এককথায় উত্তর দাও; রচনামূলক প্রশ্ন (দৃশ্যপটনির্ভর ও দৃশ্যপটবিহীন) : ৭ম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার প্রশ্ন-২০২৪

বাংলা

এককথায় উত্তর দাও

১০টি প্রশ্ন থাকবে (প্রশ্নের ক্রমিক নং হবে ১৬ থেকে ২৫)। প্রতিটি প্রশ্নে মান ১। এক শব্দে বা বাক্যে উত্তর লিখতে হবে।

১। শায়েস্তা খাঁ কখন দুর্গের কাজ থামিয়ে দেন?
উত্তর: তাঁর কন্যা পরীবিবি মারা যাওয়ার পর।
২। ভাষিক যোগাযোগের প্রধান রূপগুলো কী কী?
উত্তর: শোনা, বলা, পড়া ও লেখা।
৩।‘প্রাঙ্গণ’ শব্দের সঠিক উচ্চারণ কোনটি?
উত্তর: প্রাঙ্গোন্। ৫। সৈয়দ শামসুল হক কত সালে জন্মগ্রহণ করেন? উত্তর: ১৯৩৫ সালে।
৪। ধ্বনি উচ্চারণের সময় ধ্বনিদ্বার বা স্বরতন্ত্রী কম কাঁপলে তাকে কী বলে?
উত্তর: অঘোষ ধ্বনি।
৫। সৈয়দ শামসুল হক কত সালে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর: ১৯৩৫ সালে।
৬। কুমোরদের প্রাঙ্গণে সার দিয়ে কী সাজানো?
উত্তর: মাটির পাটায় আঁকা রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, জয়নুলের অবয়ব বা প্রতিকৃতি।
৭। বিশেষণ কাকে বলে?
উত্তর: বিশেষণ শব্দ দিয়ে বিশেষ্য ও সর্বনামের গুণ, দোষ, সংখ্যা, পরিমাণ, অবস্থা ইত্যাদি বোঝায়।
৮। ভাব প্রকাশের ধরন অনুযায়ী বাক্যকে কয়টি ভাগে ভাগ করা যায়?
উত্তর: চারটি।
৯। ‘উপহার পাওয়ার ব্যাপারটি অবশ্যই সম্মানের।’ এ বাক্যে ‘উপহার’ শব্দটি কী যোগে গঠিত হয়েছে?
উত্তর: উপসর্গ।
১০। সমাস কী গঠনের একটি প্রক্রিয়া?
উত্তর: শব্দ গঠনের।
১১। ‘টিকিট কাটতে হবে’ বাক্যে ‘কাটা’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: কেনা
১২। ‘কুটুম’ কোন শব্দের প্রতিশব্দ?
উত্তর: অতিথি
১৩। উদাহরণ দেওয়ার আগে কোন যতিচিহ্ন বসে?
উত্তর: কোলন
১৪। পরস্পর সম্পর্কযুক্ত দুটি বাক্যের মাঝে কোন চিহ্ন ব্যবহার করা হয়?
উত্তর: সেমিকোলন (;)
১৫। ‘চল, আমরাই খোঁজ করে দেখি।’ বাক্যটি কোন শ্রেণির?
উত্তর: অনুজ্ঞাবাচক
১৬। ‘শফিক বল খেলে।’ এটি কী ধরনের বাক্য?
উত্তর: সরল বাক্য
১৭। আসল কোকিলকে কী করা হলো?
উত্তর: নির্বাসিত
১৮। ‘পিরামিড’ লেখাটি সৈয়দ মুজতবা আলীর কোন গ্রন্থ থেকে নেওয়া?
উত্তর: জলে ডাঙায়
১৯। আনিসুজ্জামান কত সালে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর: ১৯৩৭ সালে
২০। প্রাচীনকালে বাঙালিদের মধ্যে কোঁকড়া চুল কপালের ওপরে বেঁধে রাখত কারা?
উত্তর: শৌখিন পুরুষেরা
২১। কবিতায় ছোটো ছোটো অংশকে কী বলে?
উত্তর: স্তবক
২২। বন্দে আলী মিয়া কত সালে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর: ১৯০৬ সালে
২৩। হালিমা খাতুন কত সালে মৃত্যুবরণ করেন?
উত্তর: ২০১৮ সালে
২৪। মাথাল মাথায় দিয়ে নৌকার হাল ধরে কে বসে রইল?
উত্তর: তিনু
২৫। বাবা-মা, ভাই-বোন এবং ঘনিষ্ঠজনের সঙ্গে কী সর্বনাম ব্যবহার করা যায়?
উত্তর: সাধারণ সর্বনাম
২৬। কাজ শেষ হওয়ার আগেই আজম শাহকে কোথায় চলে যেতে হয়?
উত্তর: দিল্লি
২৭। ‘বেণু ও বীণা’ কার লেখা গ্রন্থ?
উত্তর: সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত
২৮। খেলার মাঠের ধারাবিবরণীতে কোন ভাষা ব্যবহার করতে হয়?
উত্তর: প্রমিত ভাষা
২৯। কুমোরদের গ্রাম কোথায়?
উত্তর: নদীর ওপারে
৩০। ‘কত দিকে কত কারিগর’ গল্পে কার চোখ দুটো ঝাপসা হয়ে এলো?
উত্তর: লেখকের।
৩১। কক্সবাজার নামটি কোথা থেকে এসেছে?
উত্তর: ক্যাপ্টেন হিরাম কক্স।
৩২। যে শব্দে মনের নানা ভাব ও আবেগ প্রকাশ করা হয় সেটাকে কী বলে?
উত্তর: আবেগ শব্দ।
৩৩। ‘বেদখল’ শব্দে উপসর্গ কোনটি?
উত্তর: বে
৩৪। যেসব শব্দের প্রথম অংশ অর্থযুক্ত এবং দ্বিতীয় অংশ অর্থহীন, সেসব শব্দকে কী বলে?
উত্তর: প্রত্যয়-সাধিত শব্দ
৩৫। সাধারণভাবে শব্দের মূল অর্থকে কী বলে?
উত্তর: মুখ্য অর্থ
৩৬। ‘আজকের গরম খবরটা জানেন?’ এই বাক্যে ‘গরম’ শব্দটির গৌণ অর্থ কী?
উত্তর: টাটকা
৩৭। আবেগ শব্দ ও আবেগবাচক বাক্যের শেষে কোন যতিচিহ্ন বসে?
উত্তর: বিস্ময়চিহ্ন (!)
৩৮। কমা (,) বাক্যের বিভিন্ন অংশকে কী করে?
উত্তর: আলাদা করে
৩৯। কোন বাক্যে একাধিক সমাপিকা ক্রিয়া থাকে?
উত্তর: যৌগিক বাক্যে
৪০। ‘সীমা বই পড়ছে।’ এখানে ‘পড়ছে’ কী ধরনের ক্রিয়া?
উত্তর: সমাপিকা ক্রিয়া
৪১। ব্যানার সাধারণত কীরকম আকৃতির হয়ে থাকে?
উত্তর: আয়তাকার
৪২। মিছিল বা শোভাযাত্রার সময় ব্যানার কোথায় থাকে?
উত্তর: সামনে
৪৩। আজকাল কোন মাধ্যমে যোগাযোগের কাজ বেশি হচ্ছে?
উত্তর: ডিজিটাল মাধ্যমে
৪৪। ‘এই মুহূর্তে আমাকে দেখলে চিনতে পারবে না।’ এ কথা মুক্তিযোদ্ধা ফেরদৌস কাকে বলেছেন?
উত্তর: ‘মা’কে
৪৫। ‘জলা’ কী?
উত্তর: জলমগ্ন ভূমি
৪৬। বিশেষ উপায়ে সংরক্ষিত মৃতদেহকে কী বলে?
উত্তর: মমি
৪৭। রাজাদের পরে কারা এদেশে এলেন?
উত্তর: মন্ত্রী, সামন্ত-মহাসামন্তের দল
৪৮। বাঙালির বহু কালের প্রিয় খাদ্য কী?
উত্তর: ভাত
৪৯। খোকা বড় হয়ে কী হতে চায়?
উত্তর: খেয়াঘাটের মাঝি
৫০। কোন পাখি কেবলই ঝগড়া করে?
উত্তর: শালিক পাখি।
৫১। টোপ কী?
উত্তর: মাছ ধরার জন্য বড়শিতে গেঁথে দেওয়া খাবার
৫২। চারদিকে অন্ধকারের মধ্যে কীসের আলো বিলের পানিতে নেচে চলছে?
উত্তর: হেরিকেনের আলো
৫৩। কে পুনরায় দুর্গ তৈরির কাজ শুরু করেন?
উত্তর: সুবেদার শায়েস্তা খাঁ
৫৪। ভাষিক যোগাযোগে লেখা ও পড়ার কাজে প্রধান ভূমিকা রাখে কারা?
উত্তর: হাত ও চোখ
৫৫। কোন ভাষায় কথা বললে সব অঞ্চলের মানুষ সহজে বুঝতে পারে?
উত্তর: প্রমিত ভাষায়
৫৬। ধ্বনি উচ্চারণের সময় ধ্বনিদ্বার বা স্বরতন্ত্রী বেশি কাঁপলে তাকে কী বলে?
উত্তর: ঘোষধ্বনি
৫৭। কুমোররা কীভাবে পাটা তৈরি করছে?
উত্তর: কাদার তাল টিপে টিপে
৫৮। কার মুকুটটা ছাঁচে ওঠেনি বলে পালমশাই জানালেন?
উত্তর: চান্দ সওদাগরের
৫৯। যেসব শব্দ দিয়ে ব্যক্তি, প্রাণী, স্থান, বস্তু, ধারণা ও গুণের নাম বোঝায় সেগুলোকে কী বলে?
উত্তর: বিশেষ্য
৬০। কোনো কিছু দেখে বা শুনে অবাক হয়ে যে ধরনের বাক্য তৈরি হয় তাকে কী ধরনের বাক্য বলে?
উত্তর: আবেগবাচক বাক্য।
৬১। ত্রি + ফল = কী হবে?
উত্তর: ত্রিফলা
৬২। প্রত্যয় অর্থযুক্ত শব্দের কোথায় বসে নতুন শব্দ গঠন করে?
উত্তর: বসে
৬৩। ‘মেঘ কেটে গেছে’ এখানে ‘কাটা’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: সরে যাওয়া
৬৪। প্রতিশব্দ বা সমার্থক শব্দ বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: কাছাকাছি অর্থ প্রকাশ করে এমন শব্দকে প্রতিশব্দ বা সমার্থক শব্দ বলে।
৬৫। প্রমিত ভাষার দুই রূপ কথ্য ও লেখ্য বাক্যটিতে যতিচিহ্ন বসাও।
উত্তর: প্রমিত ভাষার দুই রূপ : কথ্য ও লেখ্য।
৬৬। বিস্ময়চিহ্ন (!) কোন ধরনের বাক্যের শেষে ব্যবহার করা হয়?
উত্তর: আবেগ শব্দ বা আবেগবাচক বাক্যের শেষে।
৬৭। যত-তত, যখন-তখন কোন বাক্যের উদাহরণ?
উত্তর: জটিল বাক্যের
৬৮। একাধিক বাক্য যখন যোজক দিয়ে যুক্ত হয়ে একটি বাক্যে পরিণত হয় তখন তাকে কী বলে?
উত্তর: যৌগিক বাক্য
৬৯। ফেস্টুনের মাধ্যমে কীসের কাজ হয়?
উত্তর: প্রচার-প্রচারণা
৭০। আমন্ত্রণপত্র কীভাবে পাঠানো হয়?
উত্তর: সাধারণত কোনো খামে ভরে।
৭১। ডায়েরিতে বা খাতায় রোজনামচা লিখে রাখলে পরে তা কী হতে পারে?
উত্তর: পরে তা কাজে লাগতে পারে। পুস্তক আকারে প্রকাশিত হতে পারে।
৭২। মুক্তিযোদ্ধা ফেরদৌসের লেখা চিঠিটি তাঁর মায়ের কাছে কে নিয়ে যাবেন?
উত্তর: মন্টু
৭৩। অনেক সময়ে আশ্চর্য প্রকাশ করতে আমরা কয়টি আশ্চর্যবোধক চিহ্ন দিই?
উত্তর: তিনটি
৭৪। যুগ যুগ ধরে মানুষ পিরামিডের সামনে দাঁড়িয়ে কী সংগ্রহ করার চেষ্টা করছে?
উত্তর: বিস্তর জল্পনা-কল্পনা করে দেয়ালে-খোদাই লিপি উদ্ধার করে এদের সম্বন্ধে পাকা খবর সংগ্রহ করার চেষ্টা করেছে।
৭৫। প্রাচীনকালে বাঙালিদের মধ্যে উঁচু করে ঘোড়াচূড় বাঁধত কারা?
উত্তর: মেয়েরা
৭৬। প্রাচীনকালে সাধারণ লোকেরা কীসের পাত্রে রান্নাবান্না করত?
উত্তর: মাটির
৭৭। ‘ময়নামতীর চর’ কবিতাটি বন্দে আলী মিয়ার কোন কবিতার বই থেকে নেওয়া হয়েছে?
উত্তর: ‘ময়নামতীর চর’
৭৮। কবিতা, গান, গল্প, উপন্যাস, নাটক, প্রবন্ধ ইত্যাদি রচনায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কীসের পরিচয় দিয়েছেন?
উত্তর: অসামান্য দক্ষতার
৭৯। আষাঢ় এলেই কোন বিলে প্রচুর মাছ পড়ে?
উত্তর: মৌরী বিলে
৮০। লুকিয়ে লুকিয়ে মাছ ধরা দেখতে এসেছে কে?
উত্তর: আবু।

রচনামূলক প্রশ্ন (দৃশ্যপটনির্ভর) :

প্রশ্ন- ১

নিচের অংশটুকু পড়ে নিম্নোক্ত প্রশ্ন দুটির উত্তর দাও।
একজন শিক্ষার্থী ক্লাসে তার গ্রামের বর্ণনা দিচ্ছে-
আমার গ্রামের নাম শান্তিপুর। গ্রামটি দেখতে অনেক সুন্দর। আমাদের গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে একটি বিশাল নদী। আর এই নদীটির নাম হলো মেঘনা। মেঘনা বাংলাদেশের বৃহত্তম ও গভীরতম নদী। এই নদীটির পানি অনেক স্বচ্ছ। তাই আমরা প্রায়ই এই নদীতে গোসল করি, সাঁতার কাটি। আমরা বন্ধুরা মিলে এ নদীতে অনেক মজা করি। পাশাপাশি মেঘনা নদীতে অনেক মাছ পাওয়া যায়। তাই অনেক জেলে নৌকায় করে জাল দিয়ে মাছ ধরে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে। আমাদের গ্রামটিতে একটি খেলার মাঠ রয়েছে। এই মাঠে আমরা সবাই মিলে খেলাধুলা করি। একদিন বিকেলে খেলার সময় হঠাৎ করে পড়ে গিয়ে আমি হাঁটুতে ব্যথা পাই। পরে বন্ধুরা মিলে আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে আমি এক সপ্তাহ ছিলাম। আমাদের গ্রামটি সুজলা, সুফলা ও শস্য-শ্যামলা। এখানে ধান, গম, পাট, ভুট্টাসহ আরও অনেক ফসল ফলে। আমাদের এই গ্রামে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। গ্রামের সবাই মিলেমিশে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে। কেউ কোনো বিপদে পড়লে সবাই মিলে তার পাশে দাঁড়ায়। তাই সব মিলিয়ে আমাদের গ্রামটি একটি আদর্শ গ্রাম।

(ক) অনুচ্ছেদটিতে কোনো অপ্রাসঙ্গিক কথা কি খুঁজে পাও? পেলে সেগুলো লেখো। ৪
(খ) অনুচ্ছেদের প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলো উপাস্থাপন করো। ৪
-----------

প্রশ্ন- ২

অনুচ্ছেদটি পড়ে নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার চত্বরে জাতীয় কবিতা উৎসব শুরু হচ্ছে। উৎসবের শুরুতে অনেক জ্ঞান-গুণী কবি ও বক্তাগণ বক্তৃতা দিলেন। সেখানে একজন বক্তা উঠে যখন কথা শুরু করলেন সাথে সাথে পিনপতন নীরবতা নেমে এল। তার কণ্ঠ এত চমৎকার, ভরাট দরজা গলায় তার বক্তব্যই যেন কবিতার মতো উপভোগ্য হয়ে উঠলো।

(ক) উপরের ঘটনার বক্তা কোন ভাষার কথা বলেছে বলে তুমি মনে কর? উপর্যুক্ত ক্ষেত্র ছাড়াও আর কোন কোন ক্ষেত্রে উক্ত ভাষা প্রয়োগ করা হয় তা উল্লেখ কর। কবিতা উৎসবে বক্তার ব্যবহৃত ভাষার কয়টি রূপ আছে? কোথায় কোন রীতি ব্যবহার করা হয় তা উল্লেখ করো। ৪
(খ) কবিতা উৎসবের বক্তাগণের ব্যবহৃত ভাষার প্রয়োগ করে তোমার ‘মা’ সম্পর্কে একটি বক্তৃতা প্রস্তুত কর। যেটি তুমি তোমার শ্রেণিতে উপস্থাপন করবে। ৪
-----------

প্রশ্ন- ৩

নিচের অংশটুকু পড়ে নিম্নোক্ত প্রশ্ন দুটির উত্তর দাও।
সেদ্ধ মিষ্টি আলুর কয়েক টুকরো পেটে জামিন দেয় ওসমান। ভাতের অভাবে অন্য কিছু দিয়ে উদরপূর্তির নাম চাষি-মজুরের ভাষায় পেটে জামিন দেওয়া। চাল যখন দুর্মূল্য তখন এছাড়া উপায় কী?
ওসমান হুঁক্কা নিয়ে বসে। মাজু বিবি নিয়ে আসে রয়নার তেলের বোতল। হাতের তেলোয় ঢেলে সে স্বামীর পিঠে মালিশ করতে শুরু করে।
ছ বছরের মেয়ে টুনি জিজ্ঞেস করে, এই তেল মালিশ করলে কী অয় মা?
- পানিতে কামড়াতে পারে না। উত্তর দেয় মাজু বিবি।
- পানিতে কামড়ায়! পানির কি দাঁত আছেনি?
- আছে না আবার! ওসমান হাসে! দাঁত না থাকলে কামড়ায় ক্যামনে?
টুনি হয়তো বিশ্বাস করত। কিন্তু মাজু বিবি বুঝিয়ে দেয় মেয়েকে ঘাস-লতা-পাতা, কচু-ঘেঁচু পইচ্যা বিলের পানি খারাপ অইয়া যায়। অই পানি গতরে লাগলে কুটকুট করে। ওরেই কয় পানিতে কামড়ায়।
ওসমান হুঁক্কা রেখে হাঁক দেয়, কই গেলি তোতা? তামুকের ডিব্বা আর আগুনের মালশা লইয়া নায় যা। আমি আইতে আছি।

(ক) উল্লিখিত অনুচ্ছেদে প্রমিত রূপে নেই এমন শব্দ আছে কি? যদি থাকে তাহলে সেই শব্দগুলো চিহ্নিত কর এবং প্রমিত রূপটি ছক আকারে লেখো। ৪
(খ) প্রমিত ভাষায় শব্দের উচ্চারণ কীভাবে করতে হয়? উদ্দীপক থেকে পাঁচটি শব্দ নির্বাচন করে সেগুলোর প্রমিত উচ্চারণ ছক আকারে লেখো। ৪
-----------

প্রশ্ন- ৪

নিচের অংশটুকু পড়ে নিম্নোক্ত প্রশ্ন দুটির উত্তর দাও।
নাজমুল এবং মিঠু দুই বন্ধু। তারা একদিন বৃষ্টিতে ছাতা নিয়ে ঘুরতে বের হলো। নাজমুল মিঠুকে বলল, বৃষ্টিভেজা কৃষ্ণচূড়া ফুল দেখতে খুবই মনোমুগ্ধকর লাগে। ঐদিকে বিলের পাশে একটা কৃষ্ণচূড়া গাছ আছে। দেখতে যাবি? চল যাই। এই কথা শুনে মিঠু খুবই উৎসাহী হলো আর নাজমুলের সাথে বিলের পাড়ে গেল। তারপর বৃষ্টিস্নাত কৃষ্ণচূড়া দেখে মিঠু খুবই মুগ্ধ হলো।

(ক) উদ্দীপকে কি কোনো যোজক শব্দ আছে? থাকলে সেগুলো চিহ্নিত করে লেখ। যোজক শব্দসহ বাক্যের শব্দগুলোকে মূল কয়টি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়? শ্রেণিগুলোর নাম লেখো। ৪
(খ) যোজক শব্দ ব্যবহার করে চারটি বাক্য লেখো। ৪
-----------

প্রশ্ন- ৫
নিচের অংশটুকু পড়ে নিম্নোক্ত প্রশ্ন দুটির উত্তর দাও।
প্রদত্ত ছকে এমন কতকগুলো শব্দ আছে যেগুলো সংযোগ করলে নতুন শব্দ তৈরি হবে।

বাম কলাম  ডান কলাম
রেল      ভাজা
চিড়      গীতি
এক      প্রিয়
পল্লি      গাড়ি
জন      তারা

(ক) বাম কলাম ও ডান কলামের শব্দগুলো সংযোগ করে অর্থবোধক শব্দ তৈরি কর। শব্দগুলো কী প্রকারে গঠিত তা নির্দেশ করো। ৪
(খ) তোমার তৈরি শব্দগুলো যে উপায়ে গঠিত হয়েছে সেই প্রসঙ্গে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করো। ৪
-----------

প্রশ্ন- ৬

নিচের অংশটুকু পড়ে নিম্নোক্ত প্রশ্ন দুটির উত্তর দাও।
বাংলা ভাষার যাত্রা অনেক প্রাচীন। পূর্বে বাংলা ভাষার অর্থ বোঝা অনেক দুঃসাধ্য ছিল। কারণ আগে বাক্যে শুধু শব্দ থাকত। নির্দেশাত্মক কোনো চিহ্ন ব্যবহার করা হতো না। কিন্তু আধুনিক বাংলা ভাষায় বাক্যে নানা চিহ্ন ব্যবহার করা হয় যা বাক্যের অর্থকে প্রাঞ্জল করে।

(ক) বাক্যের অর্থকে প্রাঞ্জল করে এমন চিহ্নকে কী বলে? এমন পাঁচটি চিহ্নের পরিচয় দাও। ৪
(খ) অর্থসংগতি ঠিক রেখে যথাযথ চিহ্ন ব্যবহার করে একটি অনুচ্ছেদ রচনা করো। ৪
-----------

প্রশ্ন- ০৭

নিচের অংশটুকু পড়ে নিম্নোক্ত প্রশ্ন দুটির উত্তর দাও।
[বন্ধুর মা অসুস্থ। এই বিষয়ে তুমি বন্ধুর সাথে মোবাইলে কথা বলছো। তোমার নাম সজীব আর তোমার বন্ধুর নাম রাহাত।]
সজীব :হ্যালো রাহাত! রাহাত, তুমি কি আমার কথা শুনতে পাচ্ছ?
রাহাত :হ্যাঁ, এখন শুনতে পাচ্ছি। সজীব বলো।
সজীব :খালাম্মা নাকি অসুস্থ? কী হয়েছে তার?
রাহাত :আর বলো না! তাড়াহুড়ো করে নামার সময় খাট থেকে পড়ে গিয়ে পায়ে আর কোমরে ব্যথা পেয়েছেন।
সজীব :আহা রে, তাহলে তো খুবই কষ্ট পাচ্ছেন!
রাহাত :না, এখন বেশ কিছুটা ভালো। কোথাও কোনো ফ্র্যাকচার হয়নি। তবে একটু ব্যথা এখনও আছে।
সজীব :আমি আগামীকাল আসব খালাম্মাকে দেখতে।
রাহাত :না না, দরকার নেই। তোমার তো ক্লাসের ব্যস্ততা আছে বলেছিলে।
সজীব :আচ্ছা ঠিক আছে, তাহলে প্রতিদিনই একবার আমাকে ফোন করে জানাবে।
রাহাত :আচ্ছা জানাব, ভালো থেকো।
সজীব :তুমিও ভালো থেকো।

(ক) সরলবাক্য ও যৌগিক বাক্যের মধ্যে পার্থক্য লেখো। ৪
(খ) উদ্দীপকে ভাব প্রকাশের ধরন অনুযায়ী বিভিন্ন প্রকার বাক্য আলাদা করে লেখো। ৪
-----------

প্রশ্ন- ০৮

নিচের অংশটুকু পড়ে নিম্নোক্ত প্রশ্ন দুটির উত্তর দাও।
রাকিব ঢাকার একটি স্কুলে পড়াশোনার করে। সে তার মামার বাসায় থেকে তার পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছে। তার বাবা-মা গ্রামের বাড়িতে থাকায় তাদের সাথে রাকিবের তেমন যোগাযোগ হয় না। সম্প্রতি সে তার স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করে। তাই রাকিব এই আনন্দের সংবাদটি তার বাবাকে জানানোর জন্য একটি প্রায়োগিক লেখা লিখে।

(ক) বাবাকে লেখা রাকিবের প্রায়োগিক লেখাটি কী হিসেবে পরিচিত? এটি লেখার ক্ষেত্রে কোন কোন বিষয়ে খেয়াল রাখতে হয়? ৪
(খ) মনে কর, তুমি বার্ষিক পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করেছ। সেই ফলাফল জানিয়ে তোমার বাবাকে রাকিবের মতো একটি প্রায়োগিক লেখা তৈরি করো। ৪
-----------

প্রশ্ন- ০৯
অনুচ্ছেদটি পড়ে নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

উড়ানীর চর ধুলায় ধূসর
যোজন জুড়ি
জলের উপরে ভাসিছে ধবল
বালুর পুরী।
...............
উড়ানীর চরে কৃষাণ-বধূর
খড়ের ঘর,
ঢাকাই সীমের উড়িছে আঁচল
মাথার পর।
জাঙলা ভরিয়া লাউ এর লতায়
লক্ষ্মী সে যেন দুলিছে দোলায়;
ফাল্গুনের হাওয়ায় কলার পাতায়,
নাচিছে ঘুরি;
উড়ানী চরের বুকের আঁচল
কৃষাণ-পুরী।
[সূত্র : উড়ানীর চর- জসীমউদদীন]

(ক) ওপরের কবিতাংশে ‘ময়নামতীর চর’ কবিতার যে সাদৃশ্য রয়েছে তা ব্যাখ্যা করো। ৪
(খ) ‘ময়নামতীর চর’ কবিতার মতো ওপরের কবিতাংশে শব্দের পরিবর্তন খুঁজে পাও কি? দুটি কবিতার চারটি করে শব্দের পরিবর্তন দেখাও। ৪
-----------

প্রশ্ন- ১০

অনুচ্ছেদটি পড়ে নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
তখন আমি ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ি। কদিন থেকে একটানা বৃষ্টি হওয়ার কারণে ধানখেত ডুবে গেছে। বাড়ির পাশের ছোট নদীর পানি এসে সেই পানিতে মিশে গিয়েছে। আমি আর আমার ভাই সুজন প্রতিদিন ডুবে যাওয়া ধানখেতে যাই। গামছা দিয়ে ছেঁকে মাছ ধরি। বাবা বকা দেন আমাদের ঠান্ডা লেগে যাবে বলে। আর আমাদের বড় বোন আয়েশা আমাদের নিয়ে মজা করে। সে বলে, ‘তোরা ছোট পুঁটি আর টাকি মাছ ছাড়া কিছুই পাবি না।’ অঝোর ধারার বৃষ্টি থামেই না। শেষে এমন অবস্থা হলো যে আমাদের উঠোনে পানি জমে গেল। হাঁটু পানিতে নেমে আমরা দুই ভাই হই হই করি। কখনো বাড়ির পাশের রাস্তা দিয়ে বয়ে যাওয়া পানির স্রোতে বড়শি ফেলে বসে থাকি। একদিন হঠাৎ বড়শিতে জোরে টান পড়ে। আমি তো অবাক হলাম। তুলে দেখি আমাদের বড়শিতে বড় একটা রুই মাছ উঠেছে। বাড়ির সবাই তো অবাক হয়ে যায়। আর আমার বড় বোনও।

(ক) ওপরের গল্পের সঙ্গে ‘আষাঢ়ের এক রাতে’ গল্পের সাদৃশ্য লেখো। ৪
(খ) ওপরের গল্পটিতে গল্পের বৈশিষ্ট্য আছে কি না খুঁজে বের করো। ৪
-----------

প্রশ্ন- ১১

অনুচ্ছেদটি পড়ে নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
পৃথিবীর যেকোনো ভাষার তুলনায় আমাদের কাছে বাংলা ভাষা অতি মধুর লাগে। বাংলা ভাষার শব্দভান্ডার যেন পরিপূর্ণ। এই ভাষায় একই অর্থের যেমন বিভিন্ন শব্দ আছে আবার শব্দের বিপরীত অর্থ বোঝায় এমন শব্দও আছে। ভাষার এমন বৈচিত্র্য ও মাধুর্য অন্য ভাষায় দেখা যায় না বললেই চলে।

(ক) উদ্দীপকে বলা হয়েছে একই অর্থের বিভিন্ন শব্দ রয়েছে এটা দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে?
(কথা, খাদ্য, দিন, পাখি, মন) এই শব্দগুলোর অর্থ ঠিক রেখে আরও দুটি করে শব্দ লেখ। ৪
(খ) একই শব্দের বিপরীত অর্থ বোঝায় এমন শব্দকে কী শব্দ বলে?
(অগ্র, অচল, নিন্দা, বক্তা, সহজ) এই শব্দগুলোর বিপরীত অর্থ বোঝায় এমন একটি করে শব্দ লেখো। ৪
-----------

প্রশ্ন- ১২

অনুচ্ছেদটি পড়ে নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার চত্বরে জাতীয় কবিতা উৎসব শুরু হচ্ছে। উৎসবের শুরুতে অনেক জ্ঞান-গুণী কবি ও বক্তাগণ বক্তৃতা দিলেন। সেখানে একজন বক্তা উঠে যখন কথা শুরু করলেন সাথে সাথে পিনপতন নীরবতা নেমে এল। তার কণ্ঠ এত চমৎকার, ভরাট দরজা গলায় তার বক্তব্যই যেন কবিতার মতো উপভোগ্য হয়ে উঠলো।

(ক) উপরের ঘটনার বক্তা কোন ভাষার কথা বলেছে বলে তুমি মনে কর?
উপর্যুক্ত ক্ষেত্র ছাড়াও আর কোন কোন ক্ষেত্রে উক্ত ভাষা প্রয়োগ করা হয় তা উল্লেখ কর। কবিতা উৎসবে বক্তার ব্যবহৃত ভাষার কয়টি রূপ আছে? কোথায় কোন রীতি ব্যবহার করা হয় তা উল্লেখ করো। ৪
(খ) কবিতা উৎসবের বক্তাগণের ব্যবহৃত ভাষার প্রয়োগ করে তোমার ‘মা’ সম্পর্কে একটি বক্তৃতা প্রস্তুত কর। যেটি তুমি তোমার শ্রেণিতে উপস্থাপন করবে। ৪
-----------

প্রশ্ন- ১৩

অনুচ্ছেদটি পড়ে নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
তখন আমি ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ি। কদিন থেকে একটানা বৃষ্টি হওয়ার কারণে ধানখেত ডুবে গেছে। বাড়ির পাশের ছোট নদীর পানি এসে সেই পানিতে মিশে গিয়েছে। আমি আর আমার ভাই সুজন প্রতিদিন ডুবে যাওয়া ধানখেতে যাই। গামছা দিয়ে ছেঁকে মাছ ধরি। বাবা বকা দেন আমাদের ঠান্ডা লেগে যাবে বলে। আর আমাদের বড় বোন আয়েশা আমাদের নিয়ে মজা করে। সে বলে, ‘তোরা ছোট পুঁটি আর টাকি মাছ ছাড়া কিছুই পাবি না।’ অঝোর ধারার বৃষ্টি থামেই না। শেষে এমন অবস্থা হলো যে আমাদের উঠোনে পানি জমে গেল। হাঁটু পানিতে নেমে আমরা দুই ভাই হই হই করি। কখনো বাড়ির পাশের রাস্তা দিয়ে বয়ে যাওয়া পানির স্রোতে বড়শি ফেলে বসে থাকি। একদিন হঠাৎ বড়শিতে জোরে টান পড়ে। আমি তো অবাক হলাম। তুলে দেখি আমাদের বড়শিতে বড় একটা রুই মাছ উঠেছে। বাড়ির সবাই তো অবাক হয়ে যায়। আর আমার বড় বোনও।

(ক) ওপরের গল্পের সঙ্গে ‘আষাঢ়ের এক রাতে’ গল্পের সাদৃশ্য লেখো। ৪
(খ) ওপরের গল্পটিতে গল্পের বৈশিষ্ট্য আছে কি না খুঁজে বের করো। ৪
-----------

প্রশ্ন- ১৪

অনুচ্ছেদটি পড়ে নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
রহিম খুবই ভালো ছেলে। সে যেমন মেধাবী তেমনই সৎ। অঙ্কে তার মাথা সবচেয়ে ভালো। অন্যান্য বিষয়ও সে ভালো পারে। কিন্তু একদিন হঠাৎ করে একটা বিপদে পড়ে। শিক্ষক তাকে অঙ্ক করতে দিলে সে অঙ্ক মিলানোর আর পথ খুঁজে পায় না। সে তখন চিন্তার রাজ্যে ডুব দেয়। কীভাবে অঙ্কটা মিলানো যায়। পরে সে বুঝতে পারে এবং অঙ্কটি সমাধান করে। আর মনে মনে ভাবে এইবারের মতো তার নাম রক্ষা হলো।

(ক) অনুচ্ছেদে ব্যবহৃত চিহ্নিত করা শব্দগুলো যে অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে তা লেখো। ৪
(খ) নিচের কিছু শব্দ দেওয়া হলো। অনুচ্ছেদের আলোকে শব্দগুলোর মুখ্য ও গৌণ অর্থ ব্যবহার করে একটি করে বাক্য লেখো। ৪
মাথা, হাত।
-----------

প্রশ্ন- ১৫

অনুচ্ছেদটি পড়ে নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
রাকিব ঢাকার একটি স্কুলে পড়াশোনার করে। সে তার মামার বাসায় থেকে তার পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছে। তার বাবা-মা গ্রামের বাড়িতে থাকায় তাদের সাথে রাকিবের তেমন যোগাযোগ হয় না। সম্প্রতি সে তার স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করে। তাই রাকিব এই আনন্দের সংবাদটি তার বাবাকে জানানোর জন্য একটি প্রায়োগিক লেখা লিখে।

(ক) বাবাকে লেখা রাকিবের প্রায়োগিক লেখাটি কী হিসেবে পরিচিত? এটি লেখার ক্ষেত্রে কোন কোন বিষয়ে খেয়াল রাখতে হয়? ৪
(খ) মনে কর, তুমি বার্ষিক পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করেছ। সেই ফলাফল জানিয়ে তোমার বাবাকে রাকিবের মতো একটি প্রায়োগিক লেখা তৈরি করো। ৪
-----------

প্রশ্ন- ১৬

অনুচ্ছেদটি পড়ে নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
কবি কাজী নজরুল ইসলাম ১৮৯৯ সালে ভারতের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে এক দরিদ্র মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম ফকির আহমদ ও মাতার নাম জাহেদা খাতুন। শৈশবেই তিনি পিতৃহারা হন। ফলে তাঁকে আর্থিক অনটনে পড়তে হয়। তবে নজরুলের জীবন বিচিত্র কর্মবহুল, সদাচঞ্চল, অভিনব ও প্রতিভাদীপ্ত। দশ বছর বয়সে তিনি গ্রামের মক্তব থেকে নি¤œ প্রাথমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তারপর তিনি রাণীগঞ্জের নিকটবর্তী শিয়ারশোল রাজ স্কুলে ভর্তি হন। তিনি সেখান থেকে আসানসোলে পালিয়ে যান এবং একটি রুটির দোকানে মাসিক পাঁচ টাকা বেতনে কাজ করতে থাকেন। আসানসোলের দারোগা নজরুলের চোখেমুখে বুদ্ধির দীপ্তি দেখে তাঁকে নিজ গ্রামে নিয়ে যান এবং কাজীর সিমলা গ্রামের হাই স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেন। সেখান থেকে নজরুল আবার ফিরে আসেন বর্ধমানে। সেখানকার শিয়ারশোল রাজ বিদ্যালয়ে ম্যাট্রিক পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত হয়ে ব্যক্তিগত কারণে শিক্ষা থেকে বিদায় নিয়ে প্রথম মহাযুদ্ধে যোগ দেন। যুদ্ধ শেষে তিনি কলকাতায় ফিরে আসেন। বিশ শতকের তৃতীয় দশক থেকে বিদ্রোহাত্মক কবিতা নিয়ে বাংলা সাহিত্যে তাঁর আবির্ভাব।

(ক) অনুচ্ছেদে উল্লিখিত লেখাটি কোন ধরনের লেখা? এ ধরনের লেখার ক্ষেত্রে কোন বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখতে হয়? ৪
(খ) অনুচ্ছেদের লেখাটির বৈশিষ্ট্য বিবেচনায় নিজের পছন্দ মতো যেকোনো একটি বিষয়ে অনুরূপ একটি লেখা লেখো। ৪
-----------

প্রশ্ন- ১৭

অনুচ্ছেদটি পড়ে নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
বাংলা ভাষার যাত্রা অনেক প্রাচীন। পূর্বে বাংলা ভাষার অর্থ বোঝা অনেক দুঃসাধ্য ছিল। কারণ আগে বাক্যে শুধু শব্দ থাকত। নির্দেশাত্মক কোনো চিহ্ন ব্যবহার করা হতো না। কিন্তু আধুনিক বাংলা ভাষায় বাক্যে নানা চিহ্ন ব্যবহার করা হয় যা বাক্যের অর্থকে প্রাঞ্জল করে।

(ক) বাক্যের অর্থকে প্রাঞ্জল করে এমন চিহ্নকে কী বলে? এমন পাঁচটি চিহ্নের পরিচয় দাও। ৪
(খ) অর্থসংগতি ঠিক রেখে যথাযথ চিহ্ন ব্যবহার করে একটি অনুচ্ছেদ রচনা করো। ৪
-----------

প্রশ্ন- ১৮
অনুচ্ছেদটি পড়ে নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

‘হঠাৎ আমি চমকে উঠি
হলদে পাখির ডাকে।
ইচ্ছে করে ছুটে বেড়াই
মেঘনা নদীর বাঁকে।
শত যুগের ঘন আঁধার
গাঁয়ে আজো আছে।
সেই আঁধারে মানুষগুলো
লড়াই করে বাঁচে।’

(ক) ওপরের কবিতাংশে কবিতার যে বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান তা ব্যাখ্যা করো। ৪
(খ) কবিতাংশের ভাবনার সাথে তোমার জীবনের বা চারপাশের যে মিল রযেছে তা বিশ্লেষণ করো। ৪
-----------

প্রশ্ন- ১৯

অনুচ্ছেদটি পড়ে নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
“সকালে ঘুম থেকে উঠেই নাছিমা তার মা নছিরনের পিছু নিয়েছে। কদিন ধরে তার একটাই দাবি, পাশের বড় বাড়ির মেয়ে রিতুর লাল জামাটির মতো তার একটি জামা চাই। নাছিমা বারবার বলছিল, ‘হেই জামাডা আমারে আইন্যা দাও।’ মেয়ের ঘ্যানঘ্যানে জোরে ধমক দিয়ে কাজে বের হয় নছিরন। কিন্তু তার মনটা খুব খারাপ হয়। সে কয়েকটি বাড়িতে ঘরের কাজে সাহায্য করে। দুপুরে রাহেলা বেগমের বাড়িতে কাজে গেলে তাকে দুপুরের খাবার খেতে দেয়। নছিরন সুযোগ বুঝে রাহেলা বেগমকে বলে, ‘আফা, মুই দুপুরের খাওন খাইতাম না। হের বদলে এই মাসে আমারে পাঁচশ টাকা বেশি দিয়েন। মুই বাড়ি থাইকা খায়া আমু।’ সেই থেকে নছিরন দুপুরে খায় না। সারা দিন কাজ করে না খেয়ে তার শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। অবশেষে মাস শেষে বেতনের সাথে রাহেলা বেগম তাকে পাঁচশ টাকা বেশি দেয়। টাকাটা হাতে নিয়ে নছিরনের চোখে পানি এসে যায়। রাহেলা বেগম তখন তাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করে বিস্তারিত জেনে আরও পাঁচশ টাকা বাড়িয়ে দেয়। এদিকে সারা দিন ধরে নাছিমা তার সাথিদের বলতে থাকে, ‘জানস, মা মোরে নতুন জামা আইন্যা দিব।’ নছিরন বিকেলে মার্কেটে গিয়ে মেয়ের জন্য লাল টুকটুকে একটি জামা কিনে আনে। নাছিমা দৌড়ে এসে মায়ের হাতের প্যাকেট নিয়ে বলে, ‘মা, এইডা মোর জামা?’ নছিরন মেয়েকে জড়িয়ে ধরে বলে, ‘হ, মা, এইডা তোর জামা। তুই একটু পইরা আয় দেহি।’ মায়ের চোখে আনন্দের অশ্রু। মেয়ের হাসিমুখ দেখে সে না খেয়ে থাকার কষ্ট ভুলে যায় মুহূর্তে।

(ক) ওপরের গল্পে গল্পের কোন কোন বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান? লেখো। ৪
(খ) ওপরের গল্পের পরিস্থিতির সঙ্গে তোমার জীবনের বা চারপাশের যে মিল রয়েছে তা বিশ্লেষণ করো। ৪
-----------

প্রশ্ন- ২০

অনুচ্ছেদটি পড়ে নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
আমাদের দেশ আজ বিশ্বের বুকে একটি স্বাধীন দেশ। এই স্বাধীনতা অর্জনে এ দেশের মানুষকে অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে। হানাদার বাহিনী মুক্তিযুদ্ধের সময় কতটা নির্মমভাবে এ দেশের মানুষকে হত্যা করেছে! অথচ অনেকেই এই স্বাধীনতার মর্ম বোঝে না। দেশকে ভালো না বেসে কখনো কি আমরা সুনাগরিক হতে পারব? তাই আমাদের সকলের উচিত দেশকে মনেপ্রাণে ভালোবাসা।

(ক) অনুচ্ছেদে কত প্রকারের বাক্য রয়েছে? প্রত্যেক প্রকার বাক্যের উদাহরণসহ পরিচয় দাও। ৪
(খ) অনুচ্ছেদের প্রত্যেক প্রকার বাক্য আলাদা করে ছক আকারে প্রকাশ করো। ৪
-----------

প্রশ্ন- ২১
২১। অনুচ্ছেদটি পড়ে নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
ইউনেস্কোর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী (২০১৫ সাল) দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সাক্ষরতার হার নিম্নরূপ :

দেশ        সাক্ষরতার হার
আফগানিস্তান      ৩৮.২
নেপাল      ৬৪.৭
পাকিস্তান      ৫৬.৪
বাংলাদেশ      ৬১.৫
ভারত      ৭২.১
ভুটান      ৬৪.৯
মালদ্বীপ      ৯৯.৩
শ্রীলঙ্কা      ৯২.৬

(ক) উদ্দীপকে দেওয়া সারণি বিশ্লেষণকে কী বিশ্লেষণ বলে? এটা ছাড়াও আর কী ধরনের বিশ্লেষণ করা যায়? বিশ্লেষণমূলক রচনার সময় কোন বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হয়? ৪
(খ) উদ্দীপকের আলোকে একটি বিশ্লেষণমূলক লেখা প্রস্তুত করো। ৪

প্রশ্ন- ২২
অনুচ্ছেদটি পড়ে নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

সারা বেলাই সেই এক খেলা
গড়বে নতুন একটি বাগান,
অনেক ফুল আর অনেক পাখি
সব পাখিদের আলাদা গান
তার মাঝেই একটি সুরে
সবারই সুর যায় মিলিয়ে
এক দুনিয়া এক মানুষের
স্বপ্ন তারা যায় বিলিয়ে।

(ক) কবিতাংশে ‘ময়নামতীর চর’ কবিতার যে দিকের সাদৃশ্য রয়েছে তা ব্যাখ্যা করো। ৪
(খ) কবিতাংশের মূলভাব ও ‘ময়নামতীর চর’ কবিতার মূলভাব সমার্থক কি? তোমার যৌক্তিক মত দাও। ৪

প্রশ্ন- ২৩
নির্দেশনা অনুযায়ী নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।

মঙ্গল শোভাযাত্রা

মঙ্গল শোভাযাত্রা এক রঙিন সাংস্কৃতিক পদযাত্রা এবং আনন্দ মিছিল। এটি বাংলা নববর্ষ তথা পহেলা বৈশাখে উদযাপিত হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা প্রত্যেক বছর ১৪ই এপ্রিল নতুন বাংলা পঞ্জিকার সূচনা উপলক্ষ্যে এটির আয়োজন করেন। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী লোকাচারের প্রসারের লক্ষ্যে মঙ্গল শোভাযাত্রায় বিভিন্ন প্রাণীর আকৃতি, হরেক রকমের মুখোশ, পাখি ও প্রজাপতির প্রতিরূপ, পুতুল ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ঐতিহ্যবাহী বাদ্যযন্ত্র যেমন ঢোল, করতাল ও বাঁশি বাজিয়ে উদ্দীপিত পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়। শোভযাত্রায় অংশগ্রহণকারী প্রত্যেকেই পরিধান করে ঐতিহ্যবাহী পোশাক, সঙ্গে থাকে ব্যানার, ফেস্টুন, প্লাকার্ড, মুখাবরণ যা বিভিন্ন বিষয়কে তুলে ধরে।

(ক) মঙ্গল শোভাযাত্রায় ব্যবহৃত কিংবা অন্য কোনো কাজে ব্যবহৃত কোনো ব্যানার কি তুমি দেখেছ? তোমার দেখা বা জানা ব্যানার সম্পর্কে বর্ণনা দাও। ৪
(খ) তোমাদের স্কুলে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করা হবে। বৃক্ষরোপণের উপকারিতা ও উদ্দেশ্য জানিয়ে একটি ব্যানার/ব্যানারের লেখা তৈরি করো। ৪

প্রশ্ন- ২৪
অনুচ্ছেদটি পড়ে নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

পল্লীস্মৃতি
বেগম সুফিয়া কামাল
বহুদিন পরে মনে পড়ে আজি পল্লী মায়ের কোল,
ঝাউশাখে যেথা বনলতা বাঁধি হরষে খেয়েছি দোল!
কুলের কাঁটার আঘাত সহিয়া কাঁচা পাকা কুল খেয়ে,
অমৃতের স্বাদ যেন লভিয়াছি গাঁয়ের দুলালী মেয়ে।
পৌষ-পার্বণে পিঠা খেতে বসে খুশীতে বিষম খেয়ে,
আরো উল্লাস বাড়িয়াছে মনে মায়ের বকুনি খেয়ে।
চৈত্র-নিশির চাঁদিমায় বসি শুনিয়াছি রূপকথা,
মনে বাজিয়াছে সুয়ো-দুয়োরাণী দুখিনী মায়ের ব্যথা।
তবু বলিয়াছি মার গলা ধরে, মাগো, সেই কথা বল্,
রাজার দুলালে পাষাণ করিতে ডাইনী করে কি ছল!
সাতশ’ সাপের পাহারা কাটায়ে পাতালবাসিনী মেয়ে,
রাজার ছেলেরে বাঁচায়ে কী করে পৌঁছিল দেশে যেয়ে।

(ক) উদ্দীপকের কবিতায় কি কবিতার বৈশিষ্ট্যগুলো খুঁজে পাচ্ছ? যদি পেয়ে থাক তাহলে কবিতার বৈশিষ্ট্যগুলো লেখো। ৪
(খ) উদ্দীপকের কবিতাটি গদ্যে রূপান্তর করো। ৪

প্রশ্ন- ২৫

নিচের অংশটুকু পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখো।
রহিম খুবই ভালো ছেলে। সে যেমন মেধাবী তেমনই সৎ। অঙ্কে তার মাথা সবচেয়ে ভালো। অন্যান্য বিষয়ও সে ভালো পারে। কিন্তু একদিন হঠাৎ করে একটা বিপদে পড়ে। শিক্ষক তাকে অঙ্ক করতে দিলে সে অঙ্ক মিলানোর আর পথ খুঁজে পায় না। সে তখন চিন্তার রাজ্যে ডুব দেয়। কীভাবে অঙ্কটা মিলানো যায়। পরে সে বুঝতে পারে এবং অঙ্কটি সমাধান করে। আর মনে মনে ভাবে এইবারের মতো তার নাম রক্ষা হলো।

(ক) অনুচ্ছেদে ব্যবহৃত চিহ্নিত করা শব্দগুলো যে অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে তা লেখো। ৪
(খ) নিচে কিছু শব্দ দেওয়া হলো। অনুচ্ছেদের আলোকে শব্দগুলোর মুখ্য ও গৌণ অর্থ ব্যবহার করে একটি করে বাক্য লেখো। ৪
মাথা, হাত।

প্রশ্ন- ২৬
নিচের সারণিটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
মনে করো, তোমার বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বা পছন্দ সম্পর্কে জরিপ চালানো হলো। সেই জরিপ থেকে পাওয়া উপাত্ত নিম্নরূপ :
আগ্রহ/পছন্দের বিষয় আগ্রহী ছাত্রসংখ্যা আগ্রহী ছাত্রীসংখ্যা মোট ছাত্র-ছাত্রীসংখ্যা
আগ্রহ/পছন্দের বিষয়বই পড়া আগ্রহী ছাত্রসংখ্যা৬০ আগ্রহী ছাত্রীসংখ্যা৭২ মোট ছাত্র-ছাত্রীসংখ্যা১৩২
আগ্রহ/পছন্দের বিষয়ফুটবল খেলা আগ্রহী ছাত্রসংখ্যা৮৭ আগ্রহী ছাত্রীসংখ্যা৩৫ মোট ছাত্র-ছাত্রীসংখ্যা১২২
আগ্রহ/পছন্দের বিষয়ক্রিকেট খেলা আগ্রহী ছাত্রসংখ্যা২৩০ আগ্রহী ছাত্রীসংখ্যা১৬৯ মোট ছাত্র-ছাত্রীসংখ্যা৩৯৯
আগ্রহ/পছন্দের বিষয়শরীরচর্চা আগ্রহী ছাত্রসংখ্যা৫৫ আগ্রহী ছাত্রীসংখ্যা১৮ মোট ছাত্র-ছাত্রীসংখ্যা৭৩
আগ্রহ/পছন্দের বিষয়গান শোনা আগ্রহী ছাত্রসংখ্যা২৮ আগ্রহী ছাত্রীসংখ্যা৬২ মোট ছাত্র-ছাত্রীসংখ্যা৯০
আগ্রহ/পছন্দের বিষয়চলচ্চিত্র দেখা আগ্রহী ছাত্রসংখ্যা৭৫ আগ্রহী ছাত্রীসংখ্যা৬৮ মোট ছাত্র-ছাত্রীসংখ্যা১৪২
আগ্রহ/পছন্দের বিষয়মোট অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা আগ্রহী ছাত্রসংখ্যা৫৩৪ আগ্রহী ছাত্রীসংখ্যা৪২৪ মোট ছাত্র-ছাত্রীসংখ্যা৯৫৮
(ক) প্রদত্ত উপাত্তের ওপর ভিত্তি করে ‘আমার পছন্দ’ শিরোনামে একটি লেখা প্রস্তুত করো। ৪
(খ) তুমি যে লেখাটি প্রস্তুত করেছ তার ধরন চিহ্নিত করে মতামত দাও। ৪
-----------

রচনামূলক প্রশ্ন (দৃশ্যপটবিহীন):

পরীক্ষায় পাঁচটি প্রশ্ন থেকে তিনটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। প্রতিটি প্রশ্নের মান ৫।

১। যোগাযোগ বলতে কী বোঝায়?
২। ঘোষ ও অঘোষ ধ্বনি সম্পর্কে আলোচনা কর।
৩। প্রদত্ত অনুচ্ছেদটিকে প্রমিত ভাষায় রূপান্তর করে লেখো।
আরে, দামড়া! রবীন্দ্রনাথের দাড়িতে ঢেউ খেলানো কয়বার দেখাইয়া দিতে অয়? আমার দিকে ফিরে বললেন, বোঝলেন, এই দাড়ি তো বাংলার সক্কলে চেনে। চেনে মানে, ছায়া দেখলেও চেনে। খালি ছায়া দিয়াই বুঝান যায় রবীন্দ্রনাথ। তাইলে বোঝেন, সেই কবির দাড়িই যদি ঠিক না অয়, দাড়ি দেইখা যদি লালন ফকির মনে হয়, কি মওলানা ভাসানী মনে হয়, তাইলে চলব?
৪। নিচের অনুচ্ছেদ থেকে অনুসর্গ বাছাই করো।
এখন রাসায়নিক কীটনাশক যতটা সম্ভব কম ব্যবহার করে অন্যভাবে ক্ষতিকর কীটপতঙ্গ ধ্বংস করার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। যেমন পাটের শুঁয়োপোকা আর মাজরাপোকা মারার ভালো উপায় হলো তাদের ডিম বা অল্প বয়সের কিড়া কুড়িয়ে নিয়ে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া। অনেক পূর্ণবয়স্ক পোকা রাতের বেলায় আলোর দিকে ছুটে আসে। এসব পোকাকে সহজেই আলোর ফাঁদ পেতে মারা যায়।
৫। নিচের কোনটি কোন ধরনের বাক্য এবং তার কারণ কী তা লেখো।
ক. আদিত্য চিঠি লেখে।
খ. তুমি যদি আস, তবে আমি যাব।
গ. তুমি পড়ুয়া ছেলে কিন্তু একটু বেশি চটপটে।
ঘ. নবীন খালি হাতে কোথায় যাচ্ছে?
ঙ. যেমন তুখোড় শিক্ষক তেমন চৌকশ ছাত্র।
৬। গল্পের সংজ্ঞা ও বৈশিষ্ট্য লেখো।
৭। মনে কর, তুমি সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তোমার জীবনের লক্ষ্য জানিয়ে বন্ধুকে একটি পত্র লেখো।
৮। তোমার পছন্দমতো একটি বিষয় নির্ধারণ কর এবং সে বিষয়ে একটি বিবরণমূলক লেখা লেখো।
৯। “সাজসজ্জার দিকে বেশ ঝোঁক ছিল বাঙালিদের।” ব্যাখ্যা করো।
১০। তোমার বিদ্যালয়ের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা উপলক্ষ্যে একটি ব্যানার প্রস্তুত করো।
১১। সাজেদ কীভাবে আবুকে পাটাতনের মধ্যে দেখতে পেল?
১২। আমাদের এমন কী কী ঐতিহ্য আছে যা হারিয়ে যাচ্ছে বলে তুমি মনে কর? সেগুলো ফিরিয়ে আনা কেন গুরুত্বপূর্ণ মনে কর? যদি তাই মনে কর, তবে এ ব্যাপারে কী করা যেতে পারে?
১৩। নিচের ছকে বিভিন্ন খাতে চার সদস্যের একটি পরিবারের মাসিক ব্যয়ের হার দেওয়া হলো।
তথ্যগুলো বিশ্লেষণ করে ছকটির ওপর একটি অনুচ্ছেদ লেখ।

খরচের খাত      শতকরা হার (%)
ক. খাদ্য      ৩৭%
খ. বাসা ভাড়া    ২২%
গ. গ্যাস-বিদ্যুৎ বিল   ৫%
ঘ. চিকিৎসা      ১১%
ঙ. যাতায়াত      ৭%
চ. শিক্ষা      ১৫%
ছ. মোবাইল বিল     ৩%

১৪। তোমার পছন্দমতো একটি বিষয় নির্ধারণ কর এবং সে বিষয়ে একটি বিবরণমূলক লেখা লেখো।
১৫। গল্পের সংজ্ঞা ও বৈশিষ্ট্য লেখো।
১৬। “সাজসজ্জার দিকে বেশ ঝোঁক ছিল বাঙালিদের।” ব্যাখ্যা করো।
১৭। মনে কর, তুমি রাজন। এস. এম. উচ্চ বিদ্যালয়, মিরপুর, ঢাকার সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তোমার বিদ্যালয়ে ‘নজরুল জয়ন্তী’ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে একটি আমন্ত্রণপত্র রচনা করো।
১৮। নিচের অনুচ্ছেদ থেকে বিভিন্ন ধরনের বাক্য বাছাই করো।
আমাদের আমের বাগান মুকুলে মুকুলে ভরে গেছে। বাবা, এবার কি গাছে অনেক আম ফলবে? ফিরে এসো। বিদেশে আর কত দিন থাকবে! আমাদের ফুলের বাগান মাধবীলতা আর গিরিমল্লিকায় ভরে গেছে। প্রজাপতি ঝাঁক বেঁধে উড়ে বেড়াচ্ছে। আহ্, কী চমৎকার লাগছে দেখতে! খুব মনে পড়ছে তোমাকে বাবা!
১৯। মনে কর তুমি শাহজাদা। তুমি উদয়ন স্কুলের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী। সম্প্রতি তুমি দর্শনীয় স্থানের বর্ণনা দিয়ে বন্ধুর কাছে চিঠি লেখো।
২০। তোমার এলাকার পুরানো কোনো স্থাপত্য সম্পর্কে একটি বিবরণমূলক লেখা প্রস্তুত করো।
২১। দৈনন্দিন জীবনে তুমি চর্চা করো এমন কয়েকটি ভাষিক যোগাযোগের উদাহরণ দাও।
২২। পোস্টারের ব্যবহার লেখো।
২৩। আমাদের এমন কী কী ঐতিহ্য আছে যা হারিয়ে যাচ্ছে বলে তুমি মনে কর? সেগুলো ফিরিয়ে আনা কেন গুরুত্বপূর্ণ মনে কর? যদি তাই মনে কর, তবে এ ব্যাপারে কী করা যেতে পারে?
২৪। ইতিহাসে বড় বড় অক্ষরে রাজাদের নাম লেখা হয়ে গেল বুঝিয়ে দাও।
২৫। ভাষায় মর্যাদার প্রকাশ বলতে তুমি কী বোঝ? ব্যাখ্যা করো।
২৬। ‘ছিন্ন-মুকুল’ কবিতায় কী ধরনের আবেগ প্রকাশ পেয়েছে?
২৭। বাক্যের অর্থ ঠিক রেখে চিহ্নিত শব্দটির বিপরীত শব্দ লেখো।
ক. নিঃসন্দেহে তিনি বিজ্ঞ লোক।
খ. এখন তার অচল অবস্থা।
গ. কারও অপকার করা ঠিক নয়।
ঘ. তিনি তার কনিষ্ঠ পুত্র।
ঙ. যা ভাবছ তার সবই কল্পনা।
২৮। গঠন অনুযায়ী বাক্য কত প্রকার ও কী কী? উদাহরণসহ আলোচনা করো।
২৯। তুমি কি কখনো চর দেখেছ? তোমার দেখা চরটি কেমন? না দেখলে চর বলতে তোমার মনে কী ধরনের চিত্র ভাসে?
৩০। সাজেদ কীভাবে আবুকে পাটাতনের মধ্যে দেখতে পেল?
৩১। গঠন অনুযায়ী বাক্য কত প্রকার ও কী কী? উদাহরণসহ আলোচনা করো।
৩২। নিচের অনুচ্ছেদে উপযুক্ত বিরামচিহ্ন বসিয়ে পুনরায় লেখো।
মেয়েরা তো বটেই ছেলেরাও সে যুগে অলংকার ব্যবহার করত সোনার অলংকার পরতে পেত শুধু ধনী লোকেরা তাদের বাড়ির ছেলেরাও সুবর্ণকুÊল পরত মেয়েরা কানে দিত সোনার ‘তারঙ্গ’ হাতে বাহুতে গলায় মাথায় সর্বত্রই সোনা-মণি-মুক্তা শোভা পেত তাদের মেয়েদের। সাধারণ পরিবারের মেয়েরা হাতে পরত শাঁখা কানে কচি কলাপাতার মাকড়ি গলায় ফুলের মালা
৩৩। নিচের অনুচ্ছেদের চিহ্নিত শব্দগুলোর প্রতিশব্দ বসিয়ে পুনরায় লেখো।
যুদ্ধ দেখে আমরা ভীত হই। আমাদের ঘুম হারাম হয়ে যায়। অথচ মনোরম দৃশ্য আমাদের আনন্দ দেয়। অন্তঃকরণ নেচে ওঠে। কাজেই পাখির মতো গান গেয়ে আমরা সময় কাটাতে চাই।
৩৪। ‘ছিন্ন-মুকুল’ কবিতা থেকে এমন কিছু শব্দ উল্লেখ কর যেগুলো অঞ্চলভেদে উচ্চারণের পার্থক্য হতে পারে এবং পরিবর্তিত উচ্চারণসহ তালিকা তৈরি করো।
৩৫। নিচের কোনটি কোন ধরনের বাক্য এবং তার কারণ কী তা লেখো।
ক. আদিত্য চিঠি লেখে।
খ. তুমি যদি আস, তবে আমি যাব।
গ. তুমি পড়ুয়া ছেলে কিন্তু একটু বেশি চটপটে।
ঘ. নবীন খালি হাতে কোথায় যাচ্ছে?
ঙ. যেমন তুখোড় শিক্ষক তেমন চৌকশ ছাত্র।
৩৫। চিঠি পড়া, লেখা বা এ সংক্রান্ত তোমার কোনো অভিজ্ঞতা থাকলে লেখো।
৩৬। তোমার পছন্দমতো একটি বিষয় নির্ধারণ করো এবং সে বিষয়ে একটি বিবরণমূলক লেখা লেখো।
৩৭। আবুর মাছ ধরার রাতের প্রকৃতি কেমন ছিল?

তথ্যসূত্র :
১. বাংলা: সপ্তম শ্রেণি, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড, ঢাকা, ২০২৩।
২. আধুনিক বাংলা অভিধান: বাংলা একাডেমি, এপ্রিল, ২০১৮।
৩. ব্যবহারিক বাংলা অভিধান: বাংলা একাডেমি, ১৮তম, ২০১৫।

Next Post Previous Post