পরিচ্ছেদ ২৬: নির্দেশক
![]() |
পরিচ্ছেদ ২৬: নির্দেশক |
নির্দেশক
যেসব লগ্নক শব্দের সঙ্গে যুক্ত হয়ে নির্দিষ্টতা বোঝায়, সেগুলোকে নির্দেশক বলে।
যেমন:
টা, টি, খানা, -খানি, -জন, -টুকু।
নিচে কয়েকটি নির্দেশকের প্রয়োগ দেখানো হলো।
ক. -টা, -টি
বিশেষ্য, সর্বনাম ও বিশেষণের সঙ্গে-টা, -টি নির্দেশক বসে। এর দুটি রূপান্তর: -টো
ও-টে। যেমন:
বাড়িটা, ছেলেটা, এটা, সেটা, আমারটা, কিছুটা, একটা, সারাটা, করাটা; দিনটি, মেয়েটি,
একটি, কয়েকটি, আরেকটি; দুটো; তিনটে ইত্যাদি।
খ. -খানা, -খানি
বিশেষ্য ও বিশেষণ শব্দের সঙ্গে-খানা, খানি নির্দেশক বসে। যেমন:
ব্যাপারখানা, ভাবখানা, একখানা, আধখানা, মুখখানি, অনেকখানি ইত্যাদি।
যেসব ক্ষেত্রে-টা বাটি বসে, সেসব ক্ষেত্রে-খানা বা-খানি বসতে পারে। যেমন:
বাড়িটা বা বাড়িটি না বলে বাড়িখানা বা বাড়িখানিও বলা যায়।
গ. -জন
শুধু মানুষের বেলায়-জন নির্দেশকের ব্যবহার হয়। যেমন:
বিজ্ঞজন, লোকজন, অনেকজন, কয়জন, এতজন, পণ্ডিতজন।
সংখ্যার সঙ্গেও জন নির্দেশকের ব্যবহার হয়। যেমন:
একজন রাজা, দুজন ডাক্তার ইত্যাদি।
অধিক সংখ্যার বেলায় ‘জন’ নির্দেশকটি সংখ্যা পরে আলাদা শব্দের মতো বসে। যেমন:
পাঁচ জন, পঁচিশ জন, ৪৫ জন ইত্যাদি।
ঘ. -টুকু
-টুকু নির্দেশক দিয়ে কোনো কিছুর সামান্য অংশ বা অল্প পরিমাণ বোঝায়।
বিশেষ্য ও বিশেষণ শব্দের সঙ্গে নির্দেশকটি ব্যবহৃত হয়। এর রূপভেদ: -টু বা-টুক।
যেমন:
সাবানটুকু, হাসিটুকু, শরবতটুকু, এতটুকু, সময়টুকু, একটু, আধটু, যতটুক, ততটুক
ইত্যাদি।
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন : |
---|
প্রশ্ন থেকে
অভিনন্দন!
|
তথ্যসূত্র : |
---|
১. বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিতি: নবম-দশম শ্রেণি, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও
পাঠ্যপুস্তক বোর্ড, ঢাকা, ২০২৫। ২. আধুনিক বাংলা অভিধান: বাংলা একাডেমি, এপ্রিল, ২০১৮। ৩. ব্যবহারিক বাংলা অভিধান: বাংলা একাডেমি, ১৮তম, ২০১৫। |