন্দ করে জানায় যে, এ-রকম একজন কামেল পীরের মাজারকে এভাবে অযত্নে ফেলে রেখে এরা মহাপাপ করেছে। গ্রামবাসী তো বটেই মোড়ল খালেক ব্যাপারী, মাতাব্বর রেহান আলীও লজ্জায় মাথা হেঁট করে থাকে। মজিদ তাদের জানায়, সে গারো পাহাড়ে খুব শান্তিতে ছিল, কিন্তু এখানে সে ছুটে এসেছে তার কারণ এক দৈবস্বপ্ন। স্বপ্নে তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মহব্বতনগরে চলে আসার জন্য। তাই তার এ আগমন।
জঙ্গল পরিষ্কার করে ফেলা হলো। কবর নতুন করে বাঁধানো হলো। আগরবাতির গন্ধে,
মোমবাতির আলোয় সৃষ্টি হলো নতুন এক পরিবেশ। কবরের ওপরে টানিয়ে দেওয়া হলো
লালসালু কাপড়। এ গ্রাম ও গ্রাম থেকে লোকজন আসে। তাদের নানা আশার কথা,
নানা কষ্টের কথা লালসালু কাপড়ে ঢাকা কবরে শুয়ে থাকা ব্যক্তিকে শোনায় আর
যাবার সময় দিয়ে যায় টাকা-পয়সা। শুরু হলো মজিদের ব্যবসা। তাহের-কাদেরের বাবা-মার বয়স হয়েছে, কিন্তু ঝগড়াঝাটি করার অভ্যাস তো কমেইনি বরং দিনদিন তা অশ্লীল গালাগালিতে গিয়ে পৌঁছেছে। বুড়ো এক কালে মারপিটে ওস্তাদ ছিল, এখন বয়স হয়ে গেছে বলে হাতের সেই জোরটা নেই, কিন্তু বুড়ির বয়স হলে হবে কি, মুখের ধারটা যেন আরও বেড়েছে। সে যা বলে, তা শুনে পাড়া-পড়শি তো বটেই, তার বিধবা মেয়েও আঁচলে মুখ লুকিয়ে হাসে। বুড়ির বক্তব্য একটিই তার পেটে যে ছেলেমেয়েগুলো জন্মেছে, এগুলো বুড়োর নয়বুড়োর আবার ওই ক্ষমতা ছিল নাকি কোনো কালে? ঝগড়া তো নয় সে এক এলাহি কাণ্ড! তাহের-কাদেরের বাবা কোনো এক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মেয়েকেহাসুনির মাকেপিটিয়েছিল। মজিদ ভর মজলিশে তাহের-কাদেরের বাবাকে অপমান করে, যার দুঃখ সহ্য করতে না পেরে বৃদ্ধ লোকটি এক সন্ধ্যায় নিরুদ্দেশ হয়ে যায়। সে আর বাড়ি ফেরে না। যে বুড়ি প্রতিদিন তাকে নানা গালমন্দ করতো, সে-ও স্তব্ধ হয়ে যায়; শিশুর মতো ডাকতে থাকে: ‘আল্লা আল্লা ........’ হাসুনির মা বিধবা। রহিমার কাছে সে জানিয়েছে যে তার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা মানুষ নয়। বাবা নিরুদ্দেশ হয়েছে। ভাইয়েরা অকর্মণ্য, অপদার্থ। সে তো একাও নয়, সঙ্গে আছে তার শিশুপুত্র। তাই সে কাজ নেয় মজিদের বাড়িতে। রহিমাকে ঘর গেরস্থালিতে সাহায্য করা। হাসুনির মা মজিদের বাড়িতে কাজ করতে এলে মজিদের কুদৃষ্টি তার ওপর পড়ে। মুখে যদিও সে হাসুনির মাকে ‘বিটি’ (মেয়ে) সম্বোধন করেছে, কিন্তু তার চেপে রাখা আদিম আবেগ শেষ পর্যন্ত চাপা থাকেনিনা হাসুনির মার কাছে, না রহিমার কাছে। যদিও প্রতিবাদ করেনি দুজনের কেউই, বরং দুজনই বুঝে তা না বোঝার ভান করেছে। দিন ভালোই যাচ্ছিল মজিদের। হঠাৎ পাশের গ্রাম আওয়ালপুরে তাশরিফ নিলেন এক বয়স্ক পীর সাহেব। ইউনিয়ন বোর্ডের প্রেসিডেন্ট মতলুব খাঁ তার পুরানো মুরিদ। সেখানেই তিনি উঠেছেন। উর্দু ভাষাটা তার আয়ত্তে। তাঁর বোলচালে আওয়ালপুরের বাসিন্দা মুগ্ধ, দিওয়ানা। মজিদ দেখলো যে তার একচ্ছত্র আধিপত্য ক্ষূণœ হতে চলেছে, তাই সে তার প্রতিদ্বন্দ্বীকে হঠাতে নিজেই আওয়ালপুরে গিয়ে উপস্থিত হয়। সেখানে গিয়ে দেখে ওই পীর সাহেব এলাহি কাণ্ড বাঁধিয়ে বসে আছেন। বিচিত্র সুরে তিনি ফারসি ভাষায় ওয়াজ করছেন। উপস্থিত উত্তাল জনতা তার অর্থ না বুঝেই হাউ মাউ করে কাঁদছে। পীর সাহেব সেদিন দফায় দফায় ওয়াজ করছেন, ওদিকে জোহরের নামাজের সময় গড়িয়ে যাচ্ছে। হুজুরের মুরিদরা একবাক্যে মেনে নিয়েছে তাদের পীর-এ কামেল সূর্যকে ধরে রাখবার ক্ষমতা রাখেন। তিনি যতক্ষণ না সূর্যকে হুকুম দেবেন, সূর্য এক আঙ্গুলও নড়তে পারে না। অবেশেষে আসরের নামাজের সময় যখন জোহরের নামাজ পড়ার জন্য সবাই কাতারবদ্ধ হয়, মজিদ চিৎকার করে প্রতিবাদ করে, “যতসব শয়তানী, বেদাতী কাজ কারবার। খোদার সঙ্গে মস্করা।” উল্লেখ্য, একই কাজ এতদিন সে নিজে করে এসেছে, কিন্তু আজ যখন মাঠে তার প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী উপস্থিত, তার মুখে শোনা যায় উল্টো কথা। এরপর পীর সাহেবের সাঙ্গপাঙ্গদের সাথে মজিদের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। অবশেষে মজিদ এলাকার লোকজনকে সাথে করে মহব্বতনগর গ্রামে ফিরে আসে-যদিও গ্রামবাসী দোটানায় ছিল। একদিন তাদের মনে ছিল মোদাচ্ছের পীরের প্রতি ভয় তথা মজিদের প্রতি আনুগত্য। অন্যদিকে আওয়ালপুরে আগত উর্দু-ফারসিভাষী বয়স্ক পীর সাহেবের প্রতি কৌতূহল ও মোহ। তবু তারা গ্রামে ফেরে বরং বলা চলে ফিরতে হয়। গ্রামে ফেরার পর ওই রাতেই গ্রামবাসীকে একত্র করে খালেক ব্যাপারীকে নিয়ে মজিদ এক জরুরি বৈঠক বসালো। যেখানে সে পাশের গ্রামে আগত পীর সাহেবকে ‘মনোমুগ্ধকর শয়তান’ হিসেবে অভিহিত করে তার কাছ থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়। সভায় সাব্যস্ত হলো: অন্তত এ গ্রামের কোনো মানুষ আওয়ালপুরের পীর সাহেবের ত্রিসীমানায় ঘেঁষবে না। এই কড়া নিষেধাজ্ঞার পরেও মহব্বতনগর গ্রামের কয়েকজন যুবক পাশের গ্রামে পীর সাহেবের সভায় গিয়েছিল। আওয়ালপুরবাসী তাদের উত্তম মধ্যম দিয়েছিল। ফলে তাদের করিমগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। খালেক ব্যাপারীর দুই স্ত্রী। প্রথম স্ত্রীর নাম আমেনা বিবি, দ্বিতীয় স্ত্রীর নাম তানু বিবি। আমেনা বিবি তের বছর বয়সে স্বামীর ঘরে এসেছেন আজ তার বয়স তিরিশ পেরিয়ে গেছে। কোনো সন্তানাদি তার হয়নি। অথচ সতীন তানু বিবি বছর বছর ছেলেপুলে জন্ম দিয়ে যাচ্ছে তো যাচ্ছেই, যাচ্ছে তো যাচ্ছেই। কত আর সহ্য হয়? এদিকে লোকজন বলাবলি করছে: আওয়ালপুরে যে পীর সাহেব এসেছেন, উনি খুব কামেল মানুষ, তার ‘পানি পড়া’ খেলেই পেটে বাচ্চা আসবে। এদিকে আওয়ালপুরে তো যাওয়া বারণ। সেখানকার পীর সাহেবের সাথে মজিদের নাকি কী সমস্যা হয়েছে। কিন্তু আমেনা বিবি এসব শুনতে নারাজ। তার ‘পানি পড়া’ চাই-ই চাই। খালেক ব্যাপারী গোপনে রাজী হয়। আওয়ালপুরের পীর সাহেবের কাছ থেকে ‘পানি পড়া’ নিয়ে আসার দায়িত্ব খালেক ব্যাপারী দিল তার সম্বন্ধী ধলা মিঞাকে। ধলা মিঞা তানু বিবির বড় ভাই। সে খালেক ব্যাপারীর বাড়িতেই থাকে। খায় দায় ঘুমায় কোনো কাজকর্ম করে না। বাইরে থেকে তাকে বোকা কিসিমের মানুষ মনে হলেও সে আসলে ধুরন্ধর ও প্রতারক। সে তার ভগ্নিপতিকে জানায় যে আওয়ালপুরে গিয়ে ‘পানি পড়া’ এনে দেবে কিন্তু সে তা করে না। সে সোজা মজিদের কাছে চলে যায় এবং তাকেই পানি পড়ে দিতে বলে। মজিদ এতে অপমানিত হয় এবং সরাসরি টাকার ইঙ্গিত দেওয়ার পরেও সে ‘পানি পড়া’ দেয় না। ধলা মিঞা যে আওয়ালপুরের পীরের কাছে গেল না এটি মজিদের প্রতি তার আনুগত্য নয় বরং সে ছিল অলস, অকর্মণ্য ও শঠ প্রকৃতির মানুষ। তার উপর দুই গ্রামের মাঝখানে ছিল একটা মস্ত তেঁতুল গাছ সবাই ওটাকে ভুতুড়ে গাছ বলে রাত বিরেতে এড়িয়ে চলতো। ধলা মিঞাকে রাতের বেলা ওই গাছতলা দিয়েই যেতে হতো, ভীতু প্রকৃতির মানুষ ছিল বলে সে তা কৌশলে এড়িয়ে যেতে চেয়েছে। এ ঘটনা ফাঁস হয়ে গেলে খালেক ব্যাপারীর সঙ্গে মজিদের কিছুটা ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়। তখন খালেক ব্যাপারী মজিদকেই এ ব্যাপারে একটা উদ্যোগ নেওয়ার জন্য আহ্বান জানায়। মজিদ তখন একটা কৌশলের আশ্রয় নেয়। সে বলে, আমেনা বিবির পেটে বেড়ী পড়েছে বলেই তো সন্তানাদি হচ্ছে না। পেটে নানা মাপের বেড়ী পড়তে পারে। পেটে একুশ পর্যন্ত বেড়ী মজিদ দেখেছে বলে জানায়। সাত বেড়ী পর্যন্ত খোলা যায়, তার বেশি সম্ভব নয়। তার স্ত্রী রহিমার পেটেও তো চৌদ্দ প্যাঁচ আছে, তাই বাচ্চা-কাচ্চা হচ্ছে না তাদের। এ ক্ষেত্রে মজিদ কেন কারুরই কিছু করণীয় নেই। আমেনা বিবির পেটে যদি সাত বেড়ীর বেশি না পড়ে যাকে, তাহলে মজিদ খুলে ফেলতে পারবে মজিদ বলে। এজন্য আমেনা বিবিকে মজিদের পড়া পানি খেয়ে মোদাচ্ছের পীরের মাজার সাত পাক ঘুরতে হবে। নির্ধারিত দিনে আমেনা বিবি রোজা রাখে। উদ্বেগে-ভয়ে-ক্ষুধায় তার দেহ-মন দুর্বল। সে মাজার সাত পাক ঘুরে আসতে সমর্থ হয় নাতিন পাক ঘুরতেই সে জ্ঞান হারিয়ে মাজার প্রাঙ্গণে এলিয়ে পড়ে। ধূর্ত মজিদ জানায় আমেনা বিবি অসতী, তাই এমনটি ঘটেছেএমন স্ত্রীকে সে যেন আর ঘরে ঠাঁই না দেয়। মজিদের হাতের পুতুল খালেক ব্যাপারী সেই কথা মতো আমেনা বিবিকে তালাক দেয়। এদিকে হাওয়ায় কদিন ধরে একটা কথা ভাসছে। মোদাব্বের মিঞার ছেলে আক্কাস নাকি গ্রামে একটা স্কুল বসাবে। আক্কাস বহুদিন বিদেশে ছিল। করিমগঞ্জের স্কুলে নাকি কিছুদিন পড়াশুনাও সে করেছে। তারপর কোথায় পাটের আড়তে না তামাকের আড়তে চাকরি করে কিছু পয়সা কামিয়েছে। কোথায় গিয়ে সে শিখে এসেছে যে স্কুলে না পড়লে মুসলমানদের মুক্তি নেই। সে স্কুলের জন্য চাঁদা তুলতে লাগলো। স্কুলের জন্য সাহায্য চেয়ে সরকারের কাছে একটা দরখাস্তও পাঠিয়ে বসে। মজিদ আর বরদাস্ত করতে পারে না। গ্রামে স্কুল প্রতিষ্ঠা হলে নবীন প্রজন্মের চোখ-কান খুলে যাবে। এতে তার ধর্মব্যবসার সমূহ ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। তাই যেকোনো মূল্যে সে আক্কাসকে ঠেকাতে উঠে পড়ে লাগে। ঠেকিয়েও দেয়। এক সন্ধ্যার পর বৈঠক ডাকা হলো। তলব করা হলো আক্কাসের বাবা মোদাব্বের মিঞাকে। ভর মজলিসে ঠাস করে চড় মারার ভঙ্গিতে মজিদ তাকে প্রশ্ন করে বসে, ‘তোমার দাড়ি কই মিঞা? ..... তুমি না মুসালমানের ছেলেদাড়ি কই তোমার?” খালেক ব্যাপারী বলে: “হে নাকি ইংরাজি পড়ছে। তা পড়লে মাথা কি আর ঠান্ডা থাকে?” সভায় সিন্ধান্ত হয়: গ্রামে পাকা মসজিদ দেওয়া হবে। গ্রামবাসী এতে সাধ্যমতো চাঁদা দেবে। সভায় আক্কাস তার স্কুল প্রতিষ্ঠার কথাটা উত্থাপন করলে তা চাপা পড়ে যায়, এমনকি তার বাবাই বলে ওঠে“চুপ কর ছ্যামড়া, বেত্তমিজের মতো কথা কইসনা।” আক্কাস অগত্যা সভা থেকে আস্তে আস্তে উঠে বের হয়ে যায়। এদিকে মজিদকে নেশায় পেয়ে বসেছে। সে নেশা জীবনকে উপভোগের নেশা। সে আবার বিয়ে করতে চায়। রহিমাকে নানা উসিলা দেখায়। কখনও বলে: “বিবি আমাগো যদি পোলাপাইন থাকতো।” কখনও খোলাসা করে বলে: “বিবি, আমাগো বাড়িটা বড়ই নিরানন্দ। তোমার একটা সাথী আনুম?” রহিমা কী বলবে? তার মতে কী আসে যায়?
নতুন বউ হয়ে এলো যে বালিকাটি নাম তার জমিলা। জমিলাকে প্রথম দিন থেকেই
রহিমা সতীন হিসেবে না দেখে মেয়ে হিসেবে দেখেছে। আদর-যত্ন করে তাকে খাওয়ায়
পাশে পাশে রাখে। জমিলা খুব হাসিখুশি মেয়ে। রহিমাকে একদিন সে বলেই বসলো:
বিয়ের দিন সে মজিদকে ভেবেছিল শ্বশুর আর এখানে এসে রহিমাকে দেখে মনে
করেছিল এ মহিলাটি নিশ্চয়ই তার শাশুড়ি। তারপর তার প্রাণখোলা হাসি। রহিমা
তাকে হাসতে বারণ করে। মজিদের বাড়িতে হাসা নিষিদ্ধ। মেয়েদের তো বটেই, কোনো
মানুষের হাসি সহ্য করতে পারে না মজিদ। এরপর মজিদ শুরু করে নির্যাতন। নির্যাতন করে চলে এবং ক্রমশ তার মাত্রা বৃদ্ধি করে। সহ্য করতে না পেরে হতবুদ্ধি হয়ে জমিলা একদিন মজিদের মুখের ওপর থুথু ছিটিয়ে দেয়। এবার মজিদের ভ্যাবাচেকা খাওয়ার পালা। উপন্যাসের শেষে আমরা দেখি: জমিলাকে উচিত শিক্ষা দেওয়ার জন্য একাকী ঝড়ের রাতে মাজারে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়। সারা রাত ভয়ঙ্কর শিলাবৃষ্টি হলো। মেয়েটা একা একা পড়ে থাকে মাজারের খোলা প্রাঙ্গণে। সকালে এসে দেখা গেল, কবরের পাশে হাত-পা ছড়িয়ে চিৎ হয়ে শুয়ে আছে জমিলা। তার একটা পা কবরের গায়ে লেগে আছে। তখনও জীবিত সে। এরপর দৃশ্যপট দ্রুত বদলে যায়। যে রহিমা এতদিন তার অনুগত ছিল, সে ভিন্ন সুরে কথা বলতে শুরু করে। বলা যায় শুরু করেছিল আরও আগে থেকেই, কিন্তু জমিলাকে মাজারে বেঁধে রেখে আসার পর থেকেই এবার সে পুরোপুরি পরিচ্ছন্ন হলো। মজিদ দেখতে পাচ্ছে: হাতে সব ধরনের অস্ত্র থাকার পরেও সে পরাজিত হচ্ছে। সমাজে সে রাজাধিরাজ হতে পারে, কিন্তু নিজের ঘরে সে উদ্বাস্তু, গৃহহীন, অনাথ। |
| ‘লালসালু’ উপন্যাসের চরিত্র পরিচিতি : |
|---|
|
➠ মজিদ
➠ জমিলা
➠ রহিমা
➠ খালেক ব্যাপারী
➠ আক্কাস
➠ হাসুনির মা |
| ‘লালসালু’ উপন্যাসের লেখক পরিচিতি : |
|---|
| সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ বাংলা কথাসাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রূপকার। জীবন-সন্ধানী ও সমাজসচেতন এ সাহিত্য-শিল্পী চট্টগ্রাম জেলার ষোলশহরে ১৯২২ খ্রিস্টাব্দের ১৫ই আগস্ট এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতৃনিবাস ছিল নোয়াখালীতে। তাঁর পিতা সৈয়দ আহমদউল্লাহ্ ছিলেন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। বাংলার বিভিন্ন অঞ্চলে পিতার কর্মস্থলে ওয়ালীউল্লাহ্র শৈশব, কৈশোর ও যৌবন অতিবাহিত হয়। ফলে এ অঞ্চলের মানুষের জীবনকে নানাভাবে দেখার সুযোগ ঘটে তাঁর, যা তাঁর উপন্যাস ও নাটকের চরিত্র-চিত্রণে প্রভূত সাহায্য করে। অল্প বয়সে মাতৃহীন হওয়া সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ ১৯৪১ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকা ইন্টারমিডিয়েট কলেজ থেকে আইএ এবং ১৯৪৩ খ্রিষ্টাব্দে আনন্দমোহন কলেজ থেকে বিএ পাস করেন। তারপর কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিষয়ে এমএ পড়ার জন্য ভর্তি হন। কিন্তু ডিগ্রি নেওয়ার আগেই ১৯৪৫ খ্রিষ্টাব্দে তাঁর পিতার মৃত্যু হলে তিনি বিখ্যাত ইংরেজি দৈনিক ‘দি স্টেট্স্ম্যান’-এর সাব-এডিটর নিযুক্ত হন এবং সাংবাদিকতার সূত্রে কলকাতার সাহিত্যিক মহলে পরিচিত হয়ে ওঠেন। তখন থেকেই বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় তাঁর রচনা প্রকাশিত হতে থাকে। ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে পাকিস্তান হওয়ার পর তিনি ঢাকায় এসে ঢাকা বেতার কেন্দ্রে সহকারী বার্তা সম্পাদক হিসেবে যোগদান করেন এবং ১৯৫০ খ্রিষ্টাব্দে করাচি বেতার কেন্দ্রের বার্তা সম্পাদক নিযুক্ত হন। এরপর তিনি কূটনৈতিক দায়িত্বে নয়াদিল্লি, ঢাকা, সিডনি, করাচি, জাকার্তা, বন, লন্ডন এবং প্যারিসে নানা পদে নিয়োজিত ছিলেন। তাঁর সর্বশেষ কর্মস্থল ছিল প্যারিস। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কাজ করার জন্য পাকিস্তান সরকারের চাকরি থেকে অব্যাহতি নেন এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ব্যাপকভাবে সক্রিয় হন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের পূর্বেই ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ১০ই অক্টোবর তিনি প্যারিসে পরলোক গমন করেন। সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্র সাহিত্যকর্ম সমগ্র বাংলা সাহিত্যে বিশেষ মর্যাদার অধিকারী। ব্যক্তি ও সমাজের ভেতর ও বাইরের সূক্ষ্ম ও গভীর রহস্য উদ্ঘাটনের বিরল কৃতিত্ব তাঁর। তাঁর গল্প ও উপন্যাসে একদিকে যেমন স্থান পেয়েছে কুসংস্কার ও অন্ধ-ধর্মবিশ্বাসে আচ্ছন্ন, বিপর্যস্ত, আশাহীন ও মৃতপ্রায় সমাজজীবন, অন্যদিকে তেমনি স্থান পেয়েছে মানুষের মনের ভেতরকার লোভ, প্রতারণা, ভীতি, ঈর্ষা প্রভৃতি প্রবৃত্তির ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া। কেবল রসপূর্ণ কাহিনী পরিবেশন নয়, তাঁর অভীষ্ট ছিল মানবজীবনের মৌলিক সমসার রহস্য উন্মোচন। ‘নয়নচারা’ (১৯৪৬) এবং ‘দুই তীর ও অন্যান্য গল্প’ (১৯৬৫) তাঁর গল্পগ্রন্থ এবং ‘লালসালু’ (১৯৪৮) ‘চাঁদের অমাবস্যা’ (১৯৬৪) ও ‘কাঁদো নদী কাঁদো’ (১৯৬৮) তাঁর বিখ্যাত উপন্যাস। সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ নিরীক্ষামূলক চারটি নাটকও লিখেছেন। সেগুলো হলো ‘বহিপীর’ ‘তরঙ্গভঙ্গ’, ‘উজানে মৃত্যু’ ও ‘সুড়ঙ্গ’। |
| ‘লালসালু’ উপন্যাসের বহুনির্বাচনি প্রশ্ন : |
|---|
প্রশ্ন থেকে
অভিনন্দন!
|
| ‘লালসালু’ উপন্যাসের জ্ঞানমূলক প্রশ্ন : |
|---|
|
১. ‘লালসালু’ উপন্যাসটি কত খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয়? উত্তর: ‘লালসালু’ উপন্যাসটি ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয়। ২. সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ কত খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন? উত্তর: সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন। ৩. ‘চাঁদের অমাবস্যা’ ও ‘কাঁদো নদী কাঁদো’-এ দুটি উপন্যাসের রচয়িতা কে? উত্তর: ‘চাঁদের অমাবস্যা’ ও ‘কাঁদো নদী কাঁদো’-এ দুটি উপন্যাসের রচয়িতা সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ। ৪. সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ কোথায় জন্মগ্রহণ করেন? উত্তর: সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ চট্টগ্রামের ষোল শহরে জন্মগ্রহণ করেন। ৫. সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ কত খ্রিস্টাব্দে স্নাতক পাস করেন? উত্তর: সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দে স্নাতকপাস করেন। ৬. সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ কত খ্রিস্টাব্দে ঢাকা বেতারে সাংবাদিক হিসেবে যোগদান করেন? উত্তর: সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে ঢাকা বেতারে সাংবাদিক হিসেবে যোগদান করেন। ৭. সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ কোন কলেজ থেকে স্নাতক পাস করেন? উত্তর: সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ আনন্দমোহন কলেজ থেকে স্নাতক পাস করেন। ৮. সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর পিতার নাম কী? উত্তর: সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর পিতার নাম সৈয়দ আহমদ উল্লাহ। ৯. সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ ইংরেজি কোন পত্রিকার সাংবাদিক ছিলেন? উত্তর: সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ ইংরেজি ‘দি স্টেটস্ম্যান’ পত্রিকার সাংবাদিক ছিলেন। ১০. ‘বহিপীর’ তরঙ্গভঙ্গ, ‘সুড়ঙ্গ’-এ নাটকগুলোর রচয়িতা কে? উত্তর: ‘বহিপীর’ তরঙ্গভঙ্গ, ‘সুড়ঙ্গ’-এ নাটকগুলোর রচয়িতা সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ ১১. ‘লালসালু’ উপন্যাসে বর্ণিত মহব্বতনগরে শস্যের চেয়ে কী বেশি? উত্তর: ‘লালসালু’ উপন্যাসে বর্ণিত মহব্বতনগরে শস্যের চেয়ে ধর্মের আগাছা বেশি। ১২. ‘নয়নচারা’ ও ‘দুই তীর’ এ দুটি গল্পগ্রন্থের রচয়িতা কে? উত্তর: ‘নয়নচারা’ ও ‘দুই তীর’ এ দুটি গল্পগ্রšে’র রচয়িতা সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ। ১৩. ‘লালসালু’ উপন্যাসে বর্ণিত বক্তব্যে ভোরবেলায় ল্যাংটা ছেলেরা কী পড়ে? উত্তর: ‘লালসালু’ উপন্যাসে বর্ণিত বক্তব্যে ভোরবেলায় ল্যাংটা ছেলেরা আমসিপারা পড়ে। ১৪. সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ কত খ্রিস্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন? উত্তর: সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন। ১৫. মহব্বতনগরের লোকজন কখন মাছ ধরতে বের হয়? উত্তর: মহব্বতনগরের লোকজন নিরাকপড়া মাছ ধরতে বের হয়। ১৬. সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ কোথায় মৃত্যুবরণ করেন? উত্তর: সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ প্যারিসে মৃত্যুবরণ করেন। ১৭. ‘তাই-তারা-ছোটে, ছোটে’-‘লালসালু’ উপন্যাসে কারা ছোটে? উত্তর: ‘তাই-তারা-ছোটে, ছোটে’-‘লালসালু’ উপন্যাসে মহব্বতনগরের লোকজন ছোটে। ১৮. তাহের ও কাদের মাছ ধরার সময় মতিগঞ্জের সড়কে মোনাজাতের ভঙ্গিতে দাঁড়াতে কাকে দেখে? উত্তর: তাহের ও কাদের মাছ ধরার সময় মতিগঞ্জের সড়কে মোনাজাতের ভঙ্গিতে দাঁড়াতে মজদিকে দেখে। ১৯. মজিদ মতিগঞ্জের সড়কে খোলা আকাশের নিচে কোন ভঙ্গিতে দাঁড়িয়েছিল? উত্তর: মজিদ মতিগঞ্জের সড়কে খোলা আকাশের নিচে মোনাজাতের ভঙ্গিতে দাঁড়িয়েছিল। ২০. মহব্বতনগর গ্রামে মজিদ প্রথমে কার বাড়িতে আশ্রয় নেয়? উত্তর: মহব্বতনগর গ্রামে মজিদ প্রথমে খালেক ব্যাপারীর বাড়িতে আশ্রয় নেয়। ২১. মহব্বতনগর গ্রামের বিলে কী গাছ ছিল? উত্তর: মহব্বতনগর গ্রামের বিলে অশ্বথ গাছ ছিল। ২২. ‘লালসালু’ উপন্যাসে মুহূর্তের পর মুহূর্ত কেটে গেলেও কার চেতনা নেই? উত্তর: ‘লালসালু’ উপন্যাসে মুহূর্তের পর মুহূর্ত কেটে গেলেও মজিদের চেতনা নেই। ২৩. মহব্বতনগর গ্রামে প্রবেশ করার আগে মজিদ কোথায় দাঁড়িয়েছিল? উত্তর: মহব্বতনগর গ্রামে প্রবেশ করার আগে মজিদ মতিগঞ্জের সড়কের ওপর দাঁড়িয়েছিল। ২৪. গ্রামের প্রান্তে শ্যাওলা ধরা কবরকে অবহেলায় ফেলে রাখায় কে মহব্বতনগরের লোকজনকে গালাগাল করে? উত্তর: গ্রামের প্রান্তে শ্যাওলা ধরা কবরকে অবহেলায় ফেলে রাখায় মজিদ মহব্বতনগরের লোকজনকে গালাগাল করে। ২৫. কল্পিত মোদাচ্ছের পিরের মাজারটি মহব্বতনগরের কোথায় ছিল? উত্তর: কল্পিত মোদাচ্ছের পিরের মাজারটি মহব্বতনগর গ্রামের প্রান্তের পুকুর পাড়ে ছিল। ২৬. কল্পিত মোদাচ্ছের পিরের কবরটির ভেতরটা দেখতে কীসের মতো? উত্তর: কল্পিত মোদাচ্ছের পিরের কবরটির ভেতরটা দেখতে সুড়ঙ্গের মতো। ২৭. গারো পাহাড় থেকে মধুপুরগড় যেতে কত সময় লাগে? উত্তর: গারো পাহাড় থেকে মধুপুরগড় যেতে তিন দিন সময় লাগে। ২৮. মজিদের দৃষ্টিতে, কারা অশিক্ষিত ও বর্বর? উত্তর: মজিদের দৃষ্টিতে, গারো পাহাড়ের লোকজন অশিক্ষিত ও বর্বর। ২৯. মজিদ কার নির্দেশে মহব্বতনগর গ্রামে আসে? উত্তর: মজিদ মোদাচ্ছের পিরের নির্দেশে মহব্বতনগর গ্রামে আসে। ৩০. ‘লালসালু’ উপন্যাসে মজিদের মতে, খোদার দিকে নজর কম কাদের? উত্তর: ‘লালসালু’ উপন্যাসে মজিদের মতে, খোদার দিকে নজর কম মহব্বতনগর গ্রামের লোকজনের। ৩১. কল্পিত মোদাচ্ছের পিরের মাজারটি মজিদ কোন প্রকার কাপড় দ্বারা ঢেকে দিয়েছিল? উত্তর: কল্পিত মোদাচ্ছের পিরের মাজারটি মজিদ লালসালু কাপড় দ্বারা ঢেকে দিয়েছিল। ৩২. দিনে মহব্বতনগর গ্রামের কৃষকদের ঘরে কী আসে? উত্তর: দিনে মহব্বতনগর গ্রামের কৃষকদের ঘরে মগরা-মগরা ধান আসে। ৩৩. ‘আনপড়াহ’ শব্দের অর্থ কী? উত্তর: ‘আনপড়াহ’ শব্দের অর্থ যাদের কোনো পড়াশোনা নেই। ৩৪. মহব্বতনগরের আলি ঝালি চওড়া বেওয়া মেয়েটি কে? উত্তর: মহব্বতনগরের আলি ঝালি চওড়া বেওয়া মেয়েটি রহীমা। ৩৫. মজিদের প্রথম স্ত্রীর নাম কী? উত্তর: মজিদের প্রথম স্ত্রীর নাম রহীমা। ৩৬. খালেক ব্যাপারীর প্রথম স্ত্রীর নাম কী? উত্তর: খালেক ব্যাপারীর প্রথম স্ত্রীর নাম আমেনা। ৩৭. মহব্বতনগরে কার একটি মক্তব ছিল? উত্তর: মহব্বতনগরে খালেক ব্যাপারীর একটি মক্তব ছিল। ৩৮. কার রূপ দেখে মজিদের রসনা হয়? উত্তর: রহীমার রূপ দেখে মজিদের রসনা হয়। ৩৯. কে মাটিতে আওয়াজ করে হাঁটে? উত্তর: রহীমা মাটিতে আওয়াজ করে হাঁটে। ৪০. মজিদের কোরআন পাঠের সময় চারদিকে কীসের গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে? উত্তর: মজিদের কোরআন পাঠের সময় চারদিকে হাসনাহেনার মিষ্টি গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। ৪১. জমিতে বর্ষণহীন খরায় মহব্বতনগর গ্রামবাসীর কার কথা মনে পড়ে? উত্তর: জমিতে বর্ষণহীন খরায় মহব্বতনগর গ্রামবাসীর খোদার কথা মনে পড়ে। ৪২. মহব্বতনগরের কৃষকেরা জমিকে কীসের মতো ভাগ করে? উত্তর: মহব্বতনগরের কৃষকেরা জমিকে দাবার ছকের মতো ভাগ করে। ৪৩. কোন মাসে মহব্বতনগরের কৃষকদের জমিতে কচুরিপানা জড়িয়ে থাকে? উত্তর: কার্তিক মাসে মহব্বতনগরের কৃষকদের জমিতে কচুরিপানা জড়িয়ে থাকে। ৪৪. মেঘশূন্য আকাশের জমাট ঢালা নীলিমার মধ্যে কী শুকিয়ে ওঠে? উত্তর: মেঘশূন্য আকাশের জমাট ঢালা নীলিমার মধ্যে দিগন্ত বিস্তৃত মাঠ শুকিয়ে ওঠে। ৪৫. ‘বেওয়া’ শব্দের অর্থ কী? উত্তর: ‘বেওয়া’ শব্দের অর্থ সন্তানহীনা বিধবা। ৪৬. রহীমা কী ভালোবাসে? উত্তর: রহীমা ফসলের প্রাচুর্য ভালোবাসে। ৪৭. কোন দৃশ্য মজিদের কাছে ভালো লাগে না? উত্তর: গ্রামবাসীর হাসি-গান মজিদের কাছে ভালো লাগে না। ৪৮. মহব্বতনগরের দুদু মিঞা কয় সন্তানের জনক? উত্তর: মহব্বতনগরের দুদু মিঞা সাত সন্তানের জনক। ৪৯. মজিদের শক্তির মূল উৎস কী? উত্তর: মজিদের শক্তির মূল উৎস ঝালত ওয়ালা মাজার। ৫০. কে গ্রামে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল? উত্তর: আক্কাস মিঞা গ্রামে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল। ৫১. মহব্বতনগরের কৃষকদের কখন খোদার কথা স্মরণ থাকে না? উত্তর: মহব্বতনগরের কৃষকদের চারা ছড়াবার সময় খোদার কথা স্মরণ থাকে না। ৫২. শিলাবৃষ্টি হওয়ার রাতে মজিদ কাকে একাকী মাজারে বেঁধে রেখে আসে? উত্তর: শিলাবৃষ্টি হওয়ার রাতে মজিদ জমিলাকে একাকী মাজারে বেঁধে রেখে আসে। ৫৩. শিলাবৃষ্টির পর সকালে কৃষকেরা জমিতে কী দেখে শঙ্কিত হয়ে ওঠে? উত্তর: শিলাবৃষ্টির পর সকালে কৃষকেরা জমিতে কচি-নধর ধান দেখে শঙ্কিত হয়ে ওঠে। ৫৪. কখন ঝড়ের সাথে প্রচণ্ড শিলাবৃষ্টি হয়? উত্তর: বৈশাখের শুরুতে ঝড়ের সাথে প্রচণ্ড শিলাবৃষ্টি হয়। ৫৫. মহব্বতনগরে কে জমিকে ধন মনে করে না? উত্তর: মহব্বতনগরে মজিদ জমিকে ধন মনে করে না। ৫৬. মজিদ মহব্বতনগরে এসে কীসের ব্যবসা শুরু করে? উত্তর: মজিদ মহব্বতনগরে এসে মাজার ব্যবসা শুরু করে। ৫৭. মহব্বতনগরের ক্ষতিগ্রস্ত মাঠের এক প্রান্তে একাকী দাঁড়িয়ে দাঁত খিলালকারী ব্যক্তিটি কে? উত্তর: মহব্বতনগরের ক্ষতিগ্রস্ত মাঠের এক প্রান্তে একাকী দাঁড়িয়ে দাঁত খিলালকারী ব্যক্তিটি মজিদ। ৫৮. মহব্বতনগরের কৃষকেরা ধান কাটার সময় বুক ফাটিয়ে কী গায়? উত্তর: মহব্বতনগরের কৃষকেরা ধান কাটার সময় বুক ফাটিয়ে গান গায়। ৫৯. মাটির প্রতি যাদের পূজার ভাব জেগেছে মজিদ তাদেরকে কী বলেছে? উত্তর: মাটির প্রতি যাদের পূজার ভাব জেগেছে মজিদ তাদেরকে ভূত-পূজারী বলেছে। ৬০. খরার সময় মহব্বতনগরের লোকজন খতম পড়াবার জন্য কার কাছে ছুটে যায়? উত্তর: খরার সময় মহব্বতনগরের লোকজন খতম পড়াবার জন্য মজিদের কাছে ছুটে যায়। ৬১. কার সন্তানশূন্য কোলটি খাঁ খাঁ করে? উত্তর: রহীমার সন্তানশূন্য কোলটি খাঁ খাঁ করে। ৬২. রহীমা অতি সঙ্গোপনে মজিদের কাছে কী আর্জি জানায়? উত্তর: রহীমা অতি সঙ্গোপনে মজিদের কাছে সন্তান কামনার আর্জি জানায়। ৬৩. মহব্বতনগরের কোন লোকটি মরণরোগে যন্ত্রণা পাচ্ছে? উত্তর: মহব্বতনগরের ছুনুর বাপ মরণরোগে যন্ত্রণা পাচ্ছে। ৬৪. মজিদ মহব্বতনগরের কাকে ‘কলমা না জানার জন্য অকথ্য ভাষায় তিরস্কার করে? উত্তর: মজিদ মহব্বতনগরের দুদু মিঞাকে ‘কলমা না জানার জন্য অকথ্য ভাষায় তিরস্কার করে। ৬৫. মহব্বতনগরে এসে মজিদ কার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব গড়ে তোলে? উত্তর: হব্বতনগরে এসে মজিদ খালেক ব্যাপারীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব গড়ে তোলে। ৬৬. হাসুনির মায়ের পেশা কী ছিল? উত্তর: হাসুনির মায়ের পেশা ছিল ধান ভানা। ৬৭. দিলে চায় না বলে কে শ্বশুর বাড়ি যায় না? উত্তর: দিলে চায় না বলে হাসুনির মা শ্বশুর বাড়ি যায় না। ৬৮. ধানক্ষেতের তাজা রঙ দেখে হাসুনির মায়ের মনে কী জাগে? উত্তর: ধানক্ষেতের তাজা রঙ দেখে হাসুনির মায়ের মনে পুলক জাগে। ৬৯. কাকে দেখে তাহের-কাদেরের বৃদ্ধ বাবার মেজাজ গরম হয়ে ওঠে? উত্তর: হাসুনির মাকে দেখে তাহের-কাদেরের বৃদ্ধ বাবার মেজাজ গরম হয়ে ওঠে। ৭০. অন্যের আত্মার শক্তিতে কার খাঁটি বিশ্বাস নেই? উত্তর: অন্যের আত্মার শক্তিতে মজিদের খাঁটি বিশ্বাস নেই। ৭১. কৃষকদের গোলায় ধান ভরে ওঠার সময় নোয়াখালি অঞ্চলে কারা সফরে আসে? উত্তর: কৃষকদের গোলায় ধান ভরে ওঠার সময় নোয়াখালি অঞ্চলে পিরেরা সফরে আসে। ৭২. মজিদ কখন আউয়ালপুরে পৌঁছালো? উত্তর: মজিদ সূর্য হেলে পড়ার সময় আউয়ালপুরে পৌঁছালো। ৭৩. কোথায় একজন বৃদ্ধ নতুন পিরের আগমন ঘটেছে? উত্তর: আউয়ালপুরে একজন বৃদ্ধ নতুন পিরের আগমন ঘটেছে। ৭৪. আমেনা বিবি সন্তান কামনায় কার পানিপড়া খেতে চেয়েছিল? উত্তর: আমেনা বিবি সন্তান কামনায় আউয়ালপুরের পিরের পানিপড়া খেতে চেয়েছিল। ৭৫. হাসুনির মা মজিদের কাছে কী দোয়া চায়? উত্তর: হাসুনির মা মজিদের কাছে মওতের দোয়া চায়। ৭৬. কোন জিনিসটি বিষাক্ত সাপের রসনার চেয়েও ভয়ঙ্কর? উত্তর: মানুষের রসনা জিনিসটি বিষাক্ত সাপের রসনার চেয়েও ভয়ঙ্কর। ৭৭. মজিদের দৃষ্টিতে, মহব্বতনগরের কাকে দোজখের লেলিহান শিখা স্পর্শ করেছে? উত্তর: মজিদের দৃষ্টিতে, মহব্বতনগরের হাসুনির মায়ের বাপকে দোজখের লেলিহান শিখা স্পর্শ করেছে। ৭৮. “খেলোয়াড় চলে গেছে, খেলবে কার সাথে।”-‘লালসালু’ উপন্যাসের এ বাক্যে কোন খেলার কথা বলা হয়েছে? উত্তর: ঝগড়া। ৭৯. মজিদের দেওয়া হাসুনির মায়ের শাড়িটির রঙ কেমন ছিল? উত্তর: মজিদের দেওয়া হাসুনির মায়ের শাড়িটির রঙ বেগুনি ছিল। ৮০. মজিদ মহব্বতনগরের কোন লোকটিকে শয়তানের খাম্বা বলেছে? উত্তর: মজিদ মহব্বতনগরের তাহেরের বাপকে শয়তানের খাম্বা বলেছে। ৮১. শ্বশুরবাড়ির কোন জিনিস দেখে আমেনার কান্না আসতো? উত্তর: শ্বশুরবাড়ির থোতামুখো তাল গাছটি দেখে আমেনার কান্না আসতো। ৮২. আউয়ালপুরের পিরের প্রধান মুরিদ কে? উত্তর: আউয়ালপুরের পিরের প্রধান মুরিদ মতলুব খাঁ। ৮৩. মতলুব খাঁর মতে, আউয়ালপুরের পিরের কোন জিনিসটিকে ধরে রাখার ক্ষমতা আছে? উত্তর: মতলুব খাঁর মতে, আউয়ালপুরের পিরের সূর্যকে ধরে রাখার ক্ষমতা আছে। ৮৪. ‘লালসালু’ উপন্যাসে উল্লিখিত হাসপাতালটি কোথায় অবস্থিত? উত্তর: ‘লালসালু’ উপন্যাসে উল্লিখিত হাসপাতালটি করিমগঞ্জে অবস্থিত। ৮৫. হাসপাতালের কাকে মজিদ ডাক্তার ভেবেছিল? উত্তর: হাসপাতালের কম্পাউন্ডারকে মজিদ ডাক্তার ভেবেছিল। ৮৬. ‘লালসালু’ উপন্যাসে নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য কে সময়ে অসময়ে মিথ্যা কথা বলে? উত্তর: ‘লালসালু’ উপন্যাসে নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য ভণ্ড মজিদ সময়ে অসময়ে মিথ্যা কথা বলে। ৮৭. মহব্বতনগরের কে আউয়ালপুরের পির সাহেবের সাহায্য চায়? উত্তর: মহব্বতনগরের আমেনা বিবি আউয়ালপুরের পির সাহেবের সাহায্য চায়। ৮৮. কত বছর আমেনা বিবি স্বামীর সাথে সংসার করার পর সন্তানহীনতায় তালাকপ্রাপ্ত হয়? উত্তর: ত্রিশ বছর আমেনা বিবি স্বামীর সাথে সংসার করার পর সন্তানহীনতায় তালাকপ্রাপ্ত হয়। ৮৯. খালেক ব্যাপারী কার কথামতো আমেনা বিবিকে তালাক দেয়? উত্তর: খালেক ব্যাপারী মজিদের কথামতো আমেনা বিবিকে তালাক দেয়। ৯০. মহব্বতনগরের কোন নারী বছর বছর সন্তানের জন্ম দেয়? উত্তর: মহব্বতনগরের তানু বিবি বছর বছর সন্তানের জন্ম দেয়। ৯১. তানু বিবি কে? উত্তর: তানু বিবি খালেক ব্যাপারীর দ্বিতীয় স্ত্রী। ৯২. আউয়ালপুরের পিরকে মজিদ কী নামে আখ্যায়িত করেছে? উত্তর: আউয়ালপুরের পিরকে মজিদ ইবলিশ শয়তান নামে আখ্যায়িত করেছে। ৯৩. আমেনা বিবি কাকে দিয়ে পানিপড়া আনতে বলে? উত্তর: আমেনা বিবি ধলা মিঞাকে দিয়ে পানিপড়া আনতে বলে। ৯৪. ধলা মিঞা কে? উত্তর: ধলা মিঞা তানু বিবির বড় ভাই। ৯৫. আউয়ালপুর ও মহব্বতনগরের মাঝ পথে দেবংশি গাছটির নাম কী? উত্তর: আউয়ালপুর ও মহব্বতনগরের মাঝ পথে দেবংশি গাছটির নাম তেঁতুল গাছ। ৯৬. মজিদের ধমকে কার মুখ হঠাৎ ফ্যাকাশে হয়ে ওঠে? উত্তর: মজিদের ধমকে ধলা মিঞার মুখ হঠাৎ ফ্যাকাশে হয়ে ওঠে। ৯৭. মহব্বতনগরের কার গুণচর্চায় মজিদের কোনো আকর্ষণ নেই? উত্তর: মহব্বতনগরের ধলা মিঞার গুণচর্চায় মজিদের কোনো আকর্ষণ নেই। ৯৮. মজিদের মতে, পেটের কয় বেড়িতে মেয়ে মানুষের সন্তান হয় না? উত্তর: মজিদের মতে, পেটের সতেরো বেড়িতে মেয়ে মানুষের সন্তান হয় না। ৯৯. আমেনা বিবি সন্তান লাভের আশায় মাজারে কয় পাক ঘোরে? উত্তর: আমেনা বিবি সন্তান লাভের আশায় মাজারে সাত পাক ঘোরে। ১০০. আউয়ালপুর থেকে ফেরার পথে কোথায় মজিদের একটা মূর্তি নজরে পড়ে? উত্তর: আউয়ালপুর থেকে ফেরার পথে মোল্লা শেখের কাঁঠাল গাছ তলায় মজিদের একটা মূর্তি নজরে পড়ে। ১০১. মহব্বতনগরের কাকে চিনতে মজিদের এক পলকও দেরি হয় না? উত্তর: মহব্বতনগরের হাসুনির মাকে চিনতে মজিদের এক পলকও দেরি হয় না। ১০২. মহব্বতনগরের কে কেরায়া নায়ের মাঝি হতে চায়? উত্তর: মহব্বতনগরের কাদের কেরায়া নায়ের মাঝি হতে চায়। ১০৩. হাসুনির মায়ের জানাযা পড়ায় কে? উত্তর: হাসুনির মায়ের জানাযা পড়ায় মোল্লা শেখ। ১০৪. হাসুনির মায়ের মন কী ভাবতেই ভয় ও বেদনায় নীল হয়ে ওঠে? উত্তর: হাসুনির মায়ের মন মায়ের কবরের আজাব ভাবতেই ভয় ও বেদনায় নীল হয়ে ওঠে। ১০৫. মজিদের কথামতো আমেনা বিবি কোনদিন রোজা রাখে? উত্তর: মজিদের কথামতো আমেনা বিবি শুক্রবার দিন রোজা রাখে। ১০৬. আমেনা বিবি কোন যানে চড়ে মজিদের মাজারে গিয়েছিল? উত্তর: আমেনা বিবি পালকিতে চড়ে মজিদের মাজারে গিয়েছিল। ১০৭. পালকি থেকে নামার সময় আমেনার কোনটি দেখে মজিদের মনে কামভাব জেগে ওঠে? উত্তর: পালকি থেকে নামার সময় আমেনার সুন্দর মসৃণ পা দেখে মজিদের মনে কামভাব জেগে ওঠে। ১০৮. মজিদের কাম বাসনাকে কোনটির সাথে তুলনা করা হয়েছে? উত্তর: মজিদের কাম বাসনাকে সাপের বিষের সাথে তুলনা করা হয়েছে। ১০৯. মজিদের মাজারের গাত্রাবরণ কতদিন অন্তর বদলানো হয়? উত্তর: মজিদের মাজারের গাত্রাবরণ দু-তিন বছর অন্তর বদলানো হয়। ১১০. মজিদের মাজারের গাত্রাবরণের খরচ কে বহন করে? উত্তর: মজিদের মাজারের গাত্রাবরণের খরচ খালেক ব্যাপারী বহন করে। ১১১. খালেক ব্যাপারী কে? উত্তর: খালেক ব্যাপারী মহব্বতনগরের জোতদার। ১১২. রূপালি ঝালটের বিবর্ণ অংশটা কার মনকে কালো করে রেখেছে? উত্তর: রূপালি ঝালটের বিবর্ণ অংশটা মজিদের মনকে কালো করে রেখেছে। ১১৩. আক্কাস মিঞা কোন স্কুলে পড়াশোনা করেছে? উত্তর: আক্কাস মিঞা করিমগঞ্জ স্কুলে পড়াশোনা করেছে। ১১৪. আক্কাস মিঞা কোথায় চাকরি করে পয়সা জমিয়েছে? উত্তর: আক্কাস মিঞা পাট ও তামাকের আড়তে চাকরি করে পয়সা জমিয়েছে। ১১৫. মহব্বতনগরের লোকজন স্কুলের পরিবর্তে কী প্রতিষ্ঠা করতে সম্মত? উত্তর: মহব্বতনগরের লোকজন স্কুলের পরিবর্তে মসজিদ প্রতিষ্ঠা করতে সম্মত। ১১৬. মজিদ কৌশলে সভায় আক্কাসের স্কুলের পরিবর্তে কী প্রতিষ্ঠার কথা বলে? উত্তর: মজিদ কৌশলে সভায় আক্কাসের স্কুলের পরিবর্তে নতুন মসজিদ প্রতিষ্ঠার কথা বলে। ১১৭. মসজিদ নির্মাণে খালেক ব্যাপারী একাই কত অংশ বহন করার কথা বলে? উত্তর: মসজিদ নির্মাণে খালেক ব্যাপারী একাই বারো আনা বহন করার কথা বলে। ১১৮. মহব্বতনগর গ্রামে শিলাবৃষ্টির ভয় কাটানোর জন্য কারা মন্ত্র পাঠ করে? উত্তর: মহব্বতনগর গ্রামে শিলাবৃষ্টির ভয় কাটানোর জন্য শিরালীরা মন্ত্র পাঠ করে। ১১৯. মহব্বতনগরের কার নীরবতা পাথরের মতো ভারী? উত্তর: মহব্বতনগরের মজিদের নীরবতা পাথরের মতো ভারী। ১২০. মাজারের অনাবৃত কোণটা কোন জিনিসের মতো দেখাচ্ছিল? উত্তর: মাজারের অনাবৃত কোণটা মৃত মানুষের চোখের মতো দেখাচ্ছিল। ১২১. কোন জিনিসটি মজিদের মনে ভাবান্তর আনে? উত্তর: ফাল্গুনের দমকা হাওয়া মজিদের মনে ভাবান্তর আনে। ১২২. কার হাসি ঝরনার অনাবিল গতির মতো ছন্দময়? উত্তর: জমিলার হাসি ঝরনার অনাবিল গতির মতো ছন্দময়। ১২৩. বিয়ের দিনে মজিদকে দেখে জমিলার কী মনে হয়েছিল? উত্তর: বিয়ের দিনে মজিদকে দেখে জমিলার দুলার বাপ মনে হয়েছিল। ১২৪. শ্বশুরবাড়িতে আনার পর কার জন্য জমিলার প্রাণটা কাঁদে? উত্তর: শ্বশুরবাড়িতে আনার পর নুলা ভাইয়ের জন্য জমিলার প্রাণটা কাঁদে। ১২৫. কে মজিদের মাজারে খোদার অন্যায়ের বিরুদ্ধে নালিশ করতে এসেছে? উত্তর: খ্যাংটা বুড়ি মজিদের মাজারে খোদার অন্যায়ের বিরুদ্ধে নালিশ করতে এসেছে। ১২৬. কার মেহেদি দেওয়া একটা পা মাজারের গায়ে লেগে থাকে? উত্তর: জমিলার মেহেদি দেওয়া একটা পা মাজারের গায়ে লেগে থাকে। ১২৭. কার চোখ দুটি পৃথিবীর দুঃখ বেদনার অর্থহীনতায় হারিয়ে গেছে? উত্তর: জমিলার চোখ দুটি পৃথিবীর দুঃখ বেদনার অর্থহীনতায় হারিয়ে গেছে। ১২৮. জমিলার হাসি কেমন? উত্তর: জমিলার হাসি মিহি সুন্দর। ১২৯. বিছানায় জমিলা কান পেতে কীসের আওয়াজ শোনে? উত্তর: বিছানায় জমিলা কান পেতে ঢোলকের আওয়াজ শোনে। ১৩০. অবিশ্রান্ত ঢোলক বেজে চলেছে কোথায়? উত্তর: অবিশ্রান্ত ঢোলক বেজে চলেছে ডোম পাড়ায়। ১৩১. জমিলার কখন ঘুম পাড়ার অভ্যাস? উত্তর: জমিলার সন্ধ্যায় ঘুম পাড়ার অভ্যাস। ১৩২. মজিদ কাকে হ্যাঁচকা টানে ঘুম থেকে উঠায়? উত্তর: মজিদ জমিলাকে হ্যাঁচকা টানে ঘুম থেকে উঠায়। ১৩৩. মজিদ হ্যাঁচকা টানে উঠানোর পর জমিলাকে কোথায় নিয়ে যায়? উত্তর: মজিদ হ্যাঁচকা টানে উঠানোর পর জমিলাকে মাজারে নিয়ে যায়। ১৩৪. মজিদের মতে, কার দিলে খোদার ভয় নেই? উত্তর: মজিদের মতে, জমিলার দিলে খোদার ভয় নেই। ১৩৫. জিকির অনুষ্ঠানে মজিদ কী পরিধান করেছে? উত্তর: জিকির অনুষ্ঠানে মজিদ লম্বা সাদা আলখেল্লা পরিধান করেছে। ১৩৬. জিকির অনুষ্ঠানে আপ্যায়নের জন্য কী রান্না হয়েছে? উত্তর: জিকির অনুষ্ঠানে আপ্যায়নের জন্য খিচুড়ি রান্না হয়েছে। ১৩৭. হঠাৎ কীসের আওয়াজে জমিলা বিচলিত হয়ে পড়ে? উত্তর: হঠাৎ জিকিরের আওয়াজে জমিলা বিচলিত হয়ে পড়ে। ১৩৮. মজিদের মতে, কে তার সংসারে ফাটল ধরিয়ে দিতে এসেছে? উত্তর: মজিদের মতে, জমিলা তার সংসারে ফাটল ধরিয়ে দিতে এসেছে। ১৩৯. জমিলা দেখতে কেমন? উত্তর: জমিলা দেখতে ক্ষুদ্র লতার মতো। ১৪০. কার জন্য মজিদের খুব মায়া হয়? উত্তর: জমিলার জন্য মজিদের খুব মায়া হয়। ১৪১. মজিদের দৃষ্টিতে কী চেয়ে চেয়ে দেখা এক রকম এবাদত? উত্তর: মজিদের দৃষ্টিতে প্রকৃতির লীলা চেয়ে চেয়ে দেখা এক রকম এবাদত। ১৪২. মহব্বতনগরে এক রাতে ঝড়ের পর কী শুরু হয়? উত্তর: মহব্বতনগরে এক রাতে ঝড়ের পর শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। ১৪৩. কীসের অপেক্ষায় রহীমা গায়ে হাত দিয়ে চুপচাপ বসেছিল? উত্তর: পরিষ্কার প্রভাতের অপেক্ষায় রহীমা গায়ে হাত দিয়ে চুপচাপ বসেছিল। ১৪৪. মজিদের মতে, কাকে তাড়াবার জন্য খোদা শিলা বৃষ্টি ছোড়ে? উত্তর: মজিদের মতে, শয়তানকে তাড়াবার জন্য খোদা শিলা বৃষ্টি ছোড়ে। ১৪৫. এক রাতে মহব্বতনগরের আকাশ থেকে পাথরের মতো কী ঝরতে থাকে? উত্তর: এক রাতে মহব্বতনগরের আকাশ থেকে পাথরের মতো খণ্ড খণ্ড বরফের অজস্র টুকরা ঝরতে থাকে। ১৪৬. শিলার আঘাতে মহব্বতনগরে কী ঝরে ঝরে মাটিতে পড়ে? উত্তর: শিলার আঘাতে মহব্বতনগরে নধর কচি ধানের শীষ ঝরে ঝরে মাটিতে পড়ে। ১৪৭. মজিদ কল্পিত মাজারের কী বলে নিজেকে পরিচয় দেয়? উত্তর: মজিদ কল্পিত মাজারের খাদেম বলে নিজেকে পরিচয় দেয়। ১৪৮. খালেক ব্যাপারীর মোট কতজন স্ত্রী ছিল? উত্তর: খালেক ব্যাপারীর মোট ২ জন স্ত্রী ছিল। ১৪৯. মজিদের মোট কয়জন স্ত্রী ছিল? উত্তর: মজিদের মোট ২ জন স্ত্রী ছিল। ১৫০. আক্কাস মিঞা কার ছেলে? উত্তর: আক্কাস মিঞা মোতাব্বের মিঞার ছেলে। ১৫১. মজিদের সমস্ত অপকর্মের নিঃসন্দিগ্ধ সমর্থক কে ছিল? উত্তর: মজিদের সমস্ত অপকর্মের নিঃসন্দিগ্ধ সমর্থক প্রথমা স্ত্রী রহীমা ছিল। ১৫২. মহব্বতনগরের মহিলারা কার কাছে তাদের সমস্যার কথা বলতো? উত্তর: মহব্বতনগরের মহিলারা রহীমার কাছে তাদের সমস্যার কথা বলতো। ১৫৩. পোষা জীবজন্তু আহার না করলে কে দুশ্চিন্তায় অস্থির হয়ে ওঠে? উত্তর: পোষা জীবজন্তু আহার না করলে রহীমা দুশ্চিন্তায় অস্থির হয়ে ওঠে। ১৫৪. মজিদ কার বিশ্বাসকে পর্বতের মতো অটল বলেছে? উত্তর: মজিদ রহীমার বিশ্বাসকে পর্বতের মতো অটল বলেছে। ১৫৫. কে মজিদের ঘরের খুঁটি? উত্তর: রহীমা মজিদের ঘরের খুঁটি। ১৫৬. মাজারে কে হাত-পা ছড়িয়ে চিৎ হয়েছিল? উত্তর: মাজারে জমিলা হাত-পা ছড়িয়ে চিৎ হয়েছিল। ১৫৭. ‘লালসালু’ উপন্যাসে কার চোখ বিশ্বাসের পাথরে খোদাই করা? উত্তর: ‘লালসালু’ উপন্যাসে মজিদের চোখ বিশ্বাসের পাথরে খোদাই করা। ১৫৮. সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ বাংলাদেশের কোন অঞ্চলের মানুষের কথা তাঁর ‘লালসালু’ উপন্যাসে তুলে ধরেছেন? উত্তর: সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ বাংলাদেশের নোয়াখালী অঞ্চলের মানুষের কথা তাঁর ‘লালসালু’ উপন্যাসে তুলে ধরেছেন। ১৫৯. ‘লালসালু’ উপন্যাসের ঔপন্যাসিক নোয়াখালি জেলার কোন গ্রামের মানুষের কাহিনি তুলে ধরেছেন? উত্তর: ‘লালসালু’ উপন্যাসের ঔপন্যাসিক নোয়াখালি জেলার মহব্বতনগর গ্রামের মানুষের কাহিনি তুলে ধরেছেন। ১৬০. মজিদ মহব্বতনগর গ্রামের পরিত্যক্ত কবরকে কার কবর বলে গ্রামবাসীকে জানায়? উত্তর: মজিদ মহব্বতনগর গ্রামের পরিত্যক্ত কবরকে মোদাচ্ছের পিরের কবর বলে গ্রামবাসীকে জানায়। ১৬১. মজিদ রহীমার পেটে কয়টি বেড়ির কারণে সন্তান না হওয়ার কথা বলে? উত্তর: মজিদ রহীমার পেটে চোদ্দটি বেড়ির কারণে সন্তান না হওয়ার কথা বলে। ১৬২. সতীন হলেও রহীমা জমিলাকে কোন দৃষ্টিতে দেখতো? উত্তর: সতীন হলেও রহীমা জমিলাকে সন্তানের দৃষ্টিতে দেখতো। ১৬৩. ‘লালসালু’ উপন্যাসের নায়ক চরিত্রটি কে? উত্তর: ‘লালসালু’ উপন্যাসের নায়ক চরিত্রটি মজিদ। ১৬৪. কোন জিনিসটি মজিদ তার পেছনে মাছের পিঠের মতো সর্বক্ষণ দেখতে পায়? উত্তর: মাজারের ছায়া মজিদ তার পেছনে মাছের পিঠের মতো সর্বক্ষণ দেখতে পায়। ১৬৫. খরার সময় মহব্বতনগরের জমিগুলো কীসে পরিণত হয়? উত্তর: খরার সময় মহব্বতনগরের জমিগুলো বিরান ভূমিতে পরিণত হয়। ১৬৬. কখন মজিদের ঘরে প্রচুর ধান আসে? উত্তর: পৌষ মাসে মজিদের ঘরে প্রচুর ধান আসে। ১৬৭. জিকির অনুষ্ঠানের সময় কে ঘরের বাইরে চলে যায়? উত্তর: জিকির অনুষ্ঠানের সময় জমিলা ঘরের বাইরে চলে যায়। ১৬৮. জিকির অনুষ্ঠানে মজিদ জমিলাকে কী বলে পরিচয় দেয়? উত্তর: জিকির অনুষ্ঠানে মজিদ জমিলাকে কাজের বেটি বলে পরিচয় দেয়। ১৬৯. শত্রুর আভাস পাওয়া হরিণের মতো কার চোখ সতর্ক হয়ে ওঠে? উত্তর: শত্রুর আভাস পাওয়া হরিণের মতো জমিলার চোখ সতর্ক হয়ে ওঠে। ১৭০. জমিলাকে কাছে পেয়ে রহীমার মনে কোন ভাব জাগে? উত্তর: জমিলাকে কাছে পেয়ে রহীমার মনে শ্বাশুড়ির ভাব জাগে। ১৭১. রহীমার চালচলন কেমন? উত্তর: রহীমার চালচলন বেসামাল। ১৭২. কার আগমন মুহূর্ত মহব্বতনগরের সমগ্র গ্রামকে চমকে দেয়? উত্তর: মজিদের আগমন মুহূর্ত মহব্বতনগরের সমগ্র গ্রামকে চমকে দেয়। ১৭৩. মজিদ কাদের জাহেল, বে-এলেম ও আনপড়াহ বলেছে? উত্তর: মজিদ মহব্বতনগরবাসীদের জাহেল, বে-এলেম ও আনপড়াহ বলেছে। ১৭৪. মহব্বতনগরের বৃদ্ধ সোলেমনের বাপ কীসের রোগী? উত্তর: মহব্বতনগরের বৃদ্ধ সোলেমনের বাপ হাঁপানির রোগী। ১৭৫. মহব্বতনগরের কার গলার আওয়াজ মাঠ থেকেও শোনা যায়? উত্তর: মহব্বতনগরের রহীমার গলার আওয়াজ মাঠ থেকেও শোনা যায়। ১৭৬. কারা জমিকে বুকের রক্ত দিয়েও রক্ষা করতে দ্বিধা করে না? উত্তর: মহব্বতনগরের লোকজন জমিকে বুকের রক্ত দিয়েও রক্ষা করতে দ্বিধা করে না। ১৭৭. মহব্বতনগরের কৃষকেরা কোথা থেকে কেঁদে কেঁদে ফসল তোলে? উত্তর: মহব্বতনগরের কৃষকেরা বিল থেকে কেঁদে কেঁদে ফসল তোলে। ১৭৮. কীসের তৃষ্ণায় কৃষকের অন্তর খাঁ খাঁ করে? উত্তর: মাটির তৃষ্ণায় কৃষকের অন্তর খাঁ খাঁ করে। ১৭৯. কার চোখে মজিদ ভয় দেখেছে? উত্তর: রহীমার চোখে মজিদ ভয় দেখেছে। ১৮০. মহব্বতনগরের কে পক্ষাঘাতে কষ্ট পায়? উত্তর: মহব্বতনগরের খেতানির মা পক্ষাঘাতে কষ্ট পায়। ১৮১. ঝড় এলে কার হৈ হৈ করার অভ্যাস? উত্তর: ঝড় এলে হাসুনির মায়ের হৈ হৈ করার অভ্যাস। ১৮২. গভীর রাতে রহীমা আর হাসুনির মা কী করে? উত্তর: গভীর রাতে রহীমা আর হাসুনির মা ধান সিদ্ধ করে। ১৮৩. কার দেহভরা ধানের গন্ধ? উত্তর: রহীমার দেহভরা ধানের গন্ধ। ১৮৪. জাঁদরেল পিররা আশেপাশে আস্তানা গাড়লে কে শঙ্কিত হয়ে উঠে? উত্তর: জাঁদরেল পিররা আশেপাশে আস্তানা গাড়লে মজিদ শঙ্কিত হয়ে উঠে। ১৮৫. ‘লালসালু’ কোন জাতীয় উপন্যাস? উত্তর: ‘লালসালু’ সামাজিক উপন্যাস। ১৮৬. মজিদ জমিলাকে মাজারের কোথায় বসিয়ে দেয়? উত্তর: মজিদ জমিলাকে মাজারের পাদপ্রান্তে বসিয়ে দেয়। ১৮৭. কার হাত হতে দুষ্ট আনা ও ভূতপ্রেতও রক্ষা পায় না? উত্তর: মজিদের হাত হতে দুষ্ট আনা ও ভূতপ্রেতও রক্ষা পায় না। ১৮৮. মজিদ কাকে নাজুক শিশু বলেছে? উত্তর: মজিদ জমিলাকে নাজুক শিশু বলেছে। ১৮৯. জিকির করতে করতে কে অজ্ঞান হয়ে পড়ে? উত্তর: জিকির করতে করতে মজিদ অজ্ঞান হয়ে পড়ে। ১৯০. কখন থেকে একটানা ঢোলক বেজে চলেছে? উত্তর: সন্ধ্যা থেকে একটানা ঢোলক বেজে চলেছে। ১৯১. রহীমার প্রশস্ত বুকে মুখ গুঁজে কে অঘোরে ঘুমাচ্ছে? উত্তর: রহীমার প্রশস্ত বুকে মুখ গুঁজে জমিলা অঘোরে ঘুমাচ্ছে। ১৯২. মজিদের দৃষ্টিতে, কার বাপ-মা জাহেল কিছিমের মানুষ? উত্তর: মজিদের দৃষ্টিতে, জমিলার বাপ-মা জাহেল কিছিমের মানুষ। ১৯৩. মজিদ কী দিয়ে দাঁত মেছোয়াক করে? উত্তর: মজিদ নিমের ডাল দিয়ে দাঁত মেছোয়াক করে। ১৯৪. মজিদ কার মনের হদিস পায় না? উত্তর: মজিদ জমিলার মনের হদিস পায় না। ১৯৫. কোন কারণে আমেনা বিবির সন্তান হয় না? উত্তর: বন্ধ্যাত্বের কারণে আমেনা বিবির সন্তান হয় না। ১৯৬. মহব্বতনগর গ্রামের লোকেরা ধান ক্ষেতে কী নিয়ে বেড়ায়? উত্তর: মহব্বতনগর গ্রামের লোকেরা ধান ক্ষেতে নৌকা নিয়ে বেড়ায়। ১৯৭. ‘লালসালু’ উপন্যাসে কাদের দিনমানক্ষণের সবর ফাঁসির সামিল? উত্তর: ‘লালসালু’ উপন্যাসে মহব্বতনগরবাসীর দিনমানক্ষণের সবর ফাঁসির সামিল। |
| ‘লালসালু’ উপন্যাসের অনুধাবনমূলক প্রশ্ন : |
|---|
|
১. ‘মনে হয় এটা খোদাতালার বিশেষ দেশ।’-উক্তিটি ব্যাখ্যা কর।
২. মজিদ যে খেলা খেলতে যাচ্ছে তা সাংঘাতিক কেন?
৩. ‘কিন্তু তারও যে বাঁচবার অধিকার আছে সেই কথাটাই সে সাময়িক চিন্তার
মধ্যে প্রধান হয়ে ওঠে।’-ব্যাখ্যা কর।
৪. ‘মাটি-এ গোস্বা করে’-এ কথার ভাবার্থ কী?
৫. মজিদ রহীমার প্রতি গুরুগম্ভীর হয়ে পড়ে কেন?
৬. ‘কুৎসা রটনা বড় গর্হিত কাজ’-কেন?
৭. ‘সে ঝংকার মানুষের প্রাণে লাগে, কানে লাগে।’-ব্যাখ্যা কর।
৮. যে জিনিস বোঝার নয়, তার জন্য কৌতূহল প্রকাশ করা অর্থহীন কেন?
৯. আল্লাহর ওপর এত ভরসা সত্ত্বেও মজিদের চোখে জ্বালাময়ী ছবি ভেসে ওঠে
কেন?
১০. মজিদের মন থম থম করে কেন?
১১. মজিদের ক্রোধ হয় কেন?
১২. ‘এ বিচিত্র বিশাল দুনিয়ায় কী যাবার জায়গার কোনো অভাব আছে?’-ব্যাখ্যা
কর।
১৩. মজিদ আউয়ালপুরে গেল কেন?
১৪. ‘যেন বিশাল সূর্যোদয় হয়েছে, আর সে আলোয় প্রদীপের আলো নিশ্চিহ্ন হয়ে
গেছে।’-ব্যাখ্যা কর।
১৫. পির সাহেব হামলা করতে চায়নি কেন?
১৬. মজিদের মনে অস্বস্তি কেন?
১৭. আমেনা আউয়ালপুরের পিরের সাহায্য চায় কেন?
১৮. ধলা মিঞা আউয়ালপুরে যেতে চায় না কেন?
১৯. ‘সে অন্দরের লোক, আর তার তাগিদটা বাঁচা মরার মতো জোরালো।’-ব্যাখ্যা
কর।
২০. ‘সজ্ঞানে না জানলেও তারা একটা, পথ তাদের এক’-ব্যাখ্যা কর।
২১. হাসুনির মার মন বেদনায় নীল হয়ে ওঠে কেন?
২২. ‘বার্ধক্যের শেষ স্তরে কারো মৃত্যু ঘটলে দুঃখটা তেমন জোরালোভাবে বুকে
লাগে না।’-ব্যাখ্যা কর।
২৩. আমেনা বিবির মনে আশার সঞ্চার হলো কেন?
২৪. “দুই তানিতে যে প্রচুর তফাৎ আছে সে কথা কী করে বোঝায়?”-কথাটি বুঝিয়ে
দাও।
২৫. এক ঢিলের পথ হলেও ব্যাপারীর বউ হেঁটে যেতে পারে না কেন?
২৬. মজিদের কাম বাসনাকে সাপের দংশের সঙ্গে কেন তুলনা করা হয়েছে?
২৭. ‘সে মুখ ফ্যাকাশে, রক্তশূন্য এবং সে মুখে দুনিয়ার ছায়া
নেই।’-ব্যাখ্যা কর।
২৮. একটা প্রখর আলো তার ভেতরটা কানা করে দিয়েছে কেন?
২৯. মজিদ এত নিষ্ঠুর কেন?
৩০. ‘খোদার কালামের সাহায্যে যে কথা জানা যায় তা মূর্খের রোজগারের মত
সাফ।’-ব্যাখ্যা কর।
৩১. খালেক ব্যাপারী মজিদের কথা ঠিক মনে করল কেন?
৩২. ‘ওটা ছিল নিশানা, আনন্দ আর সুখের’-ব্যাখ্যা কর।
৩৩. মজিদের মন অন্ধকার হয়ে আসে কেন?
৩৪. রহীমা মজিদের সামনে দীর্ঘশ্বাস ফেলে কেন?
৩৫. আক্কাস মিঞা গ্রামে স্কুল প্রতিষ্ঠা করতে চায় কেন?
৩৬. আক্কাস বৈঠক থেকে উঠে চলে যায় কেন?
৩৭. ‘তাঁর জীবনে শৌখিনতা কিছু যদি থাকে তা এই কয়েক গজ রূপালি
চাকচিক্য।’-ব্যাখ্যা কর।
৩৮. ‘যাদের ঘরে রাজা মেয়ে তাদের আর শান্তি নেই।’-ব্যাখ্যা কর।
৩৯. ফাল্গুনের দমকা হাওয়া মজিদের মনে ভাব জাগায় কেন?
৪০. কবরটি মজিদকে ভীত করে তোলে কেন?
৪১. ‘মজিদের নীরবতা পাথরের মত ভারী’।-কথাটির অর্থ বুঝিয়ে দাও।
৪২. মজিদ দ্বিতীয়বার বিয়ে করতে চায় কেন?
৪৩. ‘এখন সে ঝড়ের মুখে উড়ে চলা পাতা নয়, সচ্ছলতার শিকড় গাড়া
বৃক্ষ।’-ব্যাখ্যা কর।
৪৪. মজিদ চমকিত হয় কেন?
৪৫. “তানি বুঝি দুলার বাপ”-কথাটির অর্থ বুঝিয়ে দাও।
৪৬. “জমিলা যেন ঠাটা মানুষের মত হয়ে গেছে।”-এ বাক্যটি ব্যাখ্যা করে
বুঝিয়ে দাও।
৪৭. ‘চোখে বিন্দুমাত্র খোদার ভয় নেই, মানুষের ভয় তো দূরের কথা।’-ব্যাখ্যা
কর।
৪৮. ‘শত্রুর আভাস পাওয়া হরিণের চোখের মতই সতর্ক হয়ে ওঠে তার
চোখ।’-ব্যাখ্যা কর।
৪৯. ‘লতার মতো মেয়েটি যেন এ সংসারে ফাটল ধরিয়ে দিতে এসেছে।’-বুঝিয়ে
দাও।
৫০. ‘বালুতীরে যুগ যুগ আঘাত পাওয়া শক্ত কঠিন পাথর তো সে নয়।’-ব্যাখ্যা
কর।
৫১. ‘তার আনুগত্য ধ্রুব তারার মতো অনড়, তার বিশ্বাস পর্বতের মতো
অটল।’-ব্যাখ্যা কর।
৫২. মজিদ জমিলাকে হ্যাঁচকা টান মেরে বসিয়ে দেয় কেন?
৫৩. জমিলা বেঁকে বসে কেন?
৫৪. ‘নাফরমানি করিও না। খোদার উপর তোয়াক্কল রাখো।’ -বুঝিয়ে লিখ।
৫৫. না ঘুমিয়ে মজিদ দাওয়ার ওপর বসে থাকে কেন?
৫৬. রহীমা মজিদের কথায় কোনো সাড়া দেয় না কেন?
৫৭. ‘প্রকৃতির লীলা চেয়ে চেয়ে দেখাও এক রকম এবাদত’। -বুঝিয়ে দাও।
৫৮. ‘আর একটা সত্যের সীমানায় পৌঁছে, জন্ম বেদনার তীক্ষ্ম যন্ত্রণা অনুভব
করে মনে মনে।’-ব্যাখ্যা কর।
৫৯. ‘শুধু জীবন্ত হয়ে সেই ডালপালা শাখা-প্রশাখায় ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে।’
-বুঝিয়ে দাও।
৬০. ‘রুপালি ঝালরের বিবর্ণ অংশটা কালো করে রেখেছে সে মন।’-ব্যাখ্যা
কর। |
| ‘লালসালু’ উপন্যাসের সৃজনশীল প্রশ্ন- ১: |
|---|
|
নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
ক. ধলা মিয়া কেমন ধরনের মানুষ ছিল? |
|
ক. ধলা মিয়া নির্বোধ এবং অলস প্রকৃতির মানুষ ছিল।
গ. ওয়াসিকা লালসালু উপন্যাসের জমিলার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।
ঘ. উদ্দীপকের একাব্বর মুন্সি ‘লালসালু’ উপন্যাসের মজিদ চরিত্রের সামগ্রিক
দিক ধারণ করেনি। মন্তব্যটি যথার্থ। |
| ‘লালসালু’ উপন্যাসের সৃজনশীল প্রশ্ন- ২: |
|---|
|
উদ্দীপকটি পড় এবং নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
ক. সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ কত সালে জন্মগ্রহণ করেন? |
|
ক. সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ ১৯২২ সালের ১৫ আগস্ট তারিখে জন্মগ্রহণ করেন।
গ. উদ্দীপকের মফিজ আলী এবং ‘লালসালু’ উপন্যাসের মজিদ চরিত্রে মিল ও অমিল
দুটি দিকই লক্ষ করা যায়। মিলের মধ্যে দুজনই ধর্মকে পুঁজি করে নিজেদের
স্বার্থ হাসিল করেছে। দুজনই জানে গ্রামের মানুষ হয় ধর্মান্ধ, নতুনা
ধর্মভীরু অথবা ধর্মপ্রাণ কিন্তু ধর্মকে মুক্তদৃষ্টিতে দেখবার মানুষ
সেখানে কম। মানুষের মাঝে পাপ ও পরকালের ভয় ঢুকিয়ে দিয়ে মজিদ ও মফিজ
দুজনেই নিজেদের আখের ভালোই গুছিয়ে নিয়েছিল।
ঘ. সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ ‘লালসালু’ উপন্যাসে মজিদ চরিত্রের মধ্য দিয়ে
মানুষের অস্তিত্বের সঙ্কটকে আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে ফুটিয়ে তোলার
চেষ্টা করেছেন। |
| ‘লালসালু’ উপন্যাসের সৃজনশীল প্রশ্ন- ৩: |
|---|
|
উদ্দীপকটি পড় এবং নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
ক. মতলুব খাঁ কে? |
|
ক. মতলুব খাঁ হচ্ছে ইউনিয়ন বোর্ডের প্রেসিডেন্ট।
গ. উদ্দীপকের কাশেম মুন্সি চরিত্রটির সাথে ‘লালসালু’ উপন্যাসের মজিদ
চরিত্রটির মিল এবং অমিল দুটি দিকই লক্ষ করা যাবে।
ঘ. সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ একজন অস্তিত্ববাদী কথাশিল্পী। মানুষের অস্তিত্বের
সঙ্কট এবং তা উত্তীর্ণ হয়ে অন্যকে সঙ্কটে ফেলার যে ধারাবাহিক জৈব
প্রবৃত্তি মানুষের মধ্যে প্রবহমান, মজিদ চরিত্রটির মধ্য দিয়ে তিনি তা
চমৎকারভাবে দেখানোর চেষ্টা করেছেন। তাই ‘লালসালু’ উপন্যাসটি পাঠ করার সময়
মজিদ চরিত্রটি সম্পর্কে আমার ধারণা এক জায়গায় স্থির থাকে নি বরং তা
বারবার বদল হয়েছে। |
| ‘লালসালু’ উপন্যাসের সৃজনশীল প্রশ্ন- ৪: |
|---|
|
উদ্দীপকটি পড় এবং নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
ক. ‘সালু’ শব্দের অর্থ কী? |
|
ক. ‘সালু’ শব্দের অর্থ লাল রঙের কাপড়।
গ. সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্র ‘লালসালু’ উপন্যাসের মজিদ এবং উদ্দীপকের জয়তুন
বেগম চরিত্র দুটির মধ্যে তুলনামূলক আলোচনা করলে আমরা মিল এবং অমিল দুটি
দিকই দেখবো। প্রথমে আমরা মিলের দিকে দৃষ্টিপাত করতে চাই, পরে অমিল অংশ
আলোকপাত করবো। মিলের কথা যদি বলতে হয়, তাহলে বলতে হবে, দুজনই ধর্ম
ব্যবসায়ী। মজিদ এবং জয়তুন বেগম- দুজনই অশিক্ষিত মানুষের সরলতার সুযোগ
নিয়ে তাদের কর্মকাণ্ড চালিয়ে গেছে। মজিদ আয়ত্তে এনেছে মহব্বতনগর গ্রামের
মানুষদের। এই কাজটা সে করেছে সুকৌশলে, ধীরে ধীরে। অপরদিকে জয়তুন বেগম
নিয়ন্ত্রণে এনেছে দয়ারামপুর গ্রামের ধর্মপ্রাণ মানুষদের। মিলের মধ্যে
দুজনই ধর্মজীবী এবং তাদের উত্থান হয়েছে নাটকীয়ভাবে।
ঘ. মানুষ সমাজের সৃষ্টি। আর্থ-সামাজিক-সাংস্কৃতিক অভিঘাতে এক একজন মানুষ
গড়ে ওঠে এক ভাবে। উদ্দীপকের জয়তুন বেগমও আর্থ-সামাজিক-সাংস্কৃতিক অভিঘাতে
গড়ে ওঠে একটি জীবন্ত চরিত্র। ব্যাপারটি কিভাবে ঘটে, সেটি একটু বিশ্লেষণ
করা যাক। |
| ‘লালসালু’ উপন্যাসের সৃজনশীল প্রশ্ন- ৫: |
|---|
|
উদ্দীপকটি পড় এবং নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
ক. মহব্বতনগর গ্রামে মজিদকে সবার আগে কে দেখেছিল? |
|
ক. মহব্বত নগর গামে মজিদকে সবার আগে দেখেছিল তাহের।
ঘ. সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ ‘লালসালু’ উপন্যাসের মজিদের প্রথম স্ত্রী রহিমা এবং
উদ্দীপকের ফজিলাতুন নেসা চরিত্রটির ভেতর মিল এবং অমিল দুটিই রয়েছে।
ঘ. সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্র ‘লালসালু’ উপন্যাসের চরিত্রগুলো স্কেচের মতো করে
আঁকা হয়েছে। প্রায় সব চরিত্রই দেশ-কাল-পরিপ্রেক্ষিতে সংস্থাপিত এবং
তুলনারহিত সৃষ্টি। |
| ‘লালসালু’ উপন্যাসের সৃজনশীল প্রশ্ন- ৬: |
|---|
|
উদ্দীপকটি পড় এবং নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
ক. সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্র পিতার নাম কী? |
|
ক. সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্র পিতার নাম সৈয়দ আহমদউল্লাহ্।
গ. ‘লালসালু’ উপন্যাসের রহিমা এবং উদ্দীপকের শামীমা সুলতানা চরিত্র দুটির
মধ্যে মিল এবং অমিল দুটি দিকই লক্ষযোগ্য।
ঘ. বিন্দার মধ্যে থাকতে পারে সিন্ধার ব্যঞ্জনা, গোষ্পদে তরঙ্গিত হয়
সমুদ্র গর্জন- এটি কেবল কথার কথা নয়, বাস্তবেও এর অজস্র প্রমাণ রয়েছে।
তার একটি দৃষ্টান্ত হিসেবে বর্তমান উদ্দীপকের কথাই বলা যেতে পারে। এ
উদ্দীপকের মাত্র ৫টি বাক্যে বিধৃত হয়েছে আবহমান বাঙালি সমাজের একটি
রূপরেখা। |
| ‘লালসালু’ উপন্যাসের সৃজনশীল প্রশ্ন- ৭: |
|---|
|
উদ্দীপকটি পড় এবং নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
ক. হাসপাতালটি কোথায় অবস্থিত? |
|
ক. হাসপাতালটি করিমগঞ্জে অবস্থিত।
গ. ‘লালসালু’ উপন্যাসের রহিমা এবং উদ্দীপকের হাসনা বানু চরিত্র দুটির
মধ্যে মিল এবং অমিল দুটি দিকই লক্ষণীয়। মিল খুব কম, অমিলই বেশি। প্রথমে
মিলের ক্ষেত্রটি আলোচনা করা যাক, পরে দৃষ্টিপাত করা যাবে অমিলের অংশে।
মিল হচেছ রহিমা এবং হাসনা বানু উভয়েই নিঃসন্তান। বিয়ের পরেও তাদের
সন্তানাদি হয়নি এবং তাদের উভয়ের স্বামীই দ্বিতীয় বিয়ের ইচ্ছা প্রকাশ
করেছে।
ঘ. লেখক হচ্ছেন তাঁর সমকালীন দেশ-কালের নিপুণ রূপকার। তাই সাহিত্যই হচ্ছে
সবচেয়ে কালের নির্ভরযোগ্য ইতিহাস। সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ তাঁর সময়ের কথা
বলেছেন, সেটা বিশ শতকের প্রথমার্ধ কিন্তু উদ্দীপকের শুরুতেই দেখা যাচ্ছে
সময়টা একুশ শতকের প্রথমার্ধ। একশো বছরে সময় অনেক বদলে গেছে, বদলে গেছে
সমাজের কাঠামো, বদলে গেছে সেই সমাজের মানুষগুলো। তাই ‘লালসালু’ উপন্যাসের
রহিমা আর উদ্দীপকের হাসনা বানু ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তি। |
| ‘লালসালু’ উপন্যাসের সৃজনশীল প্রশ্ন- ৮: |
|---|
|
উদ্দীপকটি পড় এবং নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
ক. গ্রামে স্কুল বসাতে চায় কে? |
|
ক. গ্রামে স্কুল বসাতে চায় আক্কাস।
গ. উদ্দীপকটি ‘লালসালু’ উপন্যাসে উপস্থাপিত ধর্মব্যবসায়ী ও প্রগতিশীল
তরুণের চেতনার সাথে দ্বন্দ্বের বিষয়টির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।
ঘ. “উদ্দীপকের মোল্লাদের এবং ‘লালসালু’ উপন্যাসের মজিদের চেতনাগত
বৈশিষ্ট্য একই।” মন্তব্যটি যথার্থ। |
| ‘লালসালু’ উপন্যাসের সৃজনশীল প্রশ্ন- ৯: |
|---|
|
উদ্দীপকটি পড় এবং নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
ক. পীর সাহেবের আগমন ঘটে কোন গ্রামে? |
|
ক. পীর সাহেবের আগমন ঘটে আওয়ালপুর গ্রামে।
গ. উদ্দীপকটি ‘লালসালু’ উপন্যাসে বর্ণিত পীর সাহেবের আগমনের ঘটনাটির
প্রতি ইঙ্গিত করেছে।
ঘ. না, উদ্দীপকটি ‘লালসালু’ উপন্যাসের সম্পূর্ণ ভাব ধারণ করে না। |
| ‘লালসালু’ উপন্যাসের সৃজনশীল প্রশ্ন- ১০: |
|---|
|
উদ্দীপকটি পড় এবং নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
ক. খালেক ব্যাপারী মসজিদের কত আনা খরচ বহন করতে চায়? |
|
ক. খালেক ব্যাপারী মসজিদের বারআনা খরচ বহন করতে চায়।
গ. উদ্দীপকের মতি মাস্টার ‘লালসালু’ উপন্যাসের নব্যশিক্ষিত প্রগতিশীল
চেতনার আক্কাস চরিত্রের প্রতিনিধি।
ঘ. “উদ্দীপকটি ‘লালসালু’ উপন্যাসের মাত্র একটি ভাবকে ধারণ করতে সক্ষম
হয়েছে।” মন্তব্যটি যথার্থই হয়েছে। |
| ‘লালসালু’ উপন্যাসের সৃজনশীল প্রশ্ন- ১১: |
|---|
|
উদ্দীপকটি পড় এবং নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
ক. তাহাদের নৌকা কোন সড়কটার কাছে এসে পড়ে? |
|
ক. তাহেরদের নৌকা মতিগঞ্জের সড়কটার কাছে এসে পড়ে।
গ. উদ্দীপকের বহিপীর ‘লালসালু’ উপন্যাসের মজিদ চরিত্রের সাথে সাদৃশ্য
রয়েছে।
ঘ. “উদ্দীপকটি ‘লালসালু’ উপন্যাসের ভাবার্থের দর্পণ।” মন্তব্যটি আমার মতে
যৌক্তিক নয়। |
| ‘লালসালু’ উপন্যাসের সৃজনশীল প্রশ্ন- ১২: |
|---|
|
উদ্দীপকটি পড় এবং নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
ক. মজিদের দ্বিতীয় স্ত্রীর নাম কী? |
|
ক. মজিদের দ্বিতীয় স্ত্রীর নাম জমিলা।
গ. উদ্দীপকের তাহেরার সাথে ‘লালসালু’ উপন্যাসের জামিলা চরিত্রের সাদৃশ্য
রয়েছে প্রতিবাদী চেতনায়।
ঘ. “উদ্দীপকের তাহেরা এবং ‘লালসালু’ উপন্যাসের জামিলা একই সামাজিক
বৈষম্যের শিকার।” মন্তব্যটি সঠিক। |
| ‘লালসালু’ উপন্যাসের সৃজনশীল প্রশ্ন- ১৩: |
|---|
|
উদ্দীপকটি পড় এবং নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও : পাঁচুকান্দা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাসান শিকদারের শ্বশুর কাসেম হালদার। দেখতে শুনতে বোকা কিসিমের মনে হলেও বদের একশেষ। মেয়েকেই শুধু হাসান শিকদারের ঘাড়ে গছিয়ে দেয়নি, নিজেও জামাইবাড়ির আজীবন ভোগদখল সদস্য বনে গেছে। হাসান চেয়ারম্যানও শ্বশুরের যাবতীয় সম্মান নাশ করে তার যাবতীয় অকামের দোসর শ্বশুরকে করে নিয়েছে। একদিন শেষরাতে শ্বশুরকে তারাকান্দি বাজার থেকে কয়েক প্যাকেট নিষিদ্ধ দ্রব্য খুব গোপনে আনতে বলে। অমাবস্যার রাতে পলাশপুরের শ্যাওড়া গাছতলা দিয়ে ‘তেনাদের’ এড়িয়ে ঝামার বাজার যাওয়ার ব্যপারে কাশেম হালদার খুব ভয় পেতে থাকে। সে নিজে না গিয়ে অন্যকে দিয়ে কাজটি সমাধাণ করার বুদ্ধি আটতে থাকে।
ক. মজিদের ঘর কিসের তৈরি? |
|
ক. মজিদের ঘর ইটের তৈরি।
গ. উদ্দীপকের কাসেম হালদার ‘লালসালু’ উপন্যাসের ধলা মিঞা চরিত্রের
অনুরূপ।
ঘ. “উদ্দীপকের চেয়ারম্যান হাসান শিকদার আর ‘লালসালু’র খালেক ব্যাপারীর
সমস্যা সমধর্মী না হলেও ঘটনা ফাঁস হলে উভয়ের পরিণতি সমরূপ হতে বাধ্য।”-
উক্তিটি যথার্থ সঠিক। |
| ‘লালসালু’ উপন্যাসের সৃজনশীল প্রশ্ন- ১৪: | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
|
উদ্দীপকটি পড় এবং নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
ক. কখন বৈঠক ডাকা হলো? |
||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
|
ক. সন্ধ্যার পরে বৈঠক ডাকা হলো।
গ. ‘মুসলিম সাহিত্য-সমাজ’ এর লেখকদের সাথে ‘লালসালু’ উপন্যাসের
সাদৃশ্যপূর্ণ চরিত্রটি হলো মোদাব্বের মিঞার ছেলে আক্কাস। ➠ সৈয়দ
ওয়ালীউল্লাহ্র ‘লালসালু’ উপন্যাসে আক্কাস মোদাব্বের মিঞার ছেলে। সে
ইংরেজি স্কুলে পড়েছে। তারপর বিদেশে গিয়ে বহুদনি থেকেছে। সেখানে চাকরি করে
পয়সা জমিয়ে সে আবার গ্রামে ফিরে এসেছে। আক্কাস গ্রামে একটি স্কুল
প্রতিষ্ঠা করতে চায়।
ঘ. উদ্দীপকে ‘ইসলাম বিদ্বেষী’ আর ‘লালসালু’র দাড়ি না থাকা একই রকম হামলার
একই অস্ত্রবিশেষ। প্রতিক্রিয়াশীল ভন্ড ধর্মব্যবসায়ী মজিদ দাড়ি না থাকার
কথাটি বলেছে মোদাব্বের মিঞার ছেলে আক্কাসকে।
Add Comment
comment url
|
