পরিচ্ছেদ ২৭: বচন

পরিচ্ছেদ ২৭: বচন
পরিচ্ছেদ ২৭: বচন

বচন

বচন হলো সংখ্যার ধারণা। বচনের মাধ্যমে গণনাবাচক বিশেষ্য ও সর্বনাম শব্দের সংখ্যা নির্দেশিত হয়। বাংলা ভাষায় বচন দুই প্রকার:
একবচন ও বহুবচন।
সাধারণত কিছু শব্দাংশ বা লগ্নক একবচন শব্দের পরে যুক্ত হয়ে বহুবচন শব্দ তৈরি করে।

একবচন শব্দের উদাহরণ:
শিক্ষক ক্লাসে এসেছেন।
বইটা কোথায় হারিয়ে গেল?
এখানে প্রথম বাক্যের ‘শিক্ষক’ শব্দের সঙ্গে কোনো লগ্নক যুক্ত হয়নি। দ্বিতীয় বাক্যে ‘বই’ শব্দের সঙ্গে যুক্ত ‘টা’ একটি নির্দেশক। এর সঙ্গেও কোনো বহুবচন লগ্নক যুক্ত হয়নি।

বহুবচন শব্দের উদাহরণ:
মাঝিরা নৌকা চালায়।
কলমগুলোর দাম অনেক।
এখানে প্রথম বাক্যের একবচন ‘মাঝি’ শব্দের সঙ্গে ‘-রা’ লগ্নক যুক্ত হয়ে বহুবচন ‘মাঝিরা’ হয়েছে। একইভাবে দ্বিতীয় বাক্যে ‘-গুলো’ লগ্নক যুক্ত হয়ে বহুবচন ‘কলমগুলো’ হয়েছে।

নিয়ম- ক

‘-রা’, ‘-এরা’, ‘-গুলো’, ‘-গুলি’, ‘-দের’ ইত্যাদি লগ্নক যুক্ত হলে শব্দটির বহুবচন হয়। যেমন:
রা ছাত্ররা, ধনীরা
এরা ভাইয়েরা, শিক্ষকেরা
রা ছাত্ররা, ধনীরা
গুলো ফুলগুলো, গরুগুলো
গুলি বইগুলি, ঘরগুলি
দের ছেলেদের, মেয়েদের।

নিয়ম- খ

কিছু একবচন শব্দ বহুবচন হওয়ার সময়ে কাঠামোগত পরিবর্তন ঘটায়। যেমন:
একবচন বহুবচন একবচন বহুবচন
আমি আমরা তুমি তোমরা
সে তারা তিনি তাঁরা

নিয়ম- গ

প্রাণী বা বস্তুর নামকে বহুবচন করতে ‘-সব’, ‘-সমূহ’, ‘-আবলি’, ‘-মালা’ ইত্যাদি লগ্নক যোগ করতে হয়। যেমন:
সব ভাইসব, পাখিসব।
সমূহ গ্রন্থসমূহ, বৃক্ষসমূহ।
আবলি নিয়মাবলি, রচনাবলি।
মালা মেঘমালা, পর্বতমালা।

নিয়ম- ঘ

মানী পক্ষের বহুবচন করার সময়ে ‘-গণ’, ‘-বৃন্দ’, ‘-মণ্ডলী’, ‘-বর্গ’ ইত্যাদি লগ্নক যোগ করা হয়। যেমন:
গণ সদস্যগণ, সচিবগণ
বৃন্দ দর্শকবৃন্দ, শিক্ষকবৃন্দ
মণ্ডলী সুধীমণ্ডলী, সম্পাদকমণ্ডলী
বর্গ পণ্ডিতবর্গ, মন্ত্রীবর্গ।

অনেক ক্ষেত্রে বচন লগ্নক ব্যবহৃত না হলেও বহুবচন হতে পারে। যেমন:
বাজারে লোক কম।
মৌমাছি মৌচাক বানায়।
সমাজে নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে তিনি গবেষণা করছেন।

বহুনির্বাচনি প্রশ্ন :

প্রশ্ন থেকে

অভিনন্দন!
আপনি পেয়েছেন -এর মধ্যে!
যা


তথ্যসূত্র :
১. বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিতি: নবম-দশম শ্রেণি, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড, ঢাকা, ২০২৫।
২. আধুনিক বাংলা অভিধান: বাংলা একাডেমি, এপ্রিল, ২০১৮।
৩. ব্যবহারিক বাংলা অভিধান: বাংলা একাডেমি, ১৮তম, ২০১৫।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url